![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একেকটা সময় আসে যখন আশেপাশের সবকিছুকেই নিরর্থক লাগতে শুরু হয় খুব বেশি মাত্রায়। হাসি,কান্না,কথা বলা,ভাবনা,বেঁচে থাকা এমনকি মরে যাওয়াটাও। এই সময়গুলির নাম দিয়ে থাকি স্থবির সময়। কেননা ওই সময়টায় কিছু মুহূর্তের জন্য হলেও আমি যুগপৎ ভাষাহীনতা ও স্থবিরতায় আক্রান্ত হই। আর সময়ের সুতোগুলো হাত থেকে খুলে খুলে হারিয়ে যায় একটু একটু করে। আমি জড় ও নিথর দৃষ্টিতে আশেপাশের চলমান দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে তাদের অর্থহীনতার সীমারেখা পরিমাপে ব্যর্থ হয়ে মৌন কিছু দীর্ঘশ্বাস ফেলি। এই অস্বস্তিকর স্থবিরতার দ্বন্দ্ব অবশ্য কমে না তাতে। বরং রাতের একেকটা প্রহরের সাথে সাথে তারা বেড়ে উঠতে থাকতে সমান্তরালে; গজিয়ে ওঠে তাদের শিকড় বাকড়,শাখা প্রশাখা আর ক্রমশঃ তার জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে আমি আটকে যেতে থাকি।
স্থবিরতার যন্ত্রণাটা একটা সময় মাথার ভেতর অসহনীয় হয়ে উঠলে নিজেকে ধাক্কা দেয়াটা জরুরি হয়ে ওঠে। তখন ইচ্ছে হয় একটা গিটার হাতে নিয়ে তার স্ট্রিংগুলোর উপরেই যন্ত্রণার যাবতীয় জঞ্জালটা ঝেড়ে দিতে। কিংবা নিদেনপক্ষে চিত্কার করে একটা গান গাইতে। তবু স্তব্ধতার প্রতি অধিক আনুগত্যবশতঃ করা হয়ে ওঠেনা কোনটাই। এইভাবে যন্ত্রণাগুলো একে একে জমে উঠতে থাকে নিঃশব্দে নিভৃতে। আঁচড় কাটতে থাকে পেলব অথচ নির্মম নৃসংশতায়। আমি তাদের লালন করি। তাদের ঘরবসতি বানাই এবং খাদ্য যোগাই নিয়মমাফিক। ফলতঃ সময়ের ব্যাপ্তির সাথে সাথে তাদের নখরগুলো হয়ে ওঠে পরিপুষ্ট এবং আঁচড়গুলো ধারালো।
এরকম অর্থহীনতার স্থবিরতা থেকে নিজেকে মুক্তি দেয়ার একমাত্র খোলা পথ আরো বেশি অর্থহীন কিছুতে মেতে উঠে কিছু সময়ের জন্য মনোযোগ সরিয়ে নেয়া। প্রক্রিয়াটা হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ও ধারাবাহিক। এবং ফলাফলটা আসে হাতেনাতেই। কিন্তু আবার কখনো কর্মহীনতায় একা হয়ে গেলেই স্থবিরতাটা শক্তভাবে জেঁকে বসে। এ যাত্রায় তার সাথে এসে যুক্ত হয় যাবতীয় অপরাপর যন্ত্রণাসমূহ। তার মধ্যে থাকতে পারে ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্নহনন ও স্বপ্নহীনতা,যাপিত জীবন বিষয়ক দ্বন্দ্ব ও ক্লেদাক্ততা, সামষ্টিক সম্পর্কের সূতো বোনায় ব্যর্থতা এবং প্রত্যাশা পালন ও ভঙ্গ হবার যন্ত্রণাজনিত ধারাবাহিক বেদনাগুলি। এরা যখন যুথবদ্ধ হয়ে ওঠে তখন তাদের বলা যায় অপ্রতিরোধ্য। মস্তিষ্কের ভেতর অবিরত বিউগল বাজাতে বাজাতে তারা আমাকে প্রকারান্তরে আচ্ছন্ন করে ফেলে নেশার ঘোরে। যন্ত্রণা প্রশমনের বদলে তাকে নিজের কাছে সযত্নে ধরে রাখাতেই তাই ঝোঁক থাকে বেশি।
তাদের বাড়িয়ে দেয়া পাঁচটা হাতের আঙ্গুলে নিজেকে আপাদমস্তক জড়িয়ে নিয়ে আমি রাতের কোলে শুয়ে শুয়ে একাকী অন্ধকারের গাঢ় হয়ে ওঠার একেকটা স্তর গুনি। নিঃসঙ্গতা তাতে পূর্ণ মাত্রা যোগ করে। মানুষ সাধারণত নৈঃসঙ্গ ভালো না বাসলেও আমি তার প্রেমে পড়ে আছি বহুকাল ধরে। বলা যায় তাকে নিয়েই আমার ঘর বসতি। এরকম সময়গুলোতে আমার কেন মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার একেকটা অন্তহীন রাত্রির কথা যে রাতগুলোতে আমার একান্ত সঙ্গী ছিল কেবল এই নৈঃসঙ্গ! যে সময় সমস্ত রাত্রি ঘরের সাথে লাগোয়া বারান্দায় একা জেগে থেকে দিনলিপি লেখা হত,নেয়া হত রাত্রিকালীন বৃষ্টির ঘ্রাণ, আর অপেক্ষায় থাকা হত সূর্যোদয়ের। সেই সময়ের পর কেটে গেছে প্রায় এক যুগ। আজ বহু বহুদিন পর সেরকম রাত্রি দেখা হলো এক। আর যন্ত্রনাগুলি হুড়মুড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমায় আগের মত বিবশ করে দিল।
যন্ত্রণা ভুলে যেতে মানুষ কতকিছুই করে। কেউ গান গায়,কেউ বন্ধু বানায়,কেউ লেখে কবিতা। সুরের ভেতর,অক্ষরের ভেতর অথবা কোনো দ্বিতীয় সত্ত্বার ভেতর তাদের যন্ত্রণাগুলি ধীরে ধীরে স্থানান্তরিত হয়ে যেতে থাকে নিঃশব্দে। আমি তার কোনটাই করিনি কখনো। আমি গভীর ভালবাসায় তাদের আঁকড়ে ধরে রেখেছি সবার অগোচরে। একটা পূর্ণ রাত্রি শেষ হয়ে যাবার পর যখন আমার ঘুম আসে না কিছুতেই তখন তারা আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে থাকে নিরবচ্ছিন্ন ছায়ার মত। আর আমি তাদের মেলে দেয়া ডানার নিচে শুয়ে দুই হাত বাড়িয়ে গভীর মমতায় নিজেকে জড়িয়ে ধরে থাকি।
