নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার কোথায় কোথায় শৌচকার্য করবেন...

১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩০

ঢাকার রাস্তায় সবথেকে বেশি লেখা থাকে "এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ"। কিন্তু লেখা থাকলেই যে নগরবাসী তা মেনে চলেন, এমনটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। ঢাকাকে অনেকেই বলেন “সিটি অফ টয়লেট”। প্রবাদ আছে, একটা দেশ ততটা উন্নত, সেদেশের পাবলিক টয়লেট যতটা উন্নত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি কোনো দেশের পাবলিক টয়লেট না থাকে? অবাক হবেননা প্লিজ, আপনি জেনে হয়তো আশ্বস্ত হবেন যে, আমাদের দেশে পাবলিক টয়লেট আছে। তবে? হ্যাঁ তবে ঢাকা শহরে ২ লাখ ২৫ হাজার মানুষের জন্ গড়ে একটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। সাইনবোর্ড না থাকার কারনে কোথাও কোথাও খুঁজেই পাওয়া যায়না “টয়লেট”, তাই তো এ শহরের ফুটপাত গুলোই টয়লেট! পাবলিক টয়লেটের অভাব, বাড়তি খরচ, লাইনে দাঁড়ানোর পর্যাপ্ত সময় হাতে না থাকায় যেখানে সেখানে প্রসাব করতে হচ্ছে পথাচারীকে। ঢাকার ফুটপথ এবং ফুট ওভারব্রিজে মলমূত্র ত্যাগ করছে প্রায় ৫লাখ মানুষ।এই শহরের ৬৯টি পাবলিক টয়লেটের মধ্যে ৯১ শতাংশই ব্যবহার অনুপযোগী। ইউনিসেফের ২০১২ সালের অপর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ৮১ ভাগ স্যানিটেশন সুবিধা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। যদিও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত চার হাজার ৭০০ বস্তির কোনটিতেই নেই স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা।

পাবলিক টয়লেট কেন দরকার? প্রথমত জনস্বাস্থ্যের জন্য, দ্বিতীয়ত লিঙ্গ সমতার জন্য, তৃতীয়ত নারীদের নিরাপত্তার জন্য এবং চতুর্থত শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষার জন্য।পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার এখন নগরবাসীর জন্য অনেকটাই আতংকের নাম। একে তো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল তার উপর অপরিচ্ছন্ন। ব্যবহারকারীকে দশ দিক ভেবে এ টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। ইউনিসেফের দেয়া রিপোর্ট বলছে, সারা দেশে প্রায় ৫কোটি নগরবাসীর জন্য পাবলিক টয়লেট রয়েছে ১৭৩টি। চট্টগ্রামে ৫০টি, রাজশাহীতে ২৫টি, সিলেটে ৬টি, বরিশালে ৫ট্ গাজীপুরে ১৭টি, যা অবিশ্বাস্য-ই বটে। এবং এগুলোর বেশিরভাগ-ই ব্যবহারের অযোগ্য।

প্রায় ৮০০ বর্গকিলোমিটারের রাজধানী ঢাকাতে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের বাস। এর মধ্যে ৫ লাখ ভাসমান, রিকশা চালক ১০ লাখ, অন্যান্য জীবিকার মানুষ ১০ লাখ। এই শহরে নিয়মিত পথচারী ২০ লাখ এবং ঢাকার বাইরে থেকে আসা ১০ লাখসহ মোট ৫৫ লাখ মানুষের প্রতিদিনের চলাচলের সময় টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে মোট পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা ৬৯টি। এর মধ্যে দক্ষিণে ৪৭টি এবং উত্তরে ২২টি। যার মধ্যে ৫টি মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী। ২টি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, ১০টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ, ১০টিতে কোনো সেবা নেই।সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের জরিপে দেখা গেছে, চালু ৪৭টি শৌচাগেরের মধ্যে নারীর জন্য রয়েছে ৮টি মহিলা টয়লেট এবং এইসব টয়লে্টে নারী কর্মী আছেন মাত্র ২টিতে। তাছাড়াও মহিলা টয়লেট লেখা থকলেও সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে পুরুষ। যে কারনে নারীরা পাবলিক টয়লেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। সিটি কর্পোরেশনের ৩৪-৩৫টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে বিভিন্ন বাজারে।

