নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

খামেনিই রাইসিকে হ*ত্যা করিয়েছেন!?

২২ শে মে, ২০২৪ ভোর ৪:২৬

পুত্রকে নিজের চেয়ারে বসাতেই কি রাইসিকে খু*ন করালেন খামেনি?

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি দেশটির সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ও নীতিনির্ধারক। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও উপরে তাঁর অবস্থান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী প্রথম সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খোমেনির মৃ*ত্যুর পর ১৯৮৯ সালে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই সংবিধান পরিবর্তন করে আয়াতুল্লাহ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার চেয়ারে খোমেনির জায়গায় আসেন খামেনি। 'আয়াতুল্লাহ' ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ডিগ্রি। এখন তাঁর বয়স ৮০ এর উপর, যেকোনো সময় মৃ*ত্যুর ডাক আসতে পারে। তিনি মরে গেলে কে হবেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা তথা সর্বেসর্বা?

এই পদের জন্য খামেনির পর দুজনের নাম শোনা যাচ্ছিলো। এক-- ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দুই- আয়াতুল্লাহ খামেনির পুত্র মোজতাবা খামেনি। রাইসির জনপ্রিয়তার কাছে ক্ষমতার একদম কেন্দ্রে বাবার পাশে থাকা মোজতাবা কিছুই না। মাহশা আমিনি ও তাঁর মৃ*ত্যুর পর আন্দোলনকারী হাজার হাজার মানুষকে মেরে ও জেলে পুরে তিনি কট্টরপন্থীদের একক আস্থার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন। মুসলিম বিশ্ব, রাশিয়া, তুরস্কের সাথেও ছিলো তাঁর অত্যন্ত সুসম্পর্ক; এমনকি তিনি আমেরিকার সাথেও আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন অতি দক্ষতার সাথে। তাই, তিনি বেঁচে থাকলে আর কারো খামেনির উত্তরাধিকার হওয়ার সুযোগ ছিলো না। তাহলে কি নিজের পুত্রকে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে যেতেই পরিকল্পিতভাবে রাইসিকে হ*ত্যা করালেন খামেনি?

এমনটা মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

এক-- আনুমানিক ৫০ বছরের পুরাতন একটা হেলিকপ্টারে কেন প্রেসিডেন্ট উঠবেন? ইরানের হাতে কি আধুনিক হেলিকপ্টারের অভাব আছে? নাই। তাহলে কেন? সাথের বাকি দুটি হেলিকপ্টারও পুরাতন, কিন্তু সেই দুটি কেন অক্ষত? তাহলে কি রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিতে আগে থেকেই ত্রুটি রেখে দেওয়া হয়েছিলো?

দুই-- হেলিকপ্টারটিতে অবস্থান সনাক্তের আর সংকেত পাঠানোর আধুনিক যন্ত্র ছিলো না কেন? তাহলে সেটা কত উচ্চতায় আছে, কুয়াশায় পাহাড়বেষ্টিত এলাকায় তা বুঝবে কী করে? দুর্ঘটনা ঘটাই তো স্বাভাবিক! দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টার থেকে কোনো সংকেত যাচ্ছিলো না বলে সেটা খুঁজে পাওয়াও সম্ভব হচ্ছিলো না সহজে।

তিন-- আরও দুটি হেলিকপ্টার প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারকে গার্ড দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটাকে বিপদে ফেলে তারা চলে গেলো কেন, ফিরে এলো না কেন প্রেসিডেন্ট- ফরেইন মিনিস্টারের খোঁজে?

চার-- বৈরি আবহাওয়া দেখেও কেন পুরাতন হেলিকপ্টারে করে রওয়ানা দিলেন প্রেসিডেন্ট? খামেনি সাহেবের নির্দেশেই কি জরুরি তলবে তিনি কালক্ষেপণ না করে ফিরে যাচ্ছিলেন বাকি গুরুত্বপূর্ণদের সাথে নিয়ে ঐ হেলিকপ্টারেই?

পাঁচ-- হেলিকপ্টারটিতে কি একটা প্যারাস্যুটও ছিলো না যা নিয়ে রাইসি সাহেবের জীবনটা অন্তত বাঁচানো যেত? একটা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ার পর মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে যথেষ্ট সময় হাতে থাকে প্যারাস্যুট নিয়ে লাফ দেওয়ার। তা কেন হলো না?

