নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
এক্সটেনশন- ৮৬, রোকেয়া হল। আমার কাছে শুধু একটা সংখ্যা নয়, আমার অস্তিত্বেরও একটা অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু এবং শেষ এই ঠিকানা থেকে।
যখন হলে উঠেছিলাম, তখন সেলফোনের এত বিস্তার ছিলো না, তাই দর্শনার্থীরা কাগজের স্লিপে নাম এবং রুম নাম্বার লিখে গেইটে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকতো।আর গেইট দিয়ে হলের ভেতরে প্রবেশ করার সময় হাতে ধরিয়ে দিতো। খুব জরুরী না হলে কিংবা প্রয়োজনে আকুলতা না থাকলে আমি সাধারণত কলের স্লিপ নিতাম না। খুব ভাব ধরে এড়িয়ে যেতাম। কারন এই স্লিপ নেয়া মানেই একটা বাড়তি দায়িত্ব। কাঙ্খিত মানুষটি রুমে না থাকলে গেইটে গিয়ে বলে আসতে হত, “রুমে নাই, তালা দেয়া”। এর পরের অনুরোধ একটু রিডিং রুমে দেখবেন, কিংবা ডাইনিং হলে।পাংশু মুখে আবার খুঁজতে আসতাম । তারপরও না পেলে! কী আর করার “যাকে বলে মন্দ ভাগ্য” বলে দিয়ে আসতাম।
একবার এক ছেলে ভীষণ অনুনয় করলো, নিলাম কলের স্লিপ। সাথে দেখি ছোট্ট চিরকুট। তাতে লেখা ছিলো “ রাজীব। দুপুর ৩,৪০। নীল গেঙ্গি পরে এসেছি।একটু তাড়াতাড়ি এসো প্লিজ। আমি গেইটের বাম দিকে দাঁড়িয়ে আছি”। বোধকরি তাদের প্রথম দেখা করার দিন ছিলো। আমি সেদিন চিৎকার করে লনে দাঁড়িয়ে মেইন বিল্ডিং এর পাঁচ তলার আপু কে এই চিরকুট পড়ে শুনিয়েছিলাম।
রোকেয়া হলে ভবনের সংখ্যা ৪টি। মেইন বিল্ডিং (পাঁচ তলা), অনার্স বিল্ডিং ( দুই তলা), বর্ধিত ভবন ( তিন তলা) এবং নিউ বিল্ডিং ( চার তলা)।
আমি ছিলাম তিন তলার বাসিন্দা।বর্ধিত ভবন, রুম নং ৮৬। আমি বলতাম ঢাকা ৮৬।এখন জনগণ ভাবছেন, লেখিকার কলের স্লিপ যেতো না? হ্যা যেতো।হলের দাদুদের ডাকাডাকি, “আপনের ফোন আইছে” দুপুরের অলস ঘুম নস্ট করে আমার আব্বু এবং আম্মু হাউজ় টিউটর অফিসে ফোন করতেন।শাহেদা জাফর ম্যাডাম মাঝে মাঝে ডেকে পাঠাতেন খোঁজ খবর নেয়ার জন্য।
তারপর কার্ডফোন- অতঃপর সেলফোন। বাকিটা আনন্দ বেদনার মহাকাব্য।
আজকাল তুমুল অবসরের সময় গুলোতে মনে মনে ফিরে যাই, সেই সব দিন গুলোতে। আমার হল, রুম মেটস (রুমমেটস আমার কাছে নাগরিক শব্দ, বাস্তবে তারা আমার জীবনের অনেক কিছু), বান্ধবী, আশে পাশের রুমের সিনিয়র এবং জুনিয়ররা।সব্বাই কে খুব মিস করি। গান, গল্প, হাসি, ঠাট্টার সেই সব দিন, যেগুলো কে পেছনে ফেলে এসেছি ভীষণ অনিচ্ছেতে।
কিছু স্মৃতি রেখে এসেছি আর কিছু নিয়ে এসেছি সঙ্গে করে। রেখে এসেছি বার বার ফিরে যাবার লোভে। আর যা কিছু নিয়ে এসেছি, তা কেবলি বাকিটা পথ সঙ্গ এবং আনুপ্রেরণা দেবে সেই আশাতে।
"আমি ঘরের হইনি, বাহির আমায় টানে
আমি তোমার হইনি শুধু আকাশটা জানে
আমি পথ থেকে পথে যাই,দূর থেকে দূরে
আমি তোমার জন্য গাই,কটা গান সুরে
আমি তোমায় ভুলে বল যাব, কোন খানে।
তাই তোমার হইনি আকাশটা জানে।"
০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সৌরভ ঘোষ শাওন, রাজীব সাহেবের বিব্রত বোধ করার কারণ টা কী হতে পারে?