এক যুগ আগে যখন এই রাতগুলো আমাকে ছুঁয়ে গেছে তখনও নিজের হাত ধরে ছিলাম আমি এমন ভাবেই। এক যুগ পরও আছি ঠিক সেভাবেই।
এই সমস্ত জীবনটা তাই আপাত অর্থহীন হলেও নিজস্ব মুহূর্তগুলি সত্যি। কারণ মানুষ মুহূর্তেই বাঁচে। হয়ত সেই মুহূর্তগুলির যন্ত্রণামাখা স্বপ্ন হতে পারে মানুষ হয়ে ওঠার। স্বপ্ন হতে পারে কোনো একদিন মানুষের মত করে বেঁচে ওঠার বা বাঁচতে শেখার। সেই স্বপ্ন আদৌ কখনো সত্য হবে কিনা সে হিসেব সময়ের।
তার বাইরে এটুকুই সত্যি আমরা বেঁচে আছি জীবনের হাত ধরে। সেই এক জীবনে নিজের ভেতর নিজেকে পূর্ণভাবে ধারণ করে নেয়া.......আর প্রতিটি ধেয়ে আসা নির্মম যন্ত্রণার মুহূর্তে নিজেকে ধরে রাখতে পারা গভীর নির্ভরতায়......সেটাই বা কম কিসে? গোটা পৃথিবী হারিয়ে যাক,তুমি নিজের সাথে জুড়ে থাক! সব চিহ্ন মুছে যাক,সবাই তোমায় ভুলে যাক, তুমি নিজেকে জড়িয়ে ধরে থাক।
যে অনন্ত আকাশ তার নিঃসীম ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে আমাদের সেখানেই একদিন তো মিলিয়ে যেতে হবে একাকী। নিজেকে ছাড়া আর কেইবা তোমার সাথে থাকবে তখন?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭
নৈশচারী বলেছেন: শুভ দুপুর, মনসুর ভাই!
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৩৩
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: সুন্দর লেখা। +
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭
নৈশচারী বলেছেন:
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫০
পরবাসী ভাবনা বলেছেন: এতো হাই থট এর লেখনী পড়ার ধৈর্য্য নাই ভাই....ছরি...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮
নৈশচারী বলেছেন: Granted!
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৪
শিমুল আহমেদ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাই। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯
নৈশচারী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!
শুভ দুপুর!
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:১৭
আরফার বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো গভীর রাতের আত্মকথন।
মাঝে মাঝে অর্থহীনতার মাঝেই আমাদের মস্তিষ্ক অর্থ খুঁজে বেড়ায়।
উপভোগ্য।
+++
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪০
নৈশচারী বলেছেন: কোনটারই আসলে কোনো অর্থ নাই!
পড়ার জন্য থ্যাঙ্কস!
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৩৫
টানজিমা বলেছেন: আমি আগে যন্ত্রণা ভুলে যেতে গান্জা খাইতাম। এখন আর ওইটা পাইনা তাই লাল পানি খাই।....তবুও মাঝে মাঝে মুন্ঝায় দুই টা ইট নিয়া মাথার দুই পাশ দিয়া দুইটা বাড়ি-ঘর দেই...কিন্তুক ওই খানেও ফেল্টুশ....
পিছুটান বড়ই খারাপ........
চমৎকার লিখেছেন ভাই @শিমুল...আমার একটু অমৎ আছিল, আমার কাছে মনে হইছে, মোটা মোটা বই থেকে দুই লাইন দুই লাইন কইরা কপি পেষ্ট করার ফলেই এই লেখা...এর মাঝে চেমৎকারের কিচু নাই...
@লেখক ভাই, মাইনাশ, কিছু মনে কইরেন্না....
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪
নৈশচারী বলেছেন: হুমম! আপনেই ধরতে পারসেন ব্যাপারটা! [থাম্বস আপ এর ইমো]
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৩৭
টানজিমা বলেছেন: ওফ্প..............এই টা খেয়াল করি নাই....
তাইলে তো ঠিকই আছে....
"ডায়রি;মস্তিষ্কবিকৃতিজনিত প্রলাপ ;"
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭
নৈশচারী বলেছেন: জ্বি!
৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৩৯
বখাটে পুলা বলেছেন: পরবাসী ভাবনা বলেছেন: এতো হাই থট এর লেখনী পড়ার ধৈর্য্য নাই ভাই....ছরি....
