নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে জরায়ু ভাড়া পাওয়া যায়!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬



আমেরিকার অঙ্গরাজ্য নিউজার্সির ছোট্ট এক শহরের ট্রাক ড্রাইভারের স্ত্রী মিসেস মেরি বেথ হোয়াইটহেড। দুই সন্তানের জননী। অত্যন্ত স্নেহশীল। আর্থিক অনটন রয়েছে সংসারে। একদিন হোয়াইটহেডরা খবর পেলেন এক নিঃসন্তান দম্পতির কথা, যারা একটি সন্তান উৎপাদনের বিনিময়ে একজন মহিলাকে দশ হাজার ডলার দিতে রাজি। হোয়াইটহেডদের মোটামুটি শান্তির সংসার। দুইটা সুস্থ সন্তান রয়েছে, তাঁদের আর সন্তান দরকার নেই। সংবাদপত্রে সন্তান ধারনক্ষম মহিলার জন্য যে দম্পতি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তারা পেশাজীবনে সফল। পড়াশুনা আর কাজের ব্যস্ততার কারণে বহুদিন সন্তান ধারণ স্থগিত রাখতে গিয়ে এখন সম্পূর্ণভাবে গর্ভধারণে অসমর্থ হয়ে পড়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে ভদ্রমহিলা প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। তার স্বামীও ডাকসাইটে ব্যক্তি, খুব সম্ভবত ডাক্তার। দুজনে মিলে তাই ঠিক করেছেন স্যারোগেশন করাবেন। দুজনের না হোক অন্তত একজনের জিন তো থাকুক সন্তানের শরীরে। মিসেস হোয়াইহেড ঠিক করলেন তিনি এই কাজে অংশ নিবেন। তাতে পরিবারটি একটি সন্তানের মুখ দেখতে পাবেন, আর তিনি পাবেন দশ হাজার ডলার। যা দিয়ে হোয়াইটহেড পরিবারে আসবে স্বাচ্ছন্দ্য। প্রতিমাসে নির্ধারিত কয়েকটি দিনে ক্লিনিকে যেতে হয় মিসেস হোয়াইটহেডকে। সেখানে ডাক্তার কৃত্রিম উপায়ে মিঃ এক্সের বীর্য স্থাপন করে তাঁর জরায়ুতে। যথা সময়ে মিসেস হোয়াইটহেড গর্ভবতী হলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ও স্বাভাবিক ভাবে গর্ভাবস্থা কাটার পর তিনি একটি সুস্থ কন্যাসন্তান জন্ম দিলেন। কিন্তু গোল বাধলো সন্তান জন্মদানের পর। কন্যার মুখ দর্শন করে মিসেস হোয়াইটহেড বেঁকে বসলেন। দশ হাজার ডলার তিনি চান না- কোনো চুক্তি মানতে রাজি নন তিনি। এই কন্যা তার গর্ভজাত, তিনি এই সন্তানের মা; অতএব একে তিনি নিজের কাছেই রাখতে চান। ওদিকে ডক্টর এক্স এবং মিসেস এক্স কিছুতেই তা হতে দেবেন না। কেননা সন্তানটি মিস্টার এক্সের স্পাম থেকে হয়েছে এবং সবথেকে বড় কথা চুক্তিকৃত দলিল রয়েছে তাঁদের কাছে। হোয়াইটহেডদের বাড়ি থেকে শিশুটিকে জোর করে নিয়ে যাবার জন্য কোর্টের অর্ডারসহ যখন পুলিশ এসে হাজির দরজায়, তখন মিসেস হোয়াইটহেড তার স্বামীর সহায়তায় শিশুসহ জানালা দিয়ে পালিয়ে চলে গেলেন ফ্লোরিডায়। অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার মধ্য দিয়ে বহুদিন ফেরারি থাকার পর মিস্টার এবং মিসেস হোয়াইটহেড ধরা পড়লেন এবং বিচারের রায় অনুযায়ী শিশুটিকে তুলে দিতে হল ডক্টর এক্স এবং মিসেস এক্সের হাতে। কেননা মিসেস হোয়াইটহেড এই সন্তানের মা নন, কেবল ভাড়া করা জন্মদাত্রী। অর্থের বিনিময়ে তাঁর মাতৃত্বকে কিনে নিয়েছেন এক ধনী দম্পতি। ফলে তার কিছুই করার নেই। ইতোমধ্যে তার নির্বিঘ্ন জীবনে ঝড় উঠে গেছে। একটা ঘটনায় জীবনটা ওলটপালট হয়ে গেল। অস্বাভাবিক ঘটনার চাপ এবং মিস্টার হোয়াইটহেডের চাকরি হারানোতে পরিবারে নেমে আসে দুর্গতি। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে হোয়াইটহেড দম্পতির মধ্যে। অন্যদিকে ডাক্তার স্বামী আর আইনজ্ঞ স্ত্রী মিলে কন্যাকে নিয়ে সুখের সংসার করতে থাকেন।

