নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে, যদিও একেকজনের কোশ্চেন সেট একেকটা, তবে সিটগুলা সিঙ্গেল ডেস্কের হওয়ায় সামনের আর পেছনের সিটের খুব বেশি দুরত্ব ছিলোনা। এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিটের মাথাতেই আমার মোটামুটি সব দাগানো শেষ, যেটা শিওর সেটাও দাগাইছি যেটা শিওর নাহ সেটাও অনুমানের উপর দাগাইছি। এরমধ্যে পাশের সিটের একজন ইশারায় কিছু জিজ্ঞেস করলে তারেও কোশ্চেনের উত্তর বলে দিছি এমন ভাবে বলছি যেন এই উত্তরগুলো শতভাগ সঠিক।
সামনের সিটের মেয়েটাকে এভাবে প্রায় ৯ টা প্রশ্নের উত্তর বলেছি, সেট মিল না থাকলেও সে যে কোশ্চেন পড়ে শুনাইছে সেটা স্পষ্ট শুনেই তাকে উত্তরগুলো বলেছি, আমার কনফিডেন্টলি দেয়া উত্তরগুলাই সে দাগালো। পরীক্ষা শেষে সবাই যখন একসাথে বের হচ্ছি মেয়েটা দৌড়ে এসে আমাকে থ্যাংকস জানালো, এমন ভাবে বিনয়ের সাথে থ্যাংকস জানালো যে মেয়েটার পকেটে হাজার পাচেঁক টাকা থাকলে সেটাও আমার হাতে ধরাইয়া দিতো কৃতজ্ঞতা সরুপ। মেয়েটা চলে গেলো, আমার মুখে মাস্ক, মাস্কের ভিতরেই মুচকি হাসছিলাম, বোঝার কথানা তবে মনে মনে বললাম বইন তোরে যে ৯ টা প্রশ্নের উত্তর আমি খুব কনফিডেন্টলি বলছি এর একটাও আমি শিওর নাহ তবে নয়টাই ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও ফিরিয়ে দেয়া যায়না।
মেয়েটা নিশ্চয়ই বাসায় গিয়ে এলোপাথাড়ি গালাগালি করবে যখন কোশ্চেন মিলিয়ে দেখবে সে যেগুলো আমার কথামতো দাগাইছে সবগুলাই ভুল, তবে একদিক থেকে আমি নিজেকে স্বান্তনা দিচ্ছি, মেয়েটা তো আর আমার নাম জানেনা, তো সে বাসায় গিয়ে আমাকে গালাগালি করলেও আমার নাম নিয়েতো আর গালি দিতে পারবেনা, আর নাম না নিয়ে গালি দিলে সে গালিতো আমার গায়েও লাগবেনা.... তাইনা?
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯
এম ডি মুসা বলেছেন: আমার বিরক্ত লাগে তখন, জানা বিষয় ১০০% বলে ,,, আমার পাশে শিক্ষক নিবন্ধন ১৮ এর , লালমাটিয়া কলেজ পাশে েএকজন আমার থেকে সে চারটা দাগিয়ে তিনটাই ভুল বলেছে। সেগুলোর ভিতরে । েএই সব ঠিক না। আমি পরীক্ষার্থী ছিলাম যাইনি, আমার কলেজ কেন্দ্র ছিল টিকাটুলি।
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
এম ডি মুসা বলেছেন: সঠিক কনফার্ম না জেনে সঠিক বলে ,,, কাউকে বলে দিয়ে তার ক্ষতি করার চেয়ে না বলা উচিত।
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বিসিএস ক্যাডাররা এদেশে কি কি অবদান রাখে?
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বিসিএস ক্যাডার হিসেবে কি প্রফেশানে আছেন?
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভুল উত্তর বলার চেয়ে উত্তর না বলা ভালো।
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
নাহল তরকারি বলেছেন: বিসিএস নিয়ে আমি একটি ব্লগ লিখেছি। এটা সেই ব্লগ।
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৩
অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছেন: বিসিএস পরীক্ষাডাই হাস্যকর করে ফেলছে আওয়ামী লীগ সরকার।
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এক রামছাগল দেখলাম পোস্ট দিছে বিসিএস ইস্যু নিয়ে নাকি লেখার কিছু নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭
...নিপুণ কথন... বলেছেন: এটা ছিলো গতকাল বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা দিয়ে আসা একজন পরীক্ষার্থীর পোস্ট। তিনি যাদেরকে উত্তর বলে দিয়েছেন, তাদেরকে জীবনের অনেক বড় একটা শিক্ষা তিনি দিয়েছেন। কী সেই শিক্ষা? শিক্ষাটা হচ্ছে, চোখ বুজে এই দুনিয়ায় কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। নিজের ভেতর থেকে যেটা সঠিক বলে মনে হবে সেটাই সঠিক ধরে নিয়ে আআত্মবিশ্বাসী হয়ে উত্তর করতে হবে। অতিরিক্ত আআত্মবিশ্বাসী হয়ে আবার বেশি আন্দাজে দাগিয়ে আসাও যাবে না, কারণ দুইটা ভুল উত্তরে ৩ মার্ক কাটা! যে অন্ধবিশ্বাস করে পরীক্ষার খাতায় দাগাবে, সে বিসিএস ক্যাডার হলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে গিয়েও অন্ধবিশ্বাস করে দেশকে ডুবাবে।
বিসিএস নিয়ে যারা তাচ্ছিল্য করে তারা আসলে বিসিএস দেয়নি কোনোদিন। এটা শুধু কয়েক ধাপের একটা মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা নয়, বুদ্ধিমত্তা-বিচক্ষণতা-সময়ানুবর্তিতা-সংযম ইত্যাদি সবকিছুর পরীক্ষা। এখানে পরীক্ষার ফরম পূরণ থেকে শুরু করে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সব নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া, নির্দেশনা অনুসরণ করা, সঠিক উত্তর দেওয়া, অসদুপায় অবলম্বন না করা, মেজাজ ঠিক রাখা, প্রিলিতে পরিমিতিবোধ থেকে অতিরিক্ত রিস্ক না নিয়ে টেকার মতো মার্ক তুলে আনা, রিটেনে পাতার পর পাতা লিখে হাতে ঠোসা ফেলে দেয়া, সুদর্শন-স্মার্ট লুক নিয়ে ভাইভায় আত্মবিশ্বাসের সাথে কৃতকার্য হওয়া ও চূড়ান্তভাবে গেজেটেড হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা চলমান থাকে। এমনকি চাকরিতে স্থায়ী হওয়া পর্যন্ত তাকে আরও ৩-অনেক বছর এই পরীক্ষা দিতে হয়। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ-- একজন বিসিএস ক্যাডারকে এর সবকিছু সম্পর্কেই সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হয়।
দেব দুলাল গুহ নিপুণ
৩৫তম বিসিএস ক্যাডার।