আমারও একই কথা ভাইয়া, আপনার লেখা পর্লে আমার মাথা ঘুরায়...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫০
নৈশচারী বলেছেন: এতগুলা কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া লাগবে?
৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৪০
চাঁপাবাজ বলেছেন: আমারও একই কথা ভাইয়া, আপনার লেখা পর্লে আমার মাথা ঘুরায়...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩
নৈশচারী বলেছেন: কি আর করা! ওষুধ খায়ে ফেলেন!
১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৪৪
হায়রে ভালবাসা বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে ভাইয়া। অসাধারন লেখা.....এই লন পেলাচ...
সাথে আমার দুইটা দন্ত মোবারক....(আপনার লেখা পর্তে গিয়া এনারা শহীদ হইয়াছেন)..
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০১
নৈশচারী বলেছেন: আচ্ছা,গতবারেই না ইনারা সবডি একলগে শহীদ হইছিলেন? এত তাত্তাড়ি নতুন গজাইলো ক্যামনে?
১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:২৯
শিমুল আহমেদ বলেছেন: টানজিমা ভাই পোস্টটি কিন্তু সত্যিই আমার কাছে চমৎকার লেগেছে ।
দেশে হচ্ছেটা কি এসব? রাজকীয় জিনিস এখন আর সহজ লভ্য নয় অথচ কি সব লাল পানি নীল পানিতে দেশ আজ সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। আমরা আজ আমাদের বহুবছরের পুরানো ঐতিহ্য হারাতে বসেছি
আমি নিশ্চিত এইটা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আরেকটা ষড়যন্ত্র
এইটা আমরা কোন ভাবেই মানতে পারিনা
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০২
নৈশচারী বলেছেন:
১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:২৭
কালীদাস বলেছেন: অনেকটাই বুচছি, ভালা লাগছে
অ.ট: ঠেলা দেওনের ৫ঘন্টার মইধ্যে লেখা নাইমা গেল খিক খিক
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৪
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! এইসব আবোল তাবোল জিনিসরে লেখা বলাও যায়না বোধহয়! আউলামি কইতে পারেন!
১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: ভালো লাগসে লেখাটা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৫
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস!
১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩
রাতমজুর বলেছেন: ফলু দিলাম
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৬
নৈশচারী বলেছেন: খুশি হমু নাকি ভয় পামু বুঝতেসিনা!
১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০৭
রাতমজুর বলেছেন: আমার সুবিধা হৈল, আপনাদের যাদের ফলু দিছি তাদের পোষ্ট ডাইরেক পামু
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৫
নৈশচারী বলেছেন: হুমম....আমি এখনো এই ফিচারটা ট্রাই করি নাই! আপাতত এইটারে খুব একটা কাজের মনে হইতেসে না!
১৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৪
আহাদিল বলেছেন: অনেক ভালো লাগল নৈশচারী, এক্কেবারে আমার নিজস্ব অনুভূতিগুলো যেন উঠে এ্ল আপনার লেখনী দিয়ে। মাঝে মাঝে স্থবির সময়ে আমারো ইচ্ছে করে রং-তুলি দিয়ে ঝাঁঝরা করে দিই ক্যানভাসটাকে, কিন্তু নিশ্চলতার আবেশে করা হয় না কিছুই, শূণ্য ক্যানভাসটা আমার দিকে তৃষিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, বুঝি বা ব্যঙ্গই করে।
মানুষ সাধারণত নৈঃসঙ্গ ভালো না বাসলেও আমি তার প্রেমে পড়ে আছি বহুকাল ধরে। বলা যায় তাকে নিয়েই আমার ঘর বসতি।
যে অনন্ত আকাশ তার নিঃসীম ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে আমাদের সেখানেই একদিন তো মিলিয়ে যেতে হবে একাকী। নিজেকে ছাড়া আর কেইবা তোমার সাথে থাকবে তখন?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০৬
নৈশচারী বলেছেন: Though meaningless, these are precious times!
ভালো থাকবেন আপু!
১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৮
রাতমজুর বলেছেন: বেষ্ট অপশন কিন্তু এইটার গুরু
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪২
নৈশচারী বলেছেন: হ্যা এই অপশনটা জানি! মাগার এত কেতা করতে ইচ্ছা হয়না! আইলসা তো! এমনেই পড়ি ব্লগ......
১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৪৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: খুব ভালো লাগল। আমি বলি জমাট বাধা সময়। প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন সময় আসে।
এটুকুই সত্যি আমরা বেঁচে আছি জীবনের হাত ধরে।
খুব সত্যি কথা বলেছো।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০৪
নৈশচারী বলেছেন: শুভ বিকেল,আপু!
ভালো আছেন তো?
১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
দালিয়া বলেছেন:
সময়ের রক্ত কি রঙের...?
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০৫
নৈশচারী বলেছেন: ধূসর........!
সম্ভবত!
২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
কোর আই সেভেন বলেছেন: অতীব চমৎকার্য। এক্কেবারে নিজের কতা পড়লাম মনে হইল...
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৯
নৈশচারী বলেছেন: দূরে গিয়া মর!
২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
অমিত চক্রবর্তী বলেছেন:
সময়!
স্থবিরতা!
আমি!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২২
নৈশচারী বলেছেন:
একটা একলা কাকতাড়ুয়া!
২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০০
কোর আই সেভেন বলেছেন: সত্য কতা কইলাম ভাল্লাগল না!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৭
নৈশচারী বলেছেন: হুমম.....সঙ্গদোষে লোহা ভাসে! কি আর করা.......
২৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইনসমনিয়াক গ্রুপের পার্ফেক্ট পোস্ট।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩২
নৈশচারী বলেছেন: ফেইসবুকে আপনার খুব সুন্দর একটা ভিডিও আসছে শুনলাম!
২৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৪৩
পারভেজ আলম বলেছেন: তোমার লেখা ভালো হইছে, কিন্তু মূল বক্তব্য ভালো লাগে নাই।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৬
নৈশচারী বলেছেন: হা হা হা হা! মূল বক্তব্যটা যেহেতু শুধুই আমার নিজের জন্য তাই সবার ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক! Different persons have different point of views!
২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৫
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: নিজের সাথে কোথায় যেন একটা মিল পেলাম। আংশিক হলেও।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৬
নৈশচারী বলেছেন: হুমম......আংশিকই ভালো!
২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:০৬
স্তব্ধতা' বলেছেন: আমি আর আমার রাত্রি, কে বেশী কাতর যন্ত্রণায় ?
কে বেশী নি:সঙ্গ, আমি না আমার একটা দুপুর ?
আমি হাতের তালুতে যন্ত্রণা পিষে
রাত আর দুপুরের মিলন ঘটাই।
সেই মিলনের ভারী বর্ষণে আবার ভাবি
কে বেশী বিরহী, আমি না বৃষ্টি?
-----আপনার লেখাটি মোটেও মস্তিষ্ক বিকৃতিজনিত প্রলাপ নয়।ভালো থাকুন নৈশ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০১
নৈশচারী বলেছেন: মাথা যে পরিমাণ নষ্ট হয়ে যাবার পর সাধারণত এই ফিলিংসগুলো হয় সেটার বর্ণনা লেখাটাতে দেইনি! তাই হয়ত বোঝা যাচ্ছে না কেন এটাকে মস্তিষ্কবিকৃতিজনিত প্রলাপ বললাম.........
ভালো থাকবেন আপনিও,প্রিয় স্তব্ধতা!
২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:১৪
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: স্থবির সময় । নিথর হয়েও চলমান । রাতের সন্ধিতা ।
স্তব্ধতা ধোয়া - সমর্পণের আনুগাত্যে । অবাধ্য ইচ্ছেগুলোও এখানে নত , আত্মস্বীকার্যের সাথে । যন্ত্রণা আর ক্লিষ্টতার খেদ ।
একটা বইয়ের সামনে বসে থাকা , পৃষ্ঠাটা ওলটানো দরকার , হাতের আঙ্গুল আর সাদা পৃষ্ঠার দিকে ক্রমশ দৃষ্টিপাত ! কিছুই হয়ে উঠছে না নিশ্চল বসে থাকা ছাড়া । সাথে আয়েশী লালন এই নৈঋতির ।
একটা সময়ে রাতকে মনে হতো শুদ্ধতম সংগীতের পরবর্তী নীরবতা । সকালের আলোতেও আসতো পবিত্রতম অনুভূতি ।
কালো রঙের জন্য ক্রমশ নিবেদন এখন অসারতা আর চিন্তার দ্বৈততার এক ভালো যুদ্ধক্ষেত্র ।
যেখানে শেষটাই আমি আর আমিই জিতে যেতে থাকে । পরস্পরের সাথে যুদ্ধে তো আমির একজনকেই উঠে দাড়াতে হবে । অন্তত কালকের দিনটার জন্য ।
অদ্ভুত সময়বাসের কিছু দ্বিধার সমীকরণের বরাবরই দ্বিঘাত উত্তরের শেষে ক্রমাগত অর্থহীনতা ।
পুনর্বার !
এই সময়লিপি তোলা থাক ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০৫
নৈশচারী বলেছেন: A big big sigh!
nothing more to say than that!
now i'm sinking........
২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩
হায়রে ভালবাসা বলেছেন: হাঁয় পেঁচাঁপু.........
১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০৬
নৈশচারী বলেছেন: আন্টি মাইর খায়েন্না!
২৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৭
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:
ঘোড়েল...
ছুটকি।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১
নৈশচারী বলেছেন: রানা ভাইয়ার আত্মা........
৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
কাঠের খাঁচা বলেছেন: লেখাটা খুব ভাল ভাবেই ফিল করলাম। সবাই ই অবশ্য ফিল করতে পারবে। স্থবিরতায় আক্রান্ত হয়নি এমন কোন মানুষ নেই। স্থবিরতায় আক্রান্ত হবার মত পাবলিক আমি না কিন্তু গত কয়েকটা মাসে এর মুহুর্মুহু আক্রমনে ব্যতিব্যস্ত ছিলাম মারাত্মক ভাবে। স্থবিরতাকে পাত্তা না দেয়া এই আমার অবস্থা তাই খুব শোচনীয়ই হইসিল। অনেকটা পাকিস্তানের বন্যার মত। বাংলাদেশে অলওয়েজ বন্যা হয় তাই ট্যাকেল দিতে প্রবস হয় না। বাট পাকিতে বন্যা হয়ে পুরা লেজে গোবরে অবস্থা।
যেই সমাধান দিলি ওটা আমার ক্ষেত্রে কোন কাজে আসেনাই। আরো অনর্থক কাজে যে মননিবেশ করব স্থবিরতা সেটাও করার এনার্জি দিতনা, দেয় না। হতে পারে এটাই সলিউশন। কিন্তু দীর্ধস্থায়ী এবং ধারাবাহিক বলে অস্থিরমতি আমার পক্ষে সেটা করা সম্ভব ছিলনা।
লেখা বেশ ভাল্লাগসে
১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১৫
নৈশচারী বলেছেন: আসলে একই সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে মানুষভেদে কৌশলগুলিও তো ভিন্ন ভিন্ন হয়! আমার ক্ষেত্রে যেই টেকনিকটা কাজ করবে সেটা আপনার ক্ষেত্রে নাও করতে পারে! একটা প্রবলেম হাজার পদ্ধতিতে সলভ করা যায়! সবাইকে যার যার নিজস্ব টেকনিক নিজেই বের করতে হয়!
