নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
বেলোয়ারি ঝাড়ে সজ্জিত জলসাঘরের উজ্জ্বল আলোর উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে যাদের উপস্থিতি ছিলো অপরিহার্য তাদেরকে ইতিহাস মনে রেখেছে বাঈজী হিসেবে। শাস্ত্রীয় নৃ্ত্য গীতে পারদর্শী এই নারীরা ছিলেন সক্রিয়, সাবলীল এবং শিক্ষিত। সমাজের ধনী ব্যক্তিরা নিজেদের অর্থ বিত্তের জৌলুস এবং আধিপত্য প্রদর্শনে বাঈজীদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন।
চৌষট্টি কলায় পারদর্শীতা এবং নৈপুন্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে তবেই বাঈজীর পেশায় নাম লেখাতে হতো। সেখানে কেবল নাচ আর গান নয়, ছিলো আরো অনেক কলা। অভিনয়, চিত্রঅঙ্কন, গৃহসজ্জ্বা, রূপচর্চা, গান বাধা, ধাধা সমাধান, কবির লড়াই, তাস পাশা, জুয়া, রান্না, রাত্ন নির্নয় এবং তারিফ করার গুন গুলো অর্জন করতে হতো। বাঈজীর পেশাকে শিল্পের মর্যাদায় নিয়ে যেতে সেই প্রাচীন কাল থেকেই সাংস্কৃতিক বিষয় গুলোতে বাঈজীরা তালিম নিতেন দেশ সেরা ওস্তাদজীদের কাছে। “বাইঈ” শব্দ থেকে মূলত বাঈজি শব্দেটি এসেছে। বাইঈ বলতে বোঝানো হতো নৃ্ত্য গীতে পারদর্শী নারী। সম্মানার্থে জী শব্দটি যুক্ত করে পরে আসে বাঈজী। যাকে আমরা পেশা হিসেবে জানি। এই পেশাতে অর্থের সমাগমই বলে দেয় বাঈজী নারীরা কতটা প্রভাবমূলক পেশাতে ছিলেন। অর্থ আয়ের জন্য তারা বিভিন্ন “মুজরো” আসরে নাচগান পরিবেশন করতেন। আর নিজেদের ঘরে বসাতেন “মাহফিল”।
প্রাচীন ভারতে আম্রপালিকে রাষ্ট্রীয় আদেশে হতে হয়েছিল “নগর বধু”। যুক্তি ছিলো, “আম্রপালি এত বেশি সুন্দর ও আকর্ষনীয় যে সে কেবল একজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হতে পারেন না- হওয়া উচিৎ নয়। সেটি হবে দারুন অপচয়। শুধু তাই নয়, তার মতো দেহপল্লভীর অধিকারী এক মেয়ে রাষ্ট্রের কোনো এক বিশেষ পুরুষের স্ত্রী হলে অন্য পুরুষদের মধ্যে তার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ বেঁধে যাবে। ফলে আম্রপালিকে নিযুক্ত করা হয় নগরবধূ হিসেবে। এখানে আম্রপালির নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা-মতামতের কনো মূল্য নেই। রাষ্ট্রের আদেশে বারবনিতা হয়ে আম্রপালি বহু ক্ষমতাধর পুরুষের সঙ্গে দৈহিক মিলনে মিলিত হয়েছেন, এমনকি দেশের শত্রু ভিনদেশের রাজাও আম্রপালির প্রেমে উন্মত্ত হয়ে তার ঘরে আসতে ও থাকতে শুরু করেন”। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক এই নারীদের রূপ এবং যৌবনে ভাটা পড়লেই তাদের ধাত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হতো। অথবা তাদের স্থান হতো রান্নাঘরে। এটার নাম দেয়া হয় রাষ্ট্রীয় পুনর্বাসন।
