নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার চারপাশের মানুষ গুলো অনেক ভাল।

নিথর শ্রাবণ শিহাব

মাটির মানুষ ভিজলে কাদা হয় না কেন প্রশ্ন জাগে, মানুষ গড়া অন্যকিছুয় আমার শুধু এমন লাগে।

নিথর শ্রাবণ শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃত্ত

২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

নিশা মায়ের পাশে ঘুমিয়েও অনুভব করছে মা জেগে আছে। ঠিক ঘুম না, আধো ঘুম আধো জাগরনের মাঝে ঝুলে আছে নিশার চেতনা। মাত্র সন্ধ্যায় আব্বাকে কবর দেয়া হয়েছে। মা’র ঘুমাতে পারার কথা না। ঘুমের ওষুধ দিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তবু জেগে আছে। নিশারও জেগে থাকার কথা। কিন্তু পারছেই না। অসম্ভব ঘুমে দুই চোখের পাতা পর্বতসম ভারী লাগছে। সারাদিনের এত কান্নাকাটি, না খেয়ে ক্লান্ত শরীর, ছোটাছুটি, ঢাকা থেকে জার্নি করে ছুটে আসা- একদিনের মধ্যে সব ম্যানেজ করা- এক মেয়ে হয়ে তার পক্ষে অনেকটাই অসম্ভব ছিল। কিন্তু কীভাবে কীভাবে যেন সব একাই সামাল দিতে পেরেছে। একটা ভাই থাকলে অনেক ভাল হত। বিয়ে থাও করেনি যে স্বামী সাহায্য করবে। এত বয়স হয়ে যাচ্ছে তবু বিয়ে হচ্ছে না দেখে নানান কানাঘুষা আজকের মরাবাড়িতেও হয়েছে। নিশা চুপচাপ এড়িয়ে গেছে সব। পয়ত্রিশের কোটা পেরিয়ে গেছে। ভার্সিটির শিক্ষক সে। হুট হাট মানুষের কথায় কান দেয়ার মত অবস্থা নেই আর।
মা নড়ছে খুব। নিশা এপাশ থেকেও টের পাচ্ছে জেরিন আহমেদ কাঁপছেন শুয়ে থেকে। গাছের পাতার মত। নিশা ঘুমের মধ্যেই আড়ষ্ট স্বরে বলল, “মা, একটু শান্ত হয়ে ঘুমান তো। অস্থির হয়ে লাভ নেই। আব্বা ক্যান্সারে এমনিতেই কষ্ট পাচ্ছিল। আল্লাহ নিয়ে গেছে কষ্ট না বাড়িয়ে।”
বেশ লম্বা বাক্য। তারমানে নিশা যেটাকে ঘুম ভাবছিল সেটা ঘুম না। তন্দ্রাভাব। চেতনাশক্তি বেশ ভাল ভাবেই কাজ করছে।
জেরিন আহমেদ কাঁপছেন মশারির ভেতর। কুঁ কুঁ করে কিছু যেন বলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বাহিরে টিনের চালে ঝম ঝম বৃষ্টি হচ্ছে। শীত লাগছে। এই বর্ষার দিনে বাবাকে কবর দিতে খবর হয়ে গেছে ইয়াসীন চাচাদের। কবরের মাটি কাটলেই পানি জমে যাচ্ছে। যে আশফাক সাহেব সারাজীবনে রেইনকোট আর ছাতা ছাড়া কোর্টে যাননি- তার লাশই এক বিঘত পানির মধ্যে কাফন ভিজিয়ে নামিয়ে রেখে আসা হয়েছে। লাশটা পানিতে ভাসছিল কবরের ভেতর যখন ওপরের বাঁশের ফালি দিয়ে কবর বন্ধ করা হচ্ছিল।
নিশা কাঁথাটা পা দিয়ে টেনে নিলো গায়ে। জেরিন আহমেদ তখনো কাঁপছেন। শীতে? ঘুমের মাঝে কাতরাচ্ছেন? নিশার কিছু ভাবতে ইচ্ছা করছে না।
দুচোখ ভেঙ্গে ঘুমে ডুবে যাচ্ছে ক্রমশ। কিন্তু শীত কমছে না। জানালার পাট খোলা রেখেছিল নাকি মা? নাকি ছাদের ফুটা দিয়ে পানি আসছে বিছানায়? ভেজা কেন?