ঢাকার পাবলিক টয়লেট গুলোর দেখা পাবেন ওসমানী উদ্যান, কমলাপুর বাস স্ট্যান্ড, কমলাপুর রেল স্টেশন, গুলিস্তান, নিউমার্কেট, মাওলানা ভাষানী হকি স্টেডিয়াম, আজিমপুর বাস স্টান্ড এবং রমনা উদ্যানে। যদিও রমনা উদ্যানের ৩টি পাবলিক টয়লেট আছে এবং দিনের বেশির ভাগ সময়ই সাখানে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

৭৫ ভাগ শৌচাগারে মেয়েদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। ৫০ভাগ টয়লেটে পানি নিয়মিত থাকে না এবং ৭০ ভাগে প্রয়োজনীয় আলো বাতাসের ব্যবস্থা নেই। ব্যবহার অনুপযোগী এইসব টয়লেটের কোনোটির দরজা নেই, সিটকিনি নেই, পানি নেই, অপরিষ্কার- অপরিচ্ছান্ন, ময়লা, দূর্গন্ধ, ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ে, ময়লা পানি জমে থাকে, নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা শহরের টয়লেট গুলো বাৎসরিক ইজারার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অথচ সিটি কর্পোরেশনের তদাররি না থাকায় সেগুলোর এমন বেহাল দশা। স্যানিটারি ইন্সপেকট্র নামে থাকা সত্ত্বেও কোনো তদারকি নেই। রয়েছে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ। সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অনুসারে প্রস্রাবের জন্য একটাকা এবং পায়খানার জন্য দুইটাকা নেয়ার নিওয়ম থাকলেও বেশিরভাগ টয়লেটেই ইজারাদাররা প্রস্রাবের জন্য ৩ থেকে ৫টাকা এবং পায়পখানার জন্য ৫ থেকে ১০ টাকা নিয়ে থাকে। বাড়তি টাকার অংকটা নির্ধারন করেন ইজারাদাররা। নিয়মিত পরিষ্কার করা, ব্লিচিং পাউডার ছিটানো, হাত ধোয়ার সাবান সরবরাহ বেশ কিছু শর্তের চুক্তিতে পাবলিক টয়লেটগুলো ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। টয়লেটে হাত ধোয়ার পানি নেই, সাবান নেই, ঠিক মতো পরিস্কার করা হয় না। সিটি কর্পোরশনের দাবী, লোকবলের অভাবে কাজের ভীড়ে আলাদা করে পাবলিক টয়লেট গুলো তত্ত্বাবধান করা সম্ভব হয় না। দেশের মোট জনসংখ্যা ১০ শতাশ প্রতিবন্ধী হলেও পাবলিক টয়লেট গুলোতে তাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই।

ঢাকার নাগরিক স্বাস্থ্য সেবা উওন্নয়নের লক্ষ্যে “ঢাকা আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার” নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ২০০৫ সালের জুন মাসে রাজধানীকে সাতটি ভাগে ভাগ করে মোট ৩৬টি টয়লেট নির্মানের কাজ হাতে নেয়া হয়। কিন্তু যথা সময়ে জমি বরাদ্দ না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত সবগুলো টয়লেট নির্মান করা সম্ভব হয়নি।

পাবলিক টয়লেট কোথায় আছে সেটার নির্দেশনা দিয়ে রাস্তার মোড়্গুলো সাইনবোর্ড বা চিহ্ন দেয়ার অভিমত জানিয়েছেন অভিকাংশ পথচারী। তাদের মতে, কোন এলাকায় কোথায় পাবলিক টয়লেট আছে সেটা আগে থেকে জানা না থাকলে খুজে বের করা কঠিন। সেজন্য জনগনের সুবিধার্থে সড়কের মোড় বা চোখে পড়ে এমন স্থানে সাইনবোর্ড বা চিহ্ন এঁকে দেয়া উচিত।