আঠারো শতকের শেষের দিকে লক্ষনৌ, বানারাস এবং পাটনা থেকে কিছু বাঈজী কোলকাতা এবং ঢাকাতে আসেন। অযোধ্যার বিতাড়িত নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ কোলকাতায় নির্বাসিত জীবন যাপনের সময় মূলত সেখানে বাঈজীদের আগমন ঘটে। এমনটা শোনা যায় যে, প্রথমে আপত্তি থাকলেও স্বামী বিবেকানন্দ এক বাঈজীর গান শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন।
মুঘল আমলে যখন ঢাকাতে বাঈজী’রা আসেন তখন আহসান মঞ্জিলের রঙমহল, শাহবাগের ঈশরাত মঞ্জিল এবং দিলকুশার বাগান বাড়িতে বসতো “মুজরো”। লক্ষনৌর সাপান খানের স্ত্রী সুপনজান সে সময় বাঈজীর হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। আরো ছিলেন গওহরজান, জদ্দন বাঈ, মোস্তরী বা্ঈ, মানদা, আবেদী বাঈ, জানকী বাঈ আচ্ছি বাঈজী, আমিরজান বাঈজী, রাজলক্ষী প্রমুখ। গওহারজানকে গ্রামোফোন রেকর্ডের সম্রাজ্ঞীও বলা হয়ে থাকে। গানের সুমধুর কন্ঠ এবং গায়কির জন্য তিনি ছিলেন সংগীত ভূবনে কিংবদন্তি। রেকর্ডকৃত গওহরজানের একটি জনপ্রিয় গান ছিল, “ফাঁকি দিয়ে প্রাণের পাখি উড়ে গেল আর এল না”। মোস্তারী বাঈ এর পুরবী রাগের খেয়াল শুনে ঐ আসরের পরবর্তী শিল্পী বিখ্যাত ফৈয়াজ খাঁ, এনায়েত খাঁ ও হাফেজ খাঁ মঞ্চে উঠতেই অস্বীকৃ্তি জানিয়েছিলেন।
বিখ্যাত বাঈজী গওহরজান ছিলেন বেনারসের মালিকজানের কন্যা। অসামান্য রূপসী মালিকজানের মা ছিলেন ভারতীয়, বাবা ব্রিটিশ। আগের নাম লেডী এডেলাইন। আর্মেনিয় ইহুদি। স্বামী রবার্ট ইওউয়ার্ডের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এডেলাইন বাঈজীর পেশা গ্রহণ করেন। তখনই ইওসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজের নাম রাখেন মালিকজান, কন্যা এঞ্জেলিনার নাম রাখে গওহরজান। মালিকাজানের সৎ বোন ছিলে জদ্দন বাই। গওহরজান ভীষন সৌখিন এবং ফ্যাশন সচেতন ছিলেন। নিজেকে সব সময় সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করতেন। গান গাওয়া ছাড়াও তিনি নিজে গান লিখতেন। নজরুল গীতির ওস্তাদ জমিরউদ্দিন ছিলেন গওহরজানের শিষ্য।
পাটনা থেকে ঢাকায় আসেন আবেদী বাঈ। আবেদীর তিন কন্যা-আন্নু, গান্নু ও নওয়াবীন নওয়াব আবদুল গনির দরবারে নিওয়মিত নাচতেন, গাইওতেন এবং মাসোহারা নিতেন। তারা তিন বোন ১৮৮০ সালে ঢাকায় মঞ্চস্থ ইন্দ্রসভা নাটকে অভিনয় করেন।
এলাহাবাদ থেকে এসেছিলেন জানকী বাঈ। তিনি এক একটি মুজরোতে তখনকার সময় দেড় হাজার টাকা করে নিতেন। তখনকার দিনে এটাই ছিলো সমভবত সর্বোচ্চ সম্মানী। জানকী ছিলেন অপূর্ব সুন্দরী এবং নবাবের অতি প্রিয় রক্ষিতা। কেউ যেন জানকীকে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে না পারে সেজন্যে জানকীকে একটু কুৎসিত করতে নবাব ৫৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলেন।একারণে জানকী বাঈ ৫৬ ছুড়ি বলেও পরিচিত।
