নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘গুলতেকিনের সংসারে হুমায়ূন…’

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪



‘প্রেম আর অপ্রেমের মাঝখানে
হাঁ ও না-এর মাঝখানে অনেক কিছু থাকে।
প্রেমিক মাত্র জানে
প্রেম আর ঘৃণার মাঝখানে বহুকিছু থাকে।

বোধের সমুদ্রে ভাষা,
এক ফোঁটা অশ্রুর মত মিশে যায় মাঝে মাঝে।
এক লক্ষ সূর্যের আলোতে দেখা না দেয়া এমন অন্ধকার কিছু থাকে। ...

প্রেমিক মাত্র জানে
প্রেম আর অপ্রেমের মাঝখানে
বহু কিছু থাকে ...’

পাঠকের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয়, হুমায়ূন আহমেদের লেখা কোন বইটা আপনার সবথেকে প্রিয়? আমার মতো অধিকাংশ পাঠকই উত্তরহীনতায় ভুগবেন বলে আমার বিশ্বাস। তাঁর লেখা প্রায় ২০০টা বইয়ের মধ্যে কম করে হলেও অর্ধেক বই আমার প্রিয়’র তালিকাভুক্ত। একতৃতীয়াংশ ভীষণ প্রিয়। একদশমাংশ নিয়ে আমি নির্বাসনে যেতে চাইবো। সঙ্গ পেতে চাইলে লেখকের চেয়ে ভালো কোনো সঙ্গ হয় না। আর হুমায়ূন আহমেদের মতো কথার জাদুকর হলে তো কোনো কথাই নাই।

লেখক হুমায়ুনের আগে নাট্যকার হুমায়ূনের সাথে আমার প্রথম পরিচয়। ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের নিয়মিত দর্শক হিসেবে আমার পরিচয় শিশুদর্শক হয়ে। প্রাথমিকের গন্ডি তখনো পেরোনো হয়নি তবে ঠিকই ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে উঠেছিলাম। চরিত্রগুলোকে বোধহয় ভালোও বেসে ফেলেছিলাম। এখনো আমি মনে মনে মুনা চরিত্রটির জন্য শুভকামনা করি। বাকের ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা কিংবা আফসোস করি। মুনার ‘আমি তার কেউ না’ কথাটার মানে তখন না বুঝলেও এখন বোধহয় বুঝি! ‘কোথাও কেউ নেই’ এর পর একে একে নক্ষত্রের রাত, আজ রবিবার, সবুজ সাথী, উড়ে যায় বক পক্ষী প্রভৃতি নাটক তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

মধ্যবিত্ত সমাজের গল্প নিয়ে করা প্রথম চলচ্চিত্র ‘শঙখনীল কারাগার’ (১৯৯২) এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক দ্বিতীয় চলচ্চিত্র আগুনের পরশমনি (১৯৯৪) যখন মুক্তি পায় তখন এদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। পরিচয় ঘটে পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের সাথে। সাবলীল অভিনয়, সাধারণ সিনেমেটোগ্রাফি আর দুর্দান্ত সংলাপ উপভোগ করেছিলাম পরিবার পরিজন মিলে সিনেমা হলে বসে। নব্বই দশকের হালের নতুন মুখের রোমান্টিক ঘরানার চলচ্চিত্রের বাইরের এবং ভিন্নধারার এই দুটি চলচ্চিত্র জয় করে নেয় দর্শক হৃদয়। পায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই মাধ্যমেও হুমায়ূন আহমেদ রেখেছেন তার প্রতিভার স্বাক্ষর। নির্মাতা হুমায়ূন চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে গানও লিখেছিলেন।

লেখককে বাঁচিয়ে রাখেন পাঠক। আর পাঠক সত্ত্বাকেও ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন লেখকরা। ঢাকার বাইরে বড় হওয়া এই আমার জন্য জাগতিক সীমাবদ্ধতা যেমন ছিল তেমনি ছিল মানবীয় উদারতা। খুব বেশি গল্পের বই, পাঠক পাঠাগার তখন ছিলো না। ব্যক্তিগত সংগ্রহশালাটিকে তাই দ্বিধাহীন ভাবে পরিচিত গন্ডিতে ভাগাভাগি করে নিতে শিখেছিলাম আমরা। ঢাকার বাইরে কমবেশি সব বাসাতেই আপনি হুমায়ূনকে পাবেন। শোকেসে সাজানো হাতেগোনা কয়েকটা বইয়ের মধ্যে মুচকি মুচকি হাসছে তার দুএকটি করে বই। তাই গল্পের জাদুকরকে খুঁজে আনতে হয়নি, লেখার জাদুর বলেই লেখক হুমায়ূনের সাথে পরিচয় হয় আমাদের। সেই পরিচয়ের কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য নেই বলে আলাদা করে দিন তারিখের বালাই নেই। হাতে কাছে পেয়ে যেতাম বলে পড়া শুরু করেছিলাম। অতঃপর বই মেলা থেকে কিনে এবং বান্ধবীদের কাছ থেকে ধার করে পড়া। প্রথম মুগ্ধতা না পড়েই, ৯৪ সালের দিকে আমার বড়বোন তার বইয়ের ভাঁজে তিথির নীল তোয়ালে নিয়ে পড়ছিল। নামটা কি সুন্দর! খুব পছন্দ হয়েছিল। তিথির নীল তোয়ালে কিংবা তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে। তখনও সেসব বই বড় হয়ে পড়তে পারার দূরত্ব নিয়ে বসবাস আমার।