মোবাইল টয়লেটঃ
সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ অ্যান্ড ওয়াটার এইডের সহয়তায় এসোসিয়েশন ফর রিয়েলাইজেশন অব বেসিক নিডস আরবান-এর বাস্তবায়নে ২০১০ সালের অক্টোবরে শুধু ঢাকা মহানগরীতে ‘মোবাইল টয়লেট’ কার্যক্রম শুরু হবে। তারা মোট ৪৬টি মোবাইল টয়লেট বা ভ্রাম্যমান টয়লেট বানিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬টি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ৭ট পয়েন্টে রাখা হয়েছে। ঢামেক এর সামনে, বারডেমের সামনে, গুলিস্তান পুরাতন সিনেমা হলের সামনে, মিরপুর ১০ ও ১১ তে, পাসপোর্ট অফিসের সামনে, নিউমার্কেটের সামনে। বাকিগুলো বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সেবা দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। ১দিনে এই মোবাইল টয়লেটটি ১২০ জন ব্যবহার করতে পারে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকার রাজপথে এই টয়লেটের কার্যক্রম চালানো হয়। সেবা মূল্য প্রস্রাব করার জন্য ২টাকা এবং শৌচকার্য করার জন্য ৫টাকা। মোবাইল টয়লেট গুলোর প্রতিটির নির্মান ব্যয় ৭০হাজার থেকে ১লাখ ৪০হাজার টাকা।
প্রকল্পের শেষ দিকে এসে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল টয়লেটের বেশির ভাগের-ই বেহাল দশা। আর নিন্মবিত্ত শ্রেনীর মানুষ ছাড়া কেউই খুব একটা এ টয়লেট গুলো ব্যবহার করেননা।

নারীদের আবার টয়লেটের প্রয়োজন আছে নাকি?
গবেষণা বলছে, প্রতিটি সুস্থ মানুষকে দৈনিক গড়ে ৫ বার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়।নারীরা সাধারনত পুরুষের তুলোনায় বেশি টয়লেট ব্যবহার করে থাকেন। এর পেছনে যথাযথ কারনও আছে বৈকি। দেখা গেছে, ঢাকার ৮৫ ভাগ নারী যারা নিয়মিত বাইরে যান তারা কম পানি পান করেন। এর পেছনে মূল কারণ বাসার বাইরে টয়লেটের অপ্রতুলতা।পানি কম খেলে মাথা ধরা, কিডনী জটিলতা সহ নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘক্ষণ প্রাকৃতিক প্রয়োজনে সাড়া না দিতে পারলে শরীরে স্থায়ো বা অস্থায়ী নানা ধরনের রোগ জন্ম নেয়।

একেতো পরিবাশ নোংরা তার সাথে দেয়ালে অশ্লীল অশ্রাব্য লেখার ছড়াছড়ি। নানা রকম অশ্লীল বাক্য, ছবি আঁকা ও সঙ্গে মোবাইল নম্বর জুড়ে দেয়া।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবা’র দেয়া তথ্য মতে, ৭৩ শতাংশ সরকারি অফিসে নারীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা নেই।
বর্তমান বিশ্বে আড়াইশো কোটি মানুষের টয়লেটের সুবিধা নেই। আর এর সবথেকে বড় ভুক্তভুগি নারী ও কন্যাশিশুরা। টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে নারী নির্যাতনের ঘটনাও হরহামেশাই ঘটছে।

উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে পাবলিক টয়োলেটঃ
নগরবাসী নাগরিক হয়ে যাওয়ার পর বোধ করি তার আর মল মূত্র ত্যাগের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই পাবলিক টয়লেটে বসেছে দোকান। শাহবাগ শিশু পার্কের কাছে ফুটওভার ব্রিজের নিচের পাবলিক টয়লেট টির বর্তমান অবস্থা তো তাই। পাবলিক টয়লেট পরিনত হয়েছে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে। বেশির ভাগ পাবলিক টয়লেট থেকে দেয়া হচ্ছে অবৈধ পানি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ। পানি সরবরাহের জন্য নিযুক্ত আছে আলাদা ব্যক্তি, নির্ধারিত আছে পানি মাপার পাত্রও। গুলিস্থানের চা বিক্রেতা এবং আখের রস বিক্রেতারা টাকার বিনিময়ে পানি সংগ্রহ করেন টয়লেট থেকে। শাহবাগের পাবলিক টয়লেটটি রয়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের দখলে।

আশার কথাঃ
নতুন পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার আগে প্রস্রাব, পায়খানার জন্য ৫টাকা, গোসলের জন্য ১০ টাকার রিসিট নিতে হয়। লকার সুবিধার জন্য ৩০টাকা জমা দিতে হয়। শৌচাগার ত্যাগ করার সময় চাবি বুঝিয়ে দিলে ২৫টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

