নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
আমার জন্ম আশির দশকের মাঝামাঝি। আমাদের শৈশব কেটেছে আদিগন্ত মাঠে। স্কুলগুলোতেও ছিলো খেলাধূলার সুব্যবস্থা। বৌচি, কানামাছি, দাড়িয়াবান্ধা, বরফপানি, গোল্লাছুট। আহা! কী ছিলো সেইসব দিনগুলো। যারা আমার মতো সেই সময়ে জন্মেছেন তারাই জানেন সেই দিনগুলির প্রাপ্তি।
বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন বলে দুই-তিন বছর পরপর-ই আমাদের বিভিন্ন জেলা গুলো তে যেতে হয়েছে। বাসা বদল, স্কুল বদল আর সাথে সাথে স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধু বদল। যেহেতু সরকারী কোয়াটার গুলোতে ছিলাম তাই বন্ধুদের সাথে আমরা বাসা, ছাঁদ, খেলার মাঠ ভাগাভাগি করে নিতাম। আমাদের ভৌগলিক নৈকট্য যেমন ছিলো ঠিক তেমনি ছিলো মানসিক নৈকট্য।
আমাদের জীবনের প্রাপ্তি গুলো রিয়েল লাইফে ছিলো বলেই ভার্চুয়াল লাইফের প্রতি আমাদের দক্ষতা বরাবর-ই এই প্রজন্মের মতো নয়। অন্তত আমি আমার কথা বলতে পারি। আমি ইন্টার্নেটে খুব কম কিছুই ঘাটাঘাটি করে বের করতে পারি। তার থেকে ছাপার বই পড়তে পারি বেশি। আমার প্রথম মোবাইল যখন আমার হাতে আসে তখন আমার বয়স ২০ বছর। প্রথম মেইল একাউন্ট হয় ২৪ এ আর ফেসবুক একাউন্ট হয় ২৫ এ। প্রথম ল্যাপটপ পাই ২৮ এ এসে।
তাই হয়ত ভার্চুয়াল লাইফের প্রতি আমার আগ্রহ বরাবর-ই কম। যাকে যা বলতে চাই সেটা মুখোমুখি বলতেই বেশি পছন্দ করি। কাউকে ভালোবাসি কিংবা বাসি না এটা বলার জন্য আমাকে কী বোর্ডের আশ্রয় নিতে হয় না। এখনকার প্রগতিশীল প্রজন্মের মত মা কে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে স্ট্যাটাসে লিখিনা “ মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি”, বাবার জন্য লিখিনা “ আমার বাবা শ্রেষ্ঠ মানুষ”। যেটা আমি জানি এবং অনুভব করি সেই ইমোশনটা বাস্তব জীবনে না দেখিয়ে কেন আমাকে কী বোর্ড আর ভার্চুয়াল জগতের আশ্রয় নিতে হবে! কেন??
যারা এই ভার্চুয়াল সংস্কৃতিকে চর্চা করেন, তারা কী আমাকে বলবেন, “দিন শেষে আপনাদের প্রাপ্তি কী”। আচ্ছা মেনে নিলাম আপনি আপনার অনুভুতি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু যার জন্য করেছেন সেই মানুষ টা কী জানেন, যাকে নিয়ে আপনি লিখেছেন। আপনার বাবা মার কী ভার্চুয়াল জগতে একাউন্ট আছে?