৮০ কিংবা ৯০ দশকে যারা নতুন পাঠক কিংবা সাহিত্যের জগতে পথ চলতে শুরু করেছেন তাদের অনেকেরই প্রথমদিককার পড়া বইয়ের তালিকায় থাকেন হুমায়ূন। লেখার ভাষা, পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা, হিউমার, আবেগঘন অনুভুতির প্রকাশ, খুব টাচি সংলাপ, মানুষের অন্তর্গত সৌন্দর্যের সন্ধান, জটিলতা মুক্ত সাধারণ চরিত্রের সহজবোধ্য উপস্থাপন পাঠককে দেয়া পড়ার আনন্দ। হুমায়ূনের বইয়ের প্রথম প্যারাগ্রাফটা আপনাকে স্বাগত জানাবে একটা গল্প পাঠে। সংলাপ নির্ভর গল্পে পরিমিত বর্ণনা আর চরিত্র চিত্রণে বাংলা সাহিত্যে তিনি অদ্বিতীয়। সহজবোধ্য জীবনযাপন এবং পরিচিত আবহ উপস্থাপন। চরিত্রগুলো আন্তরিক এবং সরল। বাঙালী চরিত্রে অবচেতনভাবে থাকা রোমান্টিসিজম এবং বাউন্ডুলে হতে চাওয়ার ইচ্ছা ভালো মতো ধরতে পারা এবং তা লেখায় তুলে আনা। ছিল বহুমুখী প্রতিভার ইমেজ।

দ্বন্দ্বকে পাশ কাটিয়ে তিনি লিখে গেছেন নিরন্তর। রাজনীতি কিংবা অর্থনীতি থেকে যোজন দূরের হুমায়ূনের বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতাও লক্ষ্যনীয়। চরিত্রগুলো অন্ধকার দিক কখনোই উঠে আসেনি তার লেখায়। খেয়ালী লেখকের সৃষ্ট চরিত্রগুলোর বেশিরভাগই খেয়ালী।অতিপ্রাকৃ্ত বিষয়গুলোকেও তুলে এনেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে এই নন্দিত লেখক ঠিকই পাঠকের মনের রসায়নে রেখেছেন স্থায়ী দাগ। তার অনবদ্য সৃষ্টি হিমু, শুভ্র আর মিসির আলী চির অম্লান। যদিও তিনি লেখক হিসেবে নারী চরিত্রদেরকে কেবল অনুসঙ্গ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এবং খুব বেশি নারীচরিত্রকে কেন্দ্রিয় চরিত্র হিসেবেও পাওয়া যায় নি।

সমাজ পরিবর্তন নয় বরং দিনের পর দিন মধ্যবিত্ত পারিবারিক জীবনের গল্প বলে পাঠককে মুগ্ধ করে রাখা হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কের সংলাপ লিখে গেছেন, সম্পর্কের গভীরতা সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট করে লিখে যান নাই। সম্পর্কের অমিমাংসীত দুঃখবোধ নিয়ে লিখেছেন, সুখ খোঁজার রাস্তার সন্ধান দেননি। উপেক্ষা সহ্য করে অপেক্ষা করার অপরিসীম সাহস দিয়েছেন, নির্দিষ্ট করে সময়ের কোনো সীমারেখা টেনে দেননি। কিছু উপন্যাসে ডিটেইলস নেই এবং তার নির্মিত খুব বেশি চরিত্র ডিপ রুটেড না।

একটা গবেষণার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে পুরনো ম্যাগাজিন ঘাটতে গিয়ে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকাটির একটা প্রছদে আটকে গেলাম। ‘গুলতেকিনের সংসারে হুমায়ূন’। খানিকটা সময় হাতে নিয়ে গোগ্রাসে পড়ে ফেললাম সাক্ষাৎকারটি।

