নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিম ঘরে একা, শুয়ে আছে সে...

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭



প্রথমে ভেবেছিলাম যাবোনা। কেন যাবো আমি? কেন ??

তোমার না-থাকার আকস্মিকতা যখন মেনে নিতে শুরু করলাম ধীরে ধীরে, তখন বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেছে। জীবিত তোমার উপর মান অভিমান করে থাকা যায়, কিন্তু যে আর বেঁচে নেই তার সাথে রাগ করা মানায় না। এই তো শেষ বার। আর কখনো তোমাকে দেখবো না, কোনোদিন নয়। কোনোদিনও নয়!

যখন লাশ কাটা ঘরের সামনে গিয়ে দাড়ালাম তখন রাত ১১ টা। অদ্ভুত বিষন্ন একটা ঘর, আধো আলো আধো অন্ধকার, চারিদিক সুনশান নিরবতা, দায়িত্বে থাকা মানুষ টি যখন সামনে এসে দাড়ালো, আমার কয়েক মুহূর্ত সময় লাগল্, আমি আসলে ‘কাকে’ দেখতে এসেছি সেটা বলতে। কী বলবো আমি? তুমি আমার কে হও!

লো পাওয়ারের বাল্ব এর, আলোতে দেখলাম মেঝে তে শুয়ে আছে ২/৩ টা লাশ। সাদা প্যাকেটে মোড়ানো লাশ গুলো থেকে রক্ত গড়িয়ে জমেছে আছে মেঝেতে। সাবধানে পা ফেলে এগিয়ে গেলাম “ফ্রিজের” কাছে। পা কেঁপে কেঁপে উঠছে, গা-গুলানো তীব্র গন্ধ। তোমার আমার শেষ দেখাটা এভাবে হবে ভাবিনি। বাস্তবতা বোধহয় মাঝে মাঝে কল্পনাকেও হার মানায়।

ফ্রিজের প্রথন ড্রয়ারটা টান দিলো লোকটা। সাথে সাথে ভিতরে তাকালাম। না তুমি নও। লোকটা ‘ওহ’ বলে ড্রায়ারটা লাগিয়ে দ্বিতীয়টা টান দিলো। আমি প্রথম বারের চেয়েও দ্রুততার সাথে তাকালাম ড্রায়ারের গভীর বরফে। প্রায় তিন বছর পরে দেখলাম, সেই চেনা মুখ। তোমার মুখ! নিথর, শিরশিরে কপালে হাত রাখতেই আমার সাম্রাজ্য টলে উঠলো। কালো পাপড়িতে বন্ধ চোখ দুটোতে কী বিষাদ! এরপর আবারো পরম মমতায় ছুঁয়ে দেখলাম তোমার মুখ। না, আমার কান্না পায়নি। অদ্ভুত শুন্যতা অনুভব করছিলাম। নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাড়ানোর শক্তি পাচ্ছিলাম না বলে ড্রয়ার টা ধরে দাঁড়িয়ে স্পষ্টত তাকিয়ে দেখলাম তোমাকে। তোমার নাথাকা ‘তোমাকে’।

প্রচন্ড কষ্টে তোমার চেহারা জুড়ে ছিল হাহাকার। চোখ একবারের জন্যও ঝাপসা হয়ে ওঠেনি আমার। আমার ভালোবাসার মানুষ, কতদিন বাদে তাকে দেখছি! কেন কাদঁবো আমি, কেন! কিছুক্ষণ বাদে নিজেই মর্গ থেকে বের হয়ে আসলাম। নিজেকে আড়াল করতে চাইলাম। কত স্মৃতি আমাদের। শীতার্ত স্মৃতিদের আনাগোনায় তীব্র গরমেও আমার কেমন জানি শীত শীত অনুভূত হতে লাগলো। ভালোবাসার মানুষ টার নিথর শরীর ফ্রিজে রেখে কিভাবে বাসায় যাবো আমি?