তাহলে এবার বলেন তো, আপনি শেষ কবে মা কে জড়িয়ে ধরেছেন। বাবার সাথে বসে গল্প করেছেন। সারা দিনের রাজকার্য শেষ করে যখন বাড়ি ফিরেন তখন তো হয় স্মার্ট ফোন, নয় তো ফেসবুক, কিংবা টেলিভিশন। খেতে বসে আপনার তাড়াহুড়া, গোসলে তাড়াহুড়া, অনিয়মিত ঘুম, ব্যক্তিগত সম্পর্কে টানাপোড়েন, লেখাপড়ায় অমনোযোগ। এগুলো ছাড়াও যে জীবনের আরো অনেক দিক আছে সেগুলো আপনাদের মনে থাকেনা নাকি আপনারা নিজস্ব স্টাইলে তা পাত্তা দেননা আমি বুঝি না।
যা কিছু আছে তার চর্চা আপনি করেন বা না-করেন, হারিয়ে গেলে কীবোর্ডে ঠিক-ই লিখেন “মাই অমুক/তমুক ইজ রেস্ট ইন পিস”। আচ্ছা তখন কী আপনার হাত কাঁপে? গাল বেয়ে অশ্রু পড়ে? আপনার কী আফসোস হয়? আরো কিছু বছর কি তাদের কাছে পেতে ইচ্ছে করে? ইচ্ছে করেনা সেটা আমি বিশ্বাস করিনা, ইচ্ছে হয়ত ঠিক-ই করে। কিন্তু ঐ কী বোর্ড ছেড়ে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষ গুলো কে সময় দেয়ার মতো সময় আর পেলেন কোথায় বলেন!
ভার্চুয়াল জগতে একজনের নিক-এ লেখা কথা গুলো এমন, “কীপ্যাডের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে ব্যাকস্পেইস বাটন । অপ্রকাশিত কথা, লুকানো দু:খবোধ, মুছে ফেলা শব্দগুলো, মিথ্যে বেঁচে থাকা, না বলা আনন্দেরা ভালো থাকুক । খুব ভালো থাকুক,ব্যাকস্পেইসের অন্তরালে । প্রিয় কীপ্যাড বাটন তুমি ভাল থেক । ভাল থাকুক অদৃশ্য অন্তরীন” ।
যোগাযোগের ভাষায় এটাকে “Avatar” বলে। যেখানে hide এবং delete এর সুযোগ থাকে ও ব্যবহার আছে। এটাকে আমরা Hyper Personal Communication’ও বলতে পারি। এর মানে দাঁড়াচ্ছে আমরা সরাসরি যোগাযোগে এক ধরনের শংকাতে থাকি। আমরা নৈর্ব্যক্তিক হতে চাচ্ছি না বা পারছি না। আমাদের কনফিডেন্স কমে যাচ্ছে, আমরা ব্যক্তিগত টার্ম টাকে গোপনীয়তা, স্বেচ্ছাচারিতা এবং লুকোচুরির পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কেন?
অনেক ক্ষেত্রে আমার এমন হয় যে, আমি যা বলতে চাই শব্দ তা বলতে অক্ষম। তাই সেখানে আমার কন্ঠস্বর, আমার চোখের পাতা, আমার মুখোভঙ্গী আমাকে সাহায্য করে যা বোঝাতে চাই, সেটা বোঝাতে। স্পর্শের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। কাছে থাকার আনন্দ কেবল কাছে থাকাতেই আছে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সুন্দর বলেছেন । এখন সবকিছুই শো অফ হয়ে যাচ্ছে ।
শুভেচ্ছা /
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সে কারনেই বলি, বাস্তব জীবনে বাস্তবতাটাই ঘিরে থাকুক
ধন্যবাদ !
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩০
আরজু পনি বলেছেন:
আমি আজকেই আমার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে এসেছি দোয়া করেন যেনো হাসতে হাসতেই আবার আপনার কাছে আসতে পারি...
আজকে আমার মনটা ভরে আছে...।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ!! শুনে খুব ভালো লাগলো
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০
অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: লেখা বরাবরের মতই আগুন ঝরা! আপু আমি আপনার লেখার কঠিন রকমের ভক্ত।৩দিন একাউন্ট খুলছি। অপেক্ষায় ছিলাম কবে নতুন পোষ্ট দেন। বিশ্বাস করেন তাল দিচ্ছি না কিন্তু।
আপনার ডাকবাক্স সিরিজ ভাল লাগছে খুব।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাল দিলেও কোনো সমস্যা নাই……………………… দিতে পারেন।
আমার লেখা আগুন ঝরা!! ইয়া আল্লাহ…………আমার লেখালিখির উপর তুষারপাত করো।
ডাকবাক্স সিরিজ!!! আমিও এই সিরিজ লিখে আনন্দ পেয়েছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২
সুমন কর বলেছেন: আমার প্রথম মোবাইল যখন আমার হাতে আসে তখন আমার বয়স ২০ বছর। প্রথম মেইল একাউন্ট হয় ২৪ এ আর ফেসবুক একাউন্ট হয় ২৫ এ। --- হায় হায়, আপনার সাথে দেখি, আমারও মিল আছে !
