নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১।
দৃশ্যত শিকড় নেই বলে, হেঁটে হেঁটে চলে গেলে দূরে,
পালক খসে পড়ে, ঝরা পাতার মত ঘরময় জমে উঠে পালকের স্তূপ-
বলি অসুখ;
একবুক জলে দাঁড়িয়েও দেখি জলের সংকট!
হেঁটে হেঁটে চলে গেলে দূরে- বুঝি মাটির অভাব।
২।
রাত ঘন হলে সেকেলে ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা টা রাতের তারা দের মত ই কথা বলে উঠে,
মাঝে মাঝে দুলে ওঠে একাগ্র পেন্ডুলাম,
নীরব শ্রোতা হয়ে জেগে থাকি এক একটা রাত
কাঁটা আর পেন্ডুলামের গল্প শুনি,
মাঝেমাঝে নীহারিকা আঁকি-
ঘরের আঁধারে এঁকে ফেলি দশ দিক, সমস্ত আকাশ।
৩।
দূরে বৃষ্টি নামলে দূর টা চোখের সামনে ঝাঁপসা হয়ে যায়
তখন আমরা চোখ ফেলে হাত বাড়িয়ে দূরটাকে দেখি
সমস্ত আমি বৃষ্টির জলকণা না ছুঁয়েও ছুঁয়ে ফেলি পুরোটা বৃষ্টি
দেখেনিই সবটা সুদূর।
৪।
শেষ বিকেলের বৃষ্টিগুলো সময় চুরি করে খুব
রাত নেমে যায় অগোচরে,
সন্ধ্যাগুলো রাত হয়ে যায়,
এমন কত বিকেল রাত হয়ে গেছে সন্ধ্যা না দেখেই!
৫।
আরোগ্য নেই, অদৃষ্ট অস্পষ্ট,
ব্যথা গুলো গেঁথে নিচ্ছি বোধে
তবু হৃদয় পোড়ে বিফলমনোরথে,
অভিযোগ নেই অভিমান হয়তো ছিল ক্ষণিক আর্দ্র চাহনিতে।
৬।
স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছি, এখন দুঃস্বপ্ন দেখি।
নির্ঘুম রোমাঞ্চিত সব রাত শেষে এখন ঘুমনো উচিত।
অথচ স্বপ্ন ছাড়া ঘুমনো যায় না, দুঃস্বপ্নেরা চেপে ধরে বিছানায়!
৭।
অশ্রু ফুরিয়ে এলে আমিও একটা থমথমে আকাশে ঝড়ের মেঘ জমিয়ে রাখি।
ওটা সবাই ই রাখে।
জানি একদিন খুব কালবৈশাখী হবে।
৮।
আর কয়েকটা দিন তারপর থেমে যাবে জলের পতন, নেমে যাবে গাঙ,
একবুক কাদায় একদল কাদাখোঁচা লম্বা পা ও চঞ্চুতে দাঁড়াবে পৌষের দুপুরে
ভোর হয়েও হবে না একটা সকাল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো হয়েছে!