নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
নিজের ডেস্কে বসে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে বলতে কয়েক গ্লাস জল খেলেন গহর জাহান। শরীরটা ভালো লাগছে না তার। কয়েকবার কপালে গালে হাত দিয়ে পরীক্ষাও করলেন। সুন্দরী স্মার্ট এই ব্যাংকার রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত। কাজপাগল মানুষটা এই ৪৩ বছর বয়সেও বিয়ে করেননি। ভাইয়ের বাসায় থাকেন উত্তরায়। আজ তিনি হলুদ ড্রেস পরে এসেছেন।
.
কাজ করতে করতে আর ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে বলতেই হঠাৎ ডেস্কের টেবিলে হাতের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন গহর! সেই যে ঘুমালেন, সেই ঘুমটা আর ভাঙলো না। সহকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে জাগানোর নিস্ফল চেষ্টা করলেন অনেক। ক্লায়েন্ট টেনে ধরে তাকে চেয়ারে উঠে বসানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু তার শরীরটা চেয়ারে বসে থাকতে পারলো না, পরে গেলো নিচে। কেউ পানি নিয়ে এলেন, কেউ টেবিল মোছায় ব্যস্ত। তাকে অফিসের ফ্লোরেই শুইয়ে দেওয়া হলো। গায়ে চাদর দেওয়া হলো। নিজেরাই তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করে না পেরে তারপর নিয়ে গেলেন হাসপাতালে। ডাক্তার বলে দিলেন, অফিসেই মৃত্যু হয়েছে তার!
.
অফিসের এই সমস্ত দৃশ্যটাই দেখা গেলো অফিসের সিসি ক্যামেরায়। সিসি ক্যামেরা ছিলো বলেই মৃত্যুর মুহূর্তটা দেখা গেলো। এটা কি আশীর্বাদ না অভিশাপ হলো? ব্যাংক অবশ্যই এই ফুটেজ দেখিয়ে বলবে আমাদের কোনো দোষ নাই। 'থ্রি ইডিয়টস' ছবির মতো র্যাঞ্চোর মতো কেউ বলবে না, ব্রেইনের উপর চাপের পরিমাপ পরীক্ষা করার কোনো যন্ত্র কি আছে? এই দৃশ্য দেখে কোনো সুস্থ মানুষ সুস্থ থাকতে পারবে না। আমিও পারছি না। তার পরিবারের সবাই কীভাবে পারবে?
.
এত সহজেই মরে যায় মানুষ! এমন হঠাৎ করেই! কেন? হার্ট অ্যাটাক নাকি ব্রেইন স্ট্রোক? নাকি আরও কিছু? কারণটা কি? কাজের প্রেসার নাকি মানসিক চাপ নাকি শারীরিক অন্য কিছু? অসুস্থ হলে অফিসে এসেছিলেন কেন? এমন অনেক প্রশ্ন জাগে মনে।
.
এখন ভাবছি, আমরা যমদূতের কাছে কতটা অসহায়! কখন যে কার কী হয়ে যায়, কেউই বলতে পারে না। এরপরও মানুষ দুর্নীতি করে, অন্যায় করে। নিরীহ নিরপরাধকে মেরে তার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়। ঘুষ ছাড়া ফাইল সাইন করে না। দায়িত্বে অবহেলা করে। লোভ-লালসায় মেতে উঠে অকাজের কাজে ছোট্ট জীবনটা নষ্ট করে! মানুষের হীতকর কিছু করতে চেষ্টা করে না। দশজনের উপকার হয় এমন কিছু করায় বা এমন উদ্ভাবনী কিছু করায় তাদের অধিকাংশেরই কোনো আগ্রহ নেই। কে কীভাবে কার পিছে লাগবে, অন্যের ক্ষতি কীভাবে করবে, তা ভেবে ভেবেই তাদের সময় যায়!
.
হায়, জীবন এতো ছোট ক্যানে?
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: হুট করে যে কেউ, যে কোনো সময় মরে যেত্রে পারে !!!
ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফুটেজটা আমিও দেখেছি। মনেই হয়নি যে তিনি মারা যাচ্ছেন। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মৃত্যু খুবই খারাপ একটি ব্যাপার।
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রথমে ভাবছিলাম গল্প পড়ছি
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। মৃত্যু আসলেই খুব নিকটে থাকে।