নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাহ্মণিবাড়িয়ার জানাজায় গণজমায়েতের ঘটনায় আমি আপনাকে ক্ষমা করবো না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যা ঘটলো তার জন্য আপনি কিছুতেই ক্ষমা পেতে পারেন না। এই দায় আপনারও, কারণ আপনি এটা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। উলটো আপনি এমনভাবে বললেন যেন একেবারেই অসাধ্য একটা কাজ। ভারতের এই ভিডিওটা দেখেন, আইন মানতে বাধ্য করানো হয় কীভাবে। মোদি সরকার ক্ষমতায় অথচ দেখেন মন্দিরেও কিভাবে লকডাউন ভেঙে যাওয়ার জন্য বেদম পেটানো হচ্ছে! জনস্বার্থে এমন অনেক কিছুই করে অনেকে। কোটি মানুষের জীবনের প্রশ্নে এটা মানা যায় না। যারা বিজ্ঞান মানতে চায় না, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে, যারা কোটি মানুষের জীবনকে নিজের নির্বুদ্ধিতায় ঝুঁকিতে ফেলে, তাদেরকে বুঝিয়ে কাজ নাহলে যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণে আনার উপায় আপনাকে জানতে হবে এবং সেটা প্রয়োগ করতে হবে। করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের সার্বভৌম ও ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
.
সেদিন শাপলা চত্বরে সৈয়দ আশরাফ যদি পেরে থাকেন, আপনারা কেন পারেন না? বাধাটা কোথায়? সমর্থন হারানোর ভয়? এই যে লাখো মানুষ সোশাল ডিসট্যান্স না মেনে রাস্তায় নামলো, এই লোকগুলো যে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে না, তার কি গ্যারান্টি? এরা যে করোনাভাইরাসকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেবে না তার কি নিশ্চয়তা? যেখানে গুজরাটে একাই এক ধর্ম প্রচারক মৃত্যুর আগে গোটা গুজরাটকে আক্রান্ত করে গেছেন!
.
এটা স্রেফ আত্মহত্যা। আপনাদের সাথে সাথে গোটা জাতিও আত্মহত্যার পথে এখন। দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা এই সমাবেশ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের সবাইকে কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে এবং হত্যা মামলা দায়ের হতে হবে। কারণ এটা ম্যাসিভ কিলিংয়ের সমতুল্য। এই লোকগুলো যে উপজেলায় যাবে, সেখানকার বাতাসকে দূষিত করবে। এই ভাইরাস বাতাসে ২৭ ফুট পর্যন্ত ভাসতে পারে। এমনিতেই পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি আমাদের দেশ, তার উপর যদি এগুলো থামানো না যায়..
.
উনাদেরকে বুঝানো দরকার ছিলো যে এই বিপদ কেটে গেলে বড় করে অনুষ্ঠান কইরেন, কিন্তু এখন নয়। নিজেদের বাঁচার জন্য হলেও এটা তাদেরকে বুঝিয়ে না পারলে যেকোনো উপায়ে মানানো দরকার ছিলো। এদেরকে যেহেতু থামাতে পারেননি, তাহলে আজ থেকে অন্য যে কারো উপর আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও আপনারা প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। ঘরে যার খাবার নাই, তাকে রাস্তায় পেটালে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। কারণ আপনি ওদের সাথে পারেননি, ঘরে বসে ত্রাণ না পেলে নিরীহ খেটেখাওয়া তো একদিন রাস্তায় নামবেই। মধ্যবিত্তরাও বাধ্য হয়ে নামবে কিছুদিন পর।
.
আমার নিজের ঘরেই খাবার প্রায় শেষ। ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছি না অজানা কারণে। আমি গত প্রায় ১ মাস বাসা থেকে বের হই না সরকারি নির্দেশ মেনে। এরপরেও আমি আজ আতংকিত, আমি ভীত। ফরিদপুর এখনও লক ডাউন করা হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারায়নগঞ্জ থেকে ফরিদপুর দূরে না। এরপর করোনার উপসর্গ নিয়ে আমার বা আমার মায়ের মৃত্যু হলে সেজন্য আপনারা নীতিনির্ধারক ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারা দায়ী থাকবেন। দু:খিত। অবিলম্বে ১৪৪ ডাকুন, নইলে সারাদেশের অলিতে-গলিতে ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে, মরবে কোটিতে কোটিতে। ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করুন।
.
বাজার খোলা অথচ জানাজা মসজিদ বন্ধের ব্যাপারে যারা বলছেন, তাদের বলি- আপনার ঘরকে নাহয় গুদাম বানিয়ে ছয় মাসের খাবার কিনে রাখার সামর্থ রাখেন, সবাই কি তা পারে? যারা পারে না, তারা তো বাইরে যাবেই। বাজার বন্ধ করা যাবে না, তবে নিয়ম করে দেয়া যায় সপ্তাহে একদিন বাজারে যাওয়ার, আর সেনাকে দিয়ে ত্রাণ দেওয়ালে আশা করি দুর্নীতি কম হবে। ঘরে বসে ত্রাণ পেলে নিয়ম মানার প্রবণতা বাড়বে।
.
বাজার আর জানাজা এক না। ঘরে বসে প্রার্থনা করলে কি আল্লাহ শুনবেন না? আল্লাহ কি আপনার ঘরে নাই? যেহেতু জনসমাগমের কারণে বিপদ ডেকে আনছেন, সেহেতু আপাতত এসব থেকে বিরত থাকুন নিজের ও নিজের পরিবারের স্বার্থে। এই মহামারি শেষে নাহয় বড় করে অনুষ্ঠান করে বিদেহীর জন্য প্রার্থনা কইরেন সবাই মিলে। প্লিজ, জাতীয় স্বার্থে এমন বোকামি বন্ধ করুন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: রাগে দুঃখে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করে