তবে দুঃখের বিষয় হলো,আমার ক্ষেত্রে আজকাল এই টেকনিকটাও আর কাজ করছে না বোধহয়! সমস্যাটা বেড়েই চলেছে........
৩১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৬
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: লেখাটা খুব অদ্ভুত রকমের সুন্দর। কেমন যে... ঠিক বলে বোঝাতে পারবো না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৪
নৈশচারী বলেছেন: লেখাটা আসলে.........
খুব বেশিমাত্রায় এলোমেলো! যতটা দেখাচ্ছে তার চেয়েও......
একটা ভয়ঙ্কর এলোমেলো অসহায় সময়ের এলোমেলো লেখা............
৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:২১
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৫
নৈশচারী বলেছেন: শুভ রাত,রাশেদীন ভাই!
৩৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২৬
সায়েম মুন বলেছেন: স্থবিরতার কাঁন্না--------------ক্লেদাক্ত মন--------------------
সুন্দর ডায়েরী
১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৬
নৈশচারী বলেছেন: আমি মারাত্মক ঘুমের সমস্যায় ভুগছি বিগত ১২ বছর ধরে!
শুভ ভোর ভাইজান!
৩৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:০৪
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: প্রথমে এইটুকু লিখেছিলাম
স্থবিরসখা গাইড মেইডইজি
১. স্থবির সময়ের সংজ্ঞা
২. স্থবিরতার বৈশিষ্ট্যসমূহ
-ভাষাহীনতা+স্থবিরতায়।
-সময় সুতো/খুলে যায়
-চারপাশ দেখে দীর্ঘশ্বাস
-আটকে যাওয়া
৩. স্থবিরতা প্রশমণ
৪. প্রত্যাবর্তণ
৫. অন্যান্য স্থবিরদের অবস্থা
৬. উপসংহার
যে অনন্ত আকাশ তার নিঃসীম ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে আমাদের সেখানেই একদিন তো মিলিয়ে যেতে হবে একাকী। নিজেক ছাড়া আর কেইবা তোমার সাথে থাকবে তখন?
হঠাত্ টের পেলাম বাবা বাড়ি নেই। মা ঘুমাচ্ছে নিজের রূমে। পড়াশোনার চেয়ে গল্প করাই ভাল বুদ্ধি -
যদি তুমি না হয়ে থাকো তবে তোমার মতোই কাউকে আমি চিনতাম। যখন চিন্তানগর লবনের কুঠুরীতে থাকতাম, কাঁথা মুড়ে শীতের রাতে, কখনো অধূমপায়ী হয়েও ধোঁয়া দেখে তৃষ্ণার্ত হয়ে যেতাম। তাস খেলার জন্য বাউন্ডুলেরা আসতো। হয়তো তুমিও ছিলে। হতাশা, ব্যর্থতা তাদের বোন মৌনতা, কখনো আহ্লাদ, অথবা উঁচু ঘরের বখে যাওয়া তৃপ্তি, সৌভাগ্য এসে জুটতো। এদের নাম মনে থাকতো না। দেখতে এত মিল। এরা হয়তো মানুষ না। মানুষ হলে নামের ব্যাজ ঝুলানো থাকতো শরীরে। বেতন নিয়েও আলাপ করতো। তোমার কথা মনে আছে - প্রায় রাতেই আসতে। দুটো ক্লান্ত পা ঝুলিয়ে কোনার বেঞ্চিতে বসে থাকতে। মাথাটা হেলে থাকতো ইটের লাল দেয়ালে।
সবাই চলে যাবার পর। গভীর রাতে তুমি তখনো বসে আছ। কি হয়েছে তোমার মেয়ে? (কেন সে মেয়ে হতে যাবে?)
-কষ্টেও হাসালে, আমি তো আর মানুষ নই। কবিতাটা বোধ হয় পড়নি। তোমাদের না পড়লেও চলে
-দু:খিত। তৃপ্তি আর মৌনতার সঙ্গে তুরুপের তাস নিয়ে হৈ চৈ হওয়ায় তোমার পরিচয়ই জানা হয়নি, তুমি নিশ্চয়ই গাছ?
-আমি পাখী। তোমার মতো ইটের বাসায় জন্ম হয়নি। পাখীদের মন ভাল থাকে। মানুষেরা পাখী হতে চায়, অথচ এ তখন কাঁদছে। অবাক হয়ে জানতে চেয়েছি তার কারণ।
-এই দেখ। জন্ম থেকেই মা কে দেখিনি। একটা গুনা তারের ঘরে পড়ে ছিলাম। বড় হয়েছি সময়ের সাথে মারামারি করে। বেঁচে থাকার জন্য কখনো দেয়ালের শুকনো ডাল খেয়েছিলাম। অন্যরা হাসতো। রঙটা উল্লুকের মতো, নাকটা দেখ, টুনটুনির মতো মধু খাওয়ার উপায় নেই। আমি পাখী হলেও ওড়ার জন্য অনেক বেশী ভারী। নিরব থেকেছি বলে খ্যাপায় স্থরিব বলে।
আমার বন্ধুদের মধ্যে সবাই জিতে গিয়ে চলে গেছে। অথচ স্থবিরতা কত কথা গোপন রেখে চুপচাপ সঙ্গ দেয়। তবে কি সেই আসল বন্ধু। আমি তার বন্ধু?