ঢাকার আরেক বিখ্যাত বাঈজী ছিলেন আচ্ছি বাঈজি। লক্ষনৌ থেকে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন নওয়াব আবদুল গনির সবথেকে নামকরা বাঈজী। আমিরজান এবং রাজলক্ষী বাঈজীও তখনকার দিনে বেশ নামকরা ছিলেন। রাজলক্ষী বাঈজী জিন্দাবাজারের কালীবাড়ী ভেঙ্গে গেলে তা মেরামত করে দেন। ১৮৭৪ সালে নওয়াব আবদুল গনি ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাপনার জন্য এক বৈঠকের আয়োজন করেন। সেই বৈঠকে রাজা-মহারাজা, জমিদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই দু’জন বাইজীও উওপস্থিত ছিলেন। নবাব পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য সবাইকে কিছু অর্থ সাহায্য করতে আহবান করলে সাড়া জানিয়েছিলেন মাত্র দু’জন। আমিরজান ও রাজলক্ষী বাঈজী। তাঁরা প্রত্যেকে ৫০০টাকা করে দান করতে রাজি হয়েছিলেন। নবাব অবশ্য কারো কাছ থেকে কোনো সাহায্য না নিয়ে পরে নিজেই একলাখ টাকা দান করেছিলেন।
বিশ শতকের বিখ্যাত বাঈজী ছিলেন দেবী বালা। খাজা হাবিবুল্লাহর বিয়ের অন্যষ্ঠানে তিনি নাচ পরিবেশন করেন। দেবী বাঈজী পরে ঢাকায় নির্মিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র দ্য লাস্ট কিস-এ অভিনয় করেন। অভিনয় শেষে ফিরে যান নিজ পেশায়।
ঢাকার বাঈজীদের সময় বিংশ শতকের চল্লিশের দশকেই ফুরিয়ে যেতে থাকে। দেশভাগ আর জমিদারী প্রথার উচ্ছেদের সাথে সাথে তারা পৃষ্ঠপোষকহীন হয়ে পরে। এক সময় সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেদেরকে যৌন আদবকেতা শেখানোর জন্য পাঠানো হতো বাঈজীদের কাছে। দৃষ্টিপাতের কটাক্ষতা, কথার দক্ষতা আর কামকলাপারদর্শী বাঈজীরা ছিলেন শিক্ষাদীক্ষায়ও এগিয়ে।
বাঈজীর নৃত্যের সাথে নর্তকীদের নাচের পার্থক্য ছিলো কেবল অবস্থানে নয় বরং পরিবেশনায়। নর্তকীরা নাচের মাধ্যমে যৌন আবেদন পরিবেশন করলেও বাঈজীর নৃ্ত্যে প্রধান ছিল হাতের ছন্দময় দোলা। মুখ, চোখ, নাক ও ঠোঁটের সুক্ষ কম্পন। ছিলো বিভিন্ন ভাবের প্রকাশ। বাঈজীদের পোশাক ছিল চুড়িদার পাজামা, ঘেরদেয়া জামা এবং ওড়না। পায়ে চিকন ঘুঙুর। নর্তকীরা সাধারণত জাতে উঠত বাঈজী হয়ে।
০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
আমি যেটুকু জানি সেটাই লিখেছি ।
আপনাকেও ধন্যবাদ !
ভালো থাকবেন।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৮
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: এইসব দুনিয়ার ঐতিহ্য। ভিন্ন নামে চলতেই থাকবে। হালের ঘোড়ামুখী নায়লা নাঈম আর এইরকম কিছুকে আমার এই ক্যাটাগরিরই মনে হয়। চাহিদা থাকলে যোগান আসেই, তা যত দামেই হোক।
পড়ে ভালোলাগলো। শুভকামনা।
০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তুলনা করতে হয় সমপর্যায়ে। নাইলা নাঈম আর বাঈজী কিন্তু এক নয়। তারা মননে এবং শিল্পে আলাদা।
ধন্যবাদ নিদাঘ
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
সোহানী বলেছেন: যুগে যুগে মেয়েদের পণ্য হিসেবে ব্যবহারের উৎকৃষ্ট উদাহরন এ ধরনের পেশা। শুধুই ছেলেদের মনোরন্জন......
