![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর দেয়ালের পরে আঁকাবাঁকা অসংখ্য অক্ষরে একবার লিখিয়াছি অন্তরের কথা — সে সব ব্যর্থতা আলো আর অন্ধকারে গিয়াছে মুছিয়া!
আমি ভাই অর্থোডক্সিয়ান জনতার একজন। আমার কাছে প্রেম শেষ হয় বিবাহতে আর বিবাহ পূর্ণতা পায় সঙ্গমে। লজ্জা পাইলেন বুঝি :!> ? তাহা হইলে দ্রুত পেজ ক্লোজ করিয়া দিন। আপনার জন্য ইহা পাঠ্য নহে
আমার মাঝে প্রেমভাব প্রবল। কেবল প্রেম করিতে মন চায়। অতঃপর বিবাহ করিয়া সঙ্গম সাধন। কিছুদিন পরে বংশধর উৎপাদন করিয়া সাধু মেন্ডেলের জিনতত্ত্বের ধারা বজায় রাখা। 'দুঃখজনক' হইলেও জীবন ও যৌনতার সংগা আমার কাছে ইহাই।
এ জীবনে বহুজনকে ভালবাসিয়াছি। বলিতে দ্বিধা কি...এর মধ্যে সমলিঙ্গের বন্ধুও ছিল। তাহাদের প্রতি আজও ভালবাসা আছে। কিন্তু জানিলাম, চাইলে তাহাদের সাথে সঙ্গমও করিতে পারিতাম (অবশ্য উভয়ের সম্মতি সাপেেক্ষে)। ইহাকে নাকি 'সমকাম' বলে। কিন্তু আমার কেবল নারীদের প্রতিই কামাসক্তি আছে এবং এর ফলস্বরুপ স্বামী হইতে জনক হইতে চলিয়াছি। জানিনা ইহা অস্বাভাবিক কিনা? আমার কাছে তো স্বাভাবিক বলিয়াই মনে হইতেছে। 'উদারপন্থী' অনেকের মতে হয়তো আমার চিকিৎসা দরকার...
সম্প্রতি নতুন একটি টার্মের সাথে পরিচয় ঘটিল, LGBT (Lesbian, Gay, Bi-sexual, Trans-Gender)। আমি ব্যপক পুলকিত হইলাম জানিয়া যে, এরা সবাইকেই ভালবাসিতে চায়। কিন্তু তাতে কি সমস্যা? আমিও তো বাসি। তারা অবশ্য একটু আগ বাড়াইয়া সকলের সাথে সঙ্গমের ইচ্ছাও পোষণ করে। কিছু কিছু সমাজ আবার এইটা সমর্থনও করে। বাহ্ বাহ্। আমাদের মত "উদারপন্থী" ইসলামিক দেশে তাহাদের আবার প্রকাশনাও আছে - "রুপবান", যাহার ট্যাগ লাইন "আমাকে ভালবাসতে দাও"।
শুনিয়া মনে হইতে পারে সেইন্ট ভ্যালেনটাইন বা রোমিও-জুলিয়েটের আকুল আবেদন। আসলে এর মাঝে লুকাইয়া আছে তাদের দাবী "আমাকে বিকৃত-সঙ্গম করিতে দাও"। খুব কি ভুল বলিলাম? আপনি আবার লজ্জা পাইলেন !! :!> :!> মানে আরও পরিষ্কার করিয়া বলিলে পুরুষেরা পুরুষদের সাথে, নারীরা নারীদের সাথে অস্বাভাবিক এবং বিকৃত উপায়ে কামসুখ লাভ করিবে...এবং ইহাকে তারা বৈধ করিবার অভিপ্রায় বিভিন্ন দেশের রাজপথেও নামিয়া আসিয়াছে। ভালো লাগিল ।
আমাদের দেশের উদারপন্থীরা ইহাকে প্রচ্ছন্ন সমর্থনও দিতেছেন। তাহারা "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" নামে ইহাকে ডাকেন!! আমার মতে, ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি সীমারেখাও টানা উচিত। নতুবা এই পোস্টের কোন কমেন্ট পছন্দ না হইলে আপনার গুষ্টি উদ্ধার করিবার অধিকারও আমার থাকিবে...কি বলেন?
