![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মঙ্গল দীপ জ্বেলে অন্ধকারে দু'চোখ আলোয় ভরো প্রভু
‘এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুস্তর পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্দা, ছাত্র ও যুব শক্তি, নারী সমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই লড়াইয়ে আছে। তবু আমি জানি জনগণের মতো বিশ্বস্ত আর কেউ নয়। জনগণই সকল শক্তির উৎস। তাই একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্বাপরাধী বিরোধী মুক্তিযুদ্দের চেতনা বাস্তবায়ন ও ’৭১- এর ঘাতক দালাল নির্মূল সমন্বয় আন্দোলনের দায়িত্বভার আমি আপনাদের জনগণের হাতে অর্পণ করলাম। জয় আমাদের হবেই।’
কথাগুলো আর কারও না।মৃত্যুশয্যায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামের শেষ কথা ছিল এগুলো।মরনব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মেনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার আগে যিনি শিখিয়ে গেছেন কিভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের এক হতে হবে।
গণজোয়ার।অনেক প্রতীক্ষিত একটা বিস্ফোরণ।দেরিতে হলেও আমরা নেমেছি।জন্মের পর থেকে শুধু আন্দোলনের ইতিহাস শুনে এসেছি কিন্তু সচক্ষে দেখা কিংবা অংশগ্রহণ করা এবারই প্রথম।কোন রাজনীতির কাছে,কোন চক্রান্তের কাছে এই আন্দোলন মাথা নোয়াবেনা এই বিশ্বাস থেকেই রাজপথে পড়ে আছি এবং অবিরাম থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।বিচারের রায় শুনে আমরা আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি এবং অনেকটা হুটহাট করেই নেমে গেছি।আগপিছ ভেবে নামিনি বলেই হয়তো নামতে পেরেছি।একটা ব্যপার কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে সারাদেশে যখন এক দাবিতে আন্দোলন চলছে তখনও কিন্তু যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের দূষিত রক্তের বংশধর ও অনুসারীরা সক্রিয় রয়েছে।সেইসাথে সক্রিয় রয়েছে আমাদের দেশের নষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো।আদর্শ নামক বস্তুটা জাদুঘরে রেখেই যারা রাজনীতি করে। যুদ্ধাপরাধীদের দোসর বিএনপিকে বেশি কিছু বলবোনা।তবে মাথা থেকে কিছু প্রশ্ন কিছুতেই যাচ্ছেনা। এই যে দেশে এত আন্দোলন এতকিছু হয়ে যাচ্ছে তারপরও আপনাদের যুদ্ধাপরাধীদের নিয়েই রাজনীতি করতে হবে?এতটাই ক্ষমতার লোভ?পুরো দেশ যখন এক দাবিতে দিনের পর দিন আন্দোলন করে যাচ্ছে তখনও আপনারা জামায়াত-শিবির কে ছাড়ছেন না!আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে এটাকে বানচাল করার চেষ্টা,বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সহ একের পর এক অসংলগ্ন বিবৃতি দিয়ে,প্রচারণা চালিয়ে এবং জামায়াতের পা চেটে নিজেদের কোন পর্যায়ে নামিয়েছেন তা কি কখনো দেখেছেন?আয়নায় নিজেদের চেহারাগুলো একবার দেখেন।আমার বিশ্বাস নিজেরাই চমকে উঠবেন!