ছয়-- রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হওয়ার পরেই খামেনি ঘোষণা দিলেন, রাইসির কিছু হলেও ইরানের কিছু হবে না, ইরান তার নিজের পথেই চলবে। যেখানে চিরশত্রু ইসরায়েল-আমেরিকাও ওঁতও দ্রুত বিবৃতি দেয়নি, সেখানে এত তাড়াতাড়ি তাঁর বিবৃতি দেওয়াটা কি রহস্যজনক না?

সাত-- সব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা কেন একটা হেলিকপ্টারেই ছিলেন? প্রেসিডেন্ট, ফরেইন মিনিস্টার থেকে খামেনির ঐ এলাকার প্রতিনিধি ছিলেন ঐ এক হেলিকপ্টারেই। কেন? অন্য হেলিকপ্টারে তাঁরা থাকলে রাইসিকে বিপদে পড়তে দেখে তাঁরা অন্য হেলিকপ্টারগুলো নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে যেতেন। তাই একটাতেই সবাইকে উঠানো হয়েছে কি, যাতে কেউ সাক্ষী না থাকে, কেউ বেঁচে না ফেরে? মোজতাবা খামেনিরও আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে?

আট-- সৌদি আরবে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানো যায়। তাহলে কৃত্রিম কুয়াশা বানানো তো আরও সহজ! সামান্য গ্যাস দিলেই যেখানে ধোয়া-কুয়াশা হয়! তাহলে কি খামেনি নিজেই ঐ এলাকায় হঠাৎ কুয়াশা ও ঝড়ো আবহাওয়া সৃষ্টি করে রাইসিকে মা*রার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে দিলেন?

নয়-- হেলিকপ্টারটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়াটাও রহস্যজনক। সাধারণত দুর্ঘটনায় পড়ে মাটিতে আছড়ে পড়লে এমনভাবে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এলাকাটিতে প্রচুর গাছপালা ছিলো। পড়ার সময় সেইসব গাছপালার ডালে লেগে হেলিকপ্টারের মাটিতে পড়ার গতি কমার কথা, তাই অপেক্ষাকৃত আস্তে পড়লে এভাবে পুরোটা আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা না। তাহলে কি কেউ মিসাইল ছুঁড়ে হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করলো? অথবা হেলিকপ্টারের ভেতরের আত্মঘাতী কেউ কি খামেনির নির্দেশে সুইসাইড বোমা হামলা করলো হেলিকপ্টারে বসেই?

দশ-- যেহেতু হেলিকপ্টারটি পুরোপুরিভাবে পুড়ে যাওয়ায় কারো লাশই এখনো ঠিকভাবে সনাক্ত করা যায় নি, তাই এটাও হতে পারে যে রাইসিকে নিজের গুপ্ত বাহিনী দিয়েই গ্রেপ্তার করিয়ে কোনো গুপ্ত আস্তানায় বন্দী করে রেখেছেন খামেনি!

যেহেতু ইসরায়েল ও আমেরিকা সরাসরি এই হামলার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে, সেহেতু আপাতত উপরের আশংকাই সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কেননা দেশটির ভেতরের বিরোধী দলগুলোর এত ক্ষমতা নাই বা এতটা উগ্র মোটিভ নাই বা উন্নত অস্ত্র থাকার কথা না যা দিয়ে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার ভূপাতিত করবে। করলে এতদিনে তাঁরা সেই দাবি করে উল্লাস প্রকাশ করতো।
দেব দুলাল গুহ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: মনে হওয়ার কারণ কোন সত্য প্রমান করেছে না।একটা ধারনার জন্ম দেয়।সত্য হলো দুর্ঘটনায় রাইসি মারা গেছেন।অনুসন্ধান করলে কিছু সত্য ঘটনা জানা জাবে।

২| ২২ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব ঘটনার সঠিক কারণ কখনো সাধারণ মানুষের কাছে এত অল্প সময়ের ব্যবধানে আসেনা। তাই যা অনুমান করা হবে সেটা শুধুই অনুমান।

৩| ২২ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার মনে হয় না কোন সাবোট্যাজ,
আমি মনে করি এটা নিছকই দুর্ঘটনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.