নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নোবেল হোসেন সাজিদ।

স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, দেশ কে নিয়ে নিজেকে নিয়ে..... ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি বড় স্বপ্ন না দেখলে জীবনে বড় কিছু হওয়া যায় না.....তাই দেশ কে নিয়ে নিজেকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখি.... স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ইউরপের প্রতিটি দেশ কে ছাড়িয়ে যাবে।

নোবেল হোসেন সাজিদ। › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন অতঃপর স্বপ্নভঙ্গ :

২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ । মেঘেদের আনাগোনা চলছে ব্যাপক । যেকোনো সময় বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার সম্ভবনাও প্রবল । জানালাটা বন্ধ করেই আকাশ দেখছি থাই গ্লাস এর ভেতর থেকে আর পরীটার কথা ভাবছি মনে মনে ।

মেঘাচ্ছন্ন আকাশটায় হঠাৎ এক আলোর রেখা দেখা দিল । সাদা আলো । উজ্জল সাদা আলো । আলোর তীব্রতা ক্রমশই বাড়ছে আর ধেয়ে আসছে নিচের দিকে । আলোটা এক সময় জানালার কাছে চলে আসলো । আমার জানালার কাছে । কাচ ভেদ করে ভেতরেও প্রবেশ করে ফেলল । চোখ ধাঁধানো আলোয় চারদিক ভরে গেলো । তীব্র আলোয় কিছুটা আবিষ্ট হয়ে গেলাম । চারদিকে শুধু সাদা আলোই দেখা যাচ্ছে । চারদিক থেকে ঘিরে ধরা আলোটা দেখি এবার আমাকে তুলে নিয়ে যেতে চাইছে । আলোর রূপ ধরে কি তাহলে যমদূতই চলে আসলো ! এত তাড়াতাড়িই তাহলে চলে যেতে হবে ! সুন্দর পৃথিবীটা ছেড়ে একদমই যেতে মন চাইছেনা । প্রচন্ড শক্তি দিয়ে আলো থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইলাম । পারলাম না, আলোর শক্তির কাছে পরাজিত হতে হল । আলোটা শেষ পর্যন্ত আমাকে তুলেই নিয়ে যাচ্ছে । কাচ ভেদ করে যেভাবে প্রবেশ করল আলোটা সেভাবে কাচ ভেদ করে যাবার কোনো চেষ্টাই করলো না । আলোটা দরজা দিয়ে বারান্দায় চলে গেলো এবং বারান্দার গ্রীল ভেদ করেই বের হয়ে গেলো সঙ্গে করে আমাকে নিয়ে ।

মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো । পরীটার সাথে বুঝি আর শেষ দেখা করতে পারলাম না এই ভেবে । আলোটা ঠিক যেই গতীতে নিচে নেমে আসেছিল ঠিক সেই গতীতেই আবার উপরে উঠতে লাগলো । মেঘের উপরে এসেই থেমে গেলো আলোটা । আমাকে মেঘের উপরে রেখে হঠাৎ করেই আলোটা মিইয়ে গেলো মেঘেদের সাথে । আর ঠিক তখনই আমি আবিষ্কার করলাম পরীটাকে ।পরীটা ঠিক আমার দিকেই তাকিয়ে আছে আর মিটমিট করে হাসছে । বুঝলাম পরীটাই হয়ত এসব করিয়েছে । কিন্তু পরীটাকে এভাবে এখানে দেখে অবাকই হলাম আমি । পরীটা এখানে আসলোই বা কিভাবে ! কিভাবেই বা এসব করালো ! তবে পরীটাকে কাছে পাওয়ার খুশীতে সকল সংশয় এবং প্রশ্ন মাথা থেকে চলে গেলো । তবে কিছুটা রাগ হলাম পরীটার উপর, কেনই বা এভাবে ভয় দেখিয়ে কিছু না বলে নিয়ে আসলো । আমারতো প্রচন্ড কষ্টই হচ্ছিল আলোটার সাথে আসতে এই ভেবে যে, পরীটাকে বুঝি আর দেখতে পারব না । আমাকে বললেই তো হতো, আমি না হয় “ইকারুসের” মত এক জোড়া ডানা বানিয়ে ফেলতাম । তারপর সেই ডানায় ভর করে উড়তে উড়তে মেঘের উপর পরীটার কাছে চলে আসতাম ।

