![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর দেয়ালের পরে আঁকাবাঁকা অসংখ্য অক্ষরে একবার লিখিয়াছি অন্তরের কথা — সে সব ব্যর্থতা আলো আর অন্ধকারে গিয়াছে মুছিয়া!
"হিউম্যান রিসোর্স আবার কোন কোম্পানি?" পান চিবোতে চিবোতে বদখত চেহারার ইমিগ্রেশনের এক মহিলা পুলিশ বাজেভাবে জিজ্ঞেস করল!!! ভাবখানা এমন যেন, ভুয়া এনওসি নিয়ে লেবার যাচ্ছে চোরকারবারী করতে!! তাকে বললাম, লেটার হেডে কোম্পানির নাম লেখা আছে, আর হিউম্যান রিসোর্স হচ্ছে ডিপার্টমেন্টের নাম যেখান থেকে এনওসি ইস্যু করেছে। মূর্খ্য মহিলা সন্তুষ্ট হতে না পেরে তার স্যারকে ডেকে নিয়ে আসল। ইনি এসে বিরক্তভাবে বললেন, ভিসা ঠিক থাকলে ছেড়ে দেন তো
। যাইহোক, আর কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিংগাপুর পৌঁছলাম। প্লেনে বসে চামে চামে রোনিন ৪৭ টা দেখে নিলাম আরকি! আর হ্যাঁ, সিংগাপুর এয়ারলাইনসের অনলাইন চেক-ইনের মাধ্যমে বাসায় বসেই জানালার পাশে নিজের পছন্দমত সিট বেছে নিয়েছিলাম, যাতে বাতাস খেতে খেতে আশেপাশের রাস্তাঘাট দেখতে দেখতে যাওয়া যায়
আমার তিনদিনের অফিসিয়াল ট্রেনিং। ফ্লাইটের কারণে আমি পৌঁছলাম আগের দিন ভোরে। তাই সারাটা দিনই ছিল ফাঁকা। হোটেলে চেক-ইন করেই সকাল নয়টার মধ্যেই বের হয়ে গেলাম ঝটিকা ট্যুরে। এই এ্যাপ দিয়ে আগে থেকেই একটা রাফ ট্যুর প্ল্যান করে নিয়েছিলাম। এই এ্যাপে দর্শনীয় স্থানগুলোর ডিটেইলস, ম্যাপ, খোলা-বন্ধের সময়, টিকেটভাড়া ইত্যাদি থাকে, ফলে পরে আর অন্ধের মত হাতড়ে বেড়াতে হয় না।
সি একুরিয়ামঃ
৩৮ ডলারের টিকেট কেটে প্রথমেই ঢুকে পড়লাম সি একুরিয়ামে। লক্ষাধিক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের এক একটি বিশালাকার স্বচ্ছ জলাধার। গোল্ডফিশের চাইতেও ক্ষুদ্র মাছ থেকে শুরু করে হ্যামারহেড শার্ক, সবই আছে এখানে। পুরোটা ঘুরে দেখতে কমপক্ষে তিনঘন্টা সময় লাগবে। পুরো জায়গাটি জুড়ে খুব স্লো মিউজিক বাজতে থাকে। সবমিলিয়ে চমৎকার এক পরিবেশ। চোখের সামনে এক সঙ্গে এত মাছ দেখাটাও একটা বিশাল ব্যপার। ছোট ছোট বাচ্চারা খুবই মজা পাচ্ছে এসব দেখে। পুরোটা ঘুরে দেখার পরে এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। এর বিশালত্ব নিজের চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। চলুন কিছু ছবি দেখে আসা যাক।
ইউনিভার্সেল স্টুডিও-সিঙ্গাপুরঃ
এর নাম বহু শুনেছি। যে-ই সিঙ্গাপুর যাই, সে-ই নাকি একবার ঘুরে আসে। সি একুরিয়াম শেষ করেই ৭৪ ডলারের টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম এই অসাধারণ থিম পার্কে, এই টিকেটে সমস্ত রাইডে চড়া যাবে। বিশাল বিশাল সব কার্টুন কারেক্টার সাজানো চারদিকে। মাদাগাস্কারের রাইডে চড়লাম প্রথমে। মাদাগাস্কার পার্ট ওয়ান পুরোটা রাডাইডের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে রোবটিক কারেক্টার দিয়ে করা। রাইডের শুরুতেই বিশাল আকারের কাঠের বক্স আপনার উপর এসে পড়তে যাবে...কিন্তু ভয় নেই, পড়বে না। পুরো রাইডে আছে ছোট ছোট চমক। তারপর ঢুকলাম, শ্রেক-এর ক্যাসলে। সেখানে ছিল ফোর ডি মুভি। সেখানে মুভমেন্টের সাথে সাথে আপনার সিটটিও নড়তে থাকে। আবার গাধাটি থুতু দিলে আপনার গায়ে পানি ছিটকে আসে। সবচেয়ে মজার হল, থ্রিডি স্ক্রিনে অনেকগুলো মাকড়সা নিচে পড়ামাত্রই মনে হল পায়ের উপর কী যেন নড়ছে!
