নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নান্দনিক নন্দিনী’র অল্প প্রেমের স্বল্প গল্প

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২



মানুষ প্রেমে পড়ে কদাচিৎ; সুন্দর সময়ে, সুন্দর মুহূর্তে, অনুকূল পরিবেশে। আর আমি প্রেমে পড়ি হাটে, মাঠে, ঘাটে, মেলা, ময়দানে, পার্কে, কফিশপে, রেস্তোরাই, শপিংমলে। আমার প্রেম শুরু হয় যেখানে, শেষও হয় সেখানেই, শুধু “রেশ” টা রয়ে যায় পরবর্তী কয়েক দিন। পেটে খাবার না থাকলে কেবল মাত্র প্রেম আমাকে আকূল করতে পারে, ব্যাকুল করতে পারে, ভাবাতে পারে, কাঁদাতে পারে। তাই তো রেশ থেকে যাওয়া প্রেমের কূলখানিটা প্রায়শ-ই আমাকে বেশ ঘটা করেই করতে হয়।

অনেকেই বলেন তিনি প্রেমে পড়েন না আর আমার ক্ষেত্রে হয় পুরাই উলটা “আমি আবার প্রেম ছাড়া থাকতে পারি না”। এবং তাদের জন্য আমার দুঃখ-ই হয়, যাদের জীবনে প্রেম আসে না।

১.
মিরপুর শ্যাওড়া পাড়াতে থাকি। বিভিন্ন কাজে শাহবাগ যেতে হয়। এই কাজটা আমার কাছে যুদ্ধ জয়ের মতো কঠিন। কারণ এখান থেকে না যেতে পারি রিকশাতে, না সিএনজি তে। রিকশা ঐ রুটে যেতে পারে না। আর সিএনজি চালকরা যাবেন না। অগত্যা আমাকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিতে হলো। টিকিট কেটে বিআরটিসি তে উঠলাম। আহ! ইটস মাই ডে। সিট পেলাম তাও বাম দিকে জানালার পাশে। পরের দুই ঘন্টা ছিলো কেবলই "আমাদের"।

এরপর কাজ সেরে ক্যাম্পাসে গিয়ে বান্ধবীকে কল দিলাম। বান্ধবী তুমি যেখানেই থাকো ১০ মিনিটের মধ্যে লাইব্রেরীর সামনে আসোঃ
- বান্ধবি, আই এ্যাম ইন লাভ
- কার?
- ভদ্রলোক এখন বারডেমে
- সারা শহরভর্তি সুস্থ লোক রেখে তুই শেষ পর্যন্ত এক রোগীর প্রেমে পড়লি!
- তিনি রোগী নন। রোগী সাথে করে এনেছেন। এই বয়সে কারো বহুমূত্র রোগ হয়না।
- তা কি করে প্রেম হলো?
- সরি, প্রেমটা এখনো হয় নাই। আমি কেবল মাত্র প্রেমে পড়েছি
- তা লাফিয়ে পড়েছিস না ঝাপিয়ে
- দেখে শুনে ধীরে সুস্থে পড়েছি
- কিভাবে হলো সরি পড়লি ঐ প্রেমে
- আমি বিআরটিসি করে শাহবাগ আসছিলাম। ফিল্ম আর্কাইভে কাজ ছিলো। বিজয়স্মরনী তে আমাদের প্রথম দেখা। ঠিক আমাদের নয় আমি তাকে দেখেছি। জ্যামে বসে ছিলাম। ভদ্রলোকও তার গাড়ীতে ছিলেন। প্রথমে ঘড়ি থেকে দেখা শুরু করলাম। আমি জীবনেও কাউকে এতো স্টাইলিশ ঘড়ি পড়তে দেখি নাই। তারপর লক্ষকরলাম নাহ, হাত সুন্দর বলেই না ঘড়িটা এতো ভালো মানিয়েছে। এরপর দেখি আরে সর্বনাশ এই লোক তো সুন্দর করে স্টিয়ারিং হাত রাখে। ঠিক যেমনটা আমি পছন্দ করি।