কী অদ্ভুত জীবন আমাদের। ভীষণ হাসি খুশি মানুষ টা আজ শুয়ে আছে লাশ কাটা ঘরে। কোথাও কেউ নেই। তীব্র বিভৎস গন্ধের মাঝে বসে থাকলাম আরো কিছুক্ষন। যেন আমারও কোথাও যাবার নেই। কিচ্ছু করার নেই। কান্না নেই, বেদনা নেই, আপোস নেই, উপোস নেই। খুব কঠিন কিছু আটকে আছে পাজর জ়ুড়ে। আমি নত মুখে বের হলাম মর্গ থেকে। তুমি শুয়ে থাকলে একা! সকালে পোষ্ট মার্টেমের অপেক্ষায়।

দেখা না হওয়া তিন বছর কত দ্রুত গেছে। না কিচ্ছু বদলাই নি। তুমিও না- আমিও না। অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর মেলাতে ইচ্ছে করছে আজ। আচ্ছা ডোম লোকটা নিশ্চয় জেনে গেছে, তোমার হৃদয় জুড়ে কতখানি বাস্তবতা ছিলো আর কতখানি না-পাওয়া। কতখানি অন্যরা ছিলো আর কতখানি আমি। তোমার কি জমানে কোনো কথা ছিলো? যা আমাকেই বলবে বলে রেখে দিয়েছিলে!

তোমার নিথর হয়ে থাকা দেহে কী অদ্ভুত অচঞ্চলতা। আমি তোমার কপালে যখন হাত রাখলাম, ভীষণ রকম কান্না পাচ্ছিলো আমার। কামহীন-ক্রোধহীন-বেদনাহীন স্পর্শ। অন্যরা দোয়া পড়ার তাগাদা দিচ্ছিলো। বিড় বিড় করে আমি কেবলি বলে চলেছি ভালোবাসি-ভালোবাসি-ভালোবাসি। তোমার চোখার পাতা দুটো কি একটু কেঁপে উঠেছিলো। তুমি কি প্রাণপনে তোমার কষ্ট লুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে! তোমার ঠোঁটে ছিল “হারিয়ে দিয়ে গেলাম ধরনের ‘বিদ্রুপের’ হাসি”। নিশ্চল দাঁড়িয়ে রইলাম, যেন আমার কোথাও যাওয়ার নেই। তুমি তো সবকিছু থেকে লুকাতে চেয়েছিলে, হারিয়ে গেলে কেন?

সকালেই স্থায়ী ঠিকানার উদ্দেশ্যে এ শহর ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে যাবে তুমি। চেনা রাস্তা টুকু পেরিয়ে গিয়ে, তোমার নিশ্চয় ফিরে আসতে ইচ্ছে করবে, অচেনা ভুবন থেকে। আমাকে গল্প শুনাতে ইচ্ছে করলে, যখন খুশি চলে এসো। পুরোনো গল্প নতুন করে শুনবো। এবার অন্তত নিজের কথা ভেবো।

প্রাপ্তিযোগে, পুনরায় একলা হলাম আমি!

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আম আদমি বলেছেন: মন খারাপ করে দিলেন। ভাল লেগেছে তবুও।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আম আদমি ।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তোমার নাথাকা ‘তোমাকে’। ভাবনাটা বেশ নাড়িয়ে গেল!

তোমার নিথর হয়ে থাকা দেহে কী অদ্ভুত অচঞ্চলতা। আমি তোমার কপালে যখন হাত রাখলাম, ভীষণ রকম কান্না পাচ্ছিলো আমার। কামহীন-ক্রোধহীন-বেদনাহীন স্পর্শ। অন্যরা দোয়া পড়ার তাগাদা দিচ্ছিলো। বিড় বিড় করে আমি কেবলি বলে চলেছি ভালোবাসি-ভালোবাসি-ভালোবাসি। তোমার চোখার পাতা দুটো কি একটু কেঁপে উঠেছিলো। তুমি কি প্রাণপনে তোমার কষ্ট লুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে! তোমার ঠোটে ছিল “হারিয়ে দিয়ে গেলাম ধরনের ‘বিদ্রুপের’ হাসি”। নিশ্চল দাঁড়িয়ে রইলাম, যেন আমার কোথাও যাওয়ার নেই।

দারুন গভীর অনুভব।

জীবনের সবচে বাস্তবতাটাকেই আমরা ইচ্ছে করেই ভুলে চলি! অথচ না চাইলেও অাচম্বিতেই আমাদের মূখোমূখি করে দেয়/নেয়!

+++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু,
ভালো থাকবেন।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: :(

মন খারাপ করা লেখা!!

ছবিটা সরায়া দেন না আপু, লাশ দেখতে আমার ভয় লাগে!!! #:-S

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @রক্তিম দিগন্ত.......লাশ দেখতে আমার ভয় লাগে!!!

