নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রেখে অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ করতে হয়৷

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

অনেক বছর আগে দিল্লী, ভারতের বসন্তবিহার এলাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে(জে.পি হোটেল) ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ড ঘটে। অনেক মানুষ প্রাণ হারান। কিন্তু হোটেলে অবস্থানরত আমেরিকান এবং জাপানী অতিথিরা প্রাণে বেঁচে যান। কিভাবে? কারণ তারা তাদের ঘরের দরজার নীচে ভেজা তোয়ালের প্রতিরোধ তৈরী করেন যাতে ঘরে কোনো ধোঁয়া না ঢুকতে পারে। তারা শুরুতেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে সময় নষ্ট না করে সেই সময়টা হাতের কাছে যা আছে তাই নিয়ে আগুনকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করেছেন।
.
তারা ভেজা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে মেঝেতে শুয়ে পরেন কারণ ধোঁয়া উর্ধ্বমুখী হয়। বেশির ভাগ মৃত্যু আগুনের জন্য নয় বরং শ্বাসতন্ত্রে ধোঁয়ার আক্রমনে ঘটে। বেশীর ভাগ ভারতীয় বিল্ডিংয়ের জানালা দিয়ে প্রাণ রক্ষার্থে লাফ দেন এবং অনেকেই মারা যান। অনেকখানি পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল এই জ্ঞানটুকুর অভাব। সাধারণ জনগণ এই সচেতনতাটুকু কাজে লাগতে পারে যে আগুন লাগলে কি করা উচিত, কি অনুচিত।
.
কাজেই, সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন। বিজ্ঞান জানুন, বিজ্ঞানের তৈরি যন্ত্রপাতির সাথে আধুনিক যুগে বাস করবেন আর বিজ্ঞান জানবেন না, তা হবে না। বিজ্ঞানের সুফল নিন, কুফলকে রুখে দিতেও বিজ্ঞানকে জানতে হবে।
.
যদিও জানি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ক্ষেত্রে এই জ্ঞানটুকু দিয়ে হয়তো পার পাওয়া সম্ভব নয় এবং দ্রুত সহযোগিতা পাওয়ার অনিশ্চয়তা আমাদের বোধবুদ্ধিকে এলোমেলো করে দেয়, তবুও তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন মনে করে শেয়ার করলাম।
.
আগুন লাগলে কী করা উচিত এমন একটা লেখা লিখেছিলাম বলে অনেকেই এসে জ্ঞান দিতে শুরু করেছিলেন, বলছিলেন ঐ সময় নাকি মাথা কাজ করে না! মাথায় কিছু জ্ঞান লোড করা থাকলে না কাজ করবে! আগে জানুন বাঁচার উপায়, মস্তিষ্কে সঞ্চয় করে রাখুন, তারপর অমন কোনো পরিস্থিতি আসলে (না আসুক তাই কাম্য), তখন মাথা ঠাণ্ডা রেখে ঐ কাজগুলো করার চেষ্টা করবেন যা করা দরকার। তাহলেই বাঁচার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে। আমি পরামর্শ দেবো, এসব সময়ে করণীয় সম্পর্কে আরও জ্ঞানলাভ করতে 'The Towering Inferno', 'Skyscreeper', '2012', ''Inferno' এর মতো দুর্যোগভিত্তিক ছবি(মুভি)গুলো দেখতে পারেন।
.
ঐ সময়ে মাথা কাজ করে না বলে যদি বাঁচার বিজ্ঞানসম্মত উপায়গুলো না জানেন, তাহলে তো বাঁচার কোনো সুযোগই থাকবে না! মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে জ্ঞানবুদ্ধি দিয়েছেন, হাত-পা-মস্তিষ্ক দিয়েছেন, সেগুলো আগে কাজে লাগান; তারপর তাঁকে স্মরণ করুন।
.
পরীক্ষার জন্য বই পড়তে হয়, যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হয়। সারা বছর কিছু না পড়েই পরীক্ষার হলে গিয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কোনো লাভ হবে না। তিনি তখন বলবেন, 'আমি তোমাকে এই পড়াগুলো আত্মস্থ করার জন্য যা যা দরকার সব দিয়েছি। তুমি সেসব কাজে লাগাওনি কেন?' তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন, আর মানুষের সৃষ্টি বিজ্ঞান। তাহলে বিজ্ঞানও এক হিসেবে তাঁরই সৃষ্টি৷ একে গ্রহণ করে একটু ভালো থাকা গেলে কেন করবেন না?
.
*সংগৃহীত ও সংযোজিতঃ দেব দুলাল গুহ / দেবু ফরিদী।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
আধুনিক পোষ্ট।
ধর্ম জেনে আগুন থেকে বাঁচা যাবে না। বিজ্ঞান জেনে আগুন থেকে বাঁচা যাবে।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

আনু মোল্লাহ বলেছেন: কাজের পোস্ট। ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

হাবিব বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.