ডর খাইয়েন না। নির্দ্বিধায় কমেন্ট করিতে পারেন
।
বহুকাল আগে এক গল্প শুনিয়াছিলাম। কোন একদেশে এক লোক একাবার হাই তুলিতে গিয়া অসাবধানতা বশতঃ পাশে বসিয়া থাকা লোকের নাকে হাত দিয়া মৃদু আঘাত করিয়া ফেলিয়াছিল। লোকটিও মামলা ঠুকিয়া দিল। বিবাদী কহিল "স্বাধীন দেশে হাত ছড়াইয়া হাই তুলিবার অধিকার আমার আছে"। বিচারক শুনিয়া কহিলেন "অবশ্যই আছে, তবে তা অন্যের নাকের মধ্য দিয়া নয়।" রায় আসিল "যেখান হইতে অন্যের নাক শুরু, সেখান হইতে আপনার অধিকার শেষ"। কাজেই আপনার প্রজননতন্ত্র আপনি কোন পথে ব্যবহার করিবেন তাহা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়...এ লইয়া আপনি আমাকে প্ররোচিত করিতে পারেন না।
'সমকাম' বিকৃত না প্রকৃত তা বোঝার আগে বুঝিতে হইবে সৃষ্টিকে। জগতের সকল কিছুই সৃষ্টি হইয়াছে দুইলিঙ্গে। যাতে তাহারা পরষ্পর মিলিত হইয়া নতুন এবং পূর্বের হইতে উন্নত, অধিক সহনক্ষম জাতি গঠন করিতে পারে। এতে করিয়া জগতে সৃষ্টির ধারা অব্যহত থাকিবে। নারী-পুরুষের লিঙ্গ বিন্যাসও এমনভাবে করা যাতে তাহাদেরকে মিলিত হইয়াই কার্য সম্পাদন করিতে হইবে (টেস্ট টিউব বেবী ব্যতিক্রম) আর বাই প্রোডাক্ট হিসাবে পাওয়া যাইবে কামসুখ। অনেকটা ইউএসবি পোর্ট আর পেন ড্রাইভের মত আর কি। জায়গামত ঠিক প্রবেশ না করাইলে যতই ক্লিক করি না কেন কোনই ডাটা ট্রান্সফার হইবে না।
। দেহের অন্যান্য পোর্টগুলা কেবল 'লাইন আউট'। বুঝিলেন নিশ্চই!
এই বাই প্রোডাক্ট 'কামসুখ' পাওয়াকে কেন্দ্র করিয়াই গড়িয়া ওঠে সমকামীর মনোজগৎ। এখানে ভালবাসার কিছুই নাই। আছে কেবল সৃষ্টির স্বাভাবিকতাকে বিনষ্ট করিয়া অদ্ভুত এক কামচর্চা! যার পরিনতি কেবলই শূন্যতা। সমকামী নারী-পুরুষের মৃত্যুতে কাঁদিবার মত কেহ থাকিবে না। তারা কখনই দেখিবেনা তারই দেহ হইতে সৃষ্টি আরেকটি শিশু তারই মত করিয়া ধীরে ধীরে বাড়িয়া উঠিতে। পৃথিবীর মধুরতম ডাক কখনই তারা শুনিবে না। কিন্তু তাতে আমার কি? আমার অবশ্যই অনেককিছু। কেননা তাহারা আমার মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে হুমকিপ্রায় করিয়া তুলিতেছে। কারও বিকৃত আচার লইয়া আমার কোন অভিযোগ নাই যতক্ষন পর্যন্ত তা কেবলই ঘরের অভ্যন্তরে উক্ত ব্যক্তির একান্ত বিষয় হইয়া থাকে...রাস্তায় গড়াইয়া আসিলেই যত ভজঘট বাঁধিয়া যায়।
শেষ কথা বলি, যাহা ভাল, তা সবসময়ই ভাল আর যাহা খারাপ তা সবসময়ই খারাপ। সময়ে হয়তো ভালোকে খারাপ বা খারাপকে ভালো বলিয়া ভ্রম হইতে পারে। কিন্তু আখেরে স্বরুপ ঠিকই প্রকাশিত হইবে। ব্যাধিকে ব্যাধি হিসাবে জ্ঞান করিলে তবেই না চিকিৎসা হইবে। উল্টো স্বাস্হ্য ভাবিয়া বসিলে ধ্বংস ঠেকাইবে কে?
ধর্মীয় কোন রেফারেন্স এখানে ব্যবহার করিলাম না। কেননা, ধর্মীয় মূল্যবোধ হইতে মানবিক মূল্যবোধকে আমি বড় করিয়া দেখি। মানুষই যদি না থাকে তবে ধর্ম অচল হইয়া যাইবে যে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হুমম...!!
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
মেহেরুন বলেছেন: "যাহা ভাল, তা সবসময়ই ভাল আর যাহা খারাপ তা সবসময়ই খারাপ। সময়ে হয়তো ভালোকে খারাপ বা খারাপকে ভালো বলিয়া ভ্রম হইতে পারে। কিন্তু আখেরে স্বরুপ ঠিকই প্রকাশিত হইবে। ব্যাধিকে ব্যাধি হিসাবে জ্ঞান করিলে তবেই না চিকিৎসা হইবে। উল্টো স্বাস্হ্য ভাবিয়া বসিলে ধ্বংস ঠেকাইবে কে?"- হুম!!! ভালো!!ভালো!!!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হুমমম...কি ভালো?
