![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।
মানবতা সম্পন্ন মানুষ এতই হিংস্র যে এরা কবর কে পর্যন্ত শস্যখেত মনে করে। এমন অনেক লোক আছে যে তারা তাদের বাপ দাদার কবরের বাশ বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে ইলিশ মাছ কিনে খায়। আবার এমন আরো অনেক লোক আছে যে তারা কবরের বাশের মালিকানা পাওয়ার জন্য ঝগড়া ঝাটি এমনকি মারামারি করে থাকে। হয়তোবা এমনও হতে পারে যে আমি বা আপনি মারা যাওয়ার পর আমাদের লাশ পচে গলে নিঃশেষ হয়ে আমাদের কঙ্কাল ধ্বংস হয়ে যাবার পর যখন আমাদের কবরের পেটের উপর দিয়ে বড় বড় বাশ বের হবে তখন অনেকে আমাদের এই বাশের কারনে ঝগড়া-ঝাটি করবে,মারামারি করবে। আমি এক লোককে বললাম ভাই আপনার বাবা মায়ের কবর স্থানের কি বেহাল দশা গরু ছাগল ঢুকে। আপনি তো একটা বেড়া(বাশ বা কাঠের দেয়াল) দিয়ে দিতে পারেন? তখন তিনি ক্ষীপ্র কন্ঠে বললেন বেড়া আমি দিতে যাবো কেনো কবর তো আর আমি খাইনা কবর তো খায় আমার ছোট ভাই। তাই ব্যাড়া ও ই দিবে। বাপজানে মরার পর তার কবর থেকে আমি একটা বাশ ও নিই নাই। মার কবর থেকে একটা বাশ নেছালাম। আর সব বাশ ও নেছে। তাহলে আমি বেড়া দিতে যাবো কেনো। কবর যে খায় বেড়া ও সে দিবে। তখন আমি তার এই কথা শুনে কোনো কস্ট পেলাম না,কারন আমি ওতো তাদের মতো কবর খেকো মানুষ। তবে আমি বুঝতে পারলাম যে মানুষ ও কবর খায়। কবর খাওয়া নিয়ে যে আরো কতো কাহিনী তৈরি করেছে যে আমাদের মনুষ্য বাহিনী সেকথা লিখতে গেলে কালি ফুরানোর আগে আমি নিজেই ফুরিয়ে যাবো। আর আমি ফুরিয়ে গেলে হয়তোবা অন্য কোনো মানুষ আমার কবরও খাবে। আর এরকম কবর খাওয়া চলতে থাকবে চিরকাল,কেননা মানুষ যে কবর খায়। চলবে......
আমার লেখা নয়,বরং মানুষের কবর খাওয়া চলবে...............
©somewhere in net ltd.