![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা ১
ইমামুস সাদিছ হযরত ইমাম জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম ও এক নাস্তিক নাবিক
হযরত ইমাম জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম উনার বিতর্ক হয়েছিলো এক নাস্তিক নাবিকের সাথে। সে নাবিক বলতো যে আল্লাহ পাক বলতে কিছু নেই (মাজাল্লাহ)!
হযরত ইমাম জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তো জাহাজ চালক, সমুদ্রে কি কখনো তুফানের সম্মুখীন হয়েছিলে?
সে বললো, হ্যাঁ, আমার স্পষ্ট স্মরণ আছে যে, একবার আমার জাহাজ সমুদ্রের ভয়ানক তুফানে পতিত হয়েছিল।
হযরত জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কি হয়েছিলো?
সে বললো, আমার জাহাজ ডুবে গিয়েছিলো এবং জাহাজের সমস্ত যাত্রী ডুবে গিয়েছিলো।
হযরত জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কিভাবে বেঁচে গেলে?
সে বললো, আমার হাতে কাছে জাহাজের একটি তক্তা ভেসে এসেছিলো। আমি সেটার সাহায্যে সাঁতরিয়ে কূলের প্রায় কাছাকাছি এসে গিয়েছিলাম। কিন্তু পানির স্রোতে সে তক্তাটি হাতছাড়া হয়ে যায়। তখন নিজেই চেষ্টা করতে লাগলাম, হাত-পা নাড়াচাড়া করে কোন মতে কিনারে এসে পৌঁছলাম।
হযরত জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এবার আমার কথা শোন-
যখন তুমি জাহাজে ছিলে, তখন তোমার জাহাজের উপর এ বিশ্বাস ও আস্থা ছিলো যে, এ জাহাজ তোমাকে কূলে পৌঁছাবে। যখন সেটা ডুবে গেল তখন তোমার আস্থা ও ভরসা তক্তার উপর ছিলো, যা হঠাৎ তোমার হাতে লেগেছিলো। কিন্তু যখন সেটাও তোমার হাতছাড়া হয়ে গেল, তখন সে অসহায় অবস্থায় তোমার কি এ রকম আশা ছিলো যে, কেউ বাঁচাতে চাইলে আমি বাঁচতে পারি?
সে বললো, এ আশাতো নিশ্চয়ই ছিলো।
হযরত জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, কার কাছে এ আশা ছিলো? কে বাঁচাতে পারে?
এ প্রশ্নে সে নাস্তিক নিশ্চুপ হয়ে গেল।
হযরত জাফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ভালমতে স্মরণ রেখ, সে অসহায় অবস্থায় তুমি যে সত্ত্বার কাছে আশাবাদী ছিলেন, তিনিই হলেন মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন। তিনিই তোমাকে বাঁচিয়েছেন। নাবিক এ কথা শুনে মোহমুক্ত হলো এবং ইসলাম গ্রহণ করলো। (তাফসীরে কবীর ২২১ পৃষ্ঠা ১ম খণ্ড)
নছীহত : মহান আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই একজন আছেন। বিপদের সময় অনায়াসে মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে খেয়াল যায়। মহান আল্লাহ পাক উনার অস্তিত্বের স্বীকার স্বভাবগত বিষয়।
ঘটনা ২
ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ও এক নাস্তিক পণ্ডিত
একবার ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুনাজেরা (বাহাছ) হয়েছিল মহান আল্লাহ পাক উনার অস্তিত্বে অস্বীকারকারী এক নাস্তিকের সাথে।
মুনাজেরার বিষয় ছিল, পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা। এতবড় ইমাম উনার সাথে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুনাজেরা দেখার জন্য শত্রু-মিত্র সবাই যথাসময়ে মুনাজেরার স্থানে সমবেত হয়ে গেল। নাস্তিক লোকটিও যথাসময়ে পৌঁছে গেল। কিন্তু হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরীতে সমাবেশে তাশরীফ মুবারক আনলেন।
নাস্তিক পণ্ডিত ব্যক্তিটি জিজ্ঞাসা করলো, আপনি এত দেরী করলেন কেন?
ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, জঙ্গল দিলে আসার সময় এক অদ্ভুত ঘটনা চোখে পড়লো, সেটা দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে ওখানে থমকে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
ঘটনা হলো, নদীর কিনারে একটি বৃক্ষ ছিলো। দেখতে দেখতে সেই বৃক্ষটি নিজেই কেটে গেলো। এরপর নিজেই তক্তায় পরিণত হলো। অতঃপর সেই তক্তাগুলো নিজেরাই একটি নৌকা হয়ে গেল এবং সে নৌকা নিজে নদীতে নেমে গেল এবং নিজেই নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে যাত্রী আনা নেয়া করতে লাগলো। নিজেই প্রত্যেক যাত্রী থেকে ভাড়া আদায় করতে ছিলো। এ দৃশ্যটি দেখতে গিয়ে আমার দেরী হয়ে গেলো।
নাস্তিক পণ্ডিত এটা শুনে অট্টহাসি দিলো এবং বললো, আপনার মতো একজন বুযূর্গ ইমাম উনার পক্ষে এ রকম বলা খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার। এ রকম কি নিজে নিজে কিছু হতে পারে? কোন কারিগর না থাকলে, এ রকম কাজ কিছুতেই হতে পারে না।
হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, এটাতো কোন কাজই না। তোমার মতে তো এর থেকে অনেক বড় বড় কাজ এমনিতে হয়। এ পৃথিবী, এ আসমান, এ চাঁদ, সূর্য, তারকারাজি, বাগানসমূহ, রং-বেরংয়ের নানা রকম ফুল, সুমিষ্ট ফল, এ পাহাড় পর্বত, জীবজন্তু, মানব-দানব সব কিছু কোন সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত এমনিতেই হয়ে গেছে। যদি কোন একটি নৌকা কোন কারিগর ছাড়া এমনিতে তৈরি হয়ে যাওয়াটা মিথ্যা হয়, তাহলে সমস্ত পৃথিবীটা সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত নিজেই তৈরি হয়ে যাওয়াটা ডাহা মিথ্যা ছাড়া আর কি হতে পারে ?
উনার বক্তব্য শুনে নাস্তিক পণ্ডিত বিমোহিত হয়ে গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে স্বীয় ভ্রান্ত ধারণা ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে গেল। (তাফসীরে কবীর ২২১ পৃষ্ঠা ১ম খণ্ড)
নছীহত : এ বিশ্বের নিশ্চয় একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। যাঁর নাম মুবারক মহান আল্লাহ পাক। মহান আল্লাহ পাক উনার অস্তিত্বের অস্বীকার যুক্তিরও বিপরীত।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪
দুর্বার বলেছেন: ইসলাম নিয়ে কিছু লিখলেই কি ব্যাটা ছাগু??
এই খানে কি সে জামাত শিবির এর বিধ্বংশী কোনো আহবান জানাইছে।
যত্তসব আতেল পাব্লিক!!
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
আব্দুর রহ্মান বলেছেন: নাস্তিকদেরকে ইসলামের দিকে টেনে নিতে পোস্ট দিলেন। তাদেরকে যুক্তির মাধ্যমে ভূল প্রমান করার চেস্টা করলেন।
একই কাজ যদি কোন নাস্তিক করে, তাহলে? যদি সে আপনার ধর্মের ভূল গুলো ধরিয়ে দিয়ে আপনাকে আলোর পথে আনতে চায় আপনি কি করবেন? যুক্তি না শুনে গালি দেয়া শুরু করবেন তাইতো?
আপনি থাকেন আপনার ধর্ম নিয়া। অন্যদের নিয়ে না ভাবলেও চলবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০১
দিশার বলেছেন: এত ভুয়া লজিক দেয় আপনাদের ইমাম রা? হাহাহা লজিক ১০১ ক্লাস ও তো পাশ করতে পারবেনা .