নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তিমির রাত্রিতে নিঃসঙ্গ পথিক

নিশি মানব

রাতের আধারে ঘুরে বেড়াই নিরবে নিভৃতে

নিশি মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিনের একদিনঃআমার শখের ল্যাপটপ;আশা দেওয়া মামার পল্টি নেওয়া।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

১টা ল্যাপটপ আমার একান্ত জরুরী ছিলো।বাট কেনার মত টাকা ছিলোনা।অনেকের কাছে আবদার করেছিলাম।কেউ সাড়া দেয় নাই।কৌশলে এড়িয়ে গেছে।অবশেষে ১ মামা (ফ্র্ন্ডের মামা) শর্ত দিলেন টাকাটা ব্যাংকে রাখলে উনি যে প্রফিট পাবেন,সে প্রফিটসহ আসল টাকাগুলো দিতে হবে ওনাকে।কিনতু যখন শুনলেন,প্রফিটসহ লোন শোধ করতে ৪বছর লাগবে।তখন তিনি বেকে বসলেন।লাভের পরিমান বাড়াইয়া দিলেন।উপায় না দেখে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।মানে ১লাখ টাকায় ৩লাখ টাকা…





গতকাল ছিলো মামার টাকার দেয়ার দিন।সারাটা দিন মামার সাথে ছিলাম।আর স্বপ্ন পুষছিলাম,কিভাবে ল্যাপটপ কিনবো?কোন জায়্গা থেকে কিনবো।কেমন হবে আমার ল্যাপটপ।তবে আমার টার্গেট ছিলো হাই কনফিগারেশনের উন্নত মানের কোয়ালিটির।

রাত্রে টাকা নিতে গেলে মামা পল্টি মারলেন।উনি টাকা দেবেননা।কেন দেবেননা বললেননা।তবে সেই ফ্রেন্ড আর মামার শালার কথায় যে মামা ঘুরে বসেছে এইটা বুঝতে পেরেছিলাম।কিছু বলিনি মামাকে।নিরবে চলে এসেছিলাম।আসার সময় কেন যেন অনেক কাদছিলাম।কেন জানিনা।গালে হাত দিয়ে দেখি ,চক্ষু থেকে পানি গড়াইয়া পড়তেছে।আর হেচকি উঠছে।নিজের গালে এই ভেবে অনেক থাপ্পড় মারতেছিলাম,কারোর কাছে মুখাপেক্ষী হওয়া আমার চরম অপছন্দ।শেষে কেন মামার কাছে মুখাপেক্ষী হলাম।তাও আবার ফ্রেন্ডের মামার কাছে।বেহায়া কোথাকার।লজ্জা করেনা!এখন বন্ধু গেলো লগে মামাও গেলো।আলা বুঝ এবার।





রাত্র প্রায় দুইটার দিকে বাসায় ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম।ক্লান্ত-শান্ত দেহ নিয়ে আর নাড়া চাড়া করতে মন চাইলোনা।ঘুমও আসছিলোনা চোখে।শুয়ে শুয়ে মোবাইলে গেমছ খেলতেছিলাম।





রাত্র প্রায় সাড়ে ৪টার দিকে,আম্মু আমার রুমের দরজা ঢক ঢক করতেছেন।খুলে দেখি আম্মুর সাথে মামা আর ওনার শালা।শালার পিছনে সেই ফ্রেন্ড।এতো রাত্রে সবাইকে এখানে দেখে হচকিয়ে গেলাম।যতটুকু না হচকাইলাম,তার চেয়ে বেশী চমকাইলাম মামাকে আমার পা ধরে কাদতে দেখে।কি ব্যাপার মামা কাদতেছে কেন?মামার কান্নার আওয়াজ শুনে আশে পাশে সব বাসার লোকেরা ছুটে চলে আসছিলো।সবাই মনে করছিলো,বাসায় কেউ মনে হয় মারায় গেছে।মামার শালার কাছে শুনি,আমি চলে আসার পর সেই ফ্রেন্ডের এক ফ্রেন্ড তার মামাও আবার ঐ মামার ফ্রেন্ড।তারা মামার এক লাখ টাকা (যেই টাকা আমাকে দেওয়ার কথা ছিলো) দুইটা মোবাইল,আর সিবিজেড বাইক নিয়ে ভাগছে।মামার ধারনা আমার অভিশাপের কারনের এমন হইছে।নইলে কারোর সাহস হতোনা মামার সাথে এমন করার।অভিশাপের কারন আমাকে টাকা না দেওয়া।মামাকে বুঝাইয়া বললাম,যে মামা এসব কিছুনা।অভিশাপ-টভিশাপ সব ফালতু কথা।তবু তিনি মানেনই না।তার কথা তাকে মাফ করতে হবে।এই সেই হ্যান দ্যান।পরে অনেক বুঝানোর পর মামা শান্ত হলেন।সকাল সাতটার দিকে চলে গেলেন।ওয়াদা করতে চাইলেন,ঈদের পর আমাকে একটা ল্যাপটপ কিনে দেবেন।কোন টাকা নেবেননা।লাভও নেবেননা।মামাকে ওয়াদা করতে দেই নাই।ওনাকে মিথ্যে বললাম,ছোট মামা আমেরিকায় আমার জন্য একটা ল্যাপটপ কিনেছেন।সেইটা পাঠাচ্ছেন উনি।





শালার ল্যাপটপ।প্রায় শয় ভাবি,এই ল্যাপটপটা একটা অভিশাপ।নাকি আমি ই অভিশপ্ত।এর আগে এই ল্যাপটপ নিয়ে কয়েকবার কয়েকটা কাহিনী ঘটে গেছে।শেষবারের এক ফ্রেন্ড বাইকে এক্সিডেন্ট করে মারায় গিয়েছিলো এই ল্যাপটপেরই কারনে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: কন কি!!!!!!!

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫

আর.হক বলেছেন: :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.