“কীপ্যাডের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে ব্যাকস্পেইস বাটন । অপ্রকাশিত কথা, লুকানো দু:খবোধ, মুছে ফেলা শব্দগুলো, মিথ্যে বেঁচে থাকা, না বলা আনন্দেরা ভালো থাকুক । খুব ভালো থাকুক,ব্যাকস্পেইসের অন্তরালে । প্রিয় কীপ্যাড বাটন তুমি ভাল থেক । ভাল থাকুক অদৃশ্য অন্তরীন” -- আসলেই ভালো বলেছেন।
৪+।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!!
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: স্পর্শের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। কাছে থাকার আনন্দ কেবল কাছে থাকাতেই আছে। -- এটাই সব কথার শেষ কথা। এটাই আসল কথা।
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!!!!!!
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একদম সত্যি কথা অামরা এই করেছি সেই করেছি এগুলো পেরডের শিখানো বুলির মেতো। যে মাকে ভাল বাসে সে বাসেই যতদূরে থাকুক ।বাবার কথা বলতে পারিনি বাবাকে ভাল বাসা যায়না কেননা আমার বাবাকে হারিয়েছি ১৮ মাস বয়সে।আপনা লিখা আমার মনছুয়েগেছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেলো……………………
মা কেই ভালোবাসুন…… অনেক অনেক
ধন্যবাদ সুজন ভাই !
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যিকারের আবেগগুলো বলা উচিত সত্যিকারের মানুষকেই। ভার্চুয়াল ভ্রমে ডুবে কি লাভ!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভার্চু্যাল জগতে যে সত্যিকারের মানুষ নেই, তা কিন্তু নয়। তবে আবেগ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে যন্ত্রকে বেছে নেয়াতেই আমার আপত্তি রয়েছে।
ধন্যবাদ প্রফেসর! ভালো থাকবেন
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সহমত।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!!!!!!!!!
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
জুন বলেছেন: খুব ভালোলাগলো আপনার লেখাটি নান্দনিক নন্দিনী । আর প্রথম অংশটুকু অর্থাৎ বাবার বদলীর চাকরির সুবাদে মাধ্যমিকের রেজিশট্রেশনের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় থাকা। বাসা বদল , স্কুল বদল , বন্ধুদের ছেড়ে যেতে সীমাহীন মন খারাপ আর সেই সব খেলাগুলো যা তাদের সাথে খেলতাম । সেই মাঠ সেই আকাশ সেই বন্ধুত্ব কোথায় হারিয়ে গেল । এখন আমরা ছেলে বুড়ো সবাই যেন এই চারকোনা স্ক্রীনের জগতে ডুবে আছি নেশায় বুদ হয়ে ।
+
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক বলেছেন জুন।
পর্দায় মানুষ দেখতে দেখতে…………… আমি এখন সব মানুষের মুখে একটা পর্দা দেখি। পুরনো কোনো কিছু-ই হয়ত আর ফিরে পাবো না। তবে যা কিছু পেতে যাচ্ছি তার মধ্যে ভার্চুয়াল জগতটাকে সীমিত করতে চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
উল্টা দূরবীন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। দিন দিন সব আবেগ, অনুভুতি ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার মনে হয়, অনুভূতি প্রকাশে আমরা অনেক বেশি ভার্চুয়াল জগতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। আমাদের আরেকটু বেশি বেশি বাস্তব জগতে ফেরা দরকার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০১
নীলসাধু বলেছেন:
ভালো লেগেছে লেখাটি।
ভাল লেগেছে আপনার চিন্তা চেতনা।
স্পর্শের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। কাছে থাকার আনন্দ কেবল কাছে থাকাতেই আছে।
একমত। সত্যি তাই।
ভাল থাকবেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলসাধু ভাই...
আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকবেন
১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১১
নীলসাধু বলেছেন: পোষ্টটি আমি এক রঙ্গা এক ঘুড়ি সহ প্রথম আলো ব্লগের ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করেছি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ!!!!!!