মা তো মা-ই। মা কখনো ভাড়াটে হতে পারে! পারে বৈ কি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে যখন রোগ, জরা, দুর্যোগকে জয় করা গেছে তবে মা কেন ‘ভাড়াটে মা’ হতে পারবে না? গর্ভধারণের মতো কষ্টকর ও অস্বচ্ছন্দ্যকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে না গিয়েও, অর্থের বিনিময়ে গর্ভধারনের জন্য সাময়িকভাবে জন্য একজন নারীকে ভাড়া করে মা হওয়া সম্ভব। যাকে বলা হয় Surrogate mother বা ভাড়াটে মা। ‘Surrogate mother’ কৃত্রিম উপায়ে জরায়ুর অভ্যন্তরে শুক্রানু স্থাপন করে কিংবা টেস্টটিউবে সন্তান ধারণ সন্তান ধারণ করার কথা আমাদের কম-বেশি সবারই জানা। তবে সম্প্রতি surrogate motherhood নিয়ে গণমাধ্যম কয়েকদিন পরপর-ই হাজির হচ্ছে অডিয়েন্সের সামনে। বলিউডের তারকাদের মধ্যে এই বিষয়ে আগ্রহ বেশ চোখে পড়ার মতো। এবারের সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। চার বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা এই বছরই জুন মাসে মাথেও এবং ইভ নামের যমজ পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন। রোনালদোর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘দ্য সান’ রোনাদোর পুনরায় বাবা হওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুই পুত্র সন্তানকে দেখতে অধীর আগ্রহে চেয়ে আছে ৪ বারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোসহ তার বাড়ির সদস্যরা।’ রোনালদোর সন্তানেরা বেড়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রে এক নারীর গর্ভে। ২০১০ সালে প্রথম বাবা হয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু তার মা ‘কে’ এ প্রশ্নে বরাবরই নীরব থেকেছেন। তবে ধারণা করা হয়, ‘সারোগেট মা’য়ের (ভাড়াটে গর্ভধারিণী) মাধ্যমেই জন্ম হয়েছে প্রথম সন্তান জুনিয়র ক্রিশ্চিয়ানোর। জানা গেছে এবারও একই কায়দায় জমজ ছেলের বাবা হয়েছেন পর্তুগিজ এই সুপারস্টার। বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছিল এভাবে, ‘রোনালদোর পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, গর্ভধারণের শেষ পর্যায়ে আছেন ওই নারী। শিগগিরই মা হবেন তিনি। সন্তান প্রসব করা মাত্রই স্পেনের রাজধানী রিয়াল মাদ্রিদে ৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যয়ে তৈরি ক্রিশ্চিয়ানোর বাড়িতে তাদের নিয়ে আসা হবে’। এবং হ্যাঁ বর্তমানে তিন পুত্র এবং সন্তানসম্ভবা বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন তিনি।

