নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun (DEV DULAL GUHO)

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্মানজনক সরকারি পাসপোর্ট হাতে পেলাম। কিন্তু..

১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৩


০৫ দিনে ২য় সরকারি পাসপোর্ট হাতে পেলাম। কিন্তু কিছু বাজে অভিজ্ঞতাও হয়েছে।

গত বুধবার রেবিসের টিকা নিয়েই ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিসে যাই বলে শরীর দুর্বল ও ব্যাথা ছিলো। তাই মাকে নিচে বসিয়ে দালালদের এড়িয়ে সহজে কাজ করতে উপরে গিয়ে উপপরিচালক স্যারকে পাইনি। কারণ অন্য অফিসাররা যার যার ডেস্কে ছিলেন না বলে অনেক সেবাপ্রার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন লাইনে। ডিডি স্যারের রুমের দরজা বন্ধ, দরজা জুড়ে দারোয়ান দাঁড়ানো যিনি সেবাপ্রার্থী কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। দুপুর প্রায় ২টার কিছু আগে, আমি জানতে চাইলাম তিনি লাঞ্চে বা মিটিংয়ে কিনা। কিছুই না বলে দারোয়ানই বড় অফিসারের ভাব নিয়ে জানালো ভেতরে যাওয়া যাবে না। তখন আমি জানালাম সামনের রুমে জিও ভেরিফাই করার ডেস্কে কেউ নেই, আধাঘন্টার উপরে দাঁড়িয়ে আছেন বলে বৃদ্ধারা জানাচ্ছেন। তিনি তাতেও কেয়ার করলেন না। আমি তখন সামনের সোফায় বসে ডিডি স্যারকে ফোন করলাম, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করলেন না।

কিছুক্ষণ পরে দেখি ডিডির রুমের দরজা খোলা হলো, সামনের রুমেও লোকজন ঢুকছে। বুঝলাম আমার কথা ভেতরে পৌঁছেছে। ভেরিফাই করে নিয়ে আবার ডিডির রুমে গেলাম। তিনি বসতে দিলেন। এবার ডিডি স্যার (যেহেতু তিনি ৬ষ্ঠ গ্রেডে, আমি এখনও প্রমোশন পাইনি) আমাকে ধর্মীয় বাণী শুনিয়ে বুঝাতে লাগলেন ধৈর্যধারণের কী গুণ। ভাবটা এমন যেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আমিই অন্যায় করে ফেলেছি! আমি বললাম আমিতো অসুস্থ শরীরেও অপেক্ষা করেছিই, আমার সাথে খারাপ আচরণ না করে তিনি আমাকে বললেই পারতেন আপনি লাঞ্চে আছেন বা মিটিংয়ে আছেন জরুরি। তাহলেই তো আমাকে আর প্রতিবাদ করতে হতো না। সাবেক এসপি আলীমুজ্জামান স্যারের উদাহরণ টেনে আমি তাঁকে বললাম, সরকারি অফিসের দরজা সেবাপ্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। না হলে দারোয়ানসহ দালাওচক্রের পোয়াবারো হয়। সামান্য তথ্যের বিনিময়েও টাকা চায়, হয়রানি করে বাইরের দালালদের কাছে পাঠায় যাতে দালালদের মাধ্যমে ফিরে আসে। কিন্তু তাঁর সামনে আমাকে রেখেই দরজা খোলা রেখে সেই দারোয়ান চলে গেলো এবং একজন সাজিয়ে আনা ছাত্রকে এখানে কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না মর্মে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে নিলো। আমি তার পরিচয় জানতে চাওয়ায় ডিডি স্যার তাকে থামিয়ে তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন এবং আমার জন্য অধীনস্তকে ফোন করে আমার কাজটা দ্রুত করে দিতে বলে দিয়ে এ নিয়ে আর লেখালেখি না করতে বললেন।