চমৎকার ভিন্নধর্মী লিখায় ভালোলাগা....
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী।
তখনকার সমাজে ঘরের চৌকাঠের বাইরে নারীর কোনো আইডেন্টিটি ছিলো না। নারীরা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে এসে পৃথিবীকে জানতে শুরু করলো। পথে নামলেই তো পথ চেনা যায়! মনোরঞ্জন, হায় রে মনোরঞ্জন!!
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
পাউডার বলেছেন: বাহ! আমাদের নবাব বংশতো ব্যাপকহারে ইমানদার ছিল। :V
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঈমানদার !! কিভাবে??
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: আমি যে জলসাঘরে বেলোয়ারি ঝাড়!
নিশি ফুরালে কেহ চায় না আমায়...
অনেক অনেক ভালোলাগা রহিলো
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!
৬| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: সমপর্যায়ে তুলনা করবার মত কিছু আছে নাকি এখন? থাকতেও পারে, অভিজাত নাইটক্লাব আছে, সেখানে এখনও নাচানাচি চলে। কতটা শৈল্পিক তা অবশ্য জানা নাই। ঢং পালটে গেছে সম্ভবত, তবে কাছাকাছি ব্যাপারগুলো থাকবেই। বাঈজী ছিলো, আকবরের আগ্রার প্রাসাদে শখানেক উপপত্নির জন্য আলাদা আলাদা কামরাও দেখেছি, জমিদারবাড়ির জলসাঘরও দেখেছি, সবই একই ধরনের চাহিদার আলাদা আলাদা রুপ। এ আমলেও আছে, নানা রুপে, শৈল্পিক বলে আপনি হয়তো আলাদা মর্যাদা দিতে পারেন তবে মেইন পারপাস এক, চাহিদাটা এক।
শুভকামনা রইলো।
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নিদাঘ,
বাঈজীদেরকে ওস্তাদজীদের কাছে তালিম নিয়ে তবেই বাঈজী পেশায় আসতে হতো। আপনি যেসব ইভেন্টের কথা বলছেন সেখানে স্বল্প পোশাকে আলো আধারিতে যা হয় সেখানে না আছে শিল্প না রুচি। অবকাঠামো দেখে কী বিচার করা যায়, কে কত খানি গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন!
আমি মেনে নিচ্ছি, আদিম এবং অকৃত্তিম যৌনতা বাঈজীর পেশাতেও ছিলো। তবে এই যুগের সাথে সেটার তুলনা চলে না।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: বাঈজীদেরকে তাইলে আধুনিক সংস্করণে 'নগরবধূ' হিসাবে ডাকা যায় কি বলেন? অবশ্য এখন আর সেই যুগ নাই। ইতিহাসে পড়েছি, একসময় কোন ব্যক্তির একটু টাকা পয়সা বেশি থাকলে তারা বাঈজী রাখতো। যেটাকে রক্ষিতাও বলা যায়! তখনকার সমাজে এটাকে অবশ্য দোষের চোখে দেখতো না!
বরং কোন টাকা পয়সা ওয়ালা ব্যক্তির রক্ষিতা না থাকলে বন্ধু বান্ধবরা তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতো। এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে। টাকা দিয়ে এখন আর কেউ বাঈজী পোষে না। তবে মাঝে-মাঝে নাইট ক্লাব বা বার ড্যান্সে গিয়ে সানি লিউন/নায়লা নাঈমের ঝাকা নাকা ড্যান্স দেখে আসে!
পোস্টে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বর্ননাটা ভাল ছিল। তবে সাথে কিছু ছবি থাকলে মন্দ হতো না! তারপরেও পোস্টে ভাল লাগা রইলো!
অনেকদিন পর ব্লগে দেখলাম! কেমন আছেন?