তারকাদের surrogating নিয়ে অডিয়েন্সের মাতামাতি করবে সেটা খুব স্বাভাবিক, তাই না? তো ‘Surrogate mother’ বিষয়টি কী? একজন নারী গর্ভধারণের মতো কষ্টকর ও অস্বাচ্ছন্দ্যকর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে না গিয়েও মা হতে পারেন- কিছু অর্থের বিনিময়ে গর্ভধারণের জন্য সাময়িকভাবে অন্য একজন নারীকে ভাড়া করে। সেক্স লাইফ এবং গর্ভধারণকে আলাদা করা সম্ভব হওয়ায় অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি স্রেফ টাকার লোভ দেখিয়ে গরিব মেয়েদের শরীর ভাড়া করে সন্তান উৎপাদনের মাধ্যমে নিজেদের সন্তান আকাংক্ষা মেটাতে অথবা নিজেদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির প্রমাণ দিতে সক্ষম হচ্ছেন। নারীদের সন্তান ধারনে biological clock বা প্রাকৃতিক ঘড়ি বসানো থাকে। পঞ্চাশ দশকে এসে সেটা বিদায় নেয়। সন্তান ধারণে অক্ষম বিবাহিত নারীরা artificial insemination- এই সুবিধা ভোগ করে না। surrogation পদ্ধতির মাধ্যমে যে কোন সচ্ছল দম্পতি-ই যারা আর্থিক ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম তারাই সন্তান লাভ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সন্তান উৎপাদনের ব্যবসায় সব রকম মহিলাই পাওয়া যায়। দরিদ্র মানুষ যাদেরকে অভাব খুব কাছ থেকে বোধ করতে হয়, তাদের কাছে টাকার বিনিময়ে সন্তাম হস্তান্তরে আপত্তি থাকার কথা নয়। কেননা শুধু জরায়ু ভাড়া দিয়ে ভ্রুণটিকে বিকাশ ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে হয়, তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। অনেকটা মানুষ বানানোর মেশিন আরকি!

সন্তান উৎপাদনের এই বানিজ্যে সবরকম মহিলাই এখন প্রতুল। কেননা যেখানে দারিদ্র আছে সেখানে টাকার বিনিময়ে অন্যের সন্তান গর্ভে ধারণ করে হস্তান্তর করতে তো সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু ২০১৪ সালে ‘জার্নাল অফ ল, মেডিসিন অ্যান্ড এথিকস'-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ‘‘সারোগেসি বিষয়টি এখন এতই বাণিজ্যিক হয়ে গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সারোগেট মায়েদের শুধু লাভের কথাই জানানো হয়৷ এর সঙ্গে যে অনেক ধরনের ঝুঁকিও জড়িয়ে আছে তা তাদের বলা হয় না৷'' সারোগেসি বিষয়টা এখন এতটাই বাণিজ্যিক হয়ে উঠেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক এজেন্সি তাদের ওয়েবসাইটে সন্তান নিতে আগ্রহীদের ‘ক্লায়েন্ট', গর্ভ ভাড়া দেওয়া মায়েদের ‘ক্যারিয়ার' আর সারোগেসির মাধ্যমে গর্ভধারণ ব্যবস্থাপনাকে ‘সেলস' হিসেবে উল্লেখ করে থাকে৷ বাণিজ্যিক হওয়ার কারণে সারোগেসিকে সন্তান বেচা-কেনা বিষয়টির থেকে আলাদা করা যায় না বলে মনে করে নিউইয়র্ক স্টেট ‘টাস্কফোর্স অন লাইফ অ্যান্ড দ্য ল'৷ এর ফলে শিশুদের ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে বলে আশঙ্কা করেছে তারা৷

দোষটি অবশ্য বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির নয়। এর ব্যবহারে স্বার্থ বিবেচনায়ই সকল মানবিক ও সামাজিক সমস্যার জন্য দায়ী। প্রজনন প্রযুক্তি যতই সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিক না কেন, সেখান থেকে নানা ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। সন্তান জন্মাদানের শেষ পর্যায়ে অনেক মা-ই চুক্তি মানতে রাজি হন না। সন্তানের প্রকৃ্ত মা কে সে সিদ্ধান্ত তখন নিতে হয় কোর্টকে। এই ধরনের জটিলতার শিকার হচ্ছেন প্রধানত মেয়েরা, কেননা গর্ভধারনের ব্যাপারটা প্রকৃ্তি প্রদত্তভাবে নারীর। কে মা আর কে নয় সেটা ঠিক করার দায়িত্ব কার? যার গর্ভে, রক্ত মাংসে বেড়ে সন্তান বেড়ে ওঠে, তিনি প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে হয়ে যান ভাড়াটে মা। যার জিন থাকবে তিনি যদি প্রাকৃ্তিক মা হন তবে যার গর্ভে বেড়ে উঠছে তিনি কেন নন? তাহলে গর্ভধারন এবং সন্তান প্রসবকে কী ছোট করে দেখা হচ্ছে না? সন্তানহীনা কোনো নারীকে অন্য এক নারী যদি মানবিক কারণে সন্তানবতী করতে এগিয়ে আসেন, তার শরীর নিঃসৃত ডিম্বানু জরায়ুতে ধারন করে ও প্রসব করে, এর মতো মহৎ কর্ম নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। তবে সেটা যদি হয় টাকার বিনিময়ে কোনো অভাবী নারীকে ভাড়া করা এবং পরবর্তীতে যদি সন্তান ধারনকারী সেই নারীর সকল মানবীয় অনুভূতিকে অবজ্ঞা করা হয় তবে সেটা কোনো মতেই শুভ কাজ বলে মেনে নেয়া যায় না।