অনেক অনেক ভালো লাগছে, আপনি এই লেখাকে এতটা সম্মানিত করেছেন দেখে
১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্পর্শের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। কাছে থাকার আনন্দ কেবল কাছে থাকাতেই আছে। দারুণ বলেছেন।
ভার্চুয়াল জগতের কিছু স্টাটাস ন্যাকামির চূড়ান্ত। দেখলে মেজাজ বিগড়ায়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিগড়াবেন না প্লিজ…………………
কাছে থাকার আনন্দ নিয়ে প্রিয়জনদের কাছে থাকুন
ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন
১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আমরা দিনে দিনে কি বোর্ড সর্বস্ব এক প্রানীতে রুপান্তরিত হয়ে চলেছি। ভাললাগা।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: স হ ম ত .............
ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন
১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপু পোস্টের কথাগুলো। আমরা সত্যি বাস্তবের মানুষ থেকে ক্রমেই ভার্চুয়াল মানুষ হয়ে যাচ্ছি।অনলাইন ভুবন ঘিরে আমাদের বসবাস।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাড়ির কাছে আরশি নগর……………
সেথায় পড়শি বসত করে, এক ঘর পড়শি বসত করে
আমি একদিনও না দেখিলাম তাহারে ।
ধন্যবাদ, রেজওয়ানা আলী তনিমা। ভালো থাকবেন
১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা।
আজকাল আমাদের সবকিছুই যেন ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
অনলাইন সর্বস্ব যাপিত জীবন একঘেয়ে রোবটিক।
দারুণ একটা লেখা।
আপনার লেখাটার একটা লাইন ছাপার বই পড়তে পারি বেশি আবার শেষে লিখেছেন আমি যা বলতে চাই শব্দ তা বলতে অক্ষম দুটি পরস্পর বিপরীত লাইন কিন্তু।
আর একটা কথা আমার মধ্যে কারো জন্যে যে অনুভব তা তার জানা প্রয়োজন কিন্তু অতিআবশ্যক নয়।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: "আপনার লেখাটার একটা লাইন ছাপার বই পড়তে পারি বেশি আবার শেষে লিখেছেন আমি যা বলতে চাই শব্দ তা বলতে অক্ষম দুটি পরস্পর বিপরীত লাইন কিন্তু।"--- দিশেহারা রাজপুত্র এর মানে বুঝলাম না। ছাপার বইয়ের সাথে শব্দের কী সম্পর্ক ??
"আর একটা কথা আমার মধ্যে কারো জন্যে যে অনুভব তা তার জানা প্রয়োজন কিন্তু অতিআবশ্যক নয়।"-- এটা আপনার মত।
আমার মতে, অনুভূতি থাকলে তার প্রকাশ থাকতে হয়
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !!
১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবনাটা সুন্দর। ভার্চুয়াল লাইফ আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এটাকে এড়িয়ে থাকা যাবে না। আর তাই রিয়াল লাইফের সাথে এর একটা সুষম সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন। দিন শেষে যেন একা থাকতে না হয়।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মানুষ আসলে একাই। আমরা একত্রে বসবাস করি মাত্র!
২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭
ইয়েলো বলেছেন: সত্যি ভার্চুয়ল জগত বাস্তবকে গ্রাস করছে। কতটা গ্রাস করতে দেবেন সে সিদ্ধান্ত নিজের এবং নিয়ন্ত্রন নিজেকেই করতে হবে। রাতারাতি কল্পণার জগতে নিজেকে হারায়ে ফেললে মননের ধ্বংস অনিবার্য।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: স হ ম ত............
২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: স্পর্শের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। কাছে থাকার আনন্দ কেবল কাছে থাকাতেই আছে। ----
আপনার এই কথা ১০০% সঠিক।
কিন্তু আমি কাছে ক'জনকে পাব!! বাবাকে হারিয়েছি, মায়ের কাছে থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকতে হয়!!!
প্রতিদিন ওই হ্যালো করেই খবর নিতে হয়!!
কাছে হয়তো যাই বছরে দু'চার বার!!
