![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বায়োগ্যাস কী?
গোবর, পশু-পাখি ও মানুষের বর্জ্য, আবর্জনা, কচুরিপানাসহ যে কোনো ধরনের পচনশীল জৈব পদার্থ বাতাসের অনুপস্থিতিতে জীবাণু (যেমন- ব্যাকটেরিয়া) এর দ্বারা পচনের ফলে যে বর্ণহীন জ্বালানী উৎপন্নহয় তার নাম বায়োগ্যাস। এর প্রধান উপাদান হচ্ছে মিথেন। এছাড়াও এতে ৫৫-৬৫ শতাংশ মিথেন এবং ৩০-৪০ শতাংশ কার্বন-ডাই অক্সাইড থাকে। এছাড়াও নাইট্রোজেন এবং হাইড্রোজেন সালফাইড থাকে। বায়োগ্যাস ব্যবহারে কোনো ধরনের গন্ধ এবং ধোঁয়া সৃষ্টি হয় না। মূলত বিশেষভাবে তৈরি আবদ্ধ কোনো স্থানে আবর্জনা পচিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করা হয়। ১ কিউবিক মিটার বায়োগ্যাস থেকে ৫৫০০-৬৫০০ কিলোক্যালরি তাপশক্তি পাওয়া যায়।
বায়োগ্যাস কিভাবে তৈরি হয়
বায়োগ্যাস উৎপাদনের প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ সরল। বায়ুশূন্য স্থানে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় বায়োগ্যাস উৎপন্ন হয়। যে বদ্ধ স্থানে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে ডাইজেস্টার বলা হয়। সাধারণত তিনটি ধাপে বায়োগ্যাস তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
প্রথম ধাপ : বায়োমাসের বিভিন্ন উপাদান যেমন : প্রোটিন, চর্বি, শর্করা ইত্যাদি ভেঙ্গে সরল উপাদান তৈরি হয়।
দ্বিতীয় ধাপ : ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে সরল উপাদানগুলো বিভিন্ন জৈব এসিড তৈরি করে।
তৃতীয় ধাপ : এ ধাপে জৈব এসিড থেকে ফার্মেন্টেশন বিক্রিয়ায় মিথেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়।
রাসায়নিক বিক্রিয়া
C6H12O6—->3CH4+3CO2
বায়োগ্যাস তৈরির কাঁচামাল
সাধারণত পচনশীল যে কোনো বস্তু থেকেই বায়োগ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। এবার দেখে নেয়া যাক বায়োগ্যাস তৈরির কাঁচামালগুলো কি কিÑ
হ মানুষ, হাঁস মুরগীর বিষ্ঠা, গোবর
হ পশু-পাখির মৃতদেহ
হ শাক-সবজি ও ফলমূলের ফেলে দেয়া অংশ
হ জলাশয়ের বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ (যেমন : কচুরিপানা)
হ কাঠ, কাগজ, গাছের পাতা ইত্যাদি।
হ মিউনিসিপ্যাল বর্জ্যরে জৈব অংশ।
হ কৃষি বর্জ্য
হ চিনি কলের বর্জ্য ও চিটাগুড়
বায়োগ্যাস প্লান্ট
সারা বিশ্বে সাধারণত দু’ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট দেখা যায়-
১. স্থিরডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট
২. ভাসমান ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট
ভাসমান ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা প্রযুক্তিগতভাবে বেশ জটিল। এ ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে খরচ খুব বেশি হলেও স্থায়ীত্ব তুলনামূলকভাবে কম। অপরদিকে স্থিরডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা বেশ সহজ। রড, বালি এবং সিমেন্ট দিয়ে অল্প খরচে এ ধরনের প্লান্ট তৈরি স্থাপন করা যায়। এ ধরনের প্লান্টের স্থায়ীত্বও তুলনামূলকভাবে বেশি। এসব কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে স্থির ডোম বায়োগ্যাস প্লান্টের জনপ্রিয়তাই বেশি। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (BCSIR) ১৯৭৬ সালে ৩ ঘন মিটার বায়োগ্যাস উৎপাদন সক্ষম একটি ভাসমান ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে। এরপর BCSIR-এর কারিগরী সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে সারাদেশে প্রায় ২০০টি এ ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়। এসব প্লান্ট স্থাপনের কিছুদিনের মাঝে ছিদ্র সৃষ্ট হওয়া সহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। এরপর আশির দশকে BCSIR-এর গবেষকরা আমাদের দেশে সহজে তৈরি করা সম্ভব এমন স্থির ডোম বায়োগ্যাস প্লান্টের মডেল উদ্ভাবন করেন। আমরা পরবর্তী অনুচ্ছেদে স্থির ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট নিয়ে বিশদ আলোচনা করব।
স্থির ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট
স্থির ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট মূলত তিনটি অংশে বিভক্ত।
১. ডাইজেস্টর
২. হাইড্রোলিক চেম্বার
৩. ইনলেট ট্যাঙ্ক
ডাইজেস্টার