অর্থের বিনিময়ে আর্থিক অসচ্ছল নারীর শরীরকে সন্তান বানাবার মেশিন বানানোর যে সংস্কৃতি চালু হচ্ছে, সেই শোষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে। প্রজনন বিজ্ঞানকে ব্যক্তিজীবনে যথোচিত ব্যবহারের ব্যাপারে একটি সুষ্ঠ নীতি নির্ধারণ ও তার সঠিক প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারতে অনেক গ্রাম আছে যেখানে বেশিরভাগ মহিলাই এই ব্যবসার সাথে জড়িত, তবে ইসলাম ধর্মে স্যারোগেশনের কোন অনুমোদন নাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এটা নিয়ে ব্যবসাটাই চিন্তার বিষয়।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পতিতাবৃত্তির কথা বাদই দিলাম, যেখানে শরিরের অঙ্গ বেচা কেনা চলে দেদারসে। অর্থের অভাবে মানুষ কত অমানবিক, অনৈতিক কাজই তো করে। এমতাবস্থায় কেউ যদি স্বেচ্ছায় Surrogate mother এর ভুমিকায় অবতির্ন হয়ে নিজেদের দারিদ্র ঘুচাতে চায় একে খুব একটা দোষনীয় বলা যায় না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: স্যারোগেশনে টাকাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে শাররীক যেসব জটিলতা হতে পারে সেগুলোকে উপেক্ষা করা হয়।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অর্থের বিনিময়ে আর্থিক অসচ্ছল নারীর শরীরকে সন্তান বানাবার মেশিন বানানোর যে সংস্কৃতি চালু হচ্ছে, সেই শোষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে। প্রজনন বিজ্ঞানকে ব্যক্তিজীবনে যথোচিত ব্যবহারের ব্যাপারে একটি সুষ্ঠ নীতি নির্ধারণ ও তার সঠিক প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।কথাগুলো হয়তো সত্যি| কিন্তু একটা মার্কেট ইকোনোমিতে এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টকর | কারণ ব্যাপারটা হচ্ছে দুই পক্ষের সম্মতিতে | একটা ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব | কিন্তু পশ্চিমে ধর্মীয় অনুশাসনতো দিনে দিনে হালকা হয়ে যাচ্ছে | স্পার্ম ব্যাংক থেকে স্পার্ম নিয়ে গর্ভধারণ নিয়ে একটা লেখা পড়ছিলাম কোথাও | এই ডোনেটেড স্পার্ম থেকে বেবি বর্নের পর স্পার্মটা কার এ নিয়ে আর ইনফরমেশন তেমন করে রাখা হয় না | এ থেকে অনেক জটিলতা বাড়ছে | এরকম একটা নিজ পড়েছিলাম ওই একই লেখায় যে এক কাপল বিয়ের অনেক দিন পর জানতে পারে যে তাদের বাবা এক |

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার উল্লেখিত গল্পটা কোথা থেকে পড়েছেন জানি না। তবে গল্পই মনে হচ্ছে।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: চুক্তির মাধ্যমে জরায়ু ভারা দিলেও মা হওয়ার পর সেই সন্তানের প্রতি মায়ের মমত্ববোধ মনে হয় এতটুকুও কম থাকে না। যে কারণেই হোয়াইটহেডরা সন্তান নিয়ে পালিয়েছিল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার মনে হয় এমএসএন -এর ওয়েব সাইটে পাবলিশড একটা আর্টিকেলে আমি এধরণের কিছু পড়েছিলাম | গল্প নয় |