রুম সাজানো হয়েছিল পিকনিক উপলক্ষ্যে………… কি কি যে আনন্দ করতাম!!
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ও আপু কি লিখলেন মাথা নস্ট
আহ সেই সব দিন , যে কোন কিছুর বিনিময়ে একটা সেই দিন ফেরত চাই .।।
এক্স-২৩ ছিলাম আমি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সত্যি এত দীর্ঘ সময় আর কোন রুমে কাটাইনি আমি ।
শুভ কামনা আপু
০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মনিরা সুলতানা আপু,
রোকেয়া হল! আমাদের রোকেয়া হল!!
আপনি তা হলে নিচতলাতে থাকতেন। সিড়ির পাশের রুমটা ছিল ৩৩ নং। আপনি একটু মাঝের দিকে। এবং মজার ব্যাপার হলো, আমি ঠিক আপনার উপরের তিনতলার রুমটাতে থাকতাম।শুধু আমাদের সময়টাই ভিন্ন।
অনেক দিন আপনার কোনো লেখা পাচ্ছি না, কেন??
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি আমাদের রোকেয়া হল
৮৬ এ আমার প্রানের বন্ধুরা থাকত এক সময় একদম আমার উপরে ।
বকুল তলার পিছনেরি আমার রুম ছিল ।
ব্লগের ঝামেলার পর কেমন যেন একটু দূরে সরে গেছি আপু ।
আবার হুট করে চলে আসব প্রানের টানে ।
ভালো থাকবেন
০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মনিরা আপু, বকুল তলাটা ছিলো আপনার আর ফুলের সুবাস ছিলো আমার
বকুল তলা বসে কত গল্প যে করছি! বকুল গাছের পাশেই একটা কদম গাছও আমি পেয়েছি।
আহ! কি ছিলো সেই দিনগুলো ......
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
অবিবাহিত জাহিদ বলেছেন: Onak valo likhoni, porea valo laglo
০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৬
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: হলের স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন? কি যে ছিল সেসময়ের দিনগুলো। আহ।
৪০১(ক), আমার গণরুম, মাস্টারদা' সূর্যসেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রভোস্ট স্যারের অভিযোগ বক্স
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বলেছেন: হা হা হা
হলে না থাকলে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' এ পড়ার আনন্দ অর্ধেক!!!!
হুম আপনি তা হলে মাস্টারদা' সূর্যসেন হলের…………………
যাক এই লেখা লিখে এই পর্যন্ত দুই জনের সাথে পরিচিত হলাম যারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের!
লেখা আমি অবশ্যই পড়ে দেখবো, মন্তব্য পেয়ে যাবেন
অনেক অনেক ভালো থাকবেন, সব সময়।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
আরজু পনি বলেছেন:
আমাকে প্রথমে শামসুন্নাহার হলে দিতে চেয়েছিল। আমি চেয়ে মৈত্রী হল নিয়েছি...বাবার কবরটা হলের ছাদ থেকেই দেখা যেতো।
তবে রোকেয়া হলের সাথে কাগজে একটা সম্পর্ক আছে আমার ।
খুব ভালো লাগলো কাছের কাউকে পেলাম যেনো।
কিন্তু এই পোস্ট কেমন করে এতোদিন পর দেখলাম তাই ভাবছি!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেরী হয়েছে তো কী হয়েছে, দেখেছেন তো!! মনিরা আপু আর আমি একই বিল্ডিং এ থাকতাম
গত সপ্তাহে ‘মৈত্রী’ হলে গিয়েছিলাম, আপনার হল ভালো আছে আপু…………
সপ্তাহ দুই-এক’ এর মধ্যে আরো একবার যেতে হবে…………………
ওখানকার ক্যান্টিনের পুরিতো সেই মজা, বিশেষ করে সসটা !!!!!
তবে আগের সেই মজার আনারস মাখানো আর ফুচকা’র দোকান আর নেই
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫১
সৌরভ ঘোষ শাওন বলেছেন: রাজীব ভাইয়ের চোখে লেখাটা পড়লে বোধ হয় লোকটা এমবারাজড হয়ে যাবে।
যাইহোক, সুন্দর লেখা।
রুমের সামনের অংশটা সাজানো কি উপলক্ষে ?