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালে ব্রাম্মনবাড়িয়া ছিল রাজাকারদের জন্মস্হান, এখনো উহা সেই রকমই আছে।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ঘটনাটা সরাইল নামক উপজেলায়, সব ব্রাহ্মণবাড়িয়া মনে হয় না এক। সরাইলের ইতিহাস আগে থেকেই খারাপ। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যান্য উপজেলার মানুষও মনে হয় দেখতে পারে না। ইউটিউবে তাই দেখছি। সবাই সরাইলকে ''সরাইল্লা বাটপার'' বলে উপাধি দিয়ে রেখেছে। সরাইলের মানুষ ঘনঘন ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িত হয়ে খুনাখুনি পর্যন্ত করে।

প্রশাসনের লোকবল তুলনায় কম তাই তারা সাহস করে নাই জানাজার বিপুল পরিমানের মানুষকে থামানোর। ঐ স্থানের অধিকাংশ মানুষেরই বিবেক ও বোধ কম। সুতরাং ভাল কিছু আশা করা কঠিন। কিছু বলার নাই। :(

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ...নিপুণ কথন...





স্রেফ আত্মহত্যার নথিতে স্বাক্ষর দিয়ে ফেলেছেন সরকার।

এখন -
সরকারের উচিৎ এক্ষনি পুরো ব্রাক্ষণবাড়ীয়া এলাকাকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষনা করে সব আবাল পাবলিককে আন্ডার এ্যারেস্টে রাখা। পুরো এলাকা আর্মি দিয়ে প্রয়োজনে ট্যাঙ্ক নামিয়ে কর্ডন করে রাখা।
পুরো এলাকা আর্মি দিয়ে প্রয়োজনে ট্যাঙ্ক নামিয়ে কর্ডন করে রাখা।
পুরো এলাকা আর্মি দিয়ে প্রয়োজনে ট্যাঙ্ক নামিয়ে কর্ডন করে রাখা।
পুরো এলাকা আর্মি দিয়ে প্রয়োজনে ট্যাঙ্ক নামিয়ে কর্ডন করে রাখা।
পুরো এলাকা আর্মি দিয়ে প্রয়োজনে ট্যাঙ্ক নামিয়ে কর্ডন করে রাখা।
পুরো এলাকা আর্মি দিয়ে প্রয়োজনে ট্যাঙ্ক নামিয়ে কর্ডন করে রাখা।


নইলে দিল্লির ইজতেমার মতো এ থেকে যে মহামারী শুরু হবে আজ থেকে তার হাত থেকে পালিয়ে কোনও মহারথীরাই পার পাবেন না। মহারথীরা যদি ভেবে থাকেন অন্যকিছু তবে বলতে হবে "মূর্খ"।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: "ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ খবর পড়ে না, খবর দেখে না, খবর তৈরি করে!!"

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ন্যাক্কার জনক ঘটনার
পূণরাবৃত্তি দেখতে পাইনা।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোথায় পুলিশ কোথায় সেনা বাহিনী । কোথায় সরকার। সব শালা মরবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.