নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিলো, তাতে তো বিক্রি বাড়ার কথা, সাপ্লাই বাড়ার কথা দাম বাড়িয়ে হলেও! তাদের তো আক্ষরিক অর্থেই আসমানে পাখা মেলার কথা ছিলো! তাহলে না বেড়ে কমছে কেন? সমস্যাটা কী?

প্রথমত, ফিলিস্তিনিদেরকে ১ টাকা করে দেওয়ার কথা বলে বেচলেও আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনে এক টাকা দেওয়ার কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। এটা প্রায় অসম্ভব, কারণ ফিলিস্তিনে কোনো সরকার নেই। সরকার না থাকলে তারা টাকা দেবে কাদের কাছে? হামাসের কাছে? না, হামাসের মতো সংগঠনের সাথে টাকার লেনদেন দিনের আলোতে করা সম্ভব না। তা হলে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়বে আকিজ গ্রুপ তথা বাংলাদেশ। আবার নিজেরা টাকা নিয়ে গিয়ে ফিলিস্তিনে দিয়ে আসাও সম্ভব না, কারণ সেটা এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা, যুদ্ধের মধ্যে কে যাবে মরতে? ফ্রান্স ফিলিস্তিনে সহায়তা দিচ্ছে বিমান থেকে নিচে ফেলে, সেটাও আকিজ গ্রুপ করেনি। আবার জাতিসংঘের মাধ্যমেও দেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। কাজেই, ফিলিস্তিনিদের দেওয়ার কথা বলে তারা যে ধার্মিকদের আবেগকে কাজে লাগাচ্ছে, এটা সাধারণ জনগণ দেরীতে হলেও বুঝতে শুরু করেছে।

দ্বিতীয়ত, স্বাদের দিক দিয়ে কোনোকিছুই Coca-Colaর বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি, হয়তো পারবেও না। কেউই কারো বিকল্প হয় না। সূর্যের বিকল্প সূর্য হয় না, চাঁদের বিকল্পও চাঁদ হয় না। তাই যারা আসলেই নিজের কষ্টার্জিত টাকায় ভালো কিছু খেতে চায়, তারা কোকই খাচ্ছে। তবে এটাও বলা দরকার যে বাংলাদেশের কোক আর ভারতের কোকের স্বাদে পার্থক্য আছে। এখানে ঝাঁজ কম, ওখানে বেশী। শুনেছি ইউরোপ-আমেরিকায় কোকের স্বাদ আরও ভালো। সেক্ষেত্রে কোকের উচিত মানোন্নয়নের দিকেও নজর দেওয়া।

তৃতীয়ত, স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই গানবাজনা হারাম বলে প্রচার চালানো হলেও এই দেশ থেকে গানবাজনাকে ঝেটিয়ে বিদায় করা সম্ভব হয়নি, হবেও না কোনোদিন। তাই যারা গানবাজনা পছন্দ করে, তারা Coke Studio বাংলা এর বাংলা গানকে পুনরুজ্জীবীত করে বিশ্বের দরবারে আরও জনপ্রিয় করে তোলার কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ কোক খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এই যেমন আমি! অপেক্ষায় থাকি কবে অর্ণবদা নতুন 'রিয়েল ম্যাজিক' নিয়ে হাজির হচ্ছেন তার জন্য।

চতুর্থত, বয়কটিদের আসল উদ্দেশ্য কোক, স্প্রাইট, সেভেন আপ ইত্যাদিকে মার্কেট থেকে হটানোই শুধু নয়, নিজেদের মুসলিম দেশ থেকে আনা 'পামির কোলা'র মতো ড্রিংক বাজারে ছড়ানো। ফলে ঐসব ড্রিংক মোজো কিছুটা মার্কেট দখলে নিয়েছে বলে কৃত্রিমভাবে কিছুকিছু জায়গায় মোজো কম নিচ্ছে আর বলছে সাপ্লাই কম।

পঞ্চমত, যা শোনা যাচ্ছে তা হলো, মোজোর প্ল্যাস্টিকের বোতলটার সাপ্লাই আসতো প্রাণ-আর,এফ,এল গ্রুপ থেকে। কিছুদিন যাবৎ সেই সাপ্লাইয়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এটা হতে পারে তিন কারণে। এক-- আসলেই কোম্পানিটির উৎপাদন কম হচ্ছে বিধায় সাপ্লাই দিতে পারছে কম। দুই-- বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে মোজোর একচেটিয়া রাজত্বের সময়ে বোতলের দাম বেশী চাইছে তারা, যা দিতে রাজি হচ্ছে না মোজো। তিন-- প্রাণের পণ্য ভারতে ভালোই ব্যবসা করছে। চানাচুর থেকে শুরু করে চিপসের বিশাল ব্যবসা তাদের ভারতে। আকিজের ইন্ধনে পিনাকীদের ভারত বয়কট আন্দোলনে মোজোর বোতল সাপ্লাইয়ার তাই হয়তো ভারতের চাপে আছে, আশংকায় আছে ভারতে নিজেরাই বয়কটের শিকার হওয়ার। তাছাড়া প্রাণকে কাদিয়ানীদের পণ্য বলে সেটা বয়কটের ডাকও কোনো কোনো বয়কটি। ফলে এই সুযোগে হয়তো প্রাণ নিজেদের ড্রিংক ব্যবসাকেই এগিয়ে নিতে চাইছে মোজোকে বোতল না দিয়ে। তাছাড়া ট্রান্সকম গ্রুপের সাথেও প্রাণ-আর,এফ,এল গ্রুপের আছে সুসম্পর্ক। ট্রান্সকম দেশে সেভেন-আপ ইত্যাদি বানায় ও বিক্রি করে। প্রথম আলোর সাথে যেমন আছে ডেইলি স্টারের হৃদ্যতা।