আচ্ছা মা কি সূরা ইয়াসীন বা আয়তুল কুরসী পড়ছে? গুনগুন শব্দ হচ্ছে যে? কুঁ কুঁ শব্দগুলো আসলে দরুদ-সূরার মত লাগছে না? নাকি কানে শোনার ভুল?
নিশা ঘুমের ঘোরে আবার বলল, “মা? ভয় লাগছে? আমাকে ধরে ঘুমাও?” কিন্তু চোখ খুলে তাকাতে ইচ্ছে হচ্ছে না। অন্ধকার ঘর এমনিতেই।
ভেজা ভেজা ভাবটা বাড়ছে ক্রমশ। কি ব্যাপার? জানালা খোলা নাকি? নিশা একটু অবাক হল। কিন্তু রাজ্যের আলসেমী চেপে ধরে আছে। ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে হচ্ছে না। জেরিন আহমেদের গলাটা দূর থেকে ভেসে আসছে মনে হচ্ছে। ঘুম গাঢ় হয়ে উঠছে।
কি ব্যাপার? পানির ওপর ভাসছে নাকি! আশ্চর্য! সব কাপড় চোপড় ভিজে যাচ্ছে তো! এরকম আঁশট গন্ধ কিসের?
“মা? গন্ধ কিসের? আর পানি আসছে কোত্থেকে?” বলে ঘুরতে নিলো সবে।
হঠাৎ আবিষ্কার করল সে নড়তে পারছে না। কি আশ্চর্য! এক কাঁত হয়ে শুয়ে থাকতে থাকতে রক্ত জমে গেল নাকি? সার্কুলেশন হচ্ছে না?
বিছানাটা দেখতে দেখতে ভিজে পানিতে থৈ থৈ করতে লাগলো! নিশা হাত দিয়ে মাকে ধরতে গেল পাশ ফিরে, কিন্তু ঘুরতে পারলো না। শাড়ির আঁচলে হাত পেঁচিয়ে আছে, ছোটানো যাচ্ছে না! আজব তো!
“মা? ও মা? এত পানি আসছে কোত্থেকে? আলোটা জ্বালাও তো! বিছানা ভিজে যাচ্ছে তো!” প্রায় পরিষ্কার স্বরে বলে উঠল নিশা।
কিন্তু হাতটা দিয়ে কিছু একটা ধরতে গিয়ে টের পেলে তাকে আগাগোড়া বেঁধে রাখা হয়েছে কোনো একটা কাপড় দিয়ে! শুধু তাই না, মুখে, মাথায়ও কাপড়। গলা বরাবর দড়ি দিয়ে গিট দেয়ার মত! কী অদ্ভুত!
নিশার হঠাৎ ভয় লাগতে শুরু করল। জান্তব, পরাবাস্তব একটা ভয়। লোকালয়ে যে ভয়ের কোনো সূত্রও নেই...
পানিতে ভেসে উঠেছে সে... ডানে বায়ে ধাক্কা খাচ্ছে ভেজা দেয়ালের মতো কিছুতে। মাটির দেয়ালের মতো। নিশা ভয়ার্ত কাঁপা স্বরে ডাকে, “মা? ও মা? আমি কোথায়?” কারণ নিশা এতক্ষণে বুঝে গেছে ব্যাখ্যাতীত ব্যাপারটা। সে কোনো কবরের ভেতর শুয়ে আছে কাফনের মাঝে...
বাহিরে গুমোট শব্দ। বৃষ্টির মতো। তার মাঝ দিয়ে কুঁ কুঁ গুঞ্জনে কেউ সূরা পড়ছে...
নিশা শব্দ করে ডাকলো, “আমি কোথায়? আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না কেন?”
প্রায় কানের কাছে ফিসফিস করে একটা ভেজা দৃঢ় কণ্ঠ বেজে উঠল, “আমরা প্রত্যাবর্তন নিয়ে কাজ করছি। আপনি শীঘ্রই এই পর্যায়টা কাটিয়ে উঠবেন। স্নায়ু ধীর করে রাখুন। শান্ত রাখুন।”
নিশা তরল একটা জগতের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে। “আ-আমি কিছু বুঝতে পারছি না... আমি কোথায়? আমি কি মারা গেছি?”
অনেকক্ষণ শোনা গেল না কোনো উত্তর।
“কেউ আছেন? আমি কি মারা গেছি?” নিশা ব্যাকুল হয়ে ডাকল। কান্না পাচ্ছে ওর হঠাৎ।
গুমোট বৃষ্টির শব্দ হচ্ছে শুধু। আর পানির বদ্ধ জায়গায় ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। মাঝি দাঁড় ফেললে যেমন হয়। সে একবার ভাসছে, একবার ডুবে যাচ্ছে।