ব্যবহার যোগ্য ৫টির একটি গাবতলীর পাবলিক একটি। আলো ঝলমলে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, হাত-মুখ ধোয়া ও গোসলের ব্যবস্থা, সাবান, টয়লেট পেপার, সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানির আলাদা ব্যবস্থা, নারী ও প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী টয়লেট, সার্বক্ষনিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বচ্ছ আয়না, নিরাপত্তার জন্য মূল প্রবেশ দ্বারে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ব্যাগ কিংবা মূল্যবান জিনিসপত্র সাময়িক ভাবে রাখার জন্য লকার, কি নেই সেখানে! প্রায় একবছর ধরে পাবলিক টয়লেট ২৪ ঘন্তা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা উত্ত্র সিটি কর্পোরেশন আগামী এক বছরের মধ্যে বেসরকরী সংস্থা ওয়াটার এইডের সঙ্গে সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উত্তর ঢাকায় ৫০টি এবং দক্ষিন ঢাকায় ৩৪টি পাবলিক টয়লেট তৈরি করবে।এছাড়া শহরের পাবলিক টয়লেটের সমস্যা দূর করতে প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে পাবলিক টয়লেট বসানো পরিকল্পনা করা হয়েছে।এ পর্যন্ত ৮৬টি পেট্রোল পাম্প মালিকের সাথে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০১৭ সালের মধ্যে এ শহরে ১০০টি নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি চীনের একটি পাবলিক টয়লেট গনমাধ্যমের নজর কেড়েছে। সেখানে মোট ১১টি বিভাগ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে পুরুষ টয়লেট, নারী টয়লেট, উভয় টয়লেট, শিশুদের কাপড় পরিবর্তন বিভাগ, ই-কমার্স এলাকা, এটিএম বুথ ইত্যাদি। প্রতিটি টয়লেটের সঙ্গে রয়েছে টেলিভিশন।

পাবলিক টয়লেটে টিভি-ফ্রিজ-ইন্টারনেট


চীনেরপাবলিক টয়লেট নিয়ে অনেক সময়ই অভিযোগ করেন পশ্চিমা পর্যটকরা। বিশেষ করেআলোর অপর্যাপ্ততা, টয়লেট পেপারের অভাব ইত্যাদি কারণে অনেকেই বেশ অস্বস্তিবোধ করে থাকেন। তবে সম্প্রতি দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে উদ্বোধন করা নতুনপাবলিক টয়লেটটি দেখলে বিস্মিত হবেন যে কেউ। পাবলিক টয়লেটের 'ইমেজ উদ্ধারে' এই হাইটেক পাবলিক টয়লেটটি তৈরি করা হয়েছে দেশটিতে।

চীনের সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই পাবলিক টয়লেটে থাকছেসার্বক্ষণিক ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ। এ ছাড়া সেখানে স্থাপিত ভেন্ডারমেশিনের সাহায্যে টয়লেট ব্যবহারকারীরা সহজেই চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদিকিনতে পারছেন। পাশাপাশি বিনোদনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে অনেকগুলো ফ্ল্যাটস্ক্রিনের টেলিভিশন। জরুরি প্রয়োজনে অর্থ উত্তোলনের জন্য থাকছে এটিএমমেশিন। আর গাড়ির ব্যাটারি চার্জের জন্য আছে চার্জিং স্টেশনও।

গত ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম বেইজিংয়ের ফ্যাংশান জেলায় সরকারি কর্মকর্তারাএই পাবলিক টয়লেটটি উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, দিনটি ছিল 'বিশ্ব টয়লেট দিবস'।ভবনটিতে মোট ১১টি বিভাগ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে, পুরুষ টয়লেট, নারী টয়লেট, উভয় টয়লেট, শিশুদের কাপড় পরিবর্তন বিভাগ, ই-কমার্স এলাকা, এটিএম বুথইত্যাদি। প্রতিটি টয়লেটের সঙ্গেই স্থাপিত হয়েছে টেলিভিশন।