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সাহসী,
ঝাকা নাকা ড্যান্স আর মুদ্রা জেনে নৃ্ত্যের মধ্যে পার্থক্য আছে। যদিও দেবদাস চলচ্চিত্রে বাঈজী পেশাকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেটা দেখে কিছুটা ধারনা অন্তত পাওয়া যায়।
হুম, ব্লগে পাসওয়ার্ড সমস্যাজনিত কারনে লগইন করতে পারছিলাম না। গতকাল থেকে নিয়মিত হলাম। আছি ভালো-ই। আপনার কী খবর?
৮| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাঈজি, রক্ষিতা আর দেহপসারিনী- তিনজন তিন ক্যাটাগরির। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখি অনেক সময়। চমৎকার পোস্ট।
০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর !!!
৯| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার খবর মাশা-আল্লাহ ভাল! ব্লগটা ইদানিং আসলেই কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে! সেই আগের মত প্রাণবন্ত লাগে না! চারিদিকে সব গুমোট গুমোট ভাব! আর তার উপ্রে আবার এই টেকনিক্যাল সমস্যাটা যেন মড়ার উপ্রে খাড়ার ঘা!
যাহোক, ফিরছেন দেখে ভাল লাগছে! আশাকরি আবারও নিয়মিত হবেন!
হ্যাপি ব্লগিং! ভাল থাকবেন!
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি অবশ্য ব্লগে এসে প্রাণবন্ত ব্লগিং পাইনি!! তাই মিসও করি না।
এখানে সবাই সহব্লগার, সহব্লগার বলে ঠিকই, তবে সেটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। গুটি কয়েকের ক্ষেত্রে সহব্লগার, বাকিরা তো অসম্মানের পাত্রী।
কোথাও যাই নি, তাই ফেরারও সুযোগ পেলাম না।
মানুষ তখনই নিয়মিত হন, যখন সেখানে প্রনোদণা থাকে। সেটা আর্থিক এবং সামাজিক দু'টো ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
লেখালিখি চলছে এবং সেই পরিসরটা বড় করার কথাও ভাবছি। সময় করে উঠতে পারি না।
হ্যাপি ব্লগিং!
১০| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
কল্লোল পথিক বলেছেন: বাঈজীদের সর্ম্পকে আগে কিছু জানতাম।
আপনার পোস্টে অনেক কিছু জানলাম।
তবে বিখ্যাত বাঈজী মীরা বাঈয়ের উল্লেখ পেলাম না!
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল ভাই!
মীরা বাঈয়ের সম্পর্কে তথ্য আমিও পাই নাই।
পেলে লেখায় অবশ্য-ই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অনেক দিন বাদে কথা হলো, কেমন আছেন?
১১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৭
পুলহ বলেছেন: অন্যরকম লেখা, চমৎকার! পাঠক হিসেবে সাজেস্ট করবো লেখাটার শেষে লেখক- সম্ভব হলে যেনো তথ্যসূত্র যোগ করে দেন। এতে পোস্টের আবেদন নিঃসন্দেহে আরো বাড়বে।
"কেউ যেন জানকীকে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে না পারে সেজন্যে জানকীকে একটু কুৎসিত করতে নবাব ৫৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলেন।"-- ঠিক বুঝতে পারি নি ব্যাপারটা। মানে কি, জীবিত অবস্থাতেই উনাকে এভাবে অত্যাচার করা হয়েছিলো??!!
লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পুলহ, জানকীকে জীবিত অবস্থাতেই একটু কুৎসিত করতে নবাব ৫৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলেন।
একাডেমিক লেখা ছাড়া তথ্যসূত্র যোগ করতে ইচ্ছে করে না।
ধন্যবাদ !!
১২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাঈজি সম্পর্কে জানলাম কিছু।
উমরাওজান মুভি দেখে বাঈজিদের জন্য খুব খারাপ লেগেছিল।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী, তিল নিয়ে যে মিথ্যাচার হলো সেটা তো রীতিমত মনে রাখার মতো। কী পেলেন উমরাওজান?? তাচ্ছিল্য ছাড়া!
কেমন আছেন আপনি?