-তুমি এলে কি করে?
-আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারপর ডানা ঝাপটে থাকতে যায় রাতজাগাদের বাড়ি। কখনো দিনেও ঘুমাই নি:সঙ্গদের কোলে। তবে আমি হয়তো পাখী নই। তুমিও কি আমি? আমার শরীরে নাভীতে মায়ের বিদায়ী সীলমোহর লেগে আছে। আমি চেয়ে দেখি দুজনের নাভীতে একই সতর্ক সঙ্কেত। তাহলে সে কে? আমি কে?
খুব হতাশ হয়ে সে বসে থাকলো। হঠাত্ কাহিনীটা মনে আসে। বলি আচ্ছা সুর্যোদয়ের সময় পাখীদের গাইতে হয়, তা কি তোমাকে কেউ বলেছে
-মৌনতা আমার গান
-না গাও
অনেক বলার পর, খোলা জানালায় মুখ লুকিয়ে সে গলায় আওয়াজ তোলে। আমি চিত্কার করে বলি, তুমি তো সেই প্রিয় বসন্তের দূত। দেখ, তোমার গলায় আওয়াজে ভরে উঠছে উপত্যকা, সকালের আলোরা ঘন হয়ে জমে আছে। অন্যদের মতো তুমি নও। আলো ফুটতেই আয়নায় তার নাম দেখি, স্থবিরতায় চলমানের বৈপরিত্য কিন্নর কণ্ঠে উদ্ভাসিত হয়।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২১
নৈশচারী বলেছেন: মন ভালো হয়ে যাবার মত একটা গল্প পড়লাম!
অস্বাভাবিক সুন্দর!
মৌন কোকিল..........বিষন্ন কোকিল.......তোমার নাম লেখা আছে কোন সাগরের বালুচরে?
৩৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০১
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: আমি গত কয়েকদিন "এইগুলার" মধ্য দিয়াই যাইতেসি , ভার্সিটি শেষ হয়ে গেল, কত কিছু ছিল আবার কত কিছু হলো না, সামনে কি একা একা বসে ঘাস কাটব নাকি আমি এক্কেরে একা হয়ে যাইতেসি....যাউক গা, আমার প্যাচাল বইলা লাভ নাই
১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৭
নৈশচারী বলেছেন: হুমম.....আপনার অবস্থাটা কিছু কিছু বুঝতে পারতেছি! এই টাইমটা আসলেই খুব পেইনফুল! নস্টালজিয়া আর স্থবিরতা চারিদিক থেকে আক্রমন করে বসে!
আশা করি শীঘ্রই জব লাইফে ঢুকে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন! গুড লাক!
৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৫
শায়মা বলেছেন: স্থবির, নিরর্থক জীবন এই সব কি পুচকি মেয়ে?
তুমি লিখবে ফুল, প্রজাপতি আর রামধনু নিয়ে...
১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৯
নৈশচারী বলেছেন: এইভাবে প্রেস্টিজ পাংচার করলা? বয়সে ছোট বৈলা কি একটু ভাব নিবারও দিবানা?
৩৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:২৩
ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
নিঃসীম স্থবির রাত!!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৮
নৈশচারী বলেছেন: হুমম......আপনাদের ক্ষেত্রে সেই সাথে থাকতে পারে ধুম্রশলাকা ও ছয়টি তার.......
৩৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৫৯
নস্টালজিক বলেছেন: গ্রেট ওয়ান !
হাই ফাইভ !!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৬
নৈশচারী বলেছেন: হাই ফাইভ,বাডি!
৩৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:১১
টানজিমা বলেছেন: হায় ফেঁছাঁপুঁ..........
১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১২
নৈশচারী বলেছেন: :-< :-<
৪০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৭
মিরাজ is বলেছেন: স্থবিরতা মাঝে মাঝে এমন ভাবে জেঁকে ধরে তার থেকে পালানোর কোন পথ থাকে না......তাই হারিয়ে যেতে মন চাই যেখানে কোন চিন্তা নাই সেখানে............
ভাল লাগল......
২০ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৪৬
নৈশচারী বলেছেন: হা হা.....এরকম জায়গা পাওয়া গেলে তো ভালই হত!
শুভ রাত্রি মিরাজ ভাই!
৪১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯
করবি বলেছেন: কাছে অথবা দূর দিয়ে সাবারই জীবনে এই সময়টা বয়ে যায় কোনো না অযুহাতে, তাই মনে হচ্ছে সকলের কথাই বলে ফেলেছ তুমি আপন অনুভূতিতে । বোধ আর চিন্তায় আমরা সবাই প্রায় একই রকম ছুটকি। প্রকাশ হয়ত এক না। যেমন তুমি স্থবির সময়ের বোধটুকু কি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুললে।
এই সমস্ত জীবনটা তাই আপাত অর্থহীন হলেও নিজস্ব মুহূর্তগুলি সত্যি। কারণ মানুষ মুহূর্তেই বাঁচে। হয়ত সেই মুহূর্তগুলির যন্ত্রণামাখা স্বপ্ন হতে পারে মানুষ হয়ে ওঠার। স্বপ্ন হতে পারে কোনো একদিন মানুষের মত করে বেঁচে ওঠার বা বাঁচতে শেখার। সেই স্বপ্ন আদৌ কখনো সত্য হবে কিনা সে হিসেব সময়ের।
তোমার লেখা এইটুকু কথা আমারও তোমার জন্য .........
