নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ-কবিতার স্তুপ থেকে-১২

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১১

১।
এই দক্ষিণ অয়নান্ত দিবসে তুমি উত্তরে একটা দীর্ঘ রাত পার করবে,
বিষণ্ণ ও শীতল সে রাতে পাতা ঝরা বনে শুধু বৃষ্টি আর শিশিরের শব্দ ভেঙে ডানায় শব্দ তোলে একাকী বালিহাঁস!


২।
চুমু খেতে গেলে ঠোঁটের বদলে বেড়িয়ে আসে দাঁত, আলিঙ্গনে থাবা,
কারা যেন ভদ্র সমাজের লোক
দিনরাত চুমু খেয়ে যাচ্ছে দাঁত গুলো স্বযত্নে লুকিয়ে।


৩।
হে নিবির সন্ধ্যা তোমার আঁচলের তল থেকে যে রাত্রী তুমি মায়াবী চিবুকের একবিন্দু তিল ছুঁয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছো এক আকাশে
সে রাত্রীকে তুমি প্রতিশ্রুত তারকা শুন্য করো,
আমরা কেউ গন্তব্য জানি না, শুধু লক্ষ্য ভেবে ছুটে ছুটে মরি মরিচিকা পথে,
গন্তব্য ভেবে যেখানে পৌঁছাই সেখানেই দেরি হয়ে যায়
আর পথিমধ্যে ই বিভাজিত হয়ে যায় পথ!


৪।
দাওয়া জুড়ে জ্যোত্‍স্না- শীতের আবেশ মাখা
মাচায় নীলাভ বেগুনী ফুল শিশিরেতে ঢাকা
খড়ের চালে কচি লাউয়ের শিশুর মত মুখ
তুমি এসো ফিরে সিন্দুকেতে তোমার জন্য বুনেরেখেছি উষ্ণ এক টুকরো সুখ।


৫।
অনেক সুতোয় বাঁধা পড়ে আছি
চোখের দোষে অদৃশ্য,
প্রতিনিয়ত জট পাঁকাচ্ছে
ছিঁড়ছেও কিছু অনিচ্ছেয়,
যেসব সুতো ছেঁড়ার কথা পেঁচিয়ে রাখে অদৃষ্টে!


৬।
উত্তর পত্র ই দেয়া ছিল
উত্তর ছিল না জানা
উল্টো প্রশ্ন ছিলো আমার
উত্তর পত্রে প্রশ্ন লেখা মানা !


৭।
ভীষণ ম্যাজিকে আছি
খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুরছি-ঘুমচ্ছি
আড্ডা হাসির ম্যাজিক দেখাচ্ছি,
ম্যাজিক হচ্ছে
হাতের ভেতর থেকে বার করছি এক সুনিপুন ম্যাজিশিয়ান।


৮।
খুব বেশি শুদ্ধ ভাষা শব্দের ব্যাকরণীয় প্রয়োগ কবিতাকে হত্যা করে।
কবিতা কোন পোষা নদী নয় দু তীর বেঁধে দেয়া যাবে।
মানুষ মানেই ভুল, কবিতা মানুষের থেকে আরো কিছুটা মানবিক
তাকে অবাধ্য হতে দেয়া লাগে, তার দূরন্তপনায় সৃষ্টি হয় নদী।


৯।
শব্দের জাহাজীপনা নয়, নয় ভাষার দখল পাপড়ি খুলে দেখানো,
কবিতা অন্য কিছু,
যেনতেন ভাবে ফুঁটলেও সে ফুল।
কবিতা পাড় বাঁধানো পরিপাটি দীঘি থেকে অধিক পাড় ভাঙা অবাধ্য নদীর শরীর।


১০।
আমি আর স্রোতের কি জানি
সারাজীবন দেখে গেলাম নবগঙ্গার নীরব নিথর পানি
মাঝে মাঝে পানিও দেখি না সেখানে
দেখি কচুরির ফুল
একটা বেগুনী ফুলতোলা শাড়ি আলাদা করে আছে ঝিনেদা আরাপপুর।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

ভারসাম্য বলেছেন: কবিতা খুব ভাল লাগছিল তাই আর শেষ পর্যন্ত পড়ি নি। কবিতার ভাল লাগায় পুড়তে চাই না আর! :(

+++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.