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
বুকের মধ্যে বায়ান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি বলেছেন:
ইয়ে মানে ভাইয়া , এতো বেশি স্পষ্ট করে লিখেছেন যে থ হয়ে গেলাম! এরকম লেখা প্রথম পড়লাম কি না আপনার !!!!
মানুষের রুচি যে ধীরে ধীরে বিকৃত হয়ে যাবে তা তো কোরআনেই উল্লেখ আছে !
তাই দেখা ছাড়া আম জনতার কি করার আছে বলেন ?
নতুন অনাগত বাবু আর মেহেরুন আপুর জন্য শুভেচ্ছা
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ষ্পষ্ট করে না লিখলে অনেকেই মানবতার ধুয়া তুলে এইটাকে জায়েজ করার সুযোগ নেবে।
তাই পরিষ্কার করেই বলা ভাল যে, কোনটা আসলে কি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
মেহেরুন বলেছেন: লেখাটা ভালো
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
আদম_ বলেছেন: ঠিক।
কুত্তাগুলারে ধইরা ড্রেনের পানি খিলানো উচিত।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা গেলে সবচেয়ে ভাল হতো। ড্রেনের পানি খাওয়ালে তারা আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠবে মনে হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: লেখা খুব বেশি ক্ষুধার হইয়াছে ! জামাই বাবুকে আরেক কাপ চা দেওয়া হোক !
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চা কি মুড়ি দিয়া পরিবেশিত হইলো নাকি?
৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
সত্যের সন্ধানী এক যুবক বলেছেন: ব্যাধিকে ব্যাধি হিসাবে জ্ঞান করিলে তবেই না চিকিৎসা হইবে। উল্টো স্বাস্হ্য ভাবিয়া বসিলে ধ্বংস ঠেকাইবে কে?
খুব সুন্দর লিখেছেন।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নিঃসন্দেহে সমকামিতা একটি পাপ এবং বিবেক বর্জিত কুকর্ম। এ পাপের ফল একদিন আমাদের সবাইকে ভোগ করিতে হইবে। সেদিন বেশী দূরে নয় যে দিন বৃদ্ধ পিতাকে পুত্র বলবে সমকামিতার কথা এবং বৃদ্ধ মাতাকে কন্যা বলবে সমকামিতার কথা। মানবিক এবং ইসলামিক মূল্য বোধ থেকে তাই আমাদের সবার উচিৎ চরমভাবে প্রতিরোধ করা। পশ্চিমার সভ্যতার নামে দিনকে দিন চরম অসভ্য হয়ে যাইতেছে। যাহার বীজ আমাদের মধ্যে বপন করিতেছে পশ্চিমারা স্বাধীনতার নাম করিয়া।
সুন্দর হয়েছে পোষ্টটি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
একটি বিষয় উল্লেখ্য, সমকামিতা আমাদের উপমহাদেশে পৌরাণিক যুগ থেকে আছে এবং এটা ইতিহাস স্বীকৃত। এটা পশ্চিমা সংষ্কৃতি থেকে আসে নি। মূলত প্রাচীণ রাজা-মহারাজা এবং রাজ-পুরোহিত বিবিধ উচ্চ পর্যায়ের লোকদের মাঝে এটা প্রচলিত ছিল। মুঘল শাসনামলেও এর উপস্থিতি দেখা যায়। এ বিষয়গুলো সর্বদাই পর্দার আড়ালে ছিল।
কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব এই নোংরা বিষয়টাকে ঘরের বাইরে নিয়ে এসে মানবিকতার লেবাস চড়িয়ে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে সবার মাঝে গ্রহণীয় করে তুলেতে চাইছে। এটাকে অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। তার প্রথম শর্তই হচ্ছে, এটাকে একটি মানসিক বিকার হিসেবে চিহ্নিত করা।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সমকামিতা মহপাপ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: প্রশ্রয় দেয়া আরও বড় পাপ
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৩
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: আমি ভাই বহু ব্লু ফিল্ম দেখেছি। কখনও প্রীত বোধ করি নাই আবার দেখাটা পরিত্যাগও করি নাই।