২০ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৩
নৈশচারী বলেছেন: নিজেকে সৌভাগ্যবান জ্ঞান করি আপনাদের স্নেহধন্য হয়ে!
ভালো থাকবেন সবসময় অনেক অনেক করবিদি! আন্তরিক শুভকামনা......
৪২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৬
আলিম আল রাজি বলেছেন: ফাটাফাটি লেখা হয়েছে আপু।
ভালো লেগেছে, যদিও প্রথমবার পড়ে সবটুকু বুঝতে কষ্ট হয়েছিলো।
২০ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৩৪
নৈশচারী বলেছেন: হা হা হা! লেখা পড়ে বোঝার দরকার নাই! ফিলিংসটা নিজের আসবে যখন,তখন আপনা আপনিই বুঝে যাবি! বোঝার জন্য ওটাই বেস্ট ওয়ে!
ছবিটা ভালো হইসে,ভাইয়া! Looking cute!
৪৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৭
সুবিদ্ বলেছেন: প্রথমদিকে ঠিক তোমার মানের লেখা মনে হচ্ছিল না, কিছুক্ষন পরে দেখি তুমি স্বরূপে ফিরছো...
আর "যন্ত্রণা ভুলে যেতে মানুষ কতকিছুই করে। কেউ গান গায়,কেউ বন্ধু বানায়,কেউ লেখে কবিতা। সুরের ভেতর,অক্ষরের ভেতর অথবা কোনো দ্বিতীয় সত্ত্বার ভেতর তাদের যন্ত্রণাগুলি ধীরে ধীরে স্থানান্তরিত হয়ে যেতে থাকে নিঃশব্দে। আমি তার কোনটাই করিনি কখনো। আমি গভীর ভালবাসায় তাদের আঁকড়ে ধরে রেখেছি সবার অগোচরে।"---এতো অনবদ্য গদ্য।
তোমারে একটা শায়েরি বলি:
আপনে বে-খোয়াব কি ভাঁরো কো মুকাফফাল ক্বার দো
আব ইয়া-হা কোই নেহি, কোই নেহি আয়েগা...
বে-খোয়াব কি ভাঁরো: স্বপ্নহীন (অথবা জেগে থাকার) সময়ের নানা ভার
মুকাফফাল: উড়িয়ে দেয়া
যখন স্থবির সময়ের মুখোমুখি হই, আমি এই শায়েরি (ড: জাভেদ ইকবালের সম্ভবত) আওড়াই আর কেমন করে যেন স্থবির ঐ সময়টাও উপভোগ করতে থাকি...
২১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬
নৈশচারী বলেছেন: শায়েরিটা অসাধারণ!
আব ইয়া-হা কোই নেহি, কোই নেহি আয়েগা... - True! very True!
এইজন্যই এত করে লোনলিনেসের উপকারিতা কপচাইলাম! আর নিজের সাথে নিজে থাকার প্রয়োজনীয়তাটাও! যেকোনো জটিল পরিস্থিতিতে নিজেকে নিজে সাপোর্ট দিতে শেখাটা খুবই জরুরি প্রতিটা মানুষের জন্য!
৪৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৩৬
রাজসোহান বলেছেন:
সোনালী হেঁয়ালি সূর্যাস্তের দীপ্তির ভিতরে আমাদের স্পর্শাতুর মন হারিয়ে যায় সময় নামক ঘড়ির আঁধারে.রাতের পর রাত,মাইলের পর মাইল পেরিয়ে আমরা পৌঁছে যাই নবীন করুন রৌদ্র ভোরে যেখানে চিন্তার সংবেগ আমাদের বেঁধে রাখে সূর্যালোকিত শালিকের মতন.
২৮ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নৈশচারী বলেছেন: বাহ! তুই তো সুন্দর কমেন্ট করা শিখে গেসিস!
৪৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭
শিরীষ বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনে হল নিঃস্বার্থ আত্মপ্রেম বলেও একটা ব্যাপার আছে। ওখানে মগ্ন হলে আত্মরূপ ঈশ্বর বিরচিত হয়,- সৃজনে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৩৭
নৈশচারী বলেছেন: হুমম.....আমার মনে হয় নার্সিসিজমটা একটু বেশিই হয়ে যায় মাঝে মাঝে! অবশ্য কখনো কখনো সেটার প্রয়োজনও আছে.........
৪৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১০
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: রাত জাগা ছাইড়া দেন তাইলে এসব কঠিন কঠিন চিন্তা ভাবনা আর মাথায় ঘুরপাক খাইবোনা।
০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৪
নৈশচারী বলেছেন: হুমম.....ঐটা একটা কাজ যেইটা অন্তত আমার জন্য ইহজীবনে কখনো সম্ভব হইব বৈলা মনে হয়না!
৪৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩০
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: আমারও
০২ রা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪২
নৈশচারী বলেছেন: খুব খ্রাপ!
