নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
যদিও দেখা যাচ্ছে এটা সত্যি যে মোদিজি যতটা বড় জয় আশা করেছিলেন বা বুথ ফেরত জরিপে যা বলা হয়েছিলো, তা পুরোপুরি সত্যি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না, তবু এটা সত্যি যে মোদিজিই আবার পিএম হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের, যেমনটা বছরের শুরুতেই আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবেও এগিয়ে আছে মোদিজির দল বিজেপি, কিন্তু জয়ের সংখ্যাটা ২৪০ না হয়ে আরও অনেক বেশি আশা করা হয়েছিলো। বিজেপির জোট এনডিএ এর প্রাপ্ত সিট ২৯০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। তাই এনডিএই এবারও সরকার গঠন করলেও, লোকসভায় বেশ চাপে থাকবে। সংবিধান পরিবর্তনের ইচ্ছা হয়তো এই যাত্রায় আর বাস্তবায়িত নাও হতে পারে।
১০০ এর বেশি আসন যে কংগ্রেস পাবে, সেটা মুখে যতই মাঠ দখলে নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করতে বলুক না কেন,আমার মনে হয় রাহুল গান্ধীজী তা নিজেও মন থেকে ভাবেননি। তিনি এখন তাঁর আই,এন,ডি,আই,এ জোটে অন্যান্যদের ভেড়ানোর চেষ্টা করবেন। কিন্তু তাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না, তথা সরকার গঠন করতে পারবেন না। কেননা সরকার গঠনে দরকারি ম্যাজিক নাম্বার ২৭২+ যে মোদিজির জোট পেতে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যা দেখাল, তা আসলেই চমক। সবাই ধরেই নিয়েছিলো এবার মমতাদির দলকে হারিয়ে দেবে বিজেপি। কিন্তু তা হচ্ছে না। কালীঘাটে মমতাদির বাড়ীর সামনে তো সেই সকাল ১১-১২টার দিকেই আবীর খেলা শুরু হয়ে গেছে! কিন্তু অনেকে এই জয়ের সমালোচনাও করছেন এই বলে যে মমতাদি মুসলিম তোষণ করে তাঁদের টাকায় স্বকীয়তা হারিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখলেন। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুদান, ভাতা, লক্ষ্মীশ্রীর মতো প্রজেক্ট তাঁর পক্ষে কাজ করেছে, এটা তাঁকে মানতেই হবে।
এদিকে, সীমান্ত ঘেঁষা বনগাঁ কিন্তু গেরুয়া বর্ণ ধারণ করে ফেলেছে। মতুয়ারা কথা রেখেছে। এটা একটা বার্তা মমতাদির কাছে এবং বাংলাদেশের কাছেও। বাংলাদেশ বর্ডারের খুব কাছে এখন বিজেপি।
কিন্তু উত্তর প্রদেশ কী উত্তর দিলো, তা বুঝলাম না। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন যে জোয়ার দেখেছিলাম, তা দেখেই তো বলেছিলাম এবারও মোদিজিই হবেন পিএম। কারণ ঐ অঞ্চলে হিন্দু বেশী আর ভোটারও অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশী। হচ্ছেও তাই, কিন্তু উত্তর প্রদেশ কেন ‘বিট্রে’ করলো? তাহলে কি রামভক্ত হনুমানের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে সেখানে? উত্তর প্রদেশ কি হয়ে গেলো উল্টাপ্রদেশ?