পাবলিক টয়লেটে এসে ইউটিলিটি বিল দেয়ারও সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। এসব বিলদিতে পাবলিক টয়লেটটিতে বিশেষ মাল্টিপারপাস ফোন স্থাপিত হয়েছে। ডিজাইনাররাআশা করছেন, পাবলিক টয়লেটটি স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবেব্যবহার করবে। বেইজিংয়ের টংঝাউ, শুনই ও পিংগু জেলায়ও খুব শিগগির অত্যাধুনিকপাবলিক টয়লেট উন্মুক্ত করা হবে। রাজধানী ছাড়াও চীনের গুইয়াং, হাইকু, কুনমিং ও ঝাংজিয়াকু শহরেও এমন পাবলিক টয়লেট চালু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বেইজিং এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের এক মুখপাত্র জানান, বাসা, অফিস, অবকাশকেন্দ্র ও সাইবার ক্যাফেগুলোর পরেই স্থানীয়দের কাছেস্থান করে নেবে এই পাবলিক টয়লেট। তবে এত সুবিধা দিয়েও সন্তুষ্ট হতে পারছেননা তারা। ওই মুখপাত্র বলেন, 'আমরা জাপানের কাছ থেকে আরো অভিজ্ঞতা নেব।' তিনি আরো বলেন, 'টয়লেটে বস্নাড প্রেসার, হার্ট রেট ইত্যাদি পরিমাপ করারব্যবস্থাও চালু করব আমরা।'

সংশ্লিষ্টরা এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা-সংবলিত টয়লেটগুলোকে 'নতুনপ্রজন্মের' টয়লেট হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। অনেকেআবার আগ বাড়িয়ে একে 'টয়লেট বিপ্লব' বলতেও ছাড়ছেন না।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:




সুন্দর পোস্ট।

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!

২| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪২

জসিম বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট.

টয়লেট নগর জীবনে যে কতো বড় বিষয় সেটা বোধ হয় আমাদের মাঝে সেভাবে গড়ে উঠেনি. রাস্তায় যত্র তত্র টয়লেট বানানোর ক্ষেত্রে আমাদের তো জুড়ি নেই. এগুলোর জন্য সচেতনতা তো বাড়াতে হবেই. তবে জনসাধারণের জন্য টয়লেট সুবিধা তো দিতে হবে. আর টয়লেটও দখল, দুর্নীতি সেগুলো তো আছেই.

এখানে আমার মনে হচ্ছে নিচে চীনের অংশটুকু কিছুটা অসামঞ্জস্যতা তৈরী করেছে. বাদ দিলে দিতে পারেন. ফোকাসটা এক জায়গায় থাকলেই মনে হয় ভালো.

এমন বিষয়গুলো বেশি গণমাধ্যমে আসা উচিত.
লেখার জন্য ধন্যবাদ.
ভালো থাকুন.

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জসিম ভাই,
চীনের পাবলিক টয়লেটের অবস্থা ছিলো করুণতম। তারা ট্যুরিজমের কথা মাথায় রেখে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পরিকল্পনা থাকলে সবই সম্ভব। প্রকৃ্তিক ডাক তো রাজনীতিবিদদের গাল ভরা বুলি বোঝে না, তারা ত্যাগের সুখ চায়।

মানুষ যখন সচেতন হতে শুরু করেছে, সুদিন আর বেশি দূরে নয়।
ভালো থাকবেন।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

সুমন কর বলেছেন: সব মিলিয়ে ২০১৭ সালের মধ্যে এ শহরে ১০০টি নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। -- ভালো সংবাদ।

চমৎকার পোস্ট। যাদের দেখা কিংবা পড়ার দরকার, তারা কি দেখবেন, পড়বেন?
+।

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সহ ব্লগাররা কে কোথায় কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, জানি না তো। তাদেরও তো জানা দরকার।
আগামীতে আমি নিজেও তো ডিসিশনমেকার কিংবা পলিসিমেকার হতে পারি!!
তাই এখনই কিছু পেপার ওয়ার্ক করে রাখছি। পরে কাজে দিবে :)

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাহ, অনেক কিছু জানলাম ! :D

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !!

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সব সমস্যার একটাই সমাধান জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ।
না হলে হয়তো এক কোটির জন্য একটা পাবলিক টয়লেট ভাগে পড়বে

১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সুষম উন্নয়ন চাই। মানুষের শহরমুখী হবার প্রবণতা কমাতে হবে।
শহরকে পরিকল্পিত ভাবে বাড়াতে হবে।
মানুষকে সচেতন করতে হবে।
এদেশে শুধু ডাইরিয়াতে প্রতি বছর ৪০ হাজার শিশু মারা যায়!!