- হইছে এবার তুমি আবেগে গাড়ীর বর্নণা দিতে শুরু করবা। লোকটা দেখতে কেমন?
- লোক বলে তো! ভদ্রলোক। তা তো দেখি নাই
- নাও হইছে চল আজ আমেরিকান বার্গার খাইতে যাই
- তুই এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছিস না। আমি এখন বিজয়স্মরনী দিয়ে কিভাবে যাবো? ভদ্রলোককে মনে পড়বে বারবার!
- ঐ রাস্তা দিয়ে যাওন লাগবোনা। অন্য রাস্তা দিয়ে যাস। চল খাইতে যাই। পেটে খাবার গেলে পড়া প্রেম থেকে উঠে আসা যায়।
- খেয়ে আর কী হবে, খাওয়া-ই কী জীবনের সব?
- নাহ! প্রেমই জীবনের সব। তাই এখন কি বসুন্ধরায় না গিয়া বারডেমে যামু
- ইনি নিশ্চয় এতোক্ষনে বাসায় চলে গেছেন
- সো স্যাড, চল তাইলে বার্গার খাইতে যাওয়াই উত্তম।
- না রে আমার এখন বিরহকাল।
- সেজন্য-ই তো, খেতে খেতে না হয় বিরহের বাকি গল্পটা শুনবো।

২.
আমার দ্বিতীয় প্রেমে সাক্ষী ঐ রাস্তা, যে জানে প্রথম দেখাতেই আমি কতটা তার প্রেমে পড়েছিলাম। তাহলে শুনুন সেই কথাঃ

- তানিয়া আমি তো প্রেমে পড়েছি! আমার কি হবে?
- কি হবে মানে? প্রেম হবে!
- কিভাবে হবে?
- দুনিয়া শুদ্ধু লোকেদের যেভাবে হয়
- কিন্তু কার সাথে!
- কেন? যার প্রেমে পড়েছেন তার সাথে
- তাকে আমি কোথায় পাবো, খুইজা আইনা দাও
- মানে কি! খুঁজতে হবে কেন! কে তিনি?

ধানমন্ডি ১৫তে KFC’র উলটা দিকে দাঁড়িয়ে ছিলাম ট্রান্সপোর্ট এর জন্য। ট্রাফিক হাত উঁচু করে সিগন্যাল দিলো। সিগন্যালে দাঁড়ানো রিকশা থেকে এক ছেলে বেশ অনেকক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রথমে আমি কৌতুহল নিয়ে তাকালাম, কী বিষয়! আমি কি তাকে চিনি। না আমার পরিচিত কেউ নয়। তাহলে?? এবার বেশ আগ্রহ নিয়ে তাকালাম, না চিনি না। তবে………… বিশেষ লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, ছেলেটার চোখ হাসে। হাসি মুখ, ঠোঁটের হাসি অনেক দেখেছি। এই প্রথম কোনো ছেলের চোখের হাসি আমাকে মুগ্ধ করলো। আমি ভীষন ভাবে বিশ্বাস করি, “মানুষের চোখ কখনো মিথ্যে বলতে পারে না”।

তানিয়া বললো,
- আচ্ছা ভাইয়া কী পোশাক পরে ছিলেন?
- তাতো খেয়াল করি নাই। কেন?
- ধরেন, যদি ফরমাল পোশাকে থাকতো তাহলে এই পথ দিয়ে বাসায় ফিরছিলো। আর ক্যাজুয়াল পোশাকে থাকলে তার বাসা আশে পাশে কোথাও হবে। সেক্ষেত্রে খুঁজে দেখা যেতে পারে।
- আমার কিন্তু মন খারাপ লাগছে।
- সে ক্ষেত্রে কিছু খাওয়া দাওয়া করা দরকার। চলেন “কুক” এ যায়।