এরপর আমি আরও এক রুম হয়ে নিচে গিয়ে ছবি তুললাম। তখন কম্পিউটারের সামনের ছেলেটা আমাকে আমার ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞেস করলো। আমি অবাক হয়ে বললাম, হিন্দুই তো পূরণ করেছি, দেব দুলাল গুহ হিন্দু ছাড়া আর কার নাম হবে? সে জানালো, আগের অফিসিয়াল পাসপোর্টে নাকি আমার ধর্ম লেখা ছিলো 'ইসলাম'! ইদানিং নিজের ধর্ম পরিচয় নিজেই পূরণ করা যায় অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করার সময়। কিন্তু আগেরবার তা করতে পারিনি, এটা তখন পূরণ করেছিলো পাসপোর্ট অফিসই। পাসপোর্ট অফিসের দালালচক্র ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলায় ও ডিসি স্যারকে জানানোয় তারা ইচ্ছা করে ধর্ম পরিচয় ভুল লিখে থাকতে পারে বলে আমার ধারণা। ফলে বর্ডারে আমাকে অনেক বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে যা আমি তখন বুঝি নাই যে কেন এমন হচ্ছে। আমাকে অফিসিয়াল পাসপোর্ট নিয়েও অনেকক্ষণ বারবার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আমার উপর হামলাও হয়েছে ট্রেনে কয়েকবার। সে কথা আপনারা জানেন। তখন এই পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বে ছিলেন মো: আজমল কবির আর তাঁর কাছে গিয়েছিলাম তাঁর আগের অফিসার মানিক দেবনাথদার মাধ্যমে। দুজনই জানেন আমি হিন্দু, তবুও আমাকে কেন ইসলামের অনুসারী দেখানো হলো, কেন আমাকে সবাই ধর্মান্তরিত বয়েছি ভেবে ভুল বুঝলো আমি নিজেই তা বুঝলাম না!

এরপর সব কাগজপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে আসার সময় দুপুর আনুমানিক ৩টার দিকেই দেখি পাসপোর্ট অফিসের লাইন খালি। এক মহিলা দেখলাম বিরবির করতে করতে যাচ্ছেন, "খালি কয় সার্ভার ডাউন, কালকে আসেন। আর কতদিন ঘুরব?" আরও কয়েকজনের থেকে নানা অজুহাতে হয়রানির কথা জানতে পারলাম। কিন্তু আমিতো আর সাংবাদিক নেই, এই অফিসেরও কেউ নই, তাই কিছু করতে পারলাম না।

বাড়ি ফিরে আসার পর লাঞ্চ করতে বসেছি, এমন সময় আবার অফিস থেকে ফোন। ছেলেটা জানালো আমি নাকি NID কার্ড জমা দেইনি! বললাম, আমিতো সব কাগজই জমা দিয়েছি, তখন কেন চেক করে বলেননি? এখন তো বাড়ি চলে এসেছি, দুই হাতে দুটি টিকা নিয়েছি বলে অসুস্থ, দু-তিনদিন আর বাইরে যাওয়া সম্ভব না। তখন ডিডি স্যারকে এ কথা জানালে তিনি ব্যবস্থা নিয়ে জানাবেন বললেন, কিন্তু পরক্ষণে আর তাঁকে ফোনে পেলাম না। তখন সেই ছবি তোলার ছেলেটিকে ফোন করে অনুরোধ করে আর অফিসে না গিয়ে কাজটা করতে পেরেছি। এজন্য ঐ ছেলেটিকে ধন্যবাদ জানাই।

জমা দেওয়ার ৫ দিন পর এস,এম,এস এলো পাসপোর্ট হয়ে গেছে, ইমেইলও এসেছে। কিন্তু গতবার আমার মায়ের পাসপোর্টের বেলায় কোনো এস,এম,এস বা ইমেইল আসেনি। কেউ ফোন করেও জানায়নি যে পাসপোর্ট হয়ে গেছে। আমিও নানা ব্যস্ততা ও অসুস্থতায় থাকায় যেতে পারিনি খোঁজ নিতে। তাই সেপ্টেম্বরে হয়ে থাকা পাসপোর্ট গত বুধবারে নিলাম।

একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, শুধু পাসপোর্ট প্রদানের কাউন্টার ছাড়া বাকি প্রায় সব কাউন্টারেই হুজুরদের আধিপত্য.. সেই দারোয়ান, ভেরিফাই যিনি করেন তিনি, নিচের কম্পিউটার ও ক্যামেরা নিয়ে বসা ছেলেটা, এমনকি ডিডি স্যারও। এমনটা ঐ অফিসে আগে কখনও দেখিনি। হুজুররা ধর্ম মেনে চলেন বলে তাঁদের থেকে ভালো সেবাই আশা করে সবাই। ধর্মীয় পরিচয় মূখ্য নয়, কে কেমন কাজ করছে কেমন সেবা দিচ্ছে সেটাই মূখ্য। কিন্তু এখানে অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হলো না।

তবে আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে সেবা। অনলাইনেই ফরম পূরণ করা যাচ্ছে, টাকা জমা দেওয়া যাচ্ছে, আবার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা বা কোথায় কোন অবস্থায় আছে তাও কুরিয়ার সার্ভিসের মতো রিয়েল টাইমে অনলাইনে দেখা যাচ্ছে। এই আধুনিকতার পাশাপাশি দাললদের রুখে দেওয়া গেলে আর অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থেকে আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করা গেলে খুব ভালো হবে। পাসপোর্টের মানও আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। শুধু ছবিটা ফ্ল্যাশ দিয়ে তুললে মনে হয় আরও ভালো ও স্পষ্ট মানের ছবি পাওয়া যেত। দেব দুলাল গুহ।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



যেহেতু আপনি অফিসিয়াল পাসপোর্ট পেয়েছেন সেহেতু ধরেই নেওয়া যায় যে আপনি বাংলাদেশের একটি সরকারি চাকরি করেন।
যদি আপনার কোন সমস্যা না থাকে তাহলে দয়া করে বলবেন কি আপনি কোন পদে চাকরি করেন?

আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে সরকারি পাসপোর্ট এর আসলে তেমন কোন সুবিধা নাই।
তার চেয়ে সাধারণ পাসপোর্ট থাকাই সবচেয়ে ভালো ।
কেননা সরকারি পাসপোর্ট নিয়ে যে কোন দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করলে নানান ধরনের কাগজ পাতি তারা চাইতেই থাকবে ।যেটা একটা সমস্যা ।
এছাড়া দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না ।
কেননা অফিসিয়াল পাসপোর্ট ধারী ব্যক্তি সরকারের অনুমতি ব্যতীত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
এটাই নিয়ম।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪০

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আমি শিক্ষা ক্যাডারে আছি। সরকারি পাসপোর্টে গেলে নাকি বাড়তি নিরাপত্তা পাওয়া যায়। আমাদের ভিসা লাগে না, একটা সরকারি অর্ডার বের করতে পারলেই বর্ডার ক্রস করা যায়।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কিসের সম্মানজনক?
আপনি তো পাসপোর্ট অফিসে যে স্যার স্যার শুরু করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সব স্থানে সেবা দাতা সেবা গ্রহিতাকে তাকে স্যার বলবে। বাংলাদেশেও বেসরকারি সেক্টরে সেবা গ্রহিতাকে স্যার সম্বোধন করা হয়। আপনার পাসপোর্ট অফিসে যে স্যার স্যার বলার দরকার টা কি আপনি সেখানে সাধারণ একজন পাসপোর্ট করতে গেছেন।
আর এক ব্যক্তির একাধিক পাসপোর্ট থাকাটাও বিস্ময়কর।
সরকারি পাসপোর্ট হলে আগেরটা বাতিল হবে, অথবা পূর্বে যদি আপনার সরকারি পরিচয় না দিয়ে পাসপোর্ট করেন সেটাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৩

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আপনি যা বলছেন তা বাংলাদেশে সম্ভব না। এখানে স্যার ডাকারই নিয়ম। শিক্ষা ক্যাডারের লেকচারার পদটি ৯ম গ্রেডের, আর জানামতে ডিডি গ্রেডটা ৬ষ্ঠ গ্রেড। তাছাড়া ঝামেলা এড়িয়ে দ্রুত কাজ করতে উপরের গ্রেডের কর্মকর্তাকে 'স্যার' ডেকেছি। এখানে ছবিতে যে দুটি পাসপোর্ট দেখছেন, তার নিচেরটা মেয়াদোত্তীর্ণ আর উপরেরটা নতুন। ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৮

...নিপুণ কথন... বলেছেন: উপপরিচালকও আমাকে দাদা বলে সম্বোধন করেছেন।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আফসোস!
বড়ই আফসোস!!

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৩

...নিপুণ কথন... বলেছেন: কেন ভাই?

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৫৩

জনারণ্যে একজন বলেছেন: এই ভদ্রলোক ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্সে অনার্স-মাস্টার্স করেছেন। বিসিএস ক্যাডার - শিক্ষকতা করেন একটি সরকারি কলেজে।

কিন্তু যথারীতি - মেরুদন্ডহীন প্রাণীর মতো একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যেয়ে, কর্মকর্তাদের "স্যার" "স্যার" বলা শুরু করেছেন। পিএসসি কতৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তারা হয়তো ওনার জুনিয়র হবেন (বয়সে কিংবা নিয়োগপ্রাপ্তির সময় অনুযায়ী)।

আহা, আমাদের মেরুদন্ড যদি আরেকটু শক্ত হতো!