আরেকটি রাইডে চড়লাম যাতে পা ঝুলিয়ে বসতে হয়। আমার মুখোমুখি আরেকটি বাচ্চা মা'র সাথে বসেছিল। রাইডে আমার জান যায় যায়, রাইডের শেষে পিচ্চি হতাশভাবে বলে, "দ্যাটস ইট!"
এরপরে ঢুকলাম 'মামি'র সেটে। বিশাল আকারের পিরামিড গেট দিয়ে আমরা ঢুকলাম। এই রাইড আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ রাইড। রাইডের শুরুতে আমার পাশে একটা বাচ্চা মেয়ে এসে বসলো, বয়স বড়জোর পাঁচ কি ছয় হবে। আমি বললাম, ডোন্ট গেট স্কেয়ার্ড, ইট উইল বি এ গ্রেট ফান। সে হেসে বলল, ইয়েস আই নো। আমার কোন ধারণাই ছিল না যে আসলে কী হতে যাচ্ছে। পুরো অন্ধকার আর ভয়াবহ সাউন্ড ইফেক্টের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকাভাবে প্রচন্ড স্পিডে চলছে কার্টটি...পুরো সময়টি আমি সমানে চিৎকার করে চললাম। রাইড শেষে আমি চোখ খুললাম, পাশের পিচ্চিটা আমারে কয়, "ইটস সো ফানি..." 'মামি'র আরেকটা হালকা রাইড, 'ট্রেজার হান্টার'-এ গেলাম, সেটা তেমন আহামরি নয়। এর পরে ঢুকলাম, 'ট্রান্সফর্মার' এর একটি রাইডে। সেটা বেশ কয়েকটি থ্রিডি স্ক্রিনের সমন্বয়ে তৈরী। যেই কার্টে আমরা উঠলাম সেটার মুভমেন্ট আর স্ক্রিনের কল্যাণে আমার চিৎকার সেখানেও থামেনি। প্রাইম আর মেগাট্রনের সংঘর্ষগুলো এতটাই বাস্তব ছিল যে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। একটা পর্যায়ে বিশাল হাইরাইজের উপর থেকে যখন পড়ছিলাম তখন স্পেশাল এয়ার ইফেক্ট আর ডিনামিক্সের কারণে পুরোটাই সত্যি মনে হচ্ছিল। রাইড শেষে আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, কী দেখলাম!