কিন্তু লেসবিয়ান, গে ইত্যাদি দেখতে গিয়ে অপ্রত্যাশিত অপ্রতিরোধ্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। একদিন তো বমি করতে করতে মরণ দশা। শুধু দেখতে গিয়েই এমন বিষম শারীরিক অনিয়ন্ত্রিত ঘৃণা, বমন ইচ্ছা, প্রচন্ড রাগ ইত্যাদি প্রতিক্রিয়া নিজের মাঝে পেয়ে এটি আবিস্কার করলাম যে এই কাম ক্রিয়া সহজাত, স্বতঃপ্রণোধিত নয়, প্রাকৃতিক তো নয়ই।
সবচেয়ে অদ্ভূত মানসিক অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া হোল মনে। আগে মালোর্ন ব্রান্ডো বলতে অজ্ঞান ছিলাম। ন্যাচারাল অভিনয়ের স্কুল বা জনকের কাছাকাছি বলা হয় তাকে (হলিউড অধ্যুষিত অঞ্চলে)। যেই তার সত্যিকারের একটি ফটোগ্রাফ দেখলাম অন্য পুরুষের অঙ্গ লেহনের(আবারও নিশ্চিত করছি কোন ছবিতে অভিনয় নয়) সেই থেকে আর কেন যেন গডফাদার চলচ্চিত্রকে কোনো ষ্টার্ন্ডাডেই আমি রাখিনি চিত্র সমালোচনার মূল্যায়নে। চির পরিত্যায্য হয়ে গেল প্রিয় তালিকা থেকে তার সব ছবি। তার "এ্যাপিকালিউপাস নাউ" এতো ব্যতিক্রমি ছবিও ভালো লাগল না। বুঝলাম আমার অবচেতন তীব্র ঘৃণায় ছবিটাতে আমাকে মনোযোগ দিতে দিচ্ছে না।
একই কান্ড ঘটলো এলটন জনের ক্ষেত্রেও। আগে মারাত্নক ফ্যান ছিলাম তার। যেই শুনলাম, স্যার এলটন জন গে, তার গান আমার তালিকা থেকে বাদ, অন্য কোথাও থেকে তার গান কর্ণকুহরে প্রবেশ করলেও তীব্র শিরপীড়া হয়, বমি ভাব হয়।
ঝতুপর্ণ ঘোষকে নিজে থেকে আবিস্কার করেছিলাম জিনিয়াস হিসেবে রাষ্ট্রীয় / দেশীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই। যেই দেখলাম বিকৃত কামী (পারভাটেড) অমনি তার সব সৃষ্টিতে বিষ্ঠা ছাড়া কিছুই দেখতে পেলাম না। প্রিয়র তালিকা থেকে বাদ।
সিলভেস্টার ষ্টোনকে হিরো মনে হোত তার একটি "র" ডকুমেন্টারি দেখে আমার চোখে জিরো হয়ে গেল।
একে একে এই তালিকায় পড়লো আরো অনেকে।
প্রিন্স চার্লস (প্রিন্স চালর্স ডায়নাকে তালাক দেয় নাই, ডায়না চালর্সকে তালাক দিয়েছে তার এই বিকৃত প্রবৃত্তির জন্য, চালর্স একাধিক বার পুরুষ বাবুচীর সাথে সঙ্গমরত অবস্থায় ডায়নার কাছে ধরা পরেছে। স্বয়ং রাণীও জীবনভর দ্বিধাম্বিত তার এই প্রবৃত্তির জন্য তার কাছে রাজ্যভার দিতে।
নিয়তির কি পরিহাস চালর্স কিন্তু ইহুদী বিশ্বের চেয়ে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে দেশের সর্ম্পক রাখার অগ্রপথিক। তার ব্যাপক সম্পর্ক বা লবি আছে মুসলিম বিশ্বে।
কবি বায়রন, এ্যালেন্স গিন্সবার্গ আরো আরো কত নাম মনে পড়ছে যারা পরিত্যক্ত প্রিয় তালিকা থেকে।
যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা।
যারে আবিস্কার করলাম বিকৃতকামী, তার সমস্ত সৃষ্টি লহমায় বর্জ্যে পরিনত হোল আমার কাছে।
সরি ব্রাদার, ধান ভানতে শিবের গীত গাইলাম। আসলে মনে বহুদিন ধরে আকুলি বিকুলি করছিল এ বিষয়টি কারো সাথে শেয়ার করার জন্য।
আবারও সরি।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সঙ্গে আমিও একমত।
তবে স্যার এলটন জন, মারলিন ব্র্যান্ডো, ঝতুপর্ণ ঘোষ প্রখ্যাত ব্যক্তিরা গে বা লেসবো যাই হোক না কেন, তাঁদের আমি পছন্দ করি কর্মের জন্য বা সৃষ্টির জন্য। এই যৌন বিকৃতি আমি তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবেই গণ্য করি। তাঁরা অসুস্হ এবং তাদের প্রতি সেই হিসেবে আমার সহানুভূতিও আছে।
কিন্তু, আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই যারা এটাকে স্বাভাবিক বলে সমর্থন করে এবং মানবিকতার লেবাস ধরে এই অস্বাভাবিকতাকে সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক এবং যেকোন সুস্হ মানুষেরই এই প্রতিক্রিয়া হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: হুমম।