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: বিজ্ঞান যত এগুচ্ছে মনুষ্যত্ব তত কমছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জীবনে অর্থটাই কি সব? এসব কাজ নৈতিকতার মানদন্ডেও খারাপ আর ধর্মীয় অনুশাসনে স্পষ্ট নিষেধ। এসব পাশ্চাত্যের সমাজবিহীন, পারিবারিক বন্ধনবিহীন লোকদের খামখেয়ালিপনার এক চূড়ান্ত রূপ। কোনক্রমেই সমর্থনযোগ্য নয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পাশ্চাত্যের সমাজে পারিবারিক বন্ধন নাই, এই কথাটা আপনাকে কে বলেছে?
নির্মিত ভুল ধারনা নিয়ে জীবন যাপন করা ঠিক না।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আপা, মন্তব্য করছিলাম, বাট উত্তর পেলাম না। শেষবারের মত অনুরোধ রইলো।

১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: মাতৃত্ব সত্ত্বা সবকিছু ছাড়িয়ে, যেই অনুভূতি অর্থের মাহাত্মকে পেছনে ফেলে দিতে পারে সেই অনুভূতি মিশ্রিত সত্ত্বা কোন কিছুর সাথেই তুলনীয় নয়....হউক না কোন যুক্তিযুক্ত অবগাহন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

বিজ্ঞান মানুষের জীবনপ্রবাহ সচল, দ্রুত ও সহজ করে দেয় কিন্তু এ থেকে যেসকল অমঙ্গল হয় তা দূরিকরণে মানবতাবাদী সংস্থাগুলোর আন্দোলন খুবই প্রয়জন। আর এটা তখন হবে যখন আমরা একে অপরের কাছে বিজ্ঞানের উপকারের সাথে অপকারের বিষয়গুলোও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরব। এভাবে যখন বিজ্ঞানের অপব্যবহার সম্পর্কে জনসাধারণ সচেতন হয়ে উঠবে তখনই সঙ্ঘ বদ্ধভাবে আন্দোলনে যাওয়া সম্ভব।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন তথ্যবহুল আলোচনার জন্য।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে বিজ্ঞানের প্রতি আপনার বিরাগ নিয়ে আমার দ্বিমত আছে। বিজ্ঞান খারাপ নয়, কতিপয় লোকের বিজ্ঞানের অপব্যবহারটা খারাপ।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন:
সভ্য মানুষের অসভ্যতা ! আমাদের এক প্রফেসর বলিয়াছিলেন, একমাত্র ইসলাম ব্যাতিত সকল সভ্যতাতেই সভ্য মানুষেরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে সভ্য হইলেও সম্পর্ক জ্ঞানে অসভ্য ! তাই বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক দেখা যায় , সন্তানের পিতৃত্ব নির্ধারণে ডিএনএর প্রয়োজন হয় ! অন্যের বীর্যে বা গর্ভে সন্তান উৎপাদনে আগ্রহ !
প্রমথ চৌধুরী বলিয়াছিলেন পাশ্চাত্যে যাহা পচিয়া শেষ হইয়া যায় উহাই আমরা মাথায় তুলিয়া লই ! আমাদের দেশের ছেলিব্রিটিরাও শুরু করিবে বোধহয় ! সবই তো অনুকরণ হইয়াছে ! ইহাও বাকি থাকিবে না বোধহয়!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার বক্তব্য আপনার কাছে স্পষ্ট নয় বলে মনে হচ্ছে।

১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাশ্চাত্যের সমাজে পারিবারিক বন্ধন নাই, এই কথাটা আপনাকে কে বলেছে?
নির্মিত ভুল ধারনা নিয়ে জীবন যাপন করা ঠিক না


সুদীর্ঘ নয় দিন পর কমেন্টের উত্তর দিলেন! যাক তবুও তো দিলেন!