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

শাহরিয়ার নিরব বলেছেন: বাংলাদেশের পাবলিক টয়লেট...!!!
শুনলেই গা টা শিরশিরিয়ে উঠে...........

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তারপরও আপনার আমার ট্যাক্সের টাকায় এগুলো বানানো হয়। বুঝে নিন।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশের পাবলিক টয়লেট...!!!
শুনলেই গা টা শিরশিরিয়ে উঠে.......


শাহরিয়ার নিরবের মন্তব্যটি আমি নিজেই করতে যাচ্ছিলাম। পুনঃকথন হবে ভেবে তাঁর মন্তব্যটিই তুলে দিলাম।

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ছাড় দিতে দিতে পাবলিক খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে, আর কত?

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

স্টাইলিশ বয় বলেছেন: পরিসংখ্যান দেইখা তো টাস্কি খাইলাম! আজব দেশে বাস করি আমরা! এখানে টয়লেটের জন্যেও বিপ্লব সাধন করা লাগে! কিন্তু এই সমস্যাটা তো শুধু আমাদের দেশেই না! অনেক দেশই তো এই সমস্যা ফেস করে দেখলাম।

যাহোক, কোন দেশ কি করলো না করলো সেইটা দেখার বিষয় আমাদের না। তবে কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সর্বস্তরেই টয়লেটের আসলেই অনেক প্রয়োজন!

পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!
আশে পাসের দেশ সম্পর্কে একটু জানা এবং শোনার দরকার আছে বৈকি। বিপ্লবের আগে সচেতন হয়ে দেখা যাক, ফলাফল কি দাঁড়ায়।

৯| ২০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

আলোরিকা বলেছেন: পাবলিক টয়লেটেরতো --------' পথ চলিতে কভু চকিতে যদি দেখা হয় ' অবস্থা !

' প্রাকৃ্তিক ডাক তো রাজনীতিবিদদের গাল ভরা বুলি বোঝে না---------- ' =p~ =p~ =p~

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আলোরিকা, এদেশে সব কিছুর জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে, কেবল পাবলিক টয়লেটের বিষয় এলেই কোন সুরাহা হচ্ছে না। কবে যে পাবলিক টয়লেট দখল করে বিশেষ অফিসের সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়! সেটা দেখার অপেক্ষাতেই আছি।

১০| ২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ! শৌচাগার একটি জাতী ,দেশ , পরিবারের রুচির পরিচয় বহন করে ।

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আর রুচি!!! জনস্বাস্থ্য যেপরিমান হুমকীর মুখে ভাবলেই হতাশ লাগে।

১১| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পরিসংখ্যানটা ইন্টারেস্টিং।

''সিটি অফ টয়লেট'' মুম্বাইকে বলে না?

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনার্স তৃতীয় বর্ষে আমাদের একটা কোর্স পড়তে হয়েছে "ইকনোমিক্স এন্ড পাবলিক হেলথ এডুকেশন"। সেখানে ঢাকাকেই এই বিশেষন দেয়া হয়। লেখার সময় বিষয়টা এতবার মাথায় এসেছে যে না লিখে থাকতে পারলেম না।

আপনার জানাও সঠিক!! মুম্বাইকেই "সিটি অফ টয়লেট" বলা হয়।
ধন্যবাদ :)

১২| ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩০

জসিম বলেছেন: কবে যে এসব দেখে মানুষের হুশ হবে আর বুঝতে শিখবে. দেশে থাকার সময় আমার চাকরিস্থলের আশে পাশে রোজ কমপক্ষে কয়েক হাজার মানুষ রাজধানীর প্রধান সড়কে যেভাবে মূত্র ত্যাগ, মল ত্যাগ করতো তা দেখে দেখে ভাবতাম কি আজব রাজধানীতে থাকি. এটা শাহবাগ থেকে ফার্মগেট এলাকার কথা বললাম. এই যদি হয় অবস্থা পরিবর্তন কবে হবে!
এখানে আমার এক প্রফেসর একদিন ক্লাসে বলছিলেন, দারিদ্র, অপুষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন এসব বিষয় নিয়ে. অন্য দেশের সাথে তুলনামূলক আলোচনার এক পর্যায়ে যখন দেশের এসব বিষয়ের কিছু তথ্য বললাম. তখন সে বলেছিলো- ফিনল্যান্ডও এক সময় গরীবই ছিলো, নারীর জন্য এখন যেমন অনেক স্বস্তিকর, তখন তেমন ছিলো না, আর অন্য কিছু তো আছেই. কিন্তু এসব ১০০ বছর আগের কথা. এর পর থেকে আমার প্রায়ই মনে হয় বাংলাদেশের এত সব সমস্যা রাতারাতিও যদি সমাধাণ হয় তাতেও অন্তত ৫০ বছর তো লাগবেই. যতদিন বেঁচে আছি- আশায় আশায় থাকি! কি আর করা.