কারণ যা-ই হোক, আমরা আমাদের কষ্টার্জিত টাকায় বাজারে যেটা অপেক্ষাকৃত ভালো মানের পাব, হোক তা দেশী বা বিদেশী, তাই কিনে খাব। দেশী বলেই নিম্নমানের বাইক-ট্রাক রাস্তায় নামাবো না, বাইরের অপেক্ষাকৃত ভালোটাই কিনবো। এইচপি, ডেল, ম্যাকবুকের জায়গা কি দোয়েল নিতে পেরেছে? পারেনি। তবে যেসব পণ্য বাইরের চেয়ে আমরা নিজেরাই ভালো বানাই, তা আমরা অবশ্যই কিনে ব্যবহার করবো।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫২

লেখার খাতা বলেছেন: আল্লামা পিনাকী ভাউতাবাজ রহ: এর সাগরেদ কিন্তু ব্লগে ২/৪ টা আছে। তারা যুক্তিতে না পেরে আল্লামা পিনাকী ভাউতাবাজ রহ: বিরোধী দের ব্যান করানোর জন্য কান্নাকাটি করে।

১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০১

...নিপুণ কথন... বলেছেন: করুক। ব্লগ তাদের কথায় চলে না।

২| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ফিলিস্তিনের জুজু বিক্রি করে মোজো এ বছর ভালো ব্যবসা করেছে, তবে কিছুদিন পরে মানুষ আবার কোক-পেপসিতেই ফিরে যাবে, আবেক কয়দিন থাকে?

তবে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে এক অর্থে আল্লামা পিনাকী দেশের জন্য ভালোই করেছে, দেশীয় অনেক কোম্পানী লাভবান হয়েছে, বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় হয়েছে, সে সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে বরং সরকারেরই উপকার করে দিয়েছে।

১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০৪

...নিপুণ কথন... বলেছেন: না। ভারতের সাথে ব্যবসা কমা সরকারের জন্য ভালো কথা নয়। ভারত যদি উল্টা বাংলাদেশকে ব্যক্ত করে, প্রাণ গ্রুপের মতো যারা ভারতে ব্যবসা করছে তাঁদেরকে যদি বের করে দেয়, যদি পেঁয়াজ ইত্যাদি পাঠানো বন্ধ করে দেয়, যদি রাজনৈতিক সমর্থন না দেয় তাহলে সরকার বিপদে পড়তে পারে। আমেরিকা এখনো দখলে নিতে পারছে না ভারতের জন্য।

৩| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: লেখকের বক্তব্যের সাথে ঐক্যমত্ পোষণ করছি।

১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০২

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪| ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২

কাঁউটাল বলেছেন: কবি বলিয়াছেন "যেখানে দেখিবে ছাই............."

মোজো লইয়া আপনি একটি পিএইচডি করিয়া ফেলুন, নুবেল প্রাইজ পাইলেও পাইতে পারেন।

৫| ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪২

ধুলো মেঘ বলেছেন: মোজো ইদানিং কম পাওয়া যাচ্ছে, তার প্রধান কারণ হল, কোকের বিকল্প মোজো, কিন্তু স্প্রাইটের বিকল্প কি? পেট রেজিনের দাম গত কয়েক মাসে ডবল হয়ে গেছে। তাই দাম না বাড়িয়ে কেউ টিকে থাকতে পারবেনা। কোকাকোলা তাদের প্রডাক্টের দাম দুই দফায় বাড়িয়ে আবার এক দফা কমালেও মোজো এখনো আগের দামেই বিক্রি করছিল। মার্কেট রিটার্ন ভালো না পাওয়াতে তারা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটে ভারতের অর্থনীতিতে তেমন কোন প্রভাব না পড়লেও দাদাবাবুদের জ্বলন পোড়ন ঠিকই চালু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের ঝাঁজ মিশ্রিত ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ প্রায়ই চোখে পড়ে। এটা এই আন্দোলনের একটা সফলতা বলা চলে।

৬| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আরে ভাই এই সহজ্ বিষয় টা বোঝেন না কেনো? মজো’র বিক্রি বেশি হয়ে গেছে প্রায় দ্বিগুন এর বেশি। তাদের প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি বেড়ে যাই নাই। অথ্যাৎ মেশিনারীজ বাড়ে নাই। তাই বাজারের চাহিদার সাথে সংগতি রেখে তারা বাজারে ঠিক অনরুপ প্রডাকশন দিতে পারছে না। তাই কোম্পানী হিমশিম খাচ্ছে। মেশিনারীজ বাড়াতে পারছে না অর্থ সংকুলান করতে পারছে না ব্যাংকিং অসহযোগীতায় তাই চাহিদার সাথে সংগতিপূন রাখতে পারছে না। ডে নাইট প্রোডাকশন দিয়েও তাদের প্রোডাকশন কভার হচ্ছে না তাই মজো ঠিক মতো দোকানে ডেলিভারী দিতে পারছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.