নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের কাঙ্ক্ষিত কিয়ামত কত দূর?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪১

কথায় কথায় কিয়ামত আর দজ্জাল কে দেখা মানুষের একটা স্বভাব। অথচ কিয়ামত একটা মহাজগতিক বিষয়। কিয়ামতের আগে সূর্য তার উজ্জ্বলতা হারাবে এটা তো ধর্মের ই কথা। আমাদের সূর্য এখনো তরুণ, হুটকরে তার সব জ্বালানী ফুরিয়ে যাবে ব্যাপারটা এমন হবার কথা নয়। আর কাল যদি পৃথিবী তার শেষ পারফেক্ট দিন টি দেখেও তারপরও মৃত প্রায় সূর্য আলোক বিকিরণ ছড়াবে কয়েকশ বছর, হয়তো কয়েক হাজার। প্রচন্ড খাদ্য সংকট আর প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভেতর দিয়ে মানুষ ধ্বংসের দিকে এগোবে ধীরে ধীরে।
দজ্জাল তো পৃথিবীতে বহুবার এসেছে। ১২৫৮ তে যখন মঙ্গোলরা মধ্য এশিয়া থেকে এসে বাগদাদ ধূলোর সাথে মিশিয়ে দিলো আর নির্বিচারে সবাইকে হত্যা করলো তখন বাগদাদবাসী জেনেছিলো হালাকু খান ই সেই দজ্জাল, ল্যাংড়া তৈমুর যখন ইস্পাহানে খুলির মিনার বানালো আর দিল্লির পথে সিন্ধুকে রক্ত সিন্ধুতে পরিণত করলো তখন তৈমুরই ছিলো সেই দজ্জাল।
যুগে যুগে দজ্জাল এলেও কিয়ামত আসেনি, অথবা কিয়ামত এসেছিলো যে যার কিয়ামত দেখে ধূলো হয়ে গেছে। পাঁচশো বছর আগে লোদি বংশের লোকেরাও নিশ্চয় পানিপথে তাদের কিয়ামত দেখেছিলো। ইউরোপ দেখেছিলো কর্ডোবা আর হিটলারের গ্যাস চেম্বারে। এরই মধ্যে পৃথিবীতে হয়তো সহস্র বার কিয়ামত এসেছে। কিয়ামত মানে যে হিটলারের গ্যাস চেম্বারের বিষাক্ত হাইড্রোজেন সায়ানাইড গ্যাস, হিরোশিমার দূরন্ত মাশরুম ক্লাউড এ আমরা মানতেই রাজি নই, আরো বড় ধ্বংস আমাদের চাই। কিন্তু আরো বড় বিলাশ দেখতে মানুষকেই তার মেধার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাতে হবে যেখান থেকে সে এখনো বহু দূরে। মানুষের কাঙ্ক্ষিত কিয়ামত এতো সহজ হবে না। আর সুপ্রিম ক্রিয়েটর তাঁর সুপ্রিম ক্রিয়েশনকে মাঝ পথে থামিয়ে দেবেন না। মানুষ নিজে তার ধ্বংসের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন নিশ্চয়।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভিত্তিহীন খবর

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৮

এন ইসলাম রনি বলেছেন: এটা খবর নয়, অ্যাসাম্পশন। অবশ্যই নিজস্ব।
কিয়ামত দূরে থেকে কিয়ামত সন্নিকটে এ কথাটি কেন আমাদের বেশি তৃপ্ত করে এটাই একটা বিস্ময়!

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুর্যের তাপমাত্রা কমে যাওয়া অবধি (তাপের অভাবে চাষবাস বন্ধ) মানব সভ্যতা বেঁচে থাকবে, মানুষ বেঁচে থাকবে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৫

