![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এদেশে কিছু জ্ঞান বুর্জুগ আছেন যাদের সৌজন্যতার শেষ নেই । তাই মাঝে মাঝে সৌজন্যতার পয়গায় বিলিয়ে বেড়ান । এমন সৌজন্যতার পয়গাম বিতরনে অখুশি হওয়ার কিছু নেই । কিন্তু সমস্যা হলো অন্য জায়গায় । এরা জানে একরকম, আমাদেরকে বুঝায় আর একরকম আর মুখ দিয়ে বলে অন্যরকম । এরা যুদ্ধের সময় ভারত গিয়ে মউজ মাস্তি সমাপন পূর্বক স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনা বগলদাবা করে মৌলবাদ আর জঙ্গি ব্যবসা দিয়ে বেশ ভালই খিস্তি খেউর চালিয়ে যাচ্ছেন । এদের আর জঙ্গিদের মাঝে কোন পার্থক্যে আছে বলে আমার মনে হয় না । বরং উগ্র মৌলবাদের চেয়ে এইরকম অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিবর্গ রাষ্ট্রের জন্য অধিকতর ক্ষতিকর । কেননা উগ্র মৌলবাদের সঙ্গে জ্ঞান বিজ্ঞানের কোন সর্ম্পক নেই । কিন্তু এমন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিবর্গ জ্ঞান বিজ্ঞানের কড়িকানা মুখস্ত করে সর্বদাই নিজের সাথে দ্বিচারন করে চলছেন । এরা সত্যটা আর দশজন থেকে অধিকতর জানেন । কিন্তু মিথ্যাটা সকলের মাঝে পরিবেশন করে । উগ্র মৌলবাদের সহিংসতার বিপরীতে এদের মিথ্যার বেসাতি মানুষের নজর এড়িয়ে যায় । মানুষ মুখের ব্রন দেখে কিন্তু জামার আস্তিনের নিচে লুকানো ফোঁড়া দেখে না । ফলে স্যুাট টাই পরা নিপাট ভদ্রলোকের আল জিহ্বায় যে ক্ষতি এদেশের মানুষের, গনতন্ত্রের হয় তা সম্মুখ চোখ দিয়ে আমরা দেখি না । এমনকি অর্ন্তচোখ দিয়েও আমরা উপলব্ধি করি না ।
আমার জন্ম আশির দশকের শুরুতে । মোটামুটি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমি যা বুঝেছি, দেখেছি তা হলো এদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির চরম দৈন্যদশা । আর এই দৈনদশার কারনেই আমরা রাজনৈতিক হিংসা, প্রতিহিংসার শিকার হই । এর মাত্রাটা চরমে পৌঁছে ক্ষমতা বদলের সময় । এই যে সংকট এর পুরোটাই রাজনৈতিক । কিন্তু আমাদের বুর্জুগ ব্যক্তিবর্গ এই সংকটকে যখন দলীয় হীন স্বার্থে জঙ্গি, মৌলবাদের সঙ্গে মিলিয়ে রাজনৈতিক ব্যবসায় নেমে পড়ে তখন রাষ্ট্রের আর একূল ওকূল কোন কূলই থাকে না । হ্যাঁ বিচ্ছিন্ন কিছু মৌলবাদের সঙ্গে যে আমাদের পরিচিতি নাই তা নয় । কিন্তু সেই সমস্যাটা না যতটা সমস্যা তারচেয়ে বড় সমস্যা হলো সেইসব সমস্যা নিয়ে ঐসব বুর্জুগদের রাজনৈতিক ব্যবসা হাসিলের উচ্চমার্গীয় চিন্তা-চেতনা । এইসকল উচ্চ্মার্গীয় চিন্তাচেতনার বদৌলতে উগ্র মৌলবাদ যেমন বহাল তবিয়তে টিকে আছে তেমনি রাজনৈতিক সংকট খাদের কিনারায় এসে ঠেকেছে । তাই একদিকে আমরা পেট্রোল বোমায় মরছি, অন্যদিকে পুলিশের গুলিতে ঝাঝরা করছি বুক । আশ্চর্য দেশ । আরো আশ্চর্য স্বাধীনতা ।
রাজনৈতিক যে ফোঁড়া আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি তা থেকে ততদিন আমাদের কোন মুক্তি মিলবে না যতদিন না আমরা সার্জারিতে যাই । সার্জারী করে এই ফোঁড়া না সারালে আমাদের মুক্তি নেই । আমরা যতই এন্টিবায়োটিক দেই না কেন সাময়িক উপশম হলেও আখেরে কোন ফল নেই । মাঝখান দিয়ে ফোঁড়ার কষ্টে আমরা মায়ের কিছু সন্তান হারাবো, কিছু সন্তান পঙ্গু করবো । (রাজনৈতিক সংকট’টা হলো ফোঁড়া । সহিংসতা হলো ফোঁড়ার বিষব্যাথা আর এন্টিবায়োটিক হলো পুলিশ প্রশাসন) । সুতরাং যারা বুঝেও না বুঝার ভান করে ফোঁড়াটা টিকিয়ে রাখে আর বিষব্যথা, এন্টিবায়োটিকে আমার মায়ের বুক খালি করে তাদের চেয়ে উগ্র মৌলবাদ, তাদের চেয়ে উগ্র জঙ্গীবাদ আর কেউ থাকতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না ।
আমি লিখিত দিচ্ছি আপনি ফোঁড়াটা সারান । দেখবেন ঘামাচি গুলো আপনা-আপনি চলে গেছে । হ্যাঁ গ্রীষ্ম ঋতুতে কিছু ঘামাচি হতেই পারে । তারজন্য যথেষ্ঠ পাউঠারও বাজারে আছে । আর আপনি যদি চিন্তা করেন ফোঁড়া টিকিয়ে রেখে ঘামাচি দিয়ে রাজনৈতিক ব্যবসা করবেন তবে একশতভাগ লিখিত দিচ্ছি ফোঁড়া যাবে না, ঘামাচিও সারবে । মাঝখান দিয়ে খালি হবে কিছু মায়ের বুক ।
………………নিঃশব্দ নাগরিক ।
©somewhere in net ltd.