কুক এর পরিবেশ বেশ শান্ত। খাবার মো্টামুটি। তবে বসার জায়গাটা বেশ ভালো। আপদামস্তক কাঁচের ভিতর দিয়ে ধানমন্ডি লেক টা দেখতে পারবেন সাথে জাহাজ বাড়ী। টেবিলে রাখা আছে, মাটির ঘণ্টা। যেটা বাজিয়ে আপনি ওয়েটারদেরকে ডাকতে পারবেন। খাবার অর্ডার করে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু আমার মন তো উচাটন! তাই বসে বসে ঘন্টা টুন টুন করছিলাম। বার তিনেক ওয়েটার এসে ঘুরে গেলো। তখন তানিয়ার সেই ঐতিহাসিক আন্তরিকতা, “ভাই আপনার বার বার আসার দরকার নেই, আমরা একটু মিউজিক প্রাকটিস করছি”। এরপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “তাই না?”। আমার সেই বিখ্যাত হাসি, হুমমমম।

৩.
খালিদ রহমান, তুমি যেখানেই থাকো এক্ষনি ধানমন্ডিতে আসো।
- কেন আপা! কিছু হয়েছে?
- হ্যাঁ খুব বিশেষ, আসতে কতক্ষণ লাগবে?
- ক্লাস থেকে পেছনের দরজা দিয়ে বের হতে যতক্ষণ লাগবে। তারপর-ই রিকশা করে উড়ে আসতেছি।
- আচ্ছা আসো।
ঘন্টা খানিক বাদে বেচারা হাঁপাতে হাঁপাতে আসলো। অফিস রুমে চেয়ার টেনে বসতে বসতে প্রশ্ন করলো, কী হয়েছে আপা? আমি খুব উৎকন্ঠিত ভাবে বললাম, “I am in Love”। অনতিবিলম্বে দ্বিতীয় প্রশ্ন, “With whom?”। বললাম, চিনি না। ধানমন্ডি ৮ নম্বর ব্রিজের ওখানে দেখে এসেছি। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। খালিদ খুব কাতর ভাবে অনুনয় করলো, আপা ৩’৩০ বাজে। এরপরে গেলে বুমার্সে আর লাঞ্চ পাওয়া যাবে না। চলেন খেতে খেতে কথা বলি।
বিপদেরই বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যাই। আমি আছি প্রেমের পেরেশানে আর বকু ব্যস্ত খাবার নিয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে তো ওর সাহায্যের ভীষণ প্রয়োজন। তাই বাধ্য মেয়ের মতো বুমার্সে গেলাম।
-এবার বকুর তৃ্তীয় প্রশ্ন, “আমাকে কী করতে হবে বলেন?”
- আমি বিরক্ত মুখে বললাম, কী করতে হবে মানে? গিয়ে বলবা, এই যে Mr. X Y Z, my APA is in love with you”।
- বকুর রেসপন্স সেই মাত্রার হতাশাজনক। “আমি গিয়ে বললে কী ভালো দেখাবে?”।
-আমার তো সেই মেজাজ চড়তাছে, “ভালো দেখাবে মানে? দুলাভাই তোমার, বলবে কি পাড়া প্রতিবেশী গিয়ে?।
-খালিদ রহমান ব্যাকফুটে, না তা না। অবশ্যই আমার বলা উচিত। কিন্তু আমার থেকে আপনি বললে বেশি গুছিয়ে বলতে পারতেন, এই আর কি!”
-শোনো ভাইয়া, কেউ কি নিজের ভালো লাগার কথা নিজ মুখে বলে? আমাদের সময় সেগুলো বন্ধু স্থানীয়রাই গিয়ে বলতো। তুমি আমার ভাই আর তু্মিই তো আমার সবথেকে ভালো বন্ধু, তাই না?
- একদম ঠিক কথা। বিল দিয়ে চলেন, Big Boss এ যাই। প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার কিছু ভালো পোশাক কেনা দরকার। ক্রেডিট কার্ড আনছেন তো?
- একেই বলে এতো “জানাজার আগে কুলখানির আয়োজন”।

ধুম করে বাস্তবে ফিরে আসলাম। তাই তো আজকে তো ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দেয়ার লাস্ট দিন। অফিস খোলা আছে আর মাত্র এক ঘন্টা রীতিমত রকেটের গতিতে না ছুটলে জাস্ট ধরা! বললাম প্রেমের প্রস্তাব তো আজ পাঠাতে পারছি না রে। তুমি টিউশনি তে যাওগা। আজকে আমার অন্য কাজ আছে।