অবশ্য বেশিক্ষন আর রাগ করে থাকতে পারলাম না । পরীটার মায়ামাখানো মুখটার দিকে তাকিয়ে রাগ গুলো পুরোপুরি চলে গেলো । হঠাৎ হাতটা চেপে ধরল, পরীটাই হাতটা চেপে ধরলো প্রচন্ড শক্ত করে । তারপর ভেসে বেড়াতে থাকলাম দুজন মেঘেদের সাথে, পুরো পৃথিবীটা প্রদক্ষিন করতে থাকলাম মেঘেদের সাথে ভাসতে ভাসতে পরীটাকে নিয়ে । একটা সময় পরীটা থমকে গেলো । হাতটাও ছেড়ে দিলো । হঠাৎ পরীটা হাসতে শুরু করলো । আকাশ কাঁপিয়ে হাসতে লাগলো । একটা সময় মেঘগুলোও হাসতে শুরু করলো পরীটার সাথে । মেঘগুলো হয়ত পরীটার হাসির মানে বুঝে । পরীটাও হয়ত মেঘেদের ভাষা বুঝে । আমিই শুধু হাসতে পারলাম না, কেনো যেনো । শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েই থাকলাম । হঠাৎ সবার হাসি থেমে গেলো । এক গাঢ় অন্ধকার হঠাৎ করে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলো । সবকিছুকে হারিয়ে ফেললাম, পরীটাকে এবং মেঘগুলোকে । গাঢ় অন্ধকারেই ডুবে গেলাম ……………





--- ঘুমটাও আমার তখনই ভেঙ্গে গেলো । স্বপ্নই দেখছিলাম এতক্ষন । বাস্তব কোনো কিছু নয় । স্বপ্নতেই

সম্ভব এমন অবাস্তবিক কিছু যা বাস্তবে সম্ভব নয় ।

এ কোনো শেষ রাতের দেখা স্বপ্ন নয়, গভীর রাতে দেখা কোনো মর্মস্পর্শী স্বপ্নও নয় । এ এক অলস দুপুরে দেখা স্বপ্ন ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: বিষাদ

২| ২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

ডি মুন বলেছেন: আর ঠিক তখনই আমি আবিষ্কার করলাম পরীটাকে ।পরীটা ঠিক আমার দিকেই তাকিয়ে আছে আর মিটমিট করে হাসছে । বুঝলাম পরীটাই হয়ত এসব করিয়েছে । কিন্তু পরীটাকে এভাবে এখানে দেখে অবাকই হলাম আমি । পরীটা এখানে আসলোই বা কিভাবে ! কিভাবেই বা এসব করালো ! তবে পরীটাকে কাছে পাওয়ার খুশীতে সকল সংশয় এবং প্রশ্ন মাথা থেকে চলে গেলো । তবে কিছুটা রাগ হলাম পরীটার উপর, কেনই বা এভাবে ভয় দেখিয়ে কিছু না বলে নিয়ে আসলো । আমারতো প্রচন্ড কষ্টই হচ্ছিল আলোটার সাথে আসতে এই ভেবে যে, পরীটাকে বুঝি আর দেখতে পারব না ।

বারবার 'পরীটা' শব্দ ব্যবহার করাতে একটু কানে লাগলো। আপনি চাইলে অনায়াসেই সর্বনাম ব্যবহার করে পাঠকের জন্য লেখাটি আরো শ্রুতিমধুর করতে পারেন।


সর্বনামের ব্যবহার আপনার লেখনীকে আরো সুন্দর করুক। ধন্যবাদ।

২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১১

নোবেল হোসেন সাজিদ। বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

ডরোথী সুমী বলেছেন: 'পরী' হয়তো আবার আসবে আপনার স্বপ্নে, বাস্তবেও আসতে পারে। শুভ কামনা রইলো।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নোবেল হোসেন সাজিদ। বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.