ডাইজেস্টার অনেকটা গোলাকার কুয়ার মতো। এর ব্যাস ২৬০ সে. মি. এবং গভীরতা ২২১ সে. মি.। কুয়ার অর্ধগোলাকার তলদেশে ৭.৫ সে. মি. পুরু ইটের ঢালাই এবং চারদিকের দেয়ালে ১২.৫ সে. মি. ইটের ঢালাই দেয়া হয়। দেয়ালের উচ্চতা যখন ২৫ সে. মি. হবে তখন হাইড্রলিক চেম্বার তৈরির জন্য কুয়ার একদিকের দেয়ালে ১৫০ সে. মি.*৭৫ সে. মি. এবং অন্যদিকের দেয়ালে ইনলেট পাইপ বসানোর জন্য ২৫ সে. মি. * ২৫ সে. মি. গাঁথুনি খোলা রাখতে হবে। ১৫ সে. মি. ব্যাস বিশিষ্ট একটি আরসিসি বা পিভিসি পাইপ দেয়ালের সাথে আনুমানিক ৩০ ডিগ্রী কোণে বসিয়ে দিতে হবে। এই পাইপটি ইনলেট হিসেবে কাজ করবে। এবার দেয়ালের উপরিভাগে ৭.৫ সে. মি. পুরু ঢালাই এবং এর উপরে ৭.৫ সে. মি. ইটের গাঁথুনি দিয়ে একটি গম্বুজ আকৃতির ডোম তৈরি করা হয়। ডোমের উপরের অংশে বায়োগ্যাস নির্গমনের জন্য একটি জিআই পাইপ বসানো থাকে। ২৫ সে. মি. লম্বা এই পাইপের ব্যাস সাধারণত ২৭ সে. মি. হয়। পাইপের উপরের দিকে একটি বাল্ব সংযুক্ত থাকে। এরপর ডাইজেস্টারের ভেতরের দেয়ালে ১.২৭ সে. মি. পুরু প্লাস্টার করা হয়। এরপর ভেতরের দেয়াল থেকে নির্গমন মুখ পর্যন্ত ১ মি. মি. পুরু মোম/সিলিকেটের প্রলেপ দেয়া হয়।
হাইড্রোলিক চেম্বার
হাইড্রোলিক চেম্বার মূলত দুটি আয়তকার চেম্বারের সমন্বয়ে গঠিত। এর উপরের চেম্বারের আয়তন ১৬০ সে. মি.*১৫০ সে.মি.*৬০ সে. মি. এবং নিচের চেম্বারের আয়তন ১০০ সে. মি. * ১৫০ সে. মি. * ১৫৫ সে. মি.। উপরের চেম্বারে একটি নির্গমন নল সংযুক্ত থাকে। চেম্বার ও নির্গমন পথের দেয়াল ৭.৫ সে. মি. পুরু ইটের গাথুনি এবং ভেতরের দেয়াল প্লাস্টার করা হয়। চেম্বারের উপরের দিকে একটি ঢাকনি থাকে।
ইনলেট ট্যাংক
ইনলেট পাইপের মুখে একটি ট্যাংক স্থাপন করা হয় যা ইনলেট ট্যাংক হিসেবে পরিচিত। এর মাপ হচ্ছে ৬০ সে. মি * ৬০ মি. * ৬০ সে. মি। এই ট্যাংকের ভেতর ও বাইরের দেয়াল ভালোভাবে প্লাস্টার করা হয়। পুরো প্লান্টের নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর প্লান্টের চারপাশ বালি ও মাটি দিয়ে এমনভাবে ভরাট করা হয় যেন ডোমের উপরিভাগ পর্যন্ত মাটির নিচে থাকে। এ ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট মাটির নিচে থাকায় জায়গা নষ্ট হয় না। এছাড়া দূষণমুক্ত হওয়ায় রান্না ঘরের কাছেই এ ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে প্লান্টের আশেপাশে যেন অন্য কোনো বড় গাছ না থাকে। কারণ, বড় গাছের শিকড়ে বায়োগ্যাস প্লান্টের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। উল্লেখ্য, এ ধরনের স্থির ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট ৩ ঘনমিটার বায়োগ্যাস উৎপাদন করতে সক্ষম। অর্থাৎ এ ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট দিয়ে ৭/৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবারের জ্বালানী চাহিদা সহজেই পূরণ করা যাবে।
ইনলেট ট্যাংকের মাধ্যমে বায়োগ্যাস কাঁচামাল দেয়া হয়। ডাইজেস্টারে ফার্মেন্টেশন বিক্রিয়ায় বায়োগ্যাস উৎপন্ন হয়। ব্যবহারের জন্য ডোমের উপরের নির্গমন পাইপের মাধ্যমে বায়োগ্যাস বের করে নেয়া হয়। বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর কাঁচামালের অবশিষ্ট অংশ হাইড্রলিক চেম্বারে জমা হয় যা জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বায়োগ্যাস প্লান্টে কাঁচামাল সরবরাহের সময় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন যেন ইট, পাথরের টুকরো, বড় কাঠের টুকরো প্লান্টের ভেতরে প্রবেশ না করে। কারণ এক্ষেত্রে ইনলেট পাইপটি বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া নির্গমন বাল্বে কোনো ছিদ্র আছে কি-না সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
স্থির ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট-এর বিভিন্ন অংশ
বায়োগ্যাসের ব্যবহার
১. বায়োগ্যাস প্লান্টে উৎপাদিত বায়োগ্যাস রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নেই যেসব অঞ্চলে বায়োগ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্প হতে পারে।
২. বায়োগ্যাস ল্যাম্প ব্যবহার করে আলোর ব্যবস্থা করা যায়। এই ল্যাম্পটি অনেকটা হ্যাজাক লাইটের মতো।
৩. বায়োগ্যাস ব্যবহার করে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি, পাখা, রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার সহ যাবতীয় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালানো যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বড় পরিসরে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে।