৪.
সপ্তাহে অন্তত একবার “নিউমার্কেট” না গেলে কেমন যেন সপ্তাহ টা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। নিউমার্কেটে আমি মুলত মানুষ দেখতে যাই। বইয়ের দোকানে ঢু মেরে বই দেখি আর “ব্রেডম্যান” এ তেরিন বার্গার ধবংস করি। মাস খানিক আগে রুটিন মাফিক নিউমার্কেট ভিজিটে গেলাম। একাই ছিলাম। চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে রিকশা থেকে নেমে ফুট ওভার ব্রিজের নিচের গেইটটা দিয়ে ঢুকলাম। তারপর, রুটিনের বাত্যয় ঘটিয়ে দিলো একজন মানুষ।

এক কথায় কি বলা যায়, “ Love at first sight”। ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমাদের চোখাচোখি হতেই তিনি হাঁটা শুরু করলেন। আমি তার ঠিক তিন/চার হাত পেছনে। আমিও হাঁটছি। তাকে দেখে প্রথম যে কথা টা আমার মনে হলো “Yes! I am in love”। সত্যি বলতে কি, আমি এর আগে কখনো কাউকে, এতো সুন্দর করে হাঁটতে দেখি নাই। মানুষ হাঁটলে এতো সুন্দর লাগে, এই মানুষ টাকে না দেখলে আমার জানাই হতো না।

হঠাৎ লোকটার সেলফোন বেজে উঠলো। তিনি ধীরে সুস্থে পকেট থেকে ফোন বের করে কথা বলা শুরু করলেন। কী অদ্ভুত সুন্দর ভঙ্গিতে কথা বলতে লাগলেন। বোধহয় অফিসের ফোন ছিলো। কাজের কথাই বলছিলেন।

এক পর্যায়ে আমি টের পেলাম, আমি গন্তব্য পেরিয়ে অনেকটা দূর চলে এসেছি। এবার না ফিরলেই নই। গিয়ে সোজা ব্রেডম্যানে বসলাম। বাবু ভাই কে রুটিন মেন্যু অডার করে, নেটে বসে গেলাম। এই সময়ে কাছের কারো কাছে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করা আর খাল কেটে কুমির আনা একই কথা। সেই তো বিল আমাকেই দিতে হবে। বোনাস হিসেবে আবোল-তাবোল বুঝ বোঝাবে। এখন থেকে নিজের সমস্যা নিজেকে সমাধান করা শিখতে হবে।

তাই এবার নিজেকে নিজেই বুঝ দিলাম, “একদিন 'আমাদের' ঠিকই দেখা হয়ে যাবে। অন্তত 'তাকে' তার প্রশংসা টুকু শোনানার জন্যে হলেও আমাদের দেখা হওয়াটা খুব জরুরী”

:) :)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: বড়ই চমৎকার।।
আপনার লেখা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!
ভালো থাকবেন :)

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাল লাগলো প্রেম কাহিনী।
শুভ কামনা জানবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০

সুমন কর বলেছেন: ভালো হয়েছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভালো লাগল গল্প। সুন্দর প্রেমের গল্প।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !! ধন্যবাদ !!!

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ক্লাসিক সব কাহিনী নন্দিনী
পড়তে পড়তে কি জানি মিসিং লাগছিলো ....।
ও হ্যাঁ সবাই কাহিনী শোনার সময় কিছু খাচ্ছিল আর আমি শুকনা মুখে পড়লাম B:-)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা .........
কি কি খাবেন বলেন???
ধন্যবাদ, মনিরা আপা........... ভালো থাকবেন :)

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: নিঃসীম ভালোবাসা ;)
গল্প ভাল্লাগছে

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: গল্প মানে?? আজকাল এইসব-ই ঘটছে!!
ধন্যবাদ, রুদ্র জাহেদ ।
ভালো থাকবেন :)

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: :D ধপাধপ আরও কয়েকটা প্রেমে পড়ে যান! আমার কিছু শপিং করতে হবে :`> :``>>

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ক্রেডিট কার্ডের দায়দেনা কিছুটা কমার পর শপিংয়ে গেলে ভালো হতো না ??