কেন ভাই নিজের সুনিশ্চিত এক পরিণতি- যা থেকে পরিত্রানের কোন উপায় নেই! তাকে আর ভয় কি? ;)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু, এটা কে ভয় বলে না। রক্তিম দিগন্ত বোধকরি আস্বস্থি বোধ করেছেন।
সব সত্য সবসময় ভালো লাগতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। ছবিটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার নিজেরও ভালো লাগেনি। কিন্তু এর থেকে উপযোগী কোনো ছবি এই লেখার জন্য খুঁজে পেলাম না।
ভালো থাকবেন।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১

জনম দাসী বলেছেন: জীবন থাকিতে ভাঙ্গিলোনা মান করিলোনা ক্ষমা ,
মরনের পরে কেন তার মুখখানি দেখা?
জীবন থাকিতে তারে পারোনাই বলিতে
ভালবাসি প্রিও...ক্ষমার মাঝেই পাশে থাকো
ইকটু উস্নতার মাঝেই না বলা কথা গুলি বলো।
ভালোবাসা মানে কি অভিমানে দূরে সরে থাকা!
সে ভালোবাসা নয়, ভালোবাসার নামে স্বার্থপরতা...
নিজ থেকে সাধিত প্রেম যে পায়ে দলে যায়
তার মত মানুষ রুপী পশু এ জগতে আর কেবা হায়;

লেখাটি হৃদয়ের কোনে চরম ব্যথা জাগিয়ে গেলো... হয়তো একদিন আমাকেও কেউ একজন এমন দেখিতে আসিবে লাশ কাটা ঘরে, অথবা নয়।। ''দিগন্ত ভয় পাওয়ার কিছু নাই, মূলত আমরা সবাই লাশ; কেউ চলতি ফিরতি আর কেউ নিথর। আমি যতটা বেশী পারি মৃত্যুদের বেশী দেখি আর ভাবি, কত কিছুইনা জগতের মানুষকে, পরিজনদের দিয়ে গেলে, কেউ সুদ ঘুস, কেউ খুন, কেউ ঠকবাজ, প্রতারনা করে, অবৈধ পয়সার পাহাড় গড়ে, কত শত অন্যায় করেই না সমাজের সাথে রেস লাগিলে, টিকে থাকতে চাইলে, অথচ মৃত্যুর মত কঠিন সত্য টাকে ত্যাগ করিলে। কেউ গেলনা সাথে। কেউ রইলনা একটি দিনও লাশ কাটা ঘরে। এইতো ভালোবাসা । আসুন সবাই মিলে জীবনেরে নয় আগে মৃত্যুরে ভালোবাসি... তা হলে অন্তত্য ভুখা পেটে রাস্তায় পরে কেউ মরবেনা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

জনম দাসী বলেছেন: নন্দিনী লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও অশেষ দোয়া রেখে গেলাম... ভাল থাকুন সব সময়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ জনম দাসী ।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

আরাফাত হোসেন অপু বলেছেন: মেরে ই ফেল্লেন অবশেষে???..............মানতে পারছিনা!!!!!!..........। =p~ =p~ =p~ =p~

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ইয়া আল্লাহ, না-না। ছি: ছি: ........ কী বলেন, না-বলেন!! আল্লাহ মাফ করুক। :( :(

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: মেরে তো আর ফেলে না কেউ-মরে যেতে হয় স্বেচ্ছায়,বিরহ যাতনায় ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায়।
ভালো থাকবেন।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

কল্লোল পথিক বলেছেন: মন খারাপ করা লেখা।
তবুও ভাল লেগেছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা যদিও গতকাল পড়েছিলাম, তবে মন্তব্য করা হয়নি!



একটা কথা পড়েছিলাম, মৃত্যু যন্ত্রনার চেয়ে বিরহের যন্ত্রনাটা যে কতটা ভয়াবহ; সেটা যে এর সম্মূখিন না হয়েছে সে কখনো জানবে না! লেখাটা মন খারাপের হলেও পড়তে বেশ ভাল লেগেছে!



শুভ কামনা জানবেন!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী সন্তান!!
এরপর থেকে মন্তব্য করতে দেরি করা চলবে না। মনে থাকবে তো?
ভালো থাকবেন।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

আলোরিকা বলেছেন: বিষণ্ণ বোধ করছি :(

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আপনার লেখা তো খুবই উচ্চ মানের।
আরো এমন লেখা চাই।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: It’s a great complement!! Thank you :)
মান কেমন হবে বলতে পারছি না। তবে লেখালিখি চলবে।
কথা প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমি নিজেও আপনার লেখা বেশ পছন্দ করি। কিন্তু মন্তব্য করা হয় না :( :(
ভালো থাকবেন।

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া লেখা!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, মনে থাকবে? আপনার পোস্ট দেখলেই অস্ত্র সহ ঝাঁপাই পড়ুম, যা থাকে কপালে.......!! :`>

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা, অস্ত্রসস্ত্র তো “রাফা” ভাই এর ডিপার্টমেন্ট। আপনি কেন শুধু শুধু সেই দিকে নজর দিচ্ছেন?
নতুন কিছু ভাবেন :P

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে – ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ ।

:( :(

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কোন ভূত? ঘুম ভেঙে গেলো তার?
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল- লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার ।
এই ঘুম চেয়েছিলো বুঝি !