সরকারী দল আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হিসেবে নিজেদের দাবি করে এবং আমরা সেভাবেই বিশ্বাস করতে ভালবাসতাম।ভাবতাম অন্তত আর যাই হোক এই ব্যপারে আপনারা আপস করবেন না।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যপারে নির্বাচনী অঙ্গীকার দেয়ায় আমরা যারা প্রথমবার ভোটার হয়েছিলাম তারাসহ তরুণ প্রজন্মের বিশাল জনগোষ্ঠী কিন্তু আপনাদের ভোট দিয়েছিল। কিন্তু বিচারের নামে যে বেঈমানীটা আপনারা পুরো জাতির সাথে করলেন তাতে দৃঢ়ভাবেই মনে হচ্ছে আপনারা জামায়াতের চেয়ে কোন অংশেই কম বেঈমান না।একটা প্রশ্ন জনমনে প্রথম থেকেই ছিল যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চাল কিনা।ভাল কথা।রাজনৈতিক চাল হোক আর আদর্শগত পদক্ষেপই হোক জনগণ চেয়েছিল একটা সুষ্ঠু বিচার।আমার বাবাকে কুকুরের মত গুলি করে মেরেছে,ভাইকে মেরে লাশ শিয়াল-কুকুরকে দিয়ে খাইয়েছে আর মা-বোনকে আমার চোখের সামনে যারা গণধর্ষণ করেছে তাদের বিচার চাই আমি।খুনের বদলে খুন!সেটা আপনি যেভাবেই করেন না কেন! কিন্তু আমার মত সর্বহারা এতিমকে নিয়েও আপনি রাজনীতি করলেন।এটাতো আমি মানবনা।এটা আজ শত শত শহীদ পরিবারসহ পুরো জাতির প্রাণের দাবি।এটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি আপনারা কিছুতেই করতে পারেন না।সেই অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে ফাটা মাইকের মত বাজতে থাকেন আর বাঁদরের মত লাফ-ঝাপ করেন বলেই হয়তো জানেন না যে আপনাদের কারণেই এখন কোন নিরপেক্ষ আন্দোলন কিংবা মিছিলে বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়া হয়না।কারণ আপনারা এমনভাবে তাঁকে,তাঁর নামকে রাজনীতিকরণ করেছেন যে বঙ্গবন্ধুর নামে স্লোগান হলেই লোকজন ভাবে যে এটা নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের কারো স্লোগান।অথচ তিনিতো কোন দলের ছিলেন না,তিনি ছিলেন পুরো জাতির সম্পদ।জাতির জনক।ধিক্কার আপনাদেরকে,ধিক্কার!মাঝে মাঝে মনে হয় বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আপনাদেরকেই সবার আগে ত্যাজ্য করতেন।এতটাই জঘন্য আপনারা।৯৬-এ এই জামায়াতের কুকুরদের সাথেই কিন্তু হাত মিলিয়েছিলেন আপনারা। এরপর হাত মিলিয়েছেন আশির দশকের জনতা কর্তৃক সত্যায়িত করে দেয়া বেহায়া,অর্ধপাগল স্বৈরশাসক এরশাদের সাথেও।খুব শঙ্কিত আমি।আদালত কোনদিন যে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে বসে ‘কেন আওয়ামী লীগকে জামায়াতের চেয়ে বড় বেঈমান ঘোষণা করা হবেনা কারণ দর্শাও।’কি বলবেন তখন?
একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণ সমগ্র ক্ষমতার উৎস।কথাটা শুধু সাংবিধানিকভাবেই নয় বরং এই দেশের জনগণ বিভিন্ন সময়ে সেটা প্রমাণ করেও দেখিয়েছে।ভাষা,দেশ,গণতন্ত্র সবকিছুই জনগণ তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে,রক্ত ঝরিয়ে এনেছে।সুতরাং সকল প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও বিচার ব্যবস্থায় জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্ত জনগণের শেষ আশ্রয়স্হল আদালতও যেখানে প্রভাবান্বিত হয়ে প্রহশনের রায় দেয় সেখানে জনগণকেই বাধ্য হয়ে বিচারের দায়িত্ব তুলে নিতে হয়।কাদের মোল্লার মত কুখ্যাত রাজাকারের বিচার নিয়ে যে রায় হল সেটা আমাদের তরুণ প্রজন্মসহ পুরো দেশবাসী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।রায়ের পর সেদিন আমার এক বন্ধু বলছিলো যে ৩৪৪ টা খুন করার জন্য কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদন্ড হলে একটা খুনের জন্য তার শাস্তির মেয়াদ হয় ১ মাসের কিছু বেশি তাহলে আমিও কাদের মোল্লারে খুন করে ১ মাস জেল খাটতে রাজি আছি।শাহবাগের মোড় থেকে শুরু করে দেশের সব প্রান্তের বিক্ষুব্ধ আমরা এই তরুণেরা কিন্তু এধরনের হিসাব মাথায় নিয়ে বসে আছি।‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা আজ জেগেছে এই জনতা’ ভুলে যাবেন না কথাগুলো।বেঈমানী করবেন না।উদ্ধত হবেন না।জনতার কাছে ক্ষমা পাবেন না।