এরপর বাচ্চাদের একটি কার্টুন রাইডে চড়লাম, এতে অবশ্য ভয়ের কিছু নেই। এরপর দেখলাম লাইট, ক্যামেরা, এ্যাকশন নামের একটি কৃত্তিম স্টুডিও। এতে মুহূর্তের মধ্যেই পুরো সেটটিকে ঝড়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হল, বাতাস আর ঝড়ের তোড়ে সামনে বিশাল আকারের জানালা উড়ে গেল। সবার গায়ে পানির হালকা ঝাপটা এসে লাগতে লাগল। সামনের পানিতে কিভাবে যেন আগুন ধরে গেল। পুরোটা বাস্তবের যত কাছাকাছি করা যায় আর কী! আরও অনেকগুলো রাইড ছিল, যাতে চড়ার মত যথেষ্ট এনার্জি আমার সহকর্মীর না থাকায়, বিধায় ফেরত গেলাম! ফিরে যাবার সময় বউয়ের জন্য অস্কারের আদলে করা একখান এওয়ার্ড ট্রফি কিনলাম, যাতে লেখা "ওয়াল্ডর্স বেস্ট ওয়াইফ"
মুস্তাফা সেন্টারঃ
পরদিন ট্রেনিং শেষে সন্ধাবেলায় গেলাম মুস্তাফা সেন্টারে। এটা পুরাপুরি ঘুরে দেখতে সারাদিন লেগে যাবে। হেন জিনিষ নেই যা সেখানে পাওয়া যায় না। দামও তুলনামূলক। কাজেই টুকটাক কিছু গেরস্থালীর কেনাকাটা সেখান থেকে করলাম। হবু পিচ্চির জন্যও কিছু মোজা, ফিডার ইত্যাদি কিনলাম :!> :!> কিছু গোল্ডের অর্নামেন্টস কিনলাম। জানতাম এখানে গোল্ডের দাম কম। কিন্তু ট্যাক্স, মেকিং চার্জ সহ প্রায় প্রতি ভরিতে ৪৬০০০ টাকা পড়ল। এখানে টুরিস্টের জন্য জিএসটি রিফান্ড বলে একটি বিষয় আছে, আগে জানতাম না। কেনাকাটার পরে নির্দিষ্ট কাউন্টারে গেলে একটি এমাউন্ট ওরা রিফান্ডের জন্য ডকুমেন্ট দেবে। যা দেখিয়ে এয়ারপোর্টে ক্যাশ রিফান্ড পাওয়া যাবে। না জানার কারণে প্রায় ১৫০ সিঙ্গাপুরী ডলার ধরা খাইলাম।
চায়না টাউনঃ
আহামরি কিছু নয়। স্ট্রিট সাইড শপ। এখানকার পন্য মোটামুটি পুরো সিঙ্গাপুর জুড়েই পাওয়া যায়।
লিটল ইন্ডিয়াঃ
ঘুরে দেখার তেমন সময় পাইনি। যখন গিয়েছিলাম ততক্ষণে অধিকাংশ দোকনই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সিংহভাগ দোকান তামিল বা ভারতের দক্ষিণীদের মালিকানায়। এই এলাকায় অধিকাংশ দোকানের রজনীকান্তের ছবি দেখা গেল । এটাও আহামরি কিছু নয়। একয়টি জায়গা ঘুরেই মোটামুটি দ্বিতীয় সন্ধ্যাটি শেষ করলাম।
মেরিনা বেঃ
ট্রেনিং শেষ করে সন্ধ্যায় বের হলাম সিটি ভিজিটে। প্রথমে গেলাম মেরিনা বে রিসোর্টে। এর ৫৭ তলা উপর থেকে পুরো সিঙ্গাপুর শহরটার চমৎকার একটা ভিউ পাওয়া যায়। এর টপ ফ্লোরে উঠতে সাধারণতঃ টিকেট কাটতে হয়। তবে রেস্টুরেন্টে খেলে কোন টিকেট লাগে না। এই ফ্লোরটা একটা নৌকার শেপে করা। আসলে পুরোটাই একটা বিশাল সুইমিংপুল। তবে সেখানে কেবল হোটেল গেস্টদের প্রবেশাধিকার আছে। আমরা আউটডোর লাউঞ্জে বসে সবচেয়ে কমদামের (১৫ ডলার) জুস এপল মোজিতো খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় দেখলাম না। যাই হোক, বিল্ডিংটার ইন্টিরিয়র আর আর্কিটেকচারাল ডিজাইন সত্যিই অসাধারণ। এই ছাদ থেকেই আমরা মারলায়ন পার্কের সামনের লেকের উপর লেজার লাইট শো দেখলাম। এই শো সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে একঘন্টা পরপর হয়। মারলায়ন পার্ক থেকে এটা আরও সুন্দর দেখা যায়। চাইলে টিকেট কেটে লেকের উপর বোটে ভেসে ভেসেও শো'টি উপভোগ করা যেতে পারে। অবশ্য আমরা দুজনেই স্ত্রী-বিহীন হওয়ায় আর তেমন আগ্রহ হয় নাই... মেরিনা বে থেকে সিঙ্গাপুরের প্যানোরামাঃ