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৭

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আমার চেয়ে শক্ত মেরুদণ্ডের কর্মকর্তা কমই আছ আছেন। শক্ত বলেই চাকরির শুরুতে ২ বছরে ৩ বার আমার বদলি হয়েছে। উপপরিচালক গ্রেড ৬ আর লেকচারার পদটি গ্রেড ৯ বলে জানি। এই কথাটি আমাকে উপপরিচালক নিজে বলেছেন। তাছাড়া আমার স্থানীয় প্রভাবশালী শত্রুদের ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত পাসপোর্ট বের করতে তাঁদের সাথে সাময়িক তাল মেলানো চাঁড়া উপায় ছিলো না। এমনিতেও ঘুষ দেইনি বলে দুর্ব্যবহার করছিলো। মেরুদণ্ড বেশী শক্ত করে এদেশে শুধু বদলি আর তিরস্কারই পেয়েছি।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:৫৯

বিষন্ন পথিক বলেছেন: স্যার না বললে চাকরী থাকবেনা, ডিডি সাহেব 'ব্যাপারটা দেখবেননা' ভালো একটা শব্দ বাংলা অভিধানে , 'চাকরী'..ঊৎপত্তি খুবই অসম্মানজননক

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৯

...নিপুণ কথন... বলেছেন: পরিচয় দেওয়ার পর সামান্য দারোয়ান-পিওন যে আচরণ করলো, আপনার কি মনে হয় স্যার না বললে পাসপোর্ট পেতাম এত দ্রুত? উপপরিচালক নিজে আমাকে দাদা বলেছেন।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আপনি কোন মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছেন না কেন?

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২০

মোগল সম্রাট বলেছেন:


পুরো লেখা স্যার স্যার করতে করত ষাড়ময় করে ফেলেছেন।

পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম যতই আধুনিক করুক সরকার হয়রানির বহু ফাকফোকড় থেকেই গেছে। যেমন পুুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে যে অংশটা আছে সেখানে ৫০০/১০০০/২০০০/ টাকা ঘুষ ছাড়া কেউ কোনকালে পাড়পাইছে কিনা আমার জানা নাই। এনআইডি কার্ড় বা জন্মনিবন্ধন থাকার পরও পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে একটা অফশন রাখছে। যাদের নাই তাদের ক্ষেত্রে এটার অফশন রাখতে পারতো।

অফিসের গেটের দাড়োয়ান পিওন চাপড়াশি, কেরানি এদের প্রত্যেকের দ্বারা দুর্ব্যবহার আর হয়রানি অবধারিত।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৩

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ঘু্ষ ছাড়া আমার বিসিএসের পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়েছে, আমার মায়ের পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন হয়েছে। যদিও আমি তখন শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিক ছিলাম।

পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক ৬ষ্ঠ গ্রেডের, আর আমার চাকরির ৭ম বছরেও আমি লেকচারার, তাই ৯ম গ্রেডে আছি। হিসাবে তাঁকে স্যার বলাই উচিত। কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারে থাকলে হয়তো বলতাম না।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আগের পাসপোর্টে আপনার ধর্ম ভুল লেখা হয়েছিল, তারপরেও আপনি সেটা নিয়ে প্রতিবাদ জানান নাই কেন তখনই? এমন ভুল ইনফরমেশনের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ ভ্রমনতো খুবই বিপদজনক। আপনি শিক্ষিত মানুষ হয়েও সেটা তখনই কেন প্রতিকার করেন নাই , বুঝতে পারলাম না!!

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৩৮

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আমার লেখাটা ভালো করে পড়লে আর এই প্রশ্ন করতেন না। ধর্মের কথা পাসপোর্টে উল্লেখ থাকে না। তাই আমার জানার উপায় ছিলো না যে ভুল আছে। কারণ আগে ধর্ম নিজে পূরণ করা যেত না। এখন অনলাইনে নিজেই পূরণ করা যায় বলে হিন্দু পূরণ করার পর ভুলটা পাসপোর্ট অফিসের নতুন কম্পিউটার অপারেটরের নজরে ধরা দেয়।

কেমন বিপজ্জনক?

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০

নাহল তরকারি বলেছেন: পাসপোর্ট অফিসে আমাকে ৫ বার ঘুরিয়েছিলো। একটা কাউন্টার আছে না, যেখানে স্বাক্ষর করলে আঙ্গুলের ছাপ নেয়, আমারে সেই কাউস্টারেরেই ৫ বার ঘুরিয়েছিলো। এর পর আমি আর কোথাও ভোগান্তির স্বীকার হয় নি।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৪

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আপনাকে হয়রানি করে দেখল টাকা অফার করেন কিনা। করেন নাই দেখে পরে সময় নষ্ট না করে ছেড়ে দিছে।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
এবার দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ান।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৫

...নিপুণ কথন... বলেছেন: এই পাসপোর্টে দেশের বাইরে যেতে বারবার সরকারের অনুমতি লাগে। কাজেই, চাইলেই যেতে পারবো না। গত ৫ বছরে মাত্র ৩বার গেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.