নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুবিনুদ্দিন সাহেব কে অবশ্য বলা যায়
এটা ভাবতেই
সে নিজেকে গাধা বলে সেই
সম্ভবনা নাকচ করে দিলো কোন ভাবেই
ওনার কাছে ছোট হতে পারবে না সে|
এই দেশের বাইরে যাবার পরেই তার
ভবিষ্যত নির্ভর করছে, অনার্স
পরীহ্মা দিয়ে সে বাসায়
চলে এসেছে মাস্টার্সের ক্লাস
ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভর্তির তারিখ ও
দিয়েছে কিন্তু সে যায় নি এ
দেশে থাকা তার ইচ্ছে নয়|
নাহিদ ঘড়ি দিখলো ২টা ৩৭ তার
বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করছে না রাস্তায়
হাটাও
যাচ্ছে না চামড়া মনে হচ্ছে পুড়ে যাচ্ছে|
কোন পুরনো বন্ধুর মেসে গেলে হয় কিন্তু
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর
কলেজের বন্ধুদের সাথে তেমন যোগাযোগ
নেই সে বাড়ি এলে এদের
কারো কারো সাথে কদাচিত্ দেখা হয়|
গত বছর রোজার ছুটিতে সামাদের
সাথে দেখা হয়েছিলো
হঠাত্ তার মনে হলো সামাদের
ওখানে গেলে কেমন হয় এখন নিশ্চয়
সে রুমেই আছে|
সামাদের মেসে সে কলেজে পড়ার সময়
গিয়েছিলো সে প্রায় ৪-৫ বছর আগের
কথা, এখনো কি আর সে ওখানে আছে?
থাকতেও পারে সামাদটা একটু
গৃহী স্বভাবের|
নাহিদ যাবে না ঠিক করেও শেষমেষ
সে সামাদের মেসের দিকেই
পা বাড়ালো|
অবিশ্বাষ্য হলেও সামাদের খোজ
পাওয়া গেল সে মেসেই শুধুমাত্র সে রুম
বদল করেছে আগে দহ্মিণের
১টা ঘরে ৩জন মিলে থাকতো এখন
পশ্চিমের ১টা ছোট ঘরে একা থাকে|
মেছের একজন তার ঘর টা দেখিয়ে দিলো
সামাদের ঘরের দরজা খোলায়
ছিলো সে লুঙ্গি পরে স্ট্রোভে কি যেন
করছে নাহিদ কে দেখে সামাদ
বলে উঠলো
-"যা শালা ঠিক সময় ভাগ
বসাতে এসেছিল, গরম ডিম ভেজেছি আর
সকালের বাসি খিচুড়ি প্রায়
বেহস্তি খাবায়
এই মেসের খালা গত তিন দিন
হলো চম্পট
দিয়েছে বুঝলি যা শিঘ্রী হাত মুখ
ধুয়ে আয় কলপাড় থেকে|খিদেয় পেট
চোঁ চোঁ করছে"
তার কথার ধরণ এমন যে নাহিদ প্রায় ই
আসে তার কাছে
নাহিদ কিছু বললো না সে হাত মুখ
ধুয়ে চৌকির সামনের জায়গায়
পাতা পাটিতে খেতে বসেছে
-"বুঝলি নাহিদ জাতীয়োতে পড়ে জীবন
টা ভাজা ভাজা হয়ে গেল, শেসন
জটে এখনো অনার্সটাও শালা শেষ
করতে পারলাম না
চুল সব পেকে গেছে...
এচোরে পাকা না সত্যি সত্যি পাকা"
-কই চুল তো ঠিক ই আছে
-"দূরর..
ভেতরে ভতরে পেকেছে ভালো করে না দেখলে বুঝবি না,
তোর কি অনার্স শেষ?"
-হু
-হামম্... বাদ দে আর
পড়াশোনা ভালো লাগে না, জীবন
টা শেষ| কোথায় এখন
চাকরি বাকড়ি করবো সুন্দরী একটা বউ
থাকবে তা না এই যে খেয়েই আবার
খোয়া ভাঙ্গতে যেতে হবে সেই রাত
১০টা পর্যন্ত
খোয়া ভাঙ্গা এটাকে জীবন বলে বল,তার
পর এই শহরের মানুষ গুলো সব কঙ্জুশ
টাকা পয়সা সিন্দুকে লুকিয়ে রাখে ছাড়
করতে চায় না,ঢাকায় তুই
টিউশনি করিস?
-করতাম ১টা
-দিত কেমন?
-হাজার পাঁচেক
-"এই দেখ এক মাড়য়ারির
২টা পুঁতকে পড়ায় ১টা ক্লাস টেন
অন্যটা সেভেন,সপ্তাহে ৬দিন যায়
পড়াতে
শালা কতো দেয় জানিস
মোটে পনেরোশো বুঝলি সব
শালা চামার , শোন আর ১টা কে পড়ায়
গত ৩মাস টাকা পয়সা কিছু দেবার নাম
নেই লজ্জায় চাইতেও পারিনা ১দিন
ছাত্রের বাবাকে বলেই ফেললাম,
তিনি বললেন ব্যবসার অবস্থা একটু
খারাপ সামনে মাসে নেন কিন্তু
শালা নতুন বাইক কিনছে freedom
তাইলে বোঝ অবস্থা..."
