নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের জীবন!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

মধ্যবিত্তের জীবনটা খুব অদ্ভুতুড়ে। সারাজীবন 'নাই' আর 'লাগবে' এই শব্দ দু'টো তাড়া করে ফেরে।একদিন সব হবে; শুনতে শুনতে বড় হয়েছি।সেই 'একদিনের' অপেক্ষাতেই বাকিটা জীবনও কাটাতে হবে!!

এই মধ্যবিত্তিয় জীবন আমি কখনো চাইনি। কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারনে; ভেতরে ভেতরে আমি ভীষন রকম মধ্যবিত্ত মানসিকতার ধারক এবং বাহক।

আমি চিন্তার চেয়ে দুশ্চিন্তা-ই বেশি করি। পাওয়ার চেয়েও হারাই বেশি। যা কিছু অর্জিত তাও রক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। বরাবর-ই হিসাব-নিকাশে আমি বড্ড অপরিপক্ক। তাই ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায় হোক জীবনের প্রাপ্তির পাতাটা এড়িয়ে যাই। এটা কে কী এড়িয়ে যাওয়া বলে? নাকি কৌশলে দূরে রাখা বলে?? ভেবে দেখতে হবে :)


ঐ যে অস্তি মজ্জায় মধ্যবিত্ত মানসিকতা।তাই শংকা- আশংকার জীবন হলেও মনটা তো বরাবর-ই অবাধ্য। দিন শেষে আমার অনুভূতি গুলোই আমার সম্পদ। আমি স্বেচ্ছায় কাউকে সেগুলো দেখাতে যাই না। দেখানোর প্রয়োজন পড়লে লুকিয়েও রাখিনা। কারন আমি ভালোবাসি। এবং হ্যাঁ , আমি ভালোবাসতে ভালোবাসি!

বিশ্বাস করুন, আমি কোনো দিন-ই এই মধ্যবিত্তিয় জীবন চাইনি। ভালো ফলাফল, ভালো বেতনের চাকরি, প্রেম ভালোবাসা, ঘর সংসার, বাড়ি, গাড়ি, বিশ্ব ভ্রমন --- কোনো কিছুই না।

আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে, মানবীয় সম্পর্ক গুলো।আমি সেই সম্পর্ক গুলোকে কেন্দ্র করেই বেঁচে থাকতে চেয়েছি এবং এখনো চাই........

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বটপাকুড় বলেছেন: মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়েন থেকে বের হয়ে হয়েছি। কিছুটা যে বের হয়েছি সেটা স্বীকার করছি। কিন্তু জানেন আপনার সেই কথাটাই ঠিক, মাঝে মাঝে কিছু কিছু কিছু জিনিস না পাওয়ার মাঝে সুখ আছে। একটা সময় পকেটে কোন বাড়তি টাকা থাকতো না, আজকে টাকা হয়তো আছে, কিন্তু বিষণ্ণতায় ভুগি। মানবিক আবেগ গুলো কেমন যেন ধুয়েমুছে যায়।

কোথায় যেন একটা লাইন পড়ছিলাম, কিছু সুখ যেমন টাকা দিয়ে কিনতে পারা যায়না , আবার কিছু সুখ টাকা ছাড়া কিনতে পারা যায়না

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বটপাকুড়, মধ্যবিত্তিয় টানাপোড়েনটাকেই আমি ভেতরে ভেতরে ভীষণ রকম ভালোবাসি।কোথায় যেন নিজের সাথে নিজের সন্ধি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা…………………… বিষন্নতাগুলো খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠুন :)

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

বটপাকুড় বলেছেন: হুমম সেটাই চেষ্টা করছি। তাই তো ছবি তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বটপাকুড়, 'ভাল ভাল ছবি তুলবেন' সেটা বলবো না । বলবো, বেশি বেশি ছবি তুলবেন। :)

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মানবিয় গুন গুলো হারিয়ে গেলে বেচে থাকা মুল্যহীন হয়ে পরে

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মনিরা আপা, একদম ঠিক কথা।মানবীয় সম্পর্কগুলো আছে বলেই বেঁচে থাকতে ভালো লাগছে।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে, মানবীয় সম্পর্ক গুলো।আমি সেই সম্পর্ক গুলোকে কেন্দ্র করেই বেঁচে থাকতে চেয়েছি এবং এখনো চাই........
খুবই প্রেরণাদায়ক কথা।
মধ্যবিত্তের জীবনটা খুব অদ্ভুতুড়ে - তবু এই অদ্ভুতুড়ে জীবনটাকেই ভালোবাসি। বিত্ত বৈভব চাইনা, আবার খুব টানাপোড়েনের সংসারও চাইনা। সংসার শুরু করার প্রায় বছরখানেক পর যেদিন বাসায় একটা ফ্রীজ কিনে নিয়ে এলাম, সেদিন খুশীতে স্ত্রীর মুখের আভাটুকু ছিল দেখার মত। প্রথম প্রথম সে কখনো সখনো শাড়ীর আঁচল দিয়েও ওটাকে মুছে রাখতো। এসব কিছু স্মৃতি নিয়ে "শখ ও সুখের গল্প" নামে একটা দীর্ঘ কবিতাও লিখে ফেলেছিলাম। যদি আগ্রহী হন, তবে কবিতাটা পড়তে পারবেন এখানেঃ

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান চাচা (আপনি আমার বাবার বয়েসি। বাবাও সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। বিচারক। গত বছর অবসরে এসেছেন)। আমি অবশ্যই আপনার দীর্ঘ কবিতাটি পড়ে দেখবো।

৫| ১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:২২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে, মানবীয় সম্পর্ক গুলো।আমি সেই সম্পর্ক গুলোকে কেন্দ্র করেই বেঁচে থাকতে চেয়েছি এবং এখনো চাই........

একদম মনের কথা।দিনশেষে মানবীয় সম্পর্কগুলো এই অনুভব জাগায় যে বেঁচে থাকা দারুণ ব্যাপার

১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.