প্রাসঙ্গিকভাবে মিডিয়াকেও কিছু কথা বলা উচিত বলে মনে করি।পুরো দেশটাই যখন নানাভাবে কলুষিত তখন মিডিয়াও বাদ থাকবে কেন!আপনাদের জন্য আজ আন্দোলন বেগ পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু আমরা এবং আপনারা নিজেরাও খুব ভাল করেই জানেন যে আপনাদের ভেতরেও ভেজাল ঢুকে গেছে এবং সেটা খুব ভালভাবেই।রাজাকারের টিভি চ্যানেল দিগন্ত টিভি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের খবরগুলো কিভাবে প্রচার করছে আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেননা?সেই সাথে দৈনিক আমার দেশ,সংগ্রাম,নয়া দিগন্ত কিংবা জনকন্ঠসহ আরো অনেকগুলো মিডিয়া ইতিমধ্যেই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব প্রচার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গেছে।এমনকি আপনাদের সহকর্মী ও প্রখ্যাত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে আপনাদের নিজেদের মধ্যেকার কোন্দল দেশবাসীর কাছে একটা বার্তাই পৌঁছে দিয়েছে যে আঁতে ঘা লাগলে সবারই ভেতরের কুৎসিত রূপটা বের হয়ে আসে।জ.ই.মামুনের মত দেশবরেণ্য সাংবাদিকও নিজেকে কলুষিত করেছেন।সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ,ডেসটিনি নিয়ে বৈশাখী টিভি কিংবা রাজধানীর মনিপুর স্কুলে সংসদ সদস্য কর্তৃক সাংবাদিককে লাঞ্ছনা করা নিয়ে ওই সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন মোহনা টিভির হলুদ সাংবাদিকতা আমরা নিজের চোখে দেখেছি।বিটিভির কথা নাহয় নাই বললাম!আপনাদের কাজ কি শুধুই সংবাদ পরিবেশন করা নাকি মিথ্যা ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও?হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে কেউ যেন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে তার জন্য কি আপনাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই?কিন্তু বিশ্বাস করুন এতকিছুর পরও আমরা জানি কিছু দুষ্কৃতিকারী ছাড়া সত্য ও ন্যায়ের পক্ষের সংবাদকর্মীদের সংখ্যা এখনো অনেক বেশী আর তাইতো এখনো আপনাদের উপর আমাদের অনেক আস্থা।তাই দয়া করে যে ইস্যু নিয়ে আজ আমরা পথে নেমে গেছি সেই ইস্যুতে আমাদের সমর্থন দিন যেমনটি আগে থেকেই দিয়ে যাচ্ছেন এবং কেউ যেন এ আন্দোলনকে কোন চক্রান্তের বেড়াজালে আটকাতে না পারে সে ব্যপারে আপনারা সবাইকে সচেষ্ট রাখুন।ভুলে যাবেন না পেশাগত পরিচয়ের বাইরে আপনারাও কিন্তু এ দেশের সচেতন নাগরিক।সংবাদ ও প্রচার মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে যারা অপতৎপরতা চালাছে,মিথ্যা বার্তা দিচ্ছে জনগণকে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান,প্রতিহত করুন।জনগনের সামনে এদের মুখোশ খুলে দিয়ে বর্জন করুন এদেরকে।
কাদের মোল্লার অবিলম্বে ফাঁসি এবং গো-আযম,নিযামী,সাঈদী,কামারুজ্জামান,সাকা চৌধুরীসহ প্রত্যেকটা রাজাকারের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার অঙ্গীকার আমাদের সকলের।থাকবও।সেইসাথে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করে এদের কলুষিত রক্তধারা যেন বংশানুক্রমিকভাবে চলতে না পারে সে ব্যপারে এখনকার মতই অনড় অবস্থানে থাকতে হবে।সারাদেশ থেকে ভাই-বোন,বন্ধুরা যারা যেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আছেন সবাই এ বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকবেন আশা করি।এতটুকু আপস করা বা ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নাই এক্ষেত্রে।প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলতে পারি যে এসব বিচার বসানোর কোন দরকার ছিলোনা।তাদেরকে কোনপ্রকার বিচার না করেই যদি প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে কিংবা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা হত তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আরো বেশি খুশী হত।