মায়ের স্পর্শ পেতে কাঙালী এ মন -------------
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মায়ের কাছে থাকার এবং যাবার তাগিতটা অনুভব করেন এটাই জরুরী। কামরুন নাহার, সীমাবদ্ধতা আছে বলেই জীবনটা সুন্দর। রোজ রোজ বেশি বেশি করে মাকে হ্যালো করবেন…………… আর মন খুলে গল্প করবেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
নেক্সাস বলেছেন: আপনার লিখা এবং হামা ভাইয়ের কমেন্ট আমি একমত
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!!
২৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: সব কিছুরই এ্যকশন রিয়্যাকশন কুএ্যাকশন আছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা ...............
ধন্যবাদ !!!
২৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কেবল ভার্চুয়াল কিংবা কেবলমাত্র বাস্তবিক জীবন কোনটিই সম্ভব না। আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় আমরা বহুমাত্রিক জীবনধারায় অভ্যস্থ না থাকলে পিছিয়ে যাব।
যেমন, ফ্ল্যাটের ভেতর একটি জীবন বা একটি জগৎ, এর বাইরে আশপাশে আরেকটা জগৎ ও ভাবমূর্তির বিষয়াদি। অফিসে গেলে সেখানেও অন্য একটি পরিবেশ, বাসায় ফিরে ভার্চুয়াল লাইফের বিশাল জায়গা।
সবমিলিয়েই চলতে হয়, হবে। আপনার ভাবনাগুলো ভালই লেগেছে। শুভকামনা রইল।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি ভার্চুয়াল লাইফের বিপক্ষে নই। আমি ভার্চুয়াল সর্বস্ব জীবনের বিপক্ষে।
বিশ্বায়নের যুগের ইতিবাচক দিক পৃথিবী ছোট হয়েছে আর নেতিবাচক দিক হচ্ছে ব্যক্তি নৈকট্য কমে গেছে।
২৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: স্পর্শময় লেখা।
+++++++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
বনমহুয়া বলেছেন: স্পর্শের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। কাছে থাকার আনন্দ কেবল কাছে থাকাতেই আছে।
সহমত আপু।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ইয়েএএএএএএএএ
অনেক অনেক ধন্যবাদ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নন্দিনী, আপনার ভাবনাটুকু ভালো লাগলো।
আমি আমার মায়ের উদাহরণ দিতে পারি কোনোদিন উনি উনার আবেগ ( ভালোবাসা ) প্রকাশ করতে পারেন না সফটলি। ধমকাধমকি দিয়েই করেন। তবুও বুঝতে পারি।
আমি আমার বাবার কথা বলতে পারি উনি উনার যাবতীয় ভালোবাসা উনার স্পর্শ আর কথার মাধ্যমে আমাকে বুঝিয়েছিলেন।
ভালো থাকুন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়, আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো!!
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো…… ভালো থাকবেন
২৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: স্পর্শের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। কাছে থাকার আনন্দ কেবল কাছে থাকাতেই আছে। ----
দিন দিন আমাদের সব আবেগ, অনুভুতি ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!!
২৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
আবু শাকিল বলেছেন: মা, দেশ,ধর্ম নিয়ে সবার হৃদয়ের নরম অনুভুতি থাকে।
মা কে জড়িয়ে ধরা অথবা বাবার সাথে গল্প করাটাই ভালবাসা হয়ে গেল!!!
মা র সাথে আমি নিয়মিত কথা বলি।মধ্যবিত্তের জড়তা থেকে হয়ত বাবা মা কে কোনদিন জড়িয়ে ধরতে পারিনি।বাবার সাথে বিকেলবেলা একসাথে রং চা খাই।
ভার্চুয়াল এবং রিয়াল লাইফে মা বাবার ভালবাসা কিন্তু হেব্বি দেখিয়ে দিলাম।
মা বাবার সস্তান হয়ে তাদের প্রতি কতটুকু দায়িত্ব পালন করছি!!