১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১১
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: বাঈজি।তেমন কিছু জানতাম না এদের সম্পর্কে।আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ। বাঈজিদের নৃত্যে ছিলো এক ধরনের আর্ট,এখনকার নৃত্যে তা একটুও পাওয়া যায় না।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সহমত ঈশান !!
১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
রমিত বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা উপহার দিয়েছেন। অজানা অনেক কিছুই জানলাম।
আসলে শিল্প শিল্পই। শত শত বছর ধরে শিল্প-কে টিকিয়ে রাখতে যারা অবদান রেখেছিলো তাদের মধ্যে বাইঈ-জী-রাও রয়েছে। তাদের এই অবদানকে স্বীকার করে নেয়া উচিৎ। আর একইসাথে এতগুলো শিল্পে পারদর্শী হওয়াটা কম কথা নয়!
এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !!!!!!!!!!!
১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২২
কালনী নদী বলেছেন: ঢাকার বাঈজীদের সময় বিংশ শতকের চল্লিশের দশকেই ফুরিয়ে যেতে থাকে। দেশভাগ আর জমিদারী প্রথার উচ্ছেদের সাথে সাথে তারা পৃষ্ঠপোষকহীন হয়ে পরে। এক সময় সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেদেরকে যৌন আদবকেতা শেখানোর জন্য পাঠানো হতো বাঈজীদের কাছে। দৃষ্টিপাতের কটাক্ষতা, কথার দক্ষতা আর কামকলাপারদর্শী বাঈজীরা ছিলেন শিক্ষাদীক্ষায়ও এগিয়ে।
ভালোলাগল বোন! +++
০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
১৬| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
আশিক আহমাদ বলেছেন: বাঈজী সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। চমৎকার লিখনশৈলীর জন্য ধন্যবাদ।
১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
১৭| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আশির দশকের অনেক সিনেমাতে বোধহয় বাঈজীর চরিত্র থাকত।আম্রপালির ব্যাপারটা বীভৎস লাগল।অবশ্য পুরুষতন্ত্র এসবকে বৈধতা দিলেও এটার মাঝে কতটুকু স্বকীয়তা আছে,নেইই। চমৎকার পোস্টে ব্যতিক্রম অজানা কিছু জানলাম
১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
১৮| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্লগার শের শায়রী র লেখায় কিছুটা পড়েছিলাম ..
ইম্প্রেসিভ লেখা নন্দিনী
১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু
১৯| ১১ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী ,
সুন্দর একটি প্রসঙ্গে লিখেছেন ।
সেকালের বাঈজীরা যে কতো উঁচুদরের শিল্পী ছিলেন তা আরো বিশদ করে লিখলে অনেকেরই ভালো লাগতো, তাদের আত্মসম্মানবোধ, ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নতুনরা ধারনা পেতেন ।
আশা করি , আগামীতে তেমন লেখা পাবো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার পরামর্শ সানন্দে গ্রহণ করা হলো।
বিস্তারিত লেখা যথা সময়ে প্রকাশের ইচ্ছা আছে।
ধন্যবাদ!
২০| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫
আলোরিকা বলেছেন: পোস্টের বিষয়বস্তু চমৎকার । গত বছরের ঈদ সংখ্যায় ( সম্ভবত প্রথম আলো ) এ বিষয়ে একটি চমৎকার লেখা পড়েছিলাম । আপনার এ লেখাটি কিছুটা অগোছালো মনে হয়েছে আমার কাছে । ভাল থাকুন । হ্যাপি ব্লগিং
১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আলোরাকি আপু,
প্রথম আলোর লেখটা আমি পড়িনি। তাই বলতে পারছি না।
লেখা যে কিছুটা অগোছালো হয়েছে সেটা পোষ্ট করার পর আমারও মনে হয়েছে।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকবেন, হ্যাপি ব্লগিং!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: তবে অনেক আগে একটি পত্রিকায় পড়েছিলাম পুরান ঢাকায় পানির ব্যবস্থা হয়েছিল বাঈজীর টাকায়।
বাঈজী সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ আপনাকে