আশায় থাকি.
ভালো থাকুন.

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জসিম ভাই, এদেশটা যে কিভাবে চলছে তা কেউ বলতে পারবে না। সবাই শুধু এটুকুতেই আশ্বস্ত "চলছে তো"। আমার পরিচিত এমন কোন মেয়ে নেই যায় "ইউরিন ইনফেকশন" এর অভিজ্ঞতা নাই। সহ্য এবং সীমা দুটোই হাত ধরাধরি করে হারিয়ে গেছে। আর পারছি না। আর পারা সম্ভব নয়।

আপনি ফিনল্যান্ডে আছেন! শাহাদুজ্জামান এর "আমস্টারডামের ডাইরী" পড়ছিলাম। দেশটা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো।
ভালো থাকবেন।

১৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০১

জসিম বলেছেন: আমার মনে হয়, টয়লেট সমস্যা দেশে মেয়েদের জন্য একটা অভিশাপের মতো. পাবলিক টয়লেট তো দূরের কথা, অফিস, আদালত, হাসপাতাল এমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মেয়েদের জন্য টয়লেটের সুব্যবস্থা নেই. কোথাও কোথাও তো নামে মাত্র টয়লেট একটা রাখা আছে. নারীর স্বাস্থ্য নিয়ে এই লজ্জাকর পরিস্থিতির অবসান হওয়া উচিত.
আমি গত কয়েক বছর এখানেই আছি. আমস্টারডামের ডা্ইরী আমার পড়া হয়নি অবশ্য. যা হোক আপনি ভালো থাকুন.
ধন্যবাদ.

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এ দেশের গার্লস স্কুল গুলোতে টয়লেট ঘিরে ভূতের ভয় থাকে। মেয়েরা পারত পক্ষে সেখানে যেতে চায় না। তাছাড়া স্বাস্থ্যগত আরো অনেক বিষয় আছে। কার্যকরী সমাধান দরকার।

আপনিও ভালো থাকবেন।

১৪| ২২ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

সমুদ্রচারী বলেছেন: সচরাচর পাবলিক টয়লেট এড়িয়ে চলি , অনেক কিছু জানলাম ।
ধন্যবাদ

বি:দ্র: আমাদের পাবলিক টয়লেটে ওয়াইফাই না দেওয়ায় ভালো ,পরে দেখা যাবে পাবলিক আর টয়লেট থেকে বেরই হতে চাইছে না :)

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ওয়াইফাই কনসেপ্টটা বাঙ্গালী বেশ ভালো ভাবে গিলেছে। ওয়াইফাই দিয়ে কী হাতি ঘোড়া যে পাবলিক করে বুঝিনা। মানুষের তো ধার করে হলেও সেলফোনে কথা বলার রোগটা পুরোনো। নতুন হয়েছে ওয়াইফাই প্রীতি।

১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৩৮

আহম কামাল বলেছেন: রীতিমত এক অসাধারণ অনুসন্ধানী ও গবেষণা কর্ম। ধন্যবাদ।


"সব মিলিয়ে ২০১৭ সালের মধ্যে এ শহরে '১০০টি' নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে"।
খবরটা 'নাই মামা' র চে' কানা মামা ভালো' র মতো লাগছে।
এতো বড় শহর- ১০০টি পাবলিক টয়লেট!!
---তবুও হোক। শুরুটা হোক।

জানতে ইচ্ছে করে, আপনার পেশা কী (দুঃখিত, অনধিকার চর্চা হলো কি, না)? বলতে ইচ্ছে না করলে থাক।
(আমি কিন্তু নবীন)
। ভালো থাকবেন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি মনোযোগী পাঠক এবং নবীন লেখক (হওয়ার চেষ্টা করছি)।
গবেষণা তো বিরাট কর্ম যজ্ঞের ব্যাপার, সেই যোগ্যতাও অর্জন করার চেষ্টা করছি।
ধন্যবাদ :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.