৪৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯
প্রিন্স (নাভানার সিভিল ইঞ্জি:) বলেছেন: প্রথমে এইটুকু লিখেছিলাম
স্থবিরসখা গাইড মেইডইজি
১. স্থবির সময়ের সংজ্ঞা
২. স্থবিরতার বৈশিষ্ট্যসমূহ
-ভাষাহীনতা+স্থবিরতায়।
-সময় সুতো/খুলে যায়
-চারপাশ দেখে দীর্ঘশ্বাস
-আটকে যাওয়া
৩. স্থবিরতা প্রশমণ
৪. প্রত্যাবর্তণ
৫. অন্যান্য স্থবিরদের অবস্থা
৬. উপসংহার
যে অনন্ত আকাশ তার নিঃসীম ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে আমাদের সেখানেই একদিন তো মিলিয়ে যেতে হবে একাকী। নিজেক ছাড়া আর কেইবা তোমার সাথে থাকবে তখন?
হঠাত্ টের পেলাম বাবা বাড়ি নেই। মা ঘুমাচ্ছে নিজের রূমে। পড়াশোনার চেয়ে গল্প করাই ভাল বুদ্ধি -
যদি তুমি না হয়ে থাকো তবে তোমার মতোই কাউকে আমি চিনতাম। যখন চিন্তানগর লবনের কুঠুরীতে থাকতাম, কাঁথা মুড়ে শীতের রাতে, কখনো অধূমপায়ী হয়েও ধোঁয়া দেখে তৃষ্ণার্ত হয়ে যেতাম। তাস খেলার জন্য বাউন্ডুলেরা আসতো। হয়তো তুমিও ছিলে। হতাশা, ব্যর্থতা তাদের বোন মৌনতা, কখনো আহ্লাদ, অথবা উঁচু ঘরের বখে যাওয়া তৃপ্তি, সৌভাগ্য এসে জুটতো। এদের নাম মনে থাকতো না। দেখতে এত মিল। এরা হয়তো মানুষ না। মানুষ হলে নামের ব্যাজ ঝুলানো থাকতো শরীরে। বেতন নিয়েও আলাপ করতো। তোমার কথা মনে আছে - প্রায় রাতেই আসতে। দুটো ক্লান্ত পা ঝুলিয়ে কোনার বেঞ্চিতে বসে থাকতে। মাথাটা হেলে থাকতো ইটের লাল দেয়ালে।
সবাই চলে যাবার পর। গভীর রাতে তুমি তখনো বসে আছ। কি হয়েছে তোমার মেয়ে? (কেন সে মেয়ে হতে যাবে?)
-কষ্টেও হাসালে, আমি তো আর মানুষ নই। কবিতাটা বোধ হয় পড়নি। তোমাদের না পড়লেও চলে
-দু:খিত। তৃপ্তি আর মৌনতার সঙ্গে তুরুপের তাস নিয়ে হৈ চৈ হওয়ায় তোমার পরিচয়ই জানা হয়নি, তুমি নিশ্চয়ই গাছ?
-আমি পাখী। তোমার মতো ইটের বাসায় জন্ম হয়নি। পাখীদের মন ভাল থাকে। মানুষেরা পাখী হতে চায়, অথচ এ তখন কাঁদছে। অবাক হয়ে জানতে চেয়েছি তার কারণ।
-এই দেখ। জন্ম থেকেই মা কে দেখিনি। একটা গুনা তারের ঘরে পড়ে ছিলাম। বড় হয়েছি সময়ের সাথে মারামারি করে। বেঁচে থাকার জন্য কখনো দেয়ালের শুকনো ডাল খেয়েছিলাম। অন্যরা হাসতো। রঙটা উল্লুকের মতো, নাকটা দেখ, টুনটুনির মতো মধু খাওয়ার উপায় নেই। আমি পাখী হলেও ওড়ার জন্য অনেক বেশী ভারী। নিরব থেকেছি বলে খ্যাপায় স্থরিব বলে।
আমার বন্ধুদের মধ্যে সবাই জিতে গিয়ে চলে গেছে। অথচ স্থবিরতা কত কথা গোপন রেখে চুপচাপ সঙ্গ দেয়। তবে কি সেই আসল বন্ধু। আমি তার বন্ধু?
-তুমি এলে কি করে?
-আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারপর ডানা ঝাপটে থাকতে যায় রাতজাগাদের বাড়ি। কখনো দিনেও ঘুমাই নি:সঙ্গদের কোলে। তবে আমি হয়তো পাখী নই। তুমিও কি আমি? আমার শরীরে নাভীতে মায়ের বিদায়ী সীলমোহর লেগে আছে। আমি চেয়ে দেখি দুজনের নাভীতে একই সতর্ক সঙ্কেত। তাহলে সে কে? আমি কে?
খুব হতাশ হয়ে সে বসে থাকলো। হঠাত্ কাহিনীটা মনে আসে। বলি আচ্ছা সুর্যোদয়ের সময় পাখীদের গাইতে হয়, তা কি তোমাকে কেউ বলেছে
-মৌনতা আমার গান
-না গাও
অনেক বলার পর, খোলা জানালায় মুখ লুকিয়ে সে গলায় আওয়াজ তোলে। আমি চিত্কার করে বলি, তুমি তো সেই প্রিয় বসন্তের দূত। দেখ, তোমার গলায় আওয়াজে ভরে উঠছে উপত্যকা, সকালের আলোরা ঘন হয়ে জমে আছে। অন্যদের মতো তুমি নও। আলো ফুটতেই আয়নায় তার নাম দেখি, স্থবিরতায় চলমানের বৈপরিত্য কিন্নর কণ্ঠে উদ্ভাসিত হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৩২
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: হুমমম।
যে অনন্ত আকাশ তার নিঃসীম ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে আমাদের সেখানেই একদিন তো মিলিয়ে যেতে হবে একাকী। নিজেকে ছাড়া আর কেইবা সাথে থাকবে তখন?