ঠিক কতক্ষণ এভাবে গেল, কত কাল বয়ে গেল- নিশা জানে না। আকুল হয়ে কান্না চেপে আবার ডাকলো, “কেউ শুনছেন? আমি কোথায়? আমি মারা গেছি?”হাত পা কিছুই অনুভব করছে না। অথচ সমস্ত চেতনা মগজের ভেতর সজাগ।
আবার ঠিক কানের কাছে কেউ ফিস ফিস করে বলে উঠল, “আপনাকে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা। আপনি ভুল বিন্দুতে যাত্রা শেষ করেছেন। আপনার জন্য নির্দিষ্টি বিন্দু আরো সামনের একটা সময়ে নির্ধারিত ছিল। বাবার মৃত্যুতে আপনি বাড়ি ফেরার পুরো দৃশ্যটিতে ভুল বিন্দুতে সময় এবং মাত্রার নির্ধারিত সূত্র ভেঙ্গে দিয়ে দূর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। কিন্তু সমস্ত ব্যাবস্থাপনায় সেটা ভুল বিন্দু ছিল আপনার বাইনারি নাম্বারে...”
“জ্বি?” নিশা কথাগুলোর আগা মাথা কিছুই খুঁজে পেলো না। সে মারা গেছে? এক্সিডেন্টে? কীভাবে?
হঠাৎ দিনের আলোর মতো পুরো ঘটনাটা চোখের সামনে ভেসে উঠল এক মুহূর্তের জন্য। আসলেই ঢাকা ময়মনসিং রাস্তায় মুখোমুখি বাস দূর্ঘটনা হয়েছিল যতটা মনে আছে। চারপাশের সব কিছু বীভৎস ভাবে থেঁৎলে যাচ্ছিল চেতনা হারানোর পূর্বে... সবকিছু অসম্ভব দ্রুত মাত্র কয়েক মাইক্রো সেকেন্ডে ঘটেছিল, অথচ সব অনন্তকালের মত প্রতিটা বিন্দু এতই বিস্তৃত লাগছে... যেন একটা মহাকাল লাগিয়ে পুরো ঘটনাটা ঘরেছিল...
“আ-আমি তাহলে মারা গেছি?”
“ঠিক তা নয়। আপনার জন্ম হচ্ছে। আপনি এখন শুধু মাত্র একটা ভ্রূণ। একটা নির্দিষ্ট সময় কাল পর আপনার জন্ম হবে।”
“প-পুনরুত্থান? পুনর্জন্ম?” নিশাকে কেমন যেন দিশেহারা মনে হল।
“ঠিক তা নয়। আপনাকে আপনার পূর্ণবৃত্ত শেষ করতে আবার পৃথিবীতে পাঠানো হচ্ছে। নাহলে আমাদের সমস্ত হিসেব নিকেশে অনেক বড় ধরণের ত্রুটি দেখা দিচ্ছে কেবল মাত্র একটা বাইনারি নাম্বারের ক্রমান্বয় ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য। যেটা আমাদের সমস্ত ব্যাবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটাবে।“
“আপনি কে?”
“সেটা জরুরি প্রশ্ন নয়।“
“তবুও আমি জানতে চাই।” কেমন মড়িয়া হয়ে প্রশ্ন করল নিশা।
“আমরা সংখ্যা এবং সময়।“
“এটা কেমন উত্তর?”
আর কোনো উত্তর পাওয়া গেল না।

অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় নিশা অপেক্ষা করতে লাগলো অনন্ত কাল ধরে। সমস্ত শরীরে কোনো চেতনা নেই। কেবল মগজটা জেগে রয়েছে শুধু।

কতকাল যে পেরিয়ে যাচ্ছে, নিশা জানে না। শুধুই অন্ধকার। প্রচণ্ড একটা চিৎকারে চারদিক খান খান করে দিতে ইচ্ছে করছে তার। কিন্তু সবকিছু নির্জীব হয়ে গেছে। শূন্যতা। নিস্তব্ধতা। আর গুমোট বৃষ্টির শব্দ।

০০০০০০০০০০০০০০০০০

টিনের চালে ঝাপিয়ে বৃষ্টি নামছে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মসজিদ থেকে মাগরীবের আযান দিচ্ছে। এর মাঝে ছাতা হাতে কাঁক ভেজা হয়ে বাড়ির বারান্দায় দৌড়ে এসে উঠলেন আশফাক সাহেব। উকিল কোট ভিজে গিয়ে তাকে আক্ষরিক অর্থেই কাঁক মনে হচ্ছে। তারওপর পিচ্ছিল উঠোনের ওপর দিয়ে বার তিনেক পা হড়কাতে হড়কাতে এসে এখন বারান্দায় ল্যাংচাচ্ছেন। দরজা বন্ধ। বাহিরে ছোট বোন দুটো উদ্গ্রীব মুখে পায়চারি করছে লন্ঠন হাতে।
আশফাক সাহেব চিন্তিত মুখে বললেন, “হাসপাতালে নেওয়া লাগবে? ফয়জু চাচী আসে নাই দাই দিতে?”
“আসছে। রক্ত যাইতেছে ভাবীর খুব। অবস্থা ভাল না।” ছোট বোন দিলরুবা উদ্বিগ্ন মুখে জানালো।
ফ্যাঁকাসে হয়ে গেল আশফাক সাহেবের মুখ। জেরিনের আগের দুটো বাচ্চা মিসক্যারেজ হয়েছিল। এটাও যদি... ভাবতে পারলেন না আর। তাড়াতাড়ি ছাতা হাতে বের হয়ে যেতে নিলেন। ভ্যানগাড়ি নিয়ে আসতে হবে।
কিন্তু তার আগেই ঘরের ভেতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো। থমকে গেলেন আশফাক সাহবে। বিহ্বল মুখে তাকালেন দরজার দিকে।
কয়েক মিনিট বাদেই দরজা খুলে ফয়জু চাচী উঁকি দিলেন, “আশফাক আসে গেছিস? বাপ হইছোস তুই। মেয়ে হইছে। নামায পড়, নফল নামায পড়। বৌয়ের রক্ত থামছে। সুস্থ আছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌।”
“আলহামদুলিল্লাহ্‌!” আশফাক সাহেবের বিবর্ণ মুখে জীবনের আভা ফিরে আসে। হারিকেনের ম্লান আলোয় বড় অদ্ভুত সরল লাগে সেই হাসি।
০০০০০০০০০০০০