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: প্রেমে পড়ার হাজারো গল্প আছে। কিন্তু প্রেমের কোন স্বার্থক গল্প নেই। ভালো লাগছে লেখা।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: "উল্টা দূরবীন বলেছেন, কিন্তু প্রেমের কোন স্বার্থক গল্প নেই"
আছে তো :) :) সেই গল্প পরে করার জন্য তুলে রাখা.............
লেখালিখি তা আরেকটু রপ্ত করি, তারপর একদিন প্রেমের সফল গল্পটা শোনানো যাবে :)
ধন্যবাদ !!

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আশায় আশায় বুক বাঁধলাম স্বার্থক প্রেম গল্পের। কবে শোনাবেন?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার অপেক্ষাটা অভ্যাস হয়ে যাওয়ার আগেই :) :)

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯

ইমরান মোহাম্মাদ বলেছেন: লেখাটা ত ভালই, সাথে মন্তব্য গুলোর জুতসই উত্তর, অসাধারন

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহ হা, দারুণ তো হুটহাট প্রেমে পড়ার টেন্ডেন্সি!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ইয়েএএএএএএএএএ
ধন্যবাদ!! ধন্যবাদ!!!!

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: যদি ভালোবাসো একাধিক জনকে।
তবে দ্বিধাহীন হয়ে থাকো নিজেকে ঠকিও নাকো, চিৎকার করে বলো বার বার I
love you, I love you, I love you.
এ এক অন্য প্রেমের গান, এ এক অন্য প্রেমের সুর।
না শুনলে শুনো নাকো,
না মানলে মেনো নাকো, না মানার
অাছে অধিকার।
যদি ভালোবাসো…..

সংকীর্ণ মনের মানুষ যারা, তারাই তো ভালোবাসে একবার।
যার মন বড় যতো দেখে ভালো অবিরত, তারাই তো ভালোবাসে বার বার।
যদি ভালোবাসো শুধু একজনকেই, তবে পৃথিবীকে বলো I hate you.
ভালোবাসা কোনো press maker নয়, কোনো এক বুকে নেবেই যে অাশ্রয়।
ভালোবাসাতো মুক্ত হাওয়া, বহু মনে খুজে পাওয়া।
নানা ভাগে কোমল গান্ধার।
I love you…..

আমার নেই কোনো শাসন, ভালোবাসি যখন তখন।
কারো চোখ ভালো লাগে, কারো মুখ ভালো লাগে, কারো বা চরিত্রের গঠন।
ভালোবাসবো যখন আমি তোমাকে, বলবো বলবোই I love you.
ভালোবাসবো যখন আমি আমাকে
বলবো এ মনটাকে দৃষ্টি শক্তিটাকে, নানা মনে মিশে যা বার
বার।
I love you……

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা ............... :)

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: গানটা শুনসেন? নচিকেতার।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শুনেছি ....... :)
আমার অবশ্য বারী সিদ্দিকী’র একটা গান মনে পড়ছে,
“আমি যার তার প্রেমে পড়ি বলে, কলঙ্কিনী নাম দিয়েছে লোকে।
ওরে প্রেমে পড়াই প্রেমের ধর্ম, জাত গেলো কলঙ্কে।”
:) :)

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

জসিম বলেছেন: অপেক্ষার জন্ম হলো. হওয়াটা হয়তো জরুরি.

ভালো থাকুন.
শুভকামনা.

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কিসের অপেক্ষা ?? @ জসিম ভাই

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

জসিম বলেছেন: ......দেখা হওয়াটা খুব জরুরী”
আপনি যে পাঠককে হাতে হারিকেন দিয়ে দিলেন সেটার কি হবে! অপেক্ষা ছাড়া কিছু তো করার নেই ;)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দোয়া রাইখেন তো, যেন দেখাটা হয়েই যায়। খুব জরুরী, ভীষণ জরুরী!!

