নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যান্বেষী, সত্যভাষী, মনে যা আসে তাই লিখি। তবে কাউকে কষ্ট দিয়ে নই

শাহজাহান নবীন

শাহজাহান নবীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মডেল হওয়ার অসংগত স্বপ্ন ও পরিণতি

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:২৮

বছর খানেক আগের কথা। দেশের পত্রপত্রিকার শোবিজ পাতায় হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জ্যাকুলিন মিথিলা। পারিবারিক নাম যদিও জয়া শীল। নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা জয়া ভালবেসে বিয়ে করেন। নিজের পরিবার ও স্বামীর পরিবার নিয়ে অার্থিক টানাপোড়েন ছিল। পত্রপত্রিকা মারফত যতটুকু জেনেছি। অল্প সময়ে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি অর্জনের স্বপ্ন নিয়ে জয়া পরিবার ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। রাজধানীর রামপুরার একটি ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করে উঠতি জ্যাকুলিন। স্বপ্ন পুরণের নেশায় মেতে ওঠে মেয়েটি। খোলামেলা অঙ্গভঙ্গি ও মডেল হিসেবে নগ্নতাকে অবলম্বন হিসেবে বেছে নেয় সে। কিছুদিন ভালিই কাটলো তার। হঠাৎ একদিন কথিত সম্ভাবনাময় জ্যাকুলিন মিথিলার ঝুলন্ত লাশ আবিস্কার করলো পুলিশ। তার পরিবার মামলা করলো তার স্বামী আর শ্বশুর বাড়ীর লোকদের নামে।অভিযোগ তারা জ্যাকুলিনকে অত্যাচার করতো। এসব অভিযোগ যখন আদালত পাড়ায় প্রমাণের জন্য ফাইল বন্দি। তখন জানা গেল অন্যরকম খবর। মডেল জগতে প্রথম দিকে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্টদের আকর্ষণ করতে পারলেও হতাশায় ভুগতো সে। কি হবে ক্যারিয়ারের? কেমন হবে? কিভাবে দেশ সেরা মডেল হওয়া যায় এনিয়ে তার চিন্তা গিয়ে দাড়ালো দুশ্চিন্তার চিলেকোঠায়। জানা গেছে, শরীর প্রদর্শণ করে তিনি রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিণতি কি হলো?
এবার আরেকটু পেচনে যাওয়া যাক..... নায়লা নাঈম! বাংলার সানি লিওন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে যার মডেলিংয়ে আবির্ভাব। কিছুদিন মাঠও গরম করলেন বেশ। আপত্তিকর ও সমালোচনার যোগ্য বেশ কিছু বিতর্কিত দৃশ্য উপহার দিলেন ভক্তদেরকে। এই মারেঙ্গা, সেই কারেঙ্গা ভাব নিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটে চললেন নায়লা। তিনি আলো ছড়াতে চেয়েছিলেন শরীরের উপস্থিতি দিয়ে। কিন্তু তিনি জানেন না যে, তার ওই শারীরিক উপস্থিতি মানুষ অন্ধকার অথবা দরজা বন্ধ করে দেখে। প্রকাশ্যে অথবা দশজনের সামনে তার সৃষ্টিকর্ম উপভোগ করার অবস্থা তিনি ধরে রাখেননি। যার ফলে এখন তার নাম ডাক খুব একটা শোনা যায় না। সর্বশেষ ‘যদি থাকে অস্কার, একটু প্রাইভেসি দরকার’ শিরোনামে বিজ্ঞাপন চিত্রে তাকে দেখা গেছে। যেখানে তিনি একজন ক্রিকেটারকে বেশ ভাল মতোই সমালোচনার মঞ্চে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও ওখানে তার কোন ভূমিকা ছিলনা।
মুল কথায় আসি....... দুজন উঠতি মডেলের সামান্য কিছু কথা লিখে কি বোঝাতে চেয়েছি? কি বলতে চায় লেখক?
বলতে চাই,
দেশে অনেক মডেল আছে, অনেক নায়িকা আছে যাদের ব্যক্তিত্ব ও উপস্থিতি মানুষ অনুকরণ করে। মানুষ তাদের ছবি বিলবোর্ডে দেখে দুবার চোখ বুলায়। প্রকাশ্য দিবালোকে, সবার সামনে তাদের অংশ নেয়া বিজ্ঞাপন, নাটক, সিনেমাগুলো দেখে মানুষ। যে সব মডেল ও নায়িকাদের পোশাক, কথা বলার ধরন ও পর্দায় শারীরিক উপস্থিতি মানুষ সম্মানের সাথে নেয়। এমন মডেল, নায়িকারা একসময় তাদের মার্জিত ও রুচিসম্মত সৃষ্টিকর্মের দ্বারা নায়িকা থেকে নায়িকার মায়ের চরিত্রে স্থান নেই। একসময় দাদি বা নানির চরিত্রে তারা জায়গা পায়। তাদের উপযোগীতা কখনো শেষ হয়না। কারণ মানুষ সব সময় ভাল জিনিসের প্রতি আগ্রহী থাকে। যে মানুষটা সব থেকে খারাপ, সেও ভাল হওয়ার চেষ্টা করে। যখন সে একাকি থাকে তখন সে ভাল হওয়ার উপায় হাতড়ে খুঁজে। হয়তো কেউ পায়, কেউ পায়না। কিন্তু যে অল্প সময়ে শরীর ও ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে কাউকে খুশি করে পরনির্ভরশীল হয়ে খ্যাতি পাওয়ার প্রতিযোগীতায় নামে। তাদের পরিণতি জ্যাকুলিনদের মত হলে জাতি বিস্মিত হয় না। বরং আফসোস করে।

মনে রাখবেন, আপনার শরীর ও তার সৌন্দর্য্য স্থায়ী নয়। যেকোন সময় তা অকেজো বা স্থীর হয়ে যেতে পারে। উপযোগীতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এধরণের অনিশ্চিত ও ক্ষনস্থায়ী অমূল্য সম্পদকে অবহেলা করে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করবেন না। কারণ মনে রাখা উচিত যে, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি থাকে। আর সততা, নৈতিকতা ও রুচিশীলতা ব্যবসায় উন্নতির মূল চাবিকাঠি। কাজেই সাবধান হও...........
মূলের দিকে ধাবিত হও। শিকড়কে ভুলে যেও না ভাই-বোনেরা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.