আমি জানি না আপনার লেখায় মা বাবার ভালবাসা দেখিয়ে দায়িত্ব উহ্য রেখেছেন কিনা।আমি মানি -আপনি মা বাবার প্রতি যথেষ্ট দায়িত্বশীল।
নতুন প্রজম্মের ভার্চুয়াল এবং বাস্তবিক জীবন দুটোই থাকবে।লাইফে ব্যালেন্স রাখতে পারাটাই আসল।
ভার্চুয়ালে শো অফ করা এক শ্রেণীর লোকদের কাজ।তারা মায়ের ভালবাসা শো অফ করে সাথে রূপসা স্যান্ডেলের ফিতে ছিঁড়ে গেছে সেটাও শো অফ করে।
আমাদের দিন শেষে লেখার লাইক শেয়ার মন্তব্য এগুলাও আমাদের জীবনে কোন লাভ হয় না।
প্রাপ্রি অপ্রাপ্তি হিসেব জানার পরওও কেন আসি জানি না।
“দিন শেষে আপনাদের প্রাপ্তি কী”।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শাকিল ভাই, আমি লেখাটা তে শুধু এতটুকুই বলতে চেয়েছি, আমরা কি নিজেদের অজান্তেই ভার্চুয়াল জগতে বেশি বেশি হারিয়ে যাচ্ছি কি না। বাবা-মা এর প্রসঙ্গ এনেছে কারন, আমরা বাবা-মায়ের কাছে থাকি বা থাকতাম। একমাত্র নিস্বার্থ ভাবে তাদের কেই আমরা দীর্ঘদিন ভালোবাসি।
মাস শেষে খাম ভর্তি টাকা, প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে আনা নেয়া করা টা কি আপনার মতে বাবা-মাকে ভালোবাসা? আমার কাছে সেগুলো দায়িত্ব। দায়িত্ব আর ভালোবাসা এক জিনিস নয়। বাব-মাও আসলে সময় চাই, তাদেরও শে্যারিং এর জন্য সন্তানদের পাশে পেতে ইচ্ছে করে।
আমি ভার্চুয়াল লাইফ কে বাদ দিতে বলছি না। বলছি সমন্বয় সাধন করতে। যন্ত্র কেবল যন্ত্রণা বাড়ায়। আবেগ নামক বিষয় গুলো কে বেগবান করেছে কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আন্তরিকতা।
দিন শেষে বাস্তব জীবনের প্রাপ্তি গুলো-ই কি আসল নয়? আমি বাস্তব জীবনের প্রাপ্তি গুলোর প্রতি-ই আসলে মনোযোগ আকর্ষন করতে চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন ভাইয়া।
৩০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০
তাসলিমা আক্তার বলেছেন: মাদার্স ডের আগের রাতে ছেলের সাথে মতের অমিল হয়। পরদিন সে আমায় টেক্সটা পাঠায়,"আমি তোমায় অনেক যন্ত্রনা করি কিন্তু দিনশেষে তোমাকে অনেক ভালোবাসি"। আমার ছেলেটা মুখচোরা। এই কথাগুলো সে কিছুতেই বলতে পারতোনা টেক্সট ছারা। আমি জানলাম এবং আনন্দে কাঁদলাম। সব কিছুরই ভালো মন্দ দুদিক আছে। লেখার বিষয়টা অসম্ভব ভালো। ভাবনার জন্ম দেয়। মুদ্রার এপীঠ নিয়েও ভাবায়-ওপীঠ নিয়েও।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাসলিমা আপু, আপনার রিয়েল লাইফ ঘটনা জেনে বেশ ভালো লাগছে। ছেলে তো আপনাকে টেক্সট করেছে। যেটা আপনাদের দুজনের মধ্যে রয়েছে। প্রেরক জানে প্রাপক সেটা পাবেন। আজ টেক্সট করেছে কাল মুখে বলবে। তবে দশ জনকে জানিয়ে সে মাকে ভালোবাসার কথা বলেনি। আমি বলছি না, অন্যদের জানানো টা অন্যায়। আমি বলতে চাই, মায়ের কথাটা মাকেই আগে বলুন।
আপু, একবাস লোকের সাথে টানা ১২ ঘন্টা জার্নি করেও আমি কাউকেই সহযাত্রী হিসেবে মনে রাখি না। যত অনুভব করি, প্রিয় মানুষের সাথে দশ কদম হাঁটা কে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন
৩১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী ,
যে হাহাকারময় প্রসঙ্গ তুলেছেন তার জবাব মোটেও চাট্টিখানি নয় । আমাদের সময় আর বর্তমানের সময়ের মাঝে অনেক জল গড়িয়ে গেছে । ঝরনার জল তার জৌলুস খুঁইয়ে এখন এঁদো ডোবার শ্যাওলা ধরা জল হয়ে গেছে । দোষ প্রজন্মের নয় । দোষ, আমরা তাদের হাতে খোলা সবুজ আদিগন্ত মাঠ, অবারিত আকাশটাকে তুলে দিতে পারিনি । বদলে তুলে দিয়েছি একখানা কী-বোর্ড , যেমনটা আপনি বলেছেন । ওটাই তাদের জগৎ । এরা শিশির ছুঁয়ে দেখেনি, অডিকোলন এর গন্ধ গায়ে মাখিয়ে গেছে শুধু । এরা ঘুঘুর ডাক শোনেনি, শুনেছে ব্যান্ডের তারস্বরের ১০০ ডেসিবলের কান ঝালাপালার শব্দ । ভায়োলিনের ছড় টানার কমনীয়তা , নম্রতার পরশ এদের কানে কোনও আবেশ ছড়িয়ে যায়নি । রক এন রোল, ডিসকোর তালে তালে শরীর দুলিয়ে এরা বডি ল্যাঙ্গোয়েজ ভুলে গেছে । ছোট্ট মুঠোফোন এদের কাছ থেকে নৈকট্য আর দুরত্বের ভাবালুতা ধুঁইয়ে নিয়ে গেছে ।
আর কতো বলবো , বলুন ! দুঃখ করে বা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমরা কি ওদের তেপান্তরের মাঠে নিয়ে যেতে পারবো, যেখানে ব্যাঙমা-ব্যাঙমী সূয়োরানী দুয়োরানীর কথা বলে ? দু'হাত খেলার মাঠখানিও তো আমরা তাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছি ।
ওরা যা হয়েছে তা আমাদেরই সৃষ্টি , আমাদেরই যত্নে লালিত ফসল ।
এখন তো না হয় ওরা কী-বোর্ডে আঙুল ছোঁয়ায়, প্রযুক্তির দ্রুতলয়ের তালে পড়ে সেটাও আর ছোঁয়াতে হবেনা অদূর ভবিষ্যতে । তখন ঠোটের শব্দ উদ্গীরনেই বাকীটুকুও চাপা পড়ে যাবে । মা- দিবসে আঙুলের ছোঁয়ায় মাকে ভালোবাসার কথা জানাতো, তখন সে ছোঁয়াটুকুর দেখাও আর মিলবেনা ।
বরং নিত্য পরিবর্তিত বাস্তবতাকে বরন করে আমরাই ওদের মতো হয়ে উঠি !!!!!!!
সেটাই বোধহয় মঙ্গলকর ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: স হ ম ত..............
আমরা-ই তো বৃদ্ধাশ্রমের উদ্ভাবক। আমরাইতো আরো আরো বেশি উন্নত জীবনের জন্য কেবল ছুটছি। আমরা-ই তারা যারা স্ট্যাটাস মেইনটেন করতে গিয়ে ভুলে যাচ্ছি, সামাজিক পরিচয়ের পাশাপাশি আত্মিক যোগটা কিছু মনোযাগ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। কমোডিটি ফেটিশিজমে ভুগে………… দিন ভর পরিশ্রম করি তথাকথিত উন্নত জীবনধারা নিশ্চিত করতে। আর আমাদের আত্মাটাই কেবল জানছে, “ প্রতিদিন ঘরে ফিরে অনেক হিসেব করে, এ জীবন চাইনা তা বলাই জীবন”।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বেশ সময় নিয়ে এতো গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
৩২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬
আরিফুন নেছা সুখী বলেছেন: যখন বুঝলাম, তখন তাঁরা দূর আকাশের তারা... স্পর্শের বাইরে তবু ছুঁয়ে যায় অহর্নিশ... খুব ভালো লাগলো...
