নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোনারবাংলা

নিজেকে ভালবাসুন , নিজের দেশকে ভালবাসুন ।

নির্ভীকবেস্ট

সাধারন থাকুন, সাধারনভাবে জীবনযাপন করুন ।

নির্ভীকবেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিঠের ব্যথায় করণীয

২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৩৬



পিঠের হাড়ে সাধারণ থেকে তীব্র ব্যথা নিয়ে রোগীরা প্রায়ই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কাঁধের তিনটি হাড়ের মধ্যে তিন কোনাকৃতির চেপ্টা হাড়কে “স্ক্যাপুলা” বলে। স্ক্যাপুলা হাড়টি পিঠে পাঁজরের হাড়ের উপর বসানো থাকে। এ হাড়টি বাহুর হাড়কে পাঁজরের হাড় (রিব) ও কলার বোনের সাথে যুক্ত করে। এ হাড়কে কাঁধের ব্লেড ও বলে। স্ক্যাপুলায় ব্যথা প্রায়ই হয়ে থাকে এবং সচরাচর অতিরিক্ত কাজের পর ব্যথার উদ্রেক বেশী হয়। অধিকাংশ স্ক্যাপুলার ব্যথা ঘাড়ের নীচ অংশ ও পিঠের উপর অংশ হতে উত্পত্তি হয়ে থাকে। বেশীর ভাগ সময় ব্যথা স্ক্যাপুলার ভিতর পার্শ্বে অনুভূত হয়। পেশি দুর্বলতার জন্য স্ক্যাপুলার অনিয়মিত নড়াচড়া হয়। একে স্ক্যাপুলার ডিসকাইনেসিয়া বলে। হাত সামনে তুললে স্ক্যাপুলার ভিতর পার্শ্ব উঁচু হয়ে যায়। একে স্ক্যাপুলার উইংগিং বলে। ব্যথা বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। অনেক সময় ব্যথার সাথে হাত ও আঙুলের অবশভাব এবং বর্ণ পরিবর্তন হতে পারে। ব্যথার জন্য কাঁধের নড়াচড়া কমে যায় এবং কোন কিছু তুলতে গেলে তীব্র ব্যথা হয়। এ সব উপসর্গকে একত্রে “স্ক্যাপুলার পেইন সিন্ড্রোম” বলে। যে কোন বয়সে যে কেউ স্ক্যাপুলার পেইন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হতে পারে।



কারণ :



১. অতিরিক্ত কাজ বা খেলাধুলা।



২.দীর্ঘক্ষন এক অবস্থায় কম্পিউটারে কাজ করলে।



৩.দীর্ঘসময় বালিশ ছাড়া কাত হয়ে ঘুমালে।



৪.কাঁধের জোড়া একবার বা অধিকবার সহানচ্যুতি হলে ।



৫. রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অসটিওআর্থ্রাইটিস ও প্রদাহ আর্থ্রাইটিস।



৬. আঘাত বা রোগের কারণে জোড়ার আবরণ, লিগামেন্ট, টেনডেন ও পেশি দুর্বল হলে বা ছিঁড়ে গেলে।



৭. পেশি, টেনডেন ও বার্সার প্রদাহ।



৮. কলার বোন ভাঙলে, ছোট হয়ে জোড়া লাগলে বা স্থানচ্যুতি হলে ।



৯. ক্যালসিয়াম কমে হাড় ভঙ্গুর (অসটিওপোরোসিস) হলে ।



১০. রোগ বা আঘাতের কারণে হাড় ভাঙ্গলে ।



১১. হাড়ের ইনফেকশন ও টিউমার ।



১২. স্নায়ু পিন্চড (ইনট্রাপমেন্ট) বা ইনজুরি।



১৩.পিত্তথলি, ফুসফুস এবং হূদরোগের কারণে ও স্ক্যাপুলায় ব্যথা হয়। একে রেফার্ড পেইন বলে।



করণীয় :



চিকিত্সার শুরুতেই রোগের প্রাথমিক কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। রোগীর শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াও এক্স-রে, রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, সি টি স্ক্যান, এম আর আই, এন সি ভি এবং ই এম জি প্রয়োজন হতে পারে। প্রাথমিক রোগের নিরাময়ে স্ক্যাপুলার ব্যথা অনেকাংশে কমে আসে। অনেক সময় প্রাথমিক কারণের চিকিত্সার ক্ষেত্রে শল্যচিকিত্সার প্রয়োজন হয়। স্ক্যাপুলার পেশির স্থিতিশীলতা, ভারসাম্য ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়ামের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ে সুফল পাওয়া যায়। ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ (এ্যানালজেসিক) ছাড়াও পেশি নমনিয় হওয়ার ওষুধ (মাস্ল রিলাক্সেন্ট) সেবন করতে হবে। প্রাথমিক কারণের চিকিত্সার আগে ও পরে ফিজিকেল থেরাপি যেমন, এস ডব্লিউ ডি, ইউ এস টি, টি ই এন এস এবং ই এম এস ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.