কথাগুলো বুকের ভেতর আটকে ছিল তাই না বলে পারছিলাম না।কারণ একটাই। যেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা পথে নেমে গেছি সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিন্তু চাইবে আমাদের পথভ্রষ্ট করে,লক্ষ্যভ্রষ্ট করে দিয়ে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করে নিতে।কেননা তারা ভাল করেই জানে জনতার জাগরণ তাদের অস্তিত্বের জন্য এক অশনি সঙ্কেত।জনতার ক্রোধের ভয়ঙ্কর রূপ সম্পর্কে খুব ভালভাবেই ওয়াকিবহাল বলেই তারা চেষ্টা করবে ফাটল ধরাতে।সুতরাং কারও কোন প্ররোচনা বা ইন্ধনে যেন আমরা না সরি পথ থেকে।মনে রাখবেন প্রত্যেকটা রাজাকারের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে যাবোনা আমরা।কোন মিথ্যা আশ্বাসে একবার ঘরে ফিরে গেলে আবার রাজপথে নেমে আসাটা কিন্তু সহজ হবেনা।সুতরাং সাবধান।আরেকটা ব্যপার, ইতিমধ্যেই অনেকে আরো কিছু দাবিকেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির সাথে তুলতে চাচ্ছেন।দুর্নীতি,খুন,ধর্ষণ,নারী নির্যাতন,সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কথা অনেকেই বলছেন।অবশ্যই যৌক্তিক দাবি।তবে স্বল্প বুদ্ধিতে আমার মনে হয় একটা প্লাটফরম কেবল রচিত হল।এটা একটা বিপ্লবের শুরু মাত্র।তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করেই যেহেতু আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি সুতরাং প্রথমে এটাতে আমাদের জিততে হবে।তাহলেই আমরা পরের দাবিগুলো বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণা পাব।নয়তো একসাথে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করতে গেলে হ-য-ব-র-ল হয়ে মূল দাবির গুরুত্ব ভাগাভাগি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
যেই সম্মানিত শিক্ষার্থী,ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন তারা এ ব্যপারগুলোতে যথেষ্ট অবগত আছেন এবং থাকবেন আশা করি।আপনারা ভাববেন না।সুষ্ঠুভাবে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য পরিকল্পনা করুন।দিকনির্দেশনা দিন।আমরা আছি এবং থাকব।এটা শেষ দেখার সময়।হয় যুদ্ধাপরাধীরা থাকবে নাহয় আমরা।কেননা বলাই হচ্ছে এটা আমাদের প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ।সর্বাত্মক লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।এখানে কারো কৃতিত্ব নেয়ার কিছু নাই।এটা মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগকারীদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা,এটা কলঙ্ক মোচনের যুদ্ধ,আমাদের অস্তিত্বের যুদ্ধ।এ লড়াইয়ে জিততে হবে।যারা এখনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন যে আন্দোলনে নামবেন কিনা তারা শুধু একটু ভাবুন পরবর্তী প্রজন্ম যখন বলবে যে ‘তোমাদের সময়ে তো যুদ্ধাপরাধীরা বেঁচে ছিল কেন তোমরা ওদের বিচার করলেনা?’কি জবাব দেবেন?তাই আসুন না একবার।আড্ডা দেয়ার জন্য হলেও,ঘুরে যাবার জন্য হলেও কিছুটা সময় কাটিয়ে যান।দেখুন,শুনুন..অনুভব করুন তারুণ্যের উষ্ণতা।দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে।তারপরও যদি ঘুম না ভাঙ্গে তাহলে মনে রাখবেন আর কারও কাছে না হলেও অন্তত নিজের বিবেকের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকবেন মৃত্যু পর্যন্ত।
আন্দোলনের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার আপনারা ইতিমধ্যেই খেয়াল করেছেন হয়তো।স্কুলছাত্র ছেলেটা স্কুল পালিয়ে যেমন আসছে তেমনি মৃত্যুপথযাএী বুড়ো দাদুও আসছেন।বড়লোক বাবার আদুরে মেয়েটি যেমন প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রখর রোদের নিচে দাঁড়িয়ে ঘামছেন তেমনি যে রিক্সাচালক দিনের একবেলা রিক্সা না চালালে রাতে খেতে পারবেন কিনা তা জানেন না তিনিও এসে গলা ফাটাচ্ছেন।সবার এক সুর।এক দাবী।।একটা মিল মনে হয় পাচ্ছেন সবাই।হ্যাঁ,ঠিক ধরেছেন।৭১!! হ্যাঁ,এটা একাত্তরেরই প্রতিরূপ।তাই সরকারকে বলছি এখনও সময় আছে।ন্যায়ের পথে ফিরে আসুন।জনগণের অকৃএিম সমর্থন পাবেন।চালাকি করবেন না।স্লোগান শোনেননি?‘এ রক্ত কোনদিনও পরাজয় মানেনা’।কত হবে রাজাকার আর তাদের পুচকে সমর্থকদের সংখ্যা?তারা জ্বালাও-পোড়াও এর হুমকি দেয়।হাহ!শাহবাগের আগুনতো দেখতে পারা যায়।আর আমরা সতের কোটি বাঙ্গালী যে হৃদয়ে শাহবাগের আগুন জ্বালিয়েছি।এ আগুন থামাবি কিভাবে তোরা?জয় আমাদের হবেই।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
অ্যালব্যাট্রস বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
মানস চক্রবর্তী বলেছেন: জয় বাংলা, জয় জনতা।আমরা যদি এইভাবে অনলাইন এবং রাজপথে সোচ্চার থাকি তবে জয় সুনিশ্চত।আর একটা ব্যাপার হল,এরিমধ্যে অনেকে আন্দোলন কে বানচাল করার জন্য বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।সবাই সাবধান থাকবেন।