-- জীবনানন্দ দাশ < ‎মহাপৃথিবী‎ < ‎ আট বছর আগে একদিন

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা বলেছেন: এ কেমন অভিমান
প্রস্তানে চলে যায় বহুদুরে
যখন সকলি শেষ হয়
পড়ে থাকে শুধুই
একরাশ মিশমিশে
শূন্যতা..........

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক উন্নত মানের লিখা পড়ার পর বুকটা বারি হয়ে আছে। কি মন্তব্য করব ভেবে পাচ্ছনিা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এতো ভেবে চিন্তে মন্তব্য করার কী দরকার? পড়ে মনে যা আসে লিখে ফেলবেন।
ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন, ভালো থাকবেন :)

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

নেক্সাস বলেছেন: প্রাপ্তিযোগে, পুনরায় একলা হলাম আমি

ওরে বাবা আপনার এই লাইনটা একটা কবিতা।
একবার আমি এমন প্রাপ্তিযোগে একলা হলাম।
এখনো সে একলাই আছি।

গল্প ভাল লেেগছে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নেক্সাস তো কবি মানুষ, তার কাছে সব কিছুই কবিতার মতো লাগে :)
আপনার একলা জীবনের শুভ মুক্তি ঘটুক, সেই অনারে পার্টি দেয়া হবে :';)
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন লেখা।সাবলীল বর্ণনা।দারুণ লিখেছেন আপুনি।লেখায় মন খারাপ করা ভালো লাগা+

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!!

২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

নবাব চৌধুরী বলেছেন: সি এন জি তে বসে বসে পড়লাম,একটা মেয়ে পাশে বসা সে বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছে কারণ লেখাটা পড়তে যেয়ে আমার মুখ ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করেছে।মন খারাপ করা লেখা হলেও ভালো লেগেছে।আলো থাকবেন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নবাব চৌধুরী!
আপনি বোধহয় খুব অনুভব করে পড়ছিলেন, আর মেয়েটা আপনার এক্সপ্রেশন থেকে বোঝার চেষ্টা করছি্লো “বিষয়টা আসলে কী”।
পাঠক হিসেবে আপনি আমার সম্মানের জায়গাটা দখল করে নিলেন।
লেখালিখিটা যেনো অব্যাহত রাখতে পারি!
আপনিও ভালো থাকবেন।

২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: কারও মরতে হবে না এভাবে । সবাই আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকুক, বুড়ো হোক ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মানে !!!!!!!!!!! ??????

গল্পের সব চরিত্র বুড়ো হয় না। লেখিকার ইচ্ছে মতোন, গল্প থেকে বাদ পড়ে ;)

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

মেঘপিয়ন বলেছেন: ডাকবাক্সের ইতি!
ইতি, ডাকবাক্স!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পুনশ্চঃ “ডাকবাক্স” তবে পাঠকপ্রিয়তা হারালো!
তাহলে বাক্সটা থাক……………… ডাক না হয়, না-ই ফেললাম :( :(

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ.............. !

২৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

মেঘপিয়ন বলেছেন: "লাশকাটা ঘরে শুয়ে আছে সে!" অণুগল্পটি লিখে লেখক যে বাক্সটা রেখে দিয়ে তাতে আর ডাক আর না ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন - 'ডাকবাক্সের ইতি' লিখে সেইদিকেই ইংগিত দিয়েছিলাম। লেখক পাঠকপ্রিয়তা হারানোর কথা নিজে থেকেই ধারণা করে নিয়ে অতঃপর বাক্স রেখে তাতে আর ডাক না ফেলার কথা লেখাতে আমার সেই ইংগিত যুক্তিযুক্তভাবে প্রমাণিত হলো।

ডাকবাক্স কি আর লেখা পেতে পারে না?
ইতি,
ডাকবাক্স!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: !!!!!!!!!!!!
দেখা যাক ..........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.