১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৪

জসিম বলেছেন: জরুরি হলেও দেখা হবে কি না সেটা হয়তো লেখক বলতে পারবে, লোকটা শেষ পর্যন্ত লোকই থাকে কিনা অথবা কিভাবে স্বল্প গল্প সামনে যাবে, সেজন্য আমি অপেক্ষায়.

শুভকামনা রইলো.

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার "অপেক্ষা"র মোবারক বাদ !!!
নন্দিনী আশাবাদী মানুষ, সম্ভাবনা যেহেতু রয়েছে, তাই হাল ছেড়ে দেয়া চলবে না।
দেখা যাক………………
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন :)

১৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

নেক্সাস বলেছেন: তাই এবার নিজেকে নিজেই বুঝ দিলাম, “একদিন 'আমাদের' ঠিকই দেখা হয়ে যাবে। অন্তত 'তাকে' তার প্রশংসা টুকু শোনানার জন্যে হলেও আমাদের দেখা হওয়াটা খুব জরুরী”

গল্পের শেষ টা বেশ চমৎকার।

বেশ সুন্দর লাগলো আপনার গল্প।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: গল্প বোলে তো!!!!!
দিলে চোট পাইলাম..................

এরা প্রত্যেকেই আপনার হলেও হতে পারতো “দুলাভাই” !!!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন :) :)

১৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০০

নেক্সাস বলেছেন: দুলাভাই !!!! বুঝি নাই কিচ্ছু। শানে নুযুল বুঝাইয়া বলেন

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: - আপনি আমাকে কী বলে সম্বোধন করবেন?
- আপু
- আপনার আপু, নন্দিনী নিজেকে "রাজনন্দিনী" ভাবে
- তো?
- এবার লেখাটা আরেকে বার পড়েন :) :)

১৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

নেক্সাস বলেছেন: হুম এরা প্রত্যকে হলেও হতে পারতো আপনার দুলাভাই। এবার বুঝেছি। না শেওড়াপাড়া তে থাকে বউ-এর বড় বোন। ছোট বোন তো থাকেনা। তাই দুলাভাই মিষ্টি ডাকটা শুনে একটু আবেগী হইয়া গেছিলাম আরকি। :D :D

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা .................

২০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৩

আরজু পনি বলেছেন:

হাহাহাহা অনেক মজার হয়েছে ।


...
স্যরি, আপনার তাল পোস্টে যেতে ইচ্ছে করলো না । আমার এই সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমা করবেন ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপু আমিও চাইনি, আপনি ওখানে যান...............
শুধু এই কারনেই অনেক অনেক ভালোবাসা!!
ভাবছিলাম ব্লগারদের কিছু বই কিনবো………… আপনার পোষ্ট তো বইয়ের তালিকা টাও করে দিয়েছে। রিভিউ সহ হলে আরো উপকৃত হতাম।
আপনি আমার প্রিয় ব্লগার।
আপনার প্রিয় বইয়ের তালিকা চেয়ে রাখলাম। সময় করে দিয়েন। আমি পড়ে মতামত জানাবো ইনশাআল্লাহ :)

২১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী ,



ইয়েস ! ইটস ইয়োর ডে এ্যান্ড দ্য ডেজ দ্যাট উইল বি কামিং ঠ্যু !

যে হারে প্রেমে পড়া আর তেল চকচক খাওয়ার বাহার তাতে নো ডাউট , বেটার ডেজ আর কামিং । হয় বহুমূত্র রোগ নিয়ে বারডেম , ঐ ঘড়িওয়ালার সাথে ;) নয়তো উল্টোদিকে পিজিতে ( পি ফর "পচিয়া" , জি ফর "গিয়াছে" ) উচ্চরক্তচাপ আর খান তিনেক হৃদয়ব্লক নিয়ে :((
রাজনন্দিনী অর্থাৎ প্রেমনন্দিনী’র জন্যে এটুকুই অল্প কথায় স্বল্প মন্তব্য । :P