সামাদের জন্য নাহিদের মায়া লাগছে,
বেচারা মনে হয় মনখুলে কথা বলার লোক
ও পাইনা
৭.
একটু আগে শহরের
নিউমার্কেটে একটা বড় সড় হট্টোগোল
হয়ে গেছে মটরসাইকেল যোগে ২০-২৫
জন সস্তস্ত্র সন্ত্রাসী হঠাত্
এসে দোকান পাট ভাঙ্গচুর করেছে, এদের
সাথে কিছু উচ্ছিত্হ্মল বকাটে ছেলে ও
যোগ দেয়
বাধা দিতে গিয়ে কয়েক জন মারাত্বক
জখম হয়েছে |
পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত
ছিলো, শহর বেশি বড় নয় পুলিশ স্টেশন
থেকে নিউমার্কেট ৩থেকে ৪ মিনিটের
পথ|
তার পর ও পুলিশ কোন action এ যায়
নি তারা দূরে দাড়িয়ে তামাশা দেখেছে বললে ভুল
বলা হবে না
কাজের মধ্যে পুলিল ভ্যান টি এক
নাগারে সায়রেন
বাজিয়েছে এবং তারা ২রাওন্ড টিয়ার
সেল নিহ্মেপ করে জনগণের
মাঝে ভীতির সঞ্চার কে তরান্বিত
করতে সাহায্য করেছে|
প্রায় আধাঘন্টা অরাজগতার পর
পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে|
সন্ত্রাসীরা যেমনি হঠাত্
এসেছে তেমনি হঠাত্ চলেও গেছে
রাস্তায় এখন ইটের টুকরা ভাঙ্গা কাচ
আর উত্তেজিত ও ভীত মানুষের ভীর |
কেন এ আকস্মিক হামলা কেও জানেনা,
সবজানতা বিশ্লেষকেরা অবশ্য ইতিমধ্য
কিছু সুচিন্তিত ধারণা প্রকাশ করতে শুরু
করেছেন|
জাতিয় মহা ঐক্যজোটের নেতা ও সাবেক
সংসদ সদস্য জহুরুল হকের ডানহাত
বলে পরিচিত বদর
কে দেখা যাচ্ছে দোকান মালিকদের
নিয়ে জটপাকাচ্ছে, সে হাতের
কাছে পাওয়া ১টা টুলের উপর
দাড়িয়ে পরলো উপস্থিত ভাষণ দিতে|
বদর এক ই কথায় বার বার বলছে হক
সাহেবের মতো গুছিয়ে কথা বলার
যোগ্যতা তার নেই তবে এই
পরিস্থিতিতে এটাই যথেষ্ট বারুদে আগুন
জ্বালবার জন্য|
তার কথার বিষয় বস্তু এই সরকার
জনগণের
নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ,বর্তমান এমপির
সন্ত্রাসীরা এই হামলার সাথে জরিত
ইত্যাদি ইত্যাদি...
ফিরোজ বদর কে এড়িয়ে গেল এই পাগলের
রাজনৈতিক বক্তব্য ধারন করার কোন
মানে হয় না|
সে স্থানীয় একটি পত্রিকার
সাথে আছে জাতিয় দৈনিকেও তার
লেখা মাঝে মাঝে ছাপা হয় গত মাস
দেড়েক হলো ABD9নামের
১টি টিভি চ্যানেলের স্থানীয় সংবাদ
প্রতিনিধী হিসাবে যোগদিয়েছে| তার
সাথে মজনু ভিডিও
ক্যামেরা নিয়ে গন্ডগোলের খবর পেয়েই
ছুটে এসেছে এখানে
ফিরোজ হঠাত্ ই মাইক্রোফোন নাজনীনের
সামনে ধরে জিঙ্গাস
করলো "আপনি তো ঘটনার সময় এখানেই
ছিলেন আসলে কি হয়েছিলো কিছু বলবেন
কি?"
নাজনীন এমনিতেই ঘটনার আকস্মিকতায়
হতবাক সে প্রচন্ড ভয় ও পেয়েছে
বান্ধবী সোমা কে নিয়ে ঐ সময়
সে ১টা বই এর দোকানে ছিলো তার পর ই
ভাঙ্গচূর হইচই এই অবস্থায় tv
ক্যামেরার সামনে তার পহ্মে কিছু
বলা সম্ভব নয়
-"মাফ করবেন আমি যাব"
অস্পষ্ট ভাবে এই কথা টুকু বলেই ভীর
ঠেলে সোমাকে নিয়ে সে প্রায়
পালিয়ে গেল|
ফিরোজ বেশ অবাক,
সে মাইক্রোফোনটা অন্য একজনের
দিকে বাড়িয়ে ধরে প্রায় এক ই প্রশ্ন
করেছে কিন্তু সে কিছুই শুনছে না তার
দৃষ্টি নাজনীনদের চলে যাওয়া পথের
দিক |
মেয়ে দুটো কি দ্রুতয় না হাটছে.... (to
be continued)
©somewhere in net ltd.