রাহুল গান্ধীজী যখন দুটি আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, সেখানে মোদিজি কেন একটি মাত্র আসনে দাঁড়ালেন তা আমার বোধগম্য হয়নি। এতটা আত্মবিশ্বাস তাঁর! যদি হেরে যেতেন! তাহলে পিএম কে হতো? এখনো বলা যাচ্ছে না কী হয়। অপেক্ষা করতে হবে বিকেল অবধি।
তবুও, এত সমীকরণ উলটপালটের পরেও পরপর তিনবার পিএম হয়ে পণ্ডিত জহরলাল নেহেরুজিকে ছুঁয়ে ফেলবেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদিজি, এমনটাই মনে হচ্ছে। তাই তাঁকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে রাখছি। তবে বুথ ফেরৎ জরিপের সাথে চূড়ান্ত রায়ের একদম মিল না থাকাটায় দোষের কিছু নেই। ভোটাররা ভুল তথ্য দিতে পারে, আবার হয়তো যাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁরা বিজেপি সমর্থক ছিলো ভাগ্যক্রমে এমনটাও হতে পারে। দিনশেষে জয়ী কে হবে তা যে মিলেছে, এটাই অনেক।
যদি মোদিজি আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে তাঁর কাছে দাবি থাকবে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ নীতিতে অটল থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাথেও অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মিমাংসা করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন এবং আমরা একসাথে উন্নত মানবিক আধুনিক রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগিয়ে যাবো।
জয় বাংলা। দেব দুলাল গুহ। [শেয়ার করবেন]
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০১
...নিপুণ কথন... বলেছেন: হনুমান একটা প্রতীকি কথা, এটা দ্বারা রামভক্ত মানুষকেই বুঝানো হয়েছে। বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ করেন।
মমতাদি পাঠালেও মুসলিমরা পাকিস্তান বা বাংলাদেশ আসবে।না। এটাই বাস্তবতা।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের সরকারী কলেজের একজন শিক্ষক হয়েও আপনার ভারত প্রীতি , মোদী প্রীতি খুবই দুঃখজনক !!
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭
...নিপুণ কথন... বলেছেন: পরিচয় লুকিয়ে আপনার এই কমেন্ট করা আরও দু:খজনক। মোদীপ্রীতির কী দেখলেন এখানে? ফ্যাক্ট যেটা সেটাই লিখেছি। আর মোদিপ্রীতি থাকলেই কি? তিনি আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রের পিএম।
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯
...নিপুণ কথন... বলেছেন: সরকারি কলেজের শিক্ষক বা বিসিএস ক্যাডার হলেই একটা নির্বাচনের বিশ্লেষণ লেখা যাবে না?এটা কোথায় লেখা আছে? আমাকে আরেকজন দেখান যে এত গুছিয়ে এত আগে এমন ভবিষৎবাণী ও বিশ্লেষণ করেছ। মেধার বিষয়টা দেখলেন না? বুদ্ধিজীবী হিসেবে সসাংবাদিক হিসেবে লিখতেই পারি।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: হনুমান একটা প্রতীকি কথা, এটা দ্বারা রামভক্ত মানুষকেই বুঝানো হয়েছে। বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ করেন।
মমতাদি পাঠালেও মুসলিমরা পাকিস্তান বা বাংলাদেশ আসবে।না। এটাই বাস্তবতা।
আপনার লেখাতে মুসলমানদের তোষন শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আর হনুমান ভক্তি।
মমতা তার এলাকার অন্য ধর্মের মানুষের উপরে অন্যায় না করে তাদের জন্য কিছু করেছে সেটা আপনার কাছে তোষণ হয়ে গেছে?
বিদ্বেষ তো আপনার লেখাতে পেলাম তাই আমিও নিচের কথা বলেছি।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: এখনো ভোটের গননা শেষ হয়নি। কোন পত্রিকাতেই আপনার মত ভবিষ্যৎবানী করে আগাম অভিনন্দন জানাতে দেখিনি।একজন সাংবাদিক , বুদ্ধিজীবি ও শিক্ষক এভাবে নিজের পছন্দের কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে আর্টিকেল লেখে না। অন্তরে যাই থাকুক , সামনা সামনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হয়।
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
নাহল তরকারি বলেছেন: উনি যদি আবারো সরকার প্রধান হয় আমরা কি তিস্তার ন্যায হিস্যা পাবো তো? সীমান্তে বিনা বিচারে হত্যা বন্ধ হবে তো?
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দুতাবাসে গিয়ে ভোট দিয়েছেন, নাকি বর্ডার পার হয়েছিলেন?