রাত সাড়ে আটটার সময় ফয়জু চাচী চটের বস্তায় বেঁধে “ফুল”টা এনে আশফাকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিচু গলায় বলেন, “বাড়ির উঠানের একপাশে পুতে দে। তাইলে মেয়ে সারাজীবন ঘরের সাথে সম্পর্ক রাখবে। নাড়ির টান শক্ত থাকবে।“
আশফাক সাহেব এসব সংষ্কার মানেন না। তবু মাথা ঝাঁকিয়ে চটের ব্যাগটা হাতে উঠে গেলেন। কাছারি ঘর থেকে ছাতা হাতে ভিজে ভিজে কোদাল এনে কুয়াপাড়ের ডালিম গাছটার পাশে ছোট্ট একটা গর্ত খুড়তে লাগলেন। ভিজতে ভিজতে কেন যেন তার মনে হতে লাগলো এই কাজ তিনি আগেও করেছেন! কি অদ্ভুত অনুভূতি!
চটের ব্যাগটা সাবধানে গর্তের ভেতর নামিয়ে দিতে গিয়ে হারিকেনের আলোয় দেখলেন গর্তটা মুহূর্তেই পানিতে ভরে উঠেছে। কোদাল দিয়ে আবার সেই পানি সরিয়ে দিলেন। লাভ হল না। সাথে সাথে ভরে গেল আবার! বাধ্য হয়ে “ফুল”টা ঐ পানির ভর্তি গর্তেই চট সহ পুতে দিতে লাগলেন।
আরেক দফা ভিজে দাঁড়কাঁক হয়ে গেলেন একই সন্ধ্যায় আর রাতে।
কোদাল দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে সবে উঠে দাঁড়িয়েছেন, এমন সময় ঠিক কানের পেছনে কেউ ফিসফিস করে বলে উঠল, “বিন্দুটা সঠিক জায়গা থেকে নড়ে গেছে খানিকটা... আবার পয়ত্রিশে গিয়ে ফের ঘুরাতে হবে সংখ্যাগুলো! এরা এত ভুল করতে পারে!”

চমকে উঠলেন আশফাক সাহেব। তার মনে হল তিনি এই বাক্যগুলো আগেও শুনেছেন! কি আশ্চর্য! এমন লাগছে কেন তার?
কিছু একটা ভাবনা নিজের অজান্তেই মনের সামনে চলে এলো। অদ্ভুত দৃষ্টিতে গোয়ালঘরের পেছনের নারকেল গাছটার দিকে তাকালেন। ঠিক এক সেকেণ্ডের ব্যবধানে আকাশ থেকে প্রচণ্ড আলোর ঝলক এসে নিঃশব্দে পুরো গাছটার মাথা উড়িয়ে নিল। তার পাঁচ ছয় সেকেণ্ড পর কান ফাটা বজ্রপাতের শব্দ!

আশফাক সাহেব ব্যাখ্যাতীত একটা ভয় অনূভব করছেন হঠাৎ করেই। বজ্রপাতের কারণে নয়, তিনি এই দৃশ্য আগেও ঠিক এখানেই দাঁড়িয়ে দেখেছেন। অতীতে!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্যাপক হাউকাউ লেখা, দুনিয়ার মাথা খারাপ ব্যাপার

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: হা হা হা! সেটা ভাল নাকি খারাপ?

২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। টিনের চালে কাপিয়ে বৃষ্টি নেমেছে। এই লাইনটা আমাকে বিষন্ন করে দিয়েছে।

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল আছেন নিশ্চই?

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী আমি ভালো আছি।
করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪০

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: অবশ্যই ভাই, আপনিও ভাল থাকবেন।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪২

মা.হাসান বলেছেন: ভালো লিখেছেন। লেখা অব্যহত রাখুন।

২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুস্থ থাকুন সবাইকে নিয়ে।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সুস্থ থাকুন সবাইকে নিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.