সিংগাপুর ফ্লায়ারঃ
মানে চরকী আর কী! তবে বিশেষত্ব হল এর আকার এবং উচ্চতা। এটিকে অবশ্য বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ফ্লায়ার বলা হয়। টিকেট লাগলো ৩৩ ডলার, তবে সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের বোর্ডিং পাস বা টিকেট দেখাতে পারলে ২০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে। সাথে না থাকায় পুরাই লস খাইলাম। পুরো ফ্লায়ারটা আধাঘন্টায় পূর্ণচক্র সম্পন্ন করে। কেবিনগুলো অনেক বড়। একসঙ্গে দশজন উঠতে পারে। আমি উঠতে গিয়ে দেখি, আমাদের পিছনে বিশাল সাইজের ভয়ঙ্কর মুখভঙ্গী নিয়ে কতগুলা তামিল/ব্ল্যাক দাঁড়ানো। শূণ্যে আধাঘন্টা এদের সাথে কাটানোর কোন ইচ্ছাই আমার নাই। কিছুক্ষণ ওয়েট করে একটি কাপলের সাথে উঠলাম। তারা উঠামাত্রই ক্যানন ডিএসএলআর বের করে ধুমধাম ছবি তোলা শুরু করল। হেলে, কাঁত হয়ে, বাঁকা হয়ে...
ফ্লায়ার থেকে তোলা মেরিনা বে'র ছবিঃ
মারলায়ন পার্কঃ
এটি হচ্ছে সিঙ্গাপুরের আইকন। এখানে ঢুকতে কোন টিকেট লাগে না । এখানে দাঁড়ালে বিশাল লেকের অপরপ্রান্তে মেরিনা বে-সিংগাপুর ফ্লায়ার-সাইন্স মিউজিয়ামটা একসঙ্গে দেখা যায়। রাতের আধারে আলো ঝলমলে স্থাপনাগুলোর প্রতিচ্ছবি পানিতে পড়ে এক চমৎকার আবহ তৈরী করে। যতক্ষন ইচ্ছে থাকতে পারেন এখানে। এটির অবস্থান ফুলারটন হোটেলের ঠিক বিপরীতে। এই পার্কে বেশ কয়েকটি রেস্তোঁরাও আছে, স্টারবাক্সও পাবেন। আমি রাতে ও দিনে দুবার গিয়েছিলাম দু'ভাবে দেখার জন্য
। আজকের মত শহর-দর্শন শেষ করে হোটেলে ফিরলাম।
মারলায়ন পার্ক থেকে প্যানোরামাঃ
নাইট সাফারিঃ
ট্রেনিং শেষে পরের সন্ধ্যায় গেলাম নাইট সাফারীতে। সাফারী পার্ক সম্বন্ধে আমার জ্ঞান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পর্যন্ত। নাইট সাফরী পার্কটা সিঙ্গাপুর জু'র একটা অংশ বলে মনে হল। ৩৮ ডলারের টিকেট কেটে লাইন ধরে উঠে পড়লাম চারদিক খোলা একটি ট্রেনে। চারদিক সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। হালকা মৃদু আলোয় বাঘ-সিংহ থেকে শুরু করে বাইসন সবই প্রায় দেখলাম। পুরো সময়টা জুড়ে মিষ্টিকন্ঠে একটি মেয়ে বর্ণনা দিচ্ছিল...They may not have voice like us, but they have the same heart as we have. এখানে পায়ে হাঁটার পথও আছে। অনেককেই দেখলাম স্ট্রলারে পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চা নিয়ে সাফারী পার্কে হেঁটে বেড়াচ্ছে টিকেটের সঙ্গে একটা ম্যাপও দিয়ে দেয়, যাতে প্রাণীগুলোর অবস্থান উল্লেখ করা থাকে। অন্ধকারে কিভাবে এটা দেখবো ঠিক বুঝলাম না
