![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, দেশ কে নিয়ে নিজেকে নিয়ে..... ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি বড় স্বপ্ন না দেখলে জীবনে বড় কিছু হওয়া যায় না.....তাই দেশ কে নিয়ে নিজেকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখি.... স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ইউরপের প্রতিটি দেশ কে ছাড়িয়ে যাবে।
‘লুঙ্গি’ শব্দটা শুনলেই একটা আরামদায়ক, প্রশান্তির ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ লুঙ্গি পরে আসছে। ধনী-গরিবনির্বিশেষে বিভিন্ন বয়সী মানুষের প্রাণের পোশাক এই লুঙ্গি যেন শ্রেণীবৈষম্যহীনতার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। অথচ সম্প্রতি বারিধারার বাড়ির মালিকেরা লুঙ্গি পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তাঁদের আদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে লুঙ্গি পরিহিত কোনো রিকশাচালক বারিধারায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এ আদেশকে বাংলাদেশিদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সংস্কৃতির ওপর এক চরম আঘাত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লুঙ্গি আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য-সংস্কৃতির অংশ। পুরো দেশের মানুষ অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে লুঙ্গি পরিধান করেন। ভ্রমণের সময় সবার আগে যে পোশাকটি ব্যাগে ঢোকে, তা হলো লুঙ্গি। জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশ ছেড়ে যাঁরা বিদেশে থাকেন, তাঁরা এ দেশের স্মৃতির সঙ্গে লুঙ্গিও নিয়ে যান। প্রতিদিন কী পরিমাণ লুঙ্গি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়, তার হিসাব জাতীয় পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের কাছে থাকলে বোঝা যেত যে লুঙ্গি বিদেশেও কতটা জনপ্রিয়। ঐতিহ্য-সংস্কৃতির অংশ বলেই বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে লুঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়। কদিন আগে বাংলাদেশে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিটি দেশের অধিনায়ককে বহন করা রিকশার চালক ছিলেন লুঙ্গি পরা। বারিধারার ধনী বাড়িমালিকেরা চান রিকশাচালকেরা মার্জিত-রুচিশীল পোশাক পরুক। তাই তাঁরা লুঙ্গি নিষিদ্ধ করেছেন। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এত এত অতিথির সামনে যদি লুঙ্গি পরা রিকশাচালকেরা মাঠ প্রদক্ষিণ করতে পারেন, তাহলে বারিধারায় সমস্যা কোথায়? কে জানে, হয়তো বিশ্বকাপের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-অতিথিরা খুব একটা রুচিশীল নয়। লুঙ্গিকে যাঁরা রুচিশীল ভাবেন না, তাঁদের রুচিবোধ যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক ঘটায়। তাঁদের জানা উচিত, কবি নজরুল থেকে শুরু করে অনেক জ্ঞানী-গুণীরাও লুঙ্গি পরতেন। মালিকদের এমন স্বৈরাচারী মনোভাবের পেছনে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র বা ব্যবসায়িক এজেন্ডা কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা আজ সময়ের দাবি। কারণ, প্যান্ট একটি বিদেশি পোশাক। দেশীয় পোশাকের প্রচলন কমিয়ে বিদেশি সংস্কৃতির প্রতি সমাজের দরিদ্র মানুষগুলোকে নির্ভরশীল হতে বাধ্য করছে কি না তাও ভাবার বিষয়। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথাই নেই। মনে রাখতে হবে, তারাও কিন্তু বাসায় লুঙ্গি পরেন। আজ রিকশাচালকেরা পরতে পারছেন না, ভবিষ্যতে হয়তো বাসায়ও কেউ লুঙ্গি পরতে পারবেন না। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। এমন স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের ‘যাবজ্জীবন লুঙ্গি পরিধান’ টাইপের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ এই অন্যায় আদেশের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
©somewhere in net ltd.