পাশ্চাত্যের সমাজে পারিবারিক বন্ধন কতটুকু আছে বা আদৌ আছে কিনা তা আমাদেরকে মিডিয়াগুলো অহরহই বলে চলেছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মিডিয়া তো বুঝলাম। কোনো কোনো মিডিয়াম আপনি ফলো করেন, জানলে উপকৃত হতাম।

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় আলোচনা করেছেন।ঠিকই তো প্রভাব ও প্রতিপত্তিশালীরা অর্থের বিনিময়ে যেভাবে অহমিকার প্রকাশ করে সন্তান ক্রয় করতে দরিদ্র মায়েদের ব্যবহার করে সেখানে মানবিকতা যে বড় বিপন্ন তা বলতে হয়। গর্ভধারিণী মা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর যে শারীরিক সমস্যায় পড়ে ; এমনকি তার জীবন সংশয় এর মতো ঘটনাও ঘটে, সে দিকগুলি কিন্তু চিরকাল ঢাকা পড়ে যায় এরূপ মায়েদের পোস্ট ডেলিভারি সংক্রান্ত সমস্যা।
শাহরুখ খানের পঞ্চপুত্র সারোগেসি এ ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

শুভেচ্ছা রইল ।


১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

গরল বলেছেন: আরেকজনের বাচ্চা এডপ্ট করার চেয়ে এটা বেশী যুক্তিযুক্ত মনে হয় আমার কাছে। আর বাণিজ্য সবখানেই আছে, কোন বাবা মা যদি সন্তান লালন পালন করে এই ধারণা নিয়ে যে বুড়া বয়সে সেই সন্তান তাদের ভরণপোষন করবে তাহলে এটাও এক ধরণের বাণিজ্য। স্বার্থহীন সমাজ দুনিয়াতে আছে বলে আমার মনে হয় না, কম আর বেশী এই যা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মন্তব্যের ধন্যবাদ ! ভাল থাকুন সবসময়

১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন আপু,
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: বিজ্ঞান যত এগুচ্ছে মনুষ্যত্ব তত কমছে। না বিজ্ঞান যত এগুচ্ছে এই সব মানুষরা দিন দিন জানোয়ারের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। জংগলে যেমনে জানোয়ারদের বাচ্চা হলে বাবা কে মা কে ব্যাপার না, এদেরও একই ঘটনা। সামাজিক বা ধর্মীয় কোন দিক থেকেই এটা গ্রহনযোগ্য সমাধান হতে পারে না। এটা অনেকটাই সৃস্টিকর্তাকে চ্যালেন্জ করার মতো। তিনি যা ঠিক করে রেখেছেন সেটা আমরা মানি না। যতটুকু জানি, কোন মহিলার গর্ভে স্বামী ব্যাতিত অন্যের স্পার্ম নেয়া হারাম।

পাশ্চাত্যের সমাজে পারিবারিক বন্ধন কতটুকু আছে সেটা সবাই জানে। দিনের পর দিন যার তার সাথে ফুর্তি ফার্তা করে শেষ বয়সে এসে বাচ্চা নিতে চাইলেই হবে? সব কিছুর একটা প্রাকৃতিক নিয়ম আছে।

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রমথ চৌধুরী বলিয়াছিলেন পাশ্চাত্যে যাহা পচিয়া শেষ হইয়া যায় উহাই আমরা মাথায় তুলিয়া লই ! আমাদের দেশের ছেলিব্রিটিরাও শুরু করিবে বোধহয় ! সবই তো অনুকরণ হইয়াছে ! ইহাও বাকি থাকিবে না বোধহয়! এই সব নোংরামী এরা নিজেরা করে বেড়ায় আবার এইগুলি সভ্যতার নামে অন্য সমাজ গুলিকেও ট্যাবলেট বানিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে।

সব চেয়ে বড় কথা, যেই মহিলা এভাবে নিজের শরীর ভাড়া দিচ্ছেন, তারও তো জীবনের ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে। এটা বানিজ্য, সম্পূর্ণ ভাবে বানিজ্য। দরিদ্র মহিলাদের কে শারীরিক ভাবে শোষন করার নতুন একটা পন্থা। সুস্থ বিবেকবান কোন মানুষ এই জঘন্য প্রথা কে মেনে নিতে পারার কথা নয়।

ভালো একটা টপিক নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আল্লাহ সবাই কে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন নীল আকাশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.