এক পিচ্চি আমাদের পিছে বসে ওর মাকে বার বার জিজ্ঞেস করছিল "মামি, হোয়াট ইজ দিস, হোয়াট ইজ দ্যাট"। মা'ও খুব আস্তে আস্তে বুঝিয়ে দিচ্ছিল।
খাবারঃ
স্থানীয় খাবার বা সি-ফুড ট্রাই করে দেখার তেমন আগ্রহ বা সময় কোনটাই আমার ছিল না। তবে মুস্তাফা সেন্টারের আশেপাশে অনেক ভারতীয় রেস্তোঁরা আছে যেখানে দেশীয় ধাঁচের খাবার পেতে পারেন। তবে সবকিছুরই দাম আকাশছোঁয়া। আধালিটার পানির দাম প্রায় ১০০ টাকা। আমার ভরসা ছিল ম্যাডোনাল্টস বা স্টারবাক্স।
আরও কিছু বিষয়ঃ
এখানে চাইলেই ট্যাক্সি থামানো যায় না। প্রতিটি শপিং মলের নিচে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড আছে। সেখানে ৩০-৪৫ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পরে আপনি ট্যাক্সিতে উঠতে পারবেন। প্রতিটি ট্যাক্সিতে মাস্টার/ভিসা/এমেক্স কার্ড পাঞ্চের ব্যবস্থা আছে। তবে সারচার্জ সংক্রান্ত জটিলতায় ট্যাক্সিতে ভিসাকার্ড ১লা মে ২০১৪ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে দেশে কথা বলতে নাম্বারের আগে ০১৯ যোগ করে কল করলে, (মানে ০১৯৮৮০১৭৩০******) - কথা বলার খরচ অনেকখানি কমে যায় । এছাড়া ভাইবার তো আছেই। এখানকার ভারতীয়রা অবশ্য একটু দুষ্টু। মানি এক্সচেঞ্জে আমার ৫০ ইউএস ডলার মেরে দিয়েছিল। ৫০ ডলার ভাঙ্গাতে গিয়ে ১০০ ডলারের নোট দিয়ে ৫০ ডলার ফেরত নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। ঘন্টাখানেক পরেই ফেরত চাইবার সময় ব্যাটা পুরা পল্টি খাইলো। এখানকার ট্যাক্সি চালকরা সবাই বয়ষ্ক এবং শিক্ষিত। কারণ, এখানে বয়সের কারণে কাজ না করার সুযোগ নেই। আর লিভিং কস্টও হাই। অপরদিকে, ট্যাক্সি চালানো তুলনামূলক সহজ, নিয়মতান্ত্রিক এবং আয়ও ভালো। তাই অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিকরা সাধারণতঃ এটাকেই প্রেফার করে; এদের অধিকাংশই যুবা বয়সে বেশভাল চাকরী করতো। হয়তো সিঙ্গাপুর তরুনদের জায়গা বলে এখানে কর্মহীন বুড়োদের কোন স্থান নেই
এখানে প্রতিটি জায়গায় বাবা-মা'র সাথে শিশুদের ঘুরে বেড়াতে দেখলাম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ (অবশ্যই পয়সাওয়ালা) আসে এখানে বেড়াতে। একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম, পৃথিবীর সব শিশুই আসলে একই রকম। তারা সবাই একইভাবে আবদার করে, একইভাবে রাগ করে, একই কারণে খুশি হয়। তারা বাস করে এক বৈষম্যহীন-আদর্শ পৃথিবীতে। আমরা তাদের টেনে সিয়ে আসি আমাদের শ্রেনী-বিভাজিত নোংরা জগতে! সব দেখতে দেখতে মনে হল, যদি আমার কোন দিন সাধ্যে কুলায়, অবশ্যই আমার পিচ্চিদের নিয়ে এখানে আসবো। তাদের আনন্দ-আবদার চোখের সামনে দেখতে পারাও নিশ্চই সিঙ্গাপুর ভ্রমনের চাইতে কোন অংশে কম হবে না
ছবিস্বত্বঃ লেখক
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আররে জোওশ।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আসলেই জোশশশশশ!
৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসাধারণ, অসাধারণ রকম সুন্দর একটা পোস্ট।
সিঙ্গাপুরেও মিশর আছে দেখে অবাক হলাম। না জানি আরও কত জায়গায় এই মিশর আছে।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন...মিশর আছে। তবে তাহরীর স্কোয়ার নাই বলে বেঁচে গেছি...
৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ রকম সুন্দর একটা পোস্ট। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: জায়গাটাই অসাধারণ...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
আজীব ০০৭ বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
সোহানী বলেছেন: ওফ আপনার অসাধারন ভ্রমন কাহিনী বর্ননা......... দিলেনতো মেজাজটা বিগড়াইয়া........ এখন সিঙ্গাপুরে না যাওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই.....
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মাঝে মাঝে বিভিন্ন ট্যুর কোম্পানি প্যাকেজ দেয়...ঘুরে আসতে পারেন। এক সপ্তাহ সময় নিয়ে গেলে ধীরে সুস্থে ঘুরে আসতে পারবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
মাইরালা বলেছেন: খুব ভালো লাগল। পোস্টে ++
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনার ভাল লাগাতেই আমার আনন্দ!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
মেহেরুন বলেছেন: তোমার পোস্ট নির্বাচিত পাতায় গেছে। অভিনন্দন
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: তাই তো দেখলাম
৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বহুদিন পর একটা দুর্দান্ত ভ্রমন পোষ্ট পড়লাম। ছবি বর্ননা লেখা সব মিলিয়ে অসাধারন!
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সিংগাপুর গেলে এখান থেকে কিছু আইডিয়া পেলেও পেতেে পারেন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
নিশাত তাসনিম বলেছেন: ভাল লাগলো ।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২২
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ট্রান্সফরমার রাইডটার কথা আজও ভুলতে পারিনা, কি দেখলাম! আর কি ফিলিংস! সুইসাইড না করেও বিল্ডিং থেকে পড়ে যাওয়াটা ফিল করেছিলাম। রোলার কোস্টারে চড়া এবং হেটে বেড়ানোয় এমন টায়ার্ড হয়ে গেছিলাম, মামির সেটে আর ঢুকিনি। আবার কখনো গেলে এগুলো মিস করবোনা।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মামি'র রাইডটা ভয়াবহ...কারণ এটা পুরো আঁধারে, আপনি কত উঁচুতে বা নিচুতে কিছুই বুঝতে পারবেন না, কেবল পেটের ভিতর ফিল করতে পারবেন। সবচেয়ে ভয় লাগে যখন রাইডটা পুরোপুরি পিছনে চলতে শুরু করে...
আমরা যখন গিয়েছিলাম আবহাওয়ার কারনে রোলার কোস্টার বন্ধ ছিল... :-&
পরেরবার মিস করবেন না।
১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
ইছামতির তী্রে বলেছেন: পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমিও আপনাদের সাথে ছিলাম! খুব ভাল লাগলো।
যাক, খুব অবাক করা ব্যাপার হলো এই সিঙ্গাপুরকেই মালয়েশিয়া এক সময় বহিস্কার করেছিল!!
০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যাক্, আপনাকে একটা ভার্চুয়াল ট্যুর দিতে পারলাম...
করতে পারে। এবিষয়ে আমার তেমন একটা জ্ঞান নেই। তবে, মালয়শিয়া বা সিঙ্গাপুর- কেউই কিন্তু কারও থেকে পিছিয়ে নেই
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই ঘুরসেন!
০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সময় স্বল্পতায় ভালমত ঘুরতে পারি নাই...