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শুধু ভালোবাসা’ই পারে পরাবাস্তব সব দূরত্ব কে ঘুচিয়ে দিতে।
শুধু ভালোবাসা’ই জানে, দূরে থেকেও ভালোবাসার মানে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন সব সময় ।
৩৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪
মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: ভার্চুয়াল ভালোবাসার চেয়ে বাস্তব ভালোবাসা টা অনেক জরুরী। আমার পরিচিত অনেকেই জানি তারা বাবা মার দায়ীত্ব টা শুধু ফোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। অথচ ভার্চুয়াল জগতে তারাই দিবসীয় ভালোবাসা প্রকাশে সোচ্চার বেশী।
অনিঃশেষ ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য প্রিয় নান্দনিক নন্দিনী।
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মহিউদ্দিন হায়দার।
সব সময় ভালো থাকুন, প্রিয়জনদের কাছে থাকুন
৩৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: কষ্ট দেই বলে সরি মা।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
৩৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: পড়লাম। কষ্ট পেলাম বুঝার আগেই বোঝা দুটো হারিয়ে! আমার বিশ্বাস--- পিতা-মাতাকে সব সন্তানই ভালোবাসে,কিন্ত কন্যারা একটু বেশী। যে কারণে- হয়তো অনেক সময় তার স্মামীর পিতা-মাতা নিগৃত হতে শুরু করেন। পক্ষান্তরে একে একে সমস্ত পিতা-মাতা।।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
৩৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১
কল্লোল পথিক বলেছেন:
সহমত।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!!
৩৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০
সে্নসেটিভ শিমুল বলেছেন: প্রগতিশীল প্রজন্মের মত মা কে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে স্ট্যাটাসে লিখিনা “ মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি”, বাবার জন্য লিখিনা “ আমার বাবা শ্রেষ্ঠ মানুষ”। যেটা আমি জানি এবং অনুভব করি সেই ইমোশনটা বাস্তব জীবনে না দেখিয়ে কেন আমাকে কী বোর্ড আর ভার্চুয়াল জগতের আশ্রয় নিতে হবে
ভালো লাগলো
১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!!
৩৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:০৫
ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: প্রকাশটা সুন্দর এবং সাবলিল।
অনেক অনেক ভাল লাগলো।
শুভকামনা
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
৩৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পাহারি ঝর্না এখন বয়ে নিয়ে আসে কঠিন শিলা।। সুতরাং সুপেয় পানির আশা দূর্লভ!!!
১১
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মানে বুঝতে পারলাম না.............
সহজ করে বলেন ।
৪০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরা কতজন স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে যেয়ে "মা"কে তার যোগ্য সন্মান দিতে পারি?? ক্লিয়ার!!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: প্রত্যেকের জন্য ভালোবাসা আলাদা-আলাদা। একজনের টা অন্য আরেকজনকে দেয়া যায় না। আপনি কাকে কতটুকু ভালোবাসবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। তবে দায় এবং দায়িত্বহীন জীবন হয়না।
স্ত্রী’রা কি মা হন না? তাদের সন্তান’রা কি বড় হয় না??
সচেতনহ্যাপী ভাই, আপনার জন্য শুভকামনা। প্রতিটা দিন নিরবিচ্ছিন্ন সুন্দর কাটুক।
৪১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
বেলের শরবত বলেছেন: ভগ্নিসারথি নামে এক মহাকাঙাল আছে এই ব্লগে। কেমনে জানি জায়গা পাইছে বুবস.কমে সেরা ব্লগে। বাস, দুনিয়াটা ভাইঙা পরছে ফকিন্নিটার মাথায়, বুটের জন্য এমনে কাঙালিপনা কোথাও দেখি নাই্ জাতীয় ইলেকশন বাদে। মাল্টি খুইল্ল্যা সেইটা দিয়াও জায়গায় জায়গায় ল্যাদাইতে ল্যাদাইতে ভরায়া ফালাইতাছে বুটের জন্য। পাত্তা না পায়া এখন শুরু করছে জার্মানপ্রবাসের নামে কুৎসা গাওয়া।
হালা ফকিন্নি।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাতে আপনার সমস্যা কী?????????????/
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯
হাইপারসনিক বলেছেন: মনের ভাব প্রকাশে এর জুড়ি নাই ।একজনের ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতেও সহায়ক ।
তবে অতিরিক্ত কিছুই ভাল না ।
ধন্যবাদ !