নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের জন্য

শেষ বিকেলের আলো...........

নকি৬৯

ভালো আছি ভালো থেকো...।

নকি৬৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানীর গোসত তিন ভাগ করার মাসআলা কি

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

কোরবানীর গোসত তিন ভাগ করার মাসআলা কি ????

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

আন্ধার রাত বলেছেন:

১ভাগ নিজের
১ ভাগ আত্নীয় স্বজন
১ ভাগ ফকির মিসকীন

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

নকি৬৯ বলেছেন: ভাই আমিও সেরকমই জানতাম, কিন্তু শুনলাম সম্পুনটা নিজেরা খেলেও নাকি সম্যসা নাই। কথাটা কতটুকু সত্য

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ৩ ভাগ করা ভাল, না করলেও অসুবিধা নেই, পুরাটা খেতে পারবেন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

নকি৬৯ বলেছেন: কোন বই এর Reference দিলে ভালো হতো

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

সকাল>সন্ধা বলেছেন: কুরবানীকৃত পশুর গোশত কুরবানীদাতার জন্য আত্মীয় স্বজনকে হাদিয়াস্বরূপ দেয়া বা গরিব মিসকীনকে দান করা ফরয, ওয়াজিব বা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কোনটাই নয়। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে- “কুরবানীর গোশত বণ্টন করার মুস্তাহাব নিয়ম হচ্ছে- এক তৃতীয়াংশ নিজের জন্য রাখবে, এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য হাদিয়াস্বরূপ দিবে আর এক তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকীনের জন্য দানস্বরূপ দিবে। আর যদি কুরবানীকৃত পশুটি ওছিয়তকৃত হয়ে থাকে তাহলে সম্পূর্ণটাই গরিব-মিসকীনকে দান করে দিতে হবে।” অর্থাৎ কুরবানীদাতার জন্য কুরবানীকৃত পশুর গোশ্ত কাউকেও দেয়া বা না দেয়া তার ইখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত। সে ইচ্ছা করলে সম্পূর্ণটাই দান করে দিতে পারে, আবার ইচ্ছা করলে সম্পূর্ণটাই রেখে খেতে পারে। এতে কুরবানীর কোনো ত্রুটি হবে না।
তবে একটা বিষয় অবশ্যই লক্ষ্যণীয় তা হলো- কুরবানীদাতা যদি এমন কোনো পশু “কুরবানী করে থাকে যার গোশ্ত- ১০/১২ কেজি বা তার চেয়ে কম হয় অথবা শরীকে কুরবানী দিয়েছে, সেখান থেকে সে ১০/১২ কেজি গোশ্ত বা তার চেয়ে কম পেয়েছে। অথচ তার বাড়ীতে স্ত্রী-পুত্র, সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি মিলে তার অধীনে প্রায় ২০/২৫ জন রয়েছে। যাদের ভরণ-পোষণ করার দায়িত্ব তার। তখন সে কুরবানীদাতার জন্য ফরয হবে তার অধীনস্থ লোকদেরকে ঈদের দিনে খাওয়ার ব্যবস্থা করা। এখন যদি কুরবানীদাতা যে গোশ্ত পেয়েছে তার এক তৃতীয়াংশ রেখে বাকী সব বণ্টন করে দেয় তাহলে দেখা যাবে তার ঘরে মাত্র প্রায় চার কেজি বা তা চেয়ে কম গোশ্ত থাকবে। যা দিয়ে সে তার অধীনস্থ লোকদেরকে ঈদের তিন দিনের প্রথম দিনই তৃপ্তিসহকারে খাওয়াতে পারবে না। এখন তার জন্য উত্তম হবে এবং ফযীলতের কারণ হবে গোশত বণ্টন করে না দিয়ে সবটাই রেখে অধীনস্থ লোকদের তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো।