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নতুন বলেছেন: তিনি আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রের পিএম।
কেমন বন্ধু রাস্ট বুঝতে একটু কস্ট হয়।
কারন বন্ধুরাস্টের পিএমের বর্ডার গাডেরা বাংলাদেশী বন্ধুদের গুলি করে হত্যা করে।
কিন্তু অন্য প্রতিবেশি শত্রুদের বর্ডারের চীনা বা পাকিস্তানী কাউকে হত্যা করেনা....
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ নতুন , ইনার আগের পোস্টের কথা মনে আছে ? সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন উনার শত্রুর অভাব নাই । ছুটির দরখাস্ত করতে গেলে , উলটা ইনাকে লালমনিরহাটে পানিশমেন্ট বদলি করে দেয়া হয় !! ইনার শত্রুদের তেমন দোষ দিতে পারছি না। বিসিএস ক্য্যডারের সবাইতো আর উনার মত হনুমান ভক্ত হয়ে যায়নি !
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটা কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগলো। এমন ভাবে ভারতের নির্বাচনকে ব্যাখ্যা করেছেন যে মনে হচ্ছে আপনি ভারতীয়দের চেয়েও বেশি ভারতীয়। মোদিজির সাথে সাথে আপনাকেও অভিনন্দন।
১০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১০:০৮
রিদওয়ান খান বলেছেন: রাজাকারদের দেখলে যেমন পাকিস্তানি মনে হয়
আপনাদের দেখলেও তেমন ভারতীয় মনে হয়।
কথায় আচরণে বাচনভঙ্গিতে এমন ভাব যেনো
ভারতীয় হতে পারলেই বেশি খুশী হতেন।
"এদিকে, সীমান্ত ঘেঁষা বনগাঁ কিন্তু গেরুয়া বর্ণ ধারণ করে ফেলেছে। মতুয়ারা কথা রেখেছে। এটা একটা বার্তা মমতাদির কাছে এবং বাংলাদেশের কাছেও। বাংলাদেশ বর্ডারের খুব কাছে এখন বিজেপি"
এটা কি থ্রেড দিলেন বাংলাদেশকে?
১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মোদীজি একসময় সন্ত্রাস করতেন
............................................................
তাই তার নাম আমেরিকার ব্ল্যাক লিষ্টে ছিলেন ।
তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়না ।
তার দল সুপরিকল্পিত ভাবে মুসলিম খেঁদাও
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ।
১২| ০৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৫
এস.এম.সাগর বলেছেন: কসাই মুদি, সন্ত্রাসী মুদি, জঙ্গী মুদি, তারপ্রতিও কি টান !
১৩| ০৫ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৯
এস.এম.সাগর বলেছেন: তৈলবাজের অন্যরকম এক উদাহরন!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
নতুন বলেছেন: আশা করবো ধর্মীয় উগ্রবাদকে প্রশয় না দিয়ে মানবতার পক্ষে কাজ শুরু করবেন মোদী।
কিন্তু অনেকে এই জয়ের সমালোচনাও করছেন এই বলে যে মমতাদি মুসলিম তোষণ করে তাঁদের টাকায় স্বকীয়তা হারিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখলেন। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুদান, ভাতা, লক্ষ্মীশ্রীর মতো প্রজেক্ট তাঁর পক্ষে কাজ করেছে, এটা তাঁকে মানতেই হবে।
মমতাদি মুসলমানদের সাহাজ্য করা ঠিক হয়নাই। সংখ্যালুঘুদের পাকিস্তান বা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়াই ঠিক হতো।
রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন যে জোয়ার দেখেছিলাম, তা দেখেই তো বলেছিলাম এবারও মোদিজিই হবেন পিএম। কারণ ঐ অঞ্চলে হিন্দু বেশী আর ভোটারও অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশী। হচ্ছেও তাই, কিন্তু উত্তর প্রদেশ কেন ‘বিট্রে’ করলো? তাহলে কি রামভক্ত হনুমানের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে সেখানে? উত্তর প্রদেশ কি হয়ে গেলো উল্টাপ্রদেশ?
ঐখানের ভোটাররা সম্ভবত হনুমানের চেয়ে মানুষকেই ভোট দিতে পছন্দ করেছে তাই।