৪. বায়োগ্যাসের সাহায্যে ডিজেল ইঞ্জিন চালিয়ে জমিতে পানি সেচ করা যায়।
৫. বায়োগ্যাস ব্যবহার করে ফলমূল ও খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যায়।
৬. অটোমোবাইলের জ্বালানী হিসেবেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বায়োগ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে সুইডেনে বায়োগ্যাস চালিত ট্রেন চালু হয়েছে।
৭. আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর অবশিষ্ট অংশটুকু (যা রেসিডিউ হিসেবে পরিচিত) জৈব সার হিসেবে ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও এ রেসিডিউ মাছের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
বায়োগ্যাস ব্যবহারের সুবিধা
বিকল্প জ্বালানী হিসেবে বায়োগ্যাসের সুবিধাগুলো হলো-
১. বায়োগ্যাস পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী
২. বায়োগ্যাস ব্যবহারে কোনো ধরনের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় না।
৩. বায়োগ্যাস ব্যবহারে কোনো ধরনের ধোঁয়া সৃষ্টি হয় না।
৪. বায়োগ্যাস প্লান্টে ময়লা-আবর্জনা পচনের ফলে রোগ-জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
৫. বায়োগ্যাস প্রযুক্তি অপেক্ষাকৃত সহজতর।
৬. বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরিতে খরচ হয় খুব কম।
৭. আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর যা অবশিষ্ট থাকে তা উন্নতমানের জৈব সার। এতে উদ্ভিদের জন্য সহায়ক কিছু রাসায়নিক পদার্থ (যেমন : নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি)
বায়োগ্যাস : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
বায়োগ্যাস উৎপাদনের প্রধান দুটি কাঁচামাল গোবর এবং কচুরিপানা বাংলাদেশের প্রায় সব গ্রামেই সহজলভ্য। তাই বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিকল্প জ্বালানী হিসেবে বায়োগ্যাস সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প হতে পারে। একটি ছোট্ট তথ্য দিলে, আশা করা যায় বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার হবে- একটি সাধারণ পরিবারের দৈনন্দিন রান্নাবান্নার কাজ সারতে যে পরিমাণ বায়োগ্যাস প্রয়োজন তা উৎপাদনে মাত্র ১/২ কেজি গোবরই যথেষ্ঠ। তাহলে কেন বায়োগ্যাসই হয়ে উঠছে না আমাদের গ্রামাঞ্চলের মানুষের প্রচলিত জ্বালানীর বিপরীতে সবচেয়ে বিকল্প জ্বালানী।
বাংলাদেশ বায়োগ্যাসের ব্যবহার শুরু হয়েছে বেশ আগে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে বায়োগ্যাস ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। কিন্তু এরপরেও আমাদের দেশে বিকল্প জ্বালানী হিসেবে বায়োগ্যাস এখনও ততোটা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো- মানুষের ভ্রান্ত ধারণা, পচনশীল পদার্থ ও আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাস তৈরি হয় বলে অনেকের মনে করেন, রান্নাবান্নায় বায়োগ্যাসের ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। তাই বিকল্প জ্বালানী হিসেবে বায়োগ্যাসকে জনপ্রিয় করতে হলে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের এসব ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রয়োজন বেসরকারি উদ্যোগ। গ্রামীণ শক্তি সহ বেশ কিছু এনজিও গ্রামাঞ্চলে বায়োগ্যাস ব্যবহারের প্রসারে ভূমিকা রাখছে। তবে এসব উদ্যোগ যথেষ্ঠ নয়। আরেকটু চেষ্টা এবং উদ্যোগ থাকলে বায়োগ্যাস জনপ্রিয়করণের মাধ্যমে বদলে দেয়া যাবে গ্রামীণ জনপদের জীবনধারা। কারণ,বায়োগ্যাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামে বসেই শহরের নাগরিক সুবিধা ভোগ করা সম্ভব। চীন ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশে বায়োগ্যাসের মাধ্যমে বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য বড় পরিসরে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও বড় ধরনের বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সমস্যা কাটানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে কাঁচামাল হিসেবে শিল্প কারখানা বর্জ্য, মিউনিসিপ্যাল বর্জ্যরে জৈব অংশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.