হ্যাঁ, এরপরও কথা থেকে যায় সেটা হলো- যদি কুরবানীদাতা ও তার অধীনস্থ সকলেই আল্লাহ্ পাক-উনার সন্তুষ্টির জন্যে এক তৃতীয়াংশ রেখে বাকী গোশ্ত অথবা সম্পূর্ণ গোশ্ত মহান আল্লাহ্ পাক-উনার রাস্তায় দান করে দেয় তাহলে অবশ্যই সেটা আরো উত্তম, আরো ফযীলতের কারণ। উল্লেখ্য, ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্ ও মুস্তাহাব সুন্নত, তরতীব মতো আমল করাই সবচাইতে ফযীলতপূর্ণ ও মর্যাদার কারণ। কুরবানীদাতা যদি এমন হয় যার স্ত্রী, পুত্র, সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি যাদের ভরণ-পোষণ তার যিম্মাদারিতে রয়েছে তাদের সংখ্যা ৮/১০ জন। আর কুরবানীদাতা একাই দুই তিনটা গরু কুরবানী করল যা থেকে সে গোশ্ত পেল প্রায় ৮/১০ মণ বা তার চেয়ে বেশি। এখন এ থেকে এক তৃতীয়াংশ গোশ্ত রাখলেও তার অধীনস্থ লোকদের পক্ষে অনেকদিন ধরে খেয়েও শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই এ কুরবানীদাতা যদি দুই তৃতীয়াংশের পরিবর্তে নয় দশমাংশ অর্থাৎ দশ ভাগের নয়ভাগই দান করে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই।
উল্লেখ্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ যদি প্রকৃতপক্ষেই গরিব-মিসকিনদের উপকার করতে চায় তাহলে তাদের উচিত হবে এলাকার ঐ সমস্ত কুরবানীদাতাদের নিকট থেকে এক তৃতীয়াংশ গোশত সংগ্রহ করা, যারা এক তৃতীয়াংশ গোশত দেয়ার পরও তাদের পরিবার বা অধীনস্থদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ গোশত থেকে যায়, অথবা যারা স্বেচ্ছায় দান করে। যাদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণে গোশত নেই অর্থাৎ যারা এক তৃতীয়াংশ গোশ্ত দিয়ে দিলে তারা তাদের পরিবারবর্গ বা অধীনস্থদেরকেই ঈদের দিন তৃপ্তিসহকারে খাওয়াতে পারবে না এমন ব্যক্তির নিকট থেকে জবরদস্তি করে গোশত সংগ্রহ করলে ছওয়াবের পরিবর্তে গুনাহই হবে। আর বণ্টনের ক্ষেত্রে ঐ সমস্ত লোকদেরকে গোশ্ত দিতে হবে যারা কুরবানী দেয়নি অথবা যদি কুরবানী দিয়েও থাকে তথাপিও তারা চাহিদা মুতাবিক গোশত পায়নি। কুরবানী দেয়ার কারণে যাদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণে গোশত রয়েছে তাদেরকে মিসকীনের অংশ থেকে গোশত দেয়া কখনই নেকীর কাজ হবে না। আরো উল্লেখ্য, এলাকাবাসী যদি গরিব-মিসকীনকে বণ্টন করে দেয়ার জন্যই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে গোশত দিয়ে থাকে। তাহলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে- শুধুমাত্র গরিব-মিসকিনদের মধ্যেই উক্ত গোশ্ত বণ্টন করে দেয়া। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ যদি বিপরীত কাজ করে তাহলে তারাই গরিব-মিসকীনের হক নষ্টকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে এবং এর জন্য তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে। আর তারাই দায়ী থাকবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

নকি৬৯ বলেছেন: কোন বই এর Reference দিলে ভালো হতো

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

যান্ত্রিক বলেছেন: কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

নিজাম বলেছেন: সকাল-সন্ধ্যা-এর কথা ঠিক। আর সঠিক রেফারেন্স পেতে হলে আপনাকে আলেমগণের নিকট যেতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.