এন ইসলাম রনি বলেছেন: খাদ্য সংকট দেখা দেবে কিন্তু রাতারতি উৎপাদন জিরো হয়ে যাবে না। এখনো তো পৃথিবীর দুই মেরুতে সূর্যের আলো খুব কম পৌঁছায় সেখানে কি খাদ্যশৃঙ্খল ভেঙে পড়েছে বা প্রাণের অস্তিত্ব কি বিলুপ্ত হয়ে গেছে পুরোপুরি? সূর্য যদি মরতে থাকে অধিকাংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে থাকবে সূর্যের উৎপাদিত তাপশক্তি হ্রাসের সমানুপাতিক হারে। একেরপর এক প্রজাতির মৃত্যু আসবে স্লো পয়জনের মতো। আর যেটা নিয়ে কথা বলছি পুরোটাই এক রকম ফ্যান্টাসী, এতো সিরিয়াসলী নেয়ার মতো কিছু না। :)

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৫

ইলি বলেছেন: একজন মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করি কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, তবে সেটা যে এখনি হবে আমি তা মানতে নারাজ। করন হিসেবে বলতে পারি বর্তমান প্রকৃত ও সময়, আল্লাহ্‌ পৃথিবীকে আরো সময় দেবে বা আর সময় বাকি আছে। সুনামি ভুমিকম্প মহামারি খাদ্যসংক্ট দাজ্জাল ও মাহদির আগমন খাদ্যের স্বাদ ও কুরআন উঠিয়ে নেয়া ও সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হওয়া। এইসব ঘটার পরে কিয়ামত হবে, এইসব ঘটতে অনেক সময় দরকার তাই মনে করি এখনো অনেক দেরি। ধন্যবাদ

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৯

এন ইসলাম রনি বলেছেন: আমি কিন্তু একরকম সেটাই বলতে চেয়েছি। ঝড় ভূমিকম্প মহামারি যা ই হোক সাথেসাথে দেখা যায় কিয়ামত নিয়ে সবাই অস্থির হয়ে ওঠেছে। কতজন দিন ক্ষণের হিসাব বারকরে বসে আছে। ছোট বেলায় শুনতাম জর্জ বুশ নাকি সেই দজ্জাল, এখন শুনি ট্রাম্প। আসলে সৃষ্টির রহস্য জানা মানুষের এখনো অনেক বাকি আর মানুষের জ্ঞান এখনো সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়নি। সুপ্রিম ক্রিয়েটর তাঁর সুপ্রিম ক্রিয়েশনকে মাঝ পথে থামিয়ে দেবেন আমি তা মনে করি না। মানুষ নিজে তার ধ্বংসের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন নিশ্চয়।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


২নং মন্তব্য:

আমার প্রশ্নটা বুঝেছেন, নাকি টিউটরের কাছে যেতে হবে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৮

এন ইসলাম রনি বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যে আমার রিপ্লাইটি আপনি চাইলে দ্বিতীয়বার দেখতে পারেন, তারপরও যদি মনে হয় আপনার প্রশ্নটি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি তবে সেটাই ধরে নেয়া আপনার জন্য বেটার। ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৫৬

এইচ তালুকদার বলেছেন: চমতকার,অসাধারন

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০০

রাসেল বলেছেন: Response to comment 4, sorry I can't understand. Please explain.

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রশ্নফাঁসের পরেও যারা উত্তর বের করতে অসমর্থ হয়ে ফেল করে, আপনি তাদের দলে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৮

এন ইসলাম রনি বলেছেন: জেনে খুশি হলাম। সব ধরণের অভিজ্ঞতা থাকা ভালো।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

রাসেল বলেছেন: Response to SL 8, Mr chandGazi knows much but he things more than much.

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: দজ্জাল ব্যাপারটা আমার কাছে হাস্যকর লাগে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৫

এন ইসলাম রনি বলেছেন: দজ্জাল কে যে মানুষই হতে হবে এমন তো নাও হতে পারে, দজ্জাল হয়তো একটা সিস্টেম অথবা কোন শাষণ ব্যবস্থা, হয়তো কোন ধ্বংসাত্মক প্রযুক্তি যা অর্জনে মানুষকে মূল্য দিতে হবে অসীম। প্রচলিত ধর্মীয় সব ব্যাখ্যাই আলৌকিকতা দিয়ে করা বা সাধারণ মানুষের জন্য করা হয়েছে, এগুলোকে বায়োলজি, ফিজিক্স, কোয়ান্টাম ফিজিক্স, এ্যাস্ট্রোফিজিক্স দিয়ে করা হলে ব্যাখ্যাগুলো হয়তো অন্য রকম হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.