২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আহমেদ জী এস,
যখন আর মি: 'বেটার ডেইজ' এক সাথে বুড়ো হবো................. তখন আমরা নিয়মিত ধানমন্ডি লেকে হাঁটাহাঁটি করবো। সো নো বহুমূত্র রোগ!
আর আমার হৃদয়ের আকার যা বিশাল! সেখানে ১০/২০ ব্লক হলেও আমি দিব্যি বেঁচে বর্তে থাকবো ইনশা আল্লাহ।
মিঃ ‘বেটার ডেইজ’ এর হার্টে ব্লক? নো চান্স, কারন সেখানে রাজনন্দিনী রাজত্ব করবে।

চিন্তামুক্ত জীবনে উচ্চরক্ত চাপের ঝুঁকি থাকে না। মিঃ ‘বেটার ডেইজ’ কে চিন্তামুক্ত হাসিখুশি একটা জীবন দিবো; আই প্রমিস!

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!!!!!
ভালো থাকবেন সব সময় :)


২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী ,



চিন্তামুক্ত জীবন বলেই চিন্তায় ভুল করে ফেললেন । ধানমন্ডি লেকে হাঁটাহাঁটি ? তাই যদি হয় তবে নির্ঘাৎ সলিল সমাধি । :(( সাঁতার-টাতার জানেন তো ? :P নইলে ঐ যে , বেটার ডেজ আর এ্যাওয়েটিং ইন নরক ! নো চান্স ইন হেভেন । আত্মহত্যা মহাপাপ :(
[ প্রেমের মড়া জলে ডোবেনা ? ]

রাজনন্দিনীরা তো "রাজউক" - ই । হার্টের জমি দখল করে হার্টের মালিক কে তাড়িয়ে দেয় । তারপরে সেখানে ১০/২০ তলা বিল্ডিং বানিয়ে ভাড়া দিয়ে দেয় । ;)

আপনিও ভালো থাকুন ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: চিন্তাটা ভুল হলো কিভাবে? সেটাই এখন আমার কাছে চিন্তার বিষয়।
জ্বী জনাব, নন্দিনী সাতার জানে এবং সেটা রীতিমতো ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার মতো জানা।
ধানমন্ডি লেকে এতো লোকে রোজ হাঁটে কাউকে তো জলে ডুবে মরতে দেখিনি! আপনি ভাই আগে থেকেই অশুভ কথা কেন বলতেছেন?
আমার ১০/১২ তলা পছন্দ নয়, টানা বারান্দাওয়ালা ছিমছাম দোতলা বাড়ী পছন্দ। তাই দখল করি কিংবা আপোষে পাই, বাড়ি হবে দোতলা।
আর শুনেন, ভালোবেসে মরে গেলে তাকে আত্মহত্যা বলে না, বলে ‘মহা প্রয়াণ’।

ঠিক আছে, ভালো থাকলাম :)

২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী ,



চিন্তাটায় ভুল এখানেই -- ধানমন্ডি লেকে কেউ হাটেনা । হাটে ধানমন্ডি লেকের পাড় ধরে বা পাড়ের রাস্তায়
এরকম ভুল আমরা অনেক সময়ই করে থাকি । যেমন , আমরা পাড়ার জব্বারের দোকানে গিয়ে বলি , " জব্বার ভাই আপনের ডিমের হালি কত ?" জব্বার যদি বলে , "ভাইজান ডিম আমার না , মুরগীর" তাহলে কি ভুল হবে ? :P
আর কিছু ? নাকি আবার নতুন চিন্তায় ফেললুম ? :(

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা.........
আপনি তো দেখি ‘ইত্যাদি’র নানা-নাতি সেগমেন্টের নাতি’র মতই মহা জটিল মানুষ। স্পিন বোলিং এ বোল্ট করে দিলেন। বল বুঝে ওঠার আফেই দেখি স্ট্যাম্পে বেল নাই :(
ভাইরে আমি জব্বার ভাইয়ের ডিম চাওয়ার মতো হাস্যকর কাজ এখনো করি নাই।

চিন্তায় ফেলবেন কি, আপনি তো আমাকে চিন্তা থেকে মুক্তি দিলেন।
এখন থেকে আপনার মন্তব্যের ব্যাটিং হবে “শচীন তেন্ডুলকার” স্টাইলে :)

নাহ, আর কিছু না।
ভালো থাকবেন। বুদ্ধিদের সামলে রাখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.