১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: সেখানে ৩০-৪৫ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পরে আপনি ট্যাক্সিতে উঠতে পারবেন।
এখানে আপনি আরো দুটো লাইন এ্যাড করতে পারেন, যদি আপনি লাইনে দাঁড়াতে না চান, ট্যাক্সি কল করতে পারেন। প্রতিটা ট্যাক্সি ষ্ট্যান্ডে অথবা ট্যাক্সির গায়ে নাম্বার দেখতে পাবেন। তিন থেকে সাত মিনিটের মাথায় ট্যাক্সি পেয়ে যাবেন। তবে এর জন্য আপনাকে আড়াই থেকে সাড়ে তিন ডলার এক্সট্রা চার্জ গুনতে হবে, এই যা।
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যখন হোটেল থেকে উঠতাম তখন নিচেই সিরিয়ালি ট্যাক্সি আসতে থাকতো...আর শপিং এ গেলে কল করে ট্যাক্সি আনানোর কথা আর মাথায় আসে নাই...সো সোজা লাইনে...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১০:১৯
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: মনোরম লেখা।
একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, নিজের বাচ্চা আসি আসি করছে, তাই অবচেতনে বাচ্চাদের মুভমেন্টই বেশী মনে রেখেছেন!
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ঠিকই ধরেছেন...
:!> :!>
১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১১:২২
সিফাত সারা বলেছেন: এত সুন্দর পোস্ট একবার পরে মন ভরল না তাই প্রিয়তে রেখে দিচ্ছি ।
অনেক ভাল লাগল ।
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ
১৭| ০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৫
নীল জোসনা বলেছেন: ঘুরে বেড়ানোর বর্ননা দারুন হয়েছে । অস্কার ট্রফির পরের কাহিনী জানা গেল না ।
শুভ কামনা আপনার পরিবারের জন্য ।
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: অস্কার হতে পাওয়ার পরের অনুভূতি নিয়ে অস্কারজয়ী খুব শীঘ্রই কোন পোস্ট দেবেন আশাকরি
১৮| ০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০২
জুন বলেছেন: আপনার চোখে দেখে নিলাম আবার সেই সিঙ্গাপুরকে । সুন্দর বর্ননা ভালোলাগলো ।
আপনি বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমন করার সময় যে ডলারের উল্লেখ করেছেন সেটা নিশ্চয় সিঙ্গা ডলার । আমি তো প্রথমে ইউ এস ডলার ভেবে আতকে উঠলাম। পরে মনে পড়লো সেখানেও তো ডলার ।
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হ্যাঁ, সবই সিঙ্গাপুরী ডলার...কিন্তু তাতেও যা খরচ দাঁড়ায় খুব কম নয়
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১৯| ০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
আনিক বলেছেন: দারুন বর্ণনা.......তবে একটা বিষয় বাদ পড়ে গ্যাছে , এখানে কল / ট্যাপের পানি নির্ভয়ে পান করা যায় কারণ , তা ১০০% পরিশোধিত ....তাই পানি কিনে খাবার খুব একটা প্রয়োজন নেই........কিনতে হলে জুস কিনবেন.....হরেকরকমের জুস......দামেও সস্তা এবং স্বাস্হ্যসম্মত ........
০৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ইসসসস...আগে জানলে তো ভাই আমার কয়টা টাকা বাঁচাইতে পারতাম...আফসুস :-& :-& :-&
২০| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২৪
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: সুন্দর বর্ননা , চমৎকার ভ্রমণ পোস্ট ।
০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
২১| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
সিজ্ঞাপুর সুন্দর
সাথে লেখকও
১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: লেখক বড়ই পুলকিত :!> :!>
২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
রোদের গল্প বলেছেন: ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো!
শুভেচ্ছা!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ!
২৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
আরমিন বলেছেন: নাইস রাইট আপ !
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: থ্যাংকস ফর দ্যা কমেন্ট!
২৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
এ ধরণের পোস্ট, যারা ঘুরতে যাবেন, তাদের জন্য খুবই উপকারী। ছবি, বর্ণনা দুই'ই সুন্দর আর সাবলীল।
"পৃথিবীর সব শিশুই আসলে একই রকম। তারা সবাই একইভাবে আবদার করে, একইভাবে রাগ করে, একই কারণে খুশি হয়। তারা বাস করে এক বৈষম্যহীন-আদর্শ পৃথিবীতে। আমরা তাদের টেনে সিয়ে আসি আমাদের শ্রেনী-বিভাজিত নোংরা জগতে!"
এ বাক্যটি পোস্টকে এক ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গিয়েছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
২৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: উপভোগ্য একটি পোস্ট। ধন্যবাদ।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
প্রিয় জন বলেছেন: nice post