গুলতেকিন খান আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী। যাকে পাঠক চিনতেন গুলতেকিন আহমেদ নামে। গুলতেকিন সেই ব্যাক্তি যিনি প্রেমিকা, বন্ধু এবং স্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদকে। একজন খ্যাতিমান ব্যক্তির জীবনসঙ্গী হওয়ার আনন্দ ও বেদনাও তাকেই অনুভব করতে হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিড়ম্বনাও।

গুলতেকিন ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের লেখার প্রথম পাঠক, নির্ভার আশ্রয়, সবথেকে বড় অনুপ্রেরণ এবং একনিষ্ঠ সমালোচক। খেয়ালী ব্যস্ততা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সৃষ্টিতে মগ্ন। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, চলচ্চিত্র, গান রচনা সবখানেই রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। গুলতেকিন একসময় লিখতেন। পরে বিয়ে, সংসার, বাচ্চা সামলে লেখালিখি থেকে দূরে থাকেন।

নিয়মিত এবং সংক্ষিপ্ত কলেবরের উপন্যাস/গল্প লিখে যাওয়া হুমায়ূন আহমেদকে কখনো দীর্ঘ বিরতিতে যেতে দেখা যায়নি। এক বা দুই রাতের মধ্যে একটা উপন্যাস লিখে শেষ করতেন। আশেপাশেই থাকতেন গুলতেকিন। কখনো একটি একটি পাতা লেখা শেষ হতো আর পড়ে দেখতেন তিনি। কখনো গোটা পান্ডুলিপিটা স্যার রেখে দিতেন ডাইনিং টেবিলের উপর। যেখন সকালবেলাতেই গুলতেকিন সেটা পড়তে পারেন। পরে এই পান্ডুলিপি পড়ার দায়িত্ব নেন মেঝ মেয়ে শীলা।

সমালোচনা সহ্য করতে পারতেন না লেখক। প্রথমে রেগে যেতেন এবং তর্ক জুড়ে দিতেন পরে গুম হয়ে বসে থাকতেন। কিছুক্ষণ পরে লেখা নিজেই চেঞ্জ করতেন লেখক বা হয়তো দশ/বারো পৃষ্ঠার লেখা ছিঁড়েই ফেলতেন। তাই গুলতেকিন মন্তব্য করতেন বুঝেশুনে। মাঝে মধ্যে পরিকল্পনার বাইরে বেরিয়ে উপন্যাস শেষ করতেন হুমায়ূন আহমেদ। লিখতে লিখতেই নাকি শেষটা অন্যরকম হয়ে যেত। ‘হুমায়ূন বলতেন কেউ একজন তাকে দিয়ে এভাবে উপন্যাস শেষ করিয়ে নেয়’।

পাঠকের আক্ষেপ দিয়ে লেখাটার ইতি টানছি। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা, বন্ধু এবং স্ত্রী (সাবেক) গুলতেকিন খানকে বলেছিল তাঁর (হুমায়ূনের) জীবনী লিখতে। বলেছিলেন, ‘তুমি তো আমাকে খুব কাছ থেকে জানো। কাজেই আমার সম্পর্কে আমার ভাল, মন্দ সবকিছু তুমিই সবচেয়ে ভালভাবে লিখতে পারবে’।

বিচিত্রা: হুমায়ূন আহমেদের পাঠকদের জন্য খুব ইন্টারেস্টিং হবে সেটা?
গুলতেকিন: হ্যাঁ হবে। পড়াশোনা শেষ হোক আগে আমার। তারপর লিখবো হয়তো। এখনো তো অনেক সময় বাকী আছে’।

মানুষগুলো হারিয়ে যায় কিংবা লুকিয়া যায়, কিন্তু চাওয়াগুলো তো আর হারায় না। আমরা কি তেমন একটা অকপট লেখনীর মধ্য দিয়ে স্যারের জীবনীটা পেতে পারি একবার?

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি খুব ভাল হয়েছে।
আমি প্রথম হুমায়ূন স্যারের বই পড়েছি,তোমাদের এই শহরে।ইচ্ছে আছে তিনার সব কটি বই পড়ার।
আপনি অনেক দিন পরে ব্লগে লিখলেন মনে হয়?সময় করে মাঝে মাঝে আসবেন,লেখা পোষ্ট করবেন।আপনার মত ব্লগারদের ব্লগে খুবই প্রয়োজন।
ভিষন ভাল থাকুন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল। সবকিছু খানিকটা গুছিয়ে আবার নিয়মিত হতে পারবো আশা করছি।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

করুণাধারা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটি- ঝরঝরে ভাষায়, একটানে পড়ে যাবার মতো লেখা।

হুমায়ূন আহমেদের সাথে অবশ্য আমার পরিচয় শঙ্খনীল কারাগার আর নন্দিত নরকে দিয়ে। দুটোই নন্দিত নাটক হয়েছিল। এরপর বিটিভিতে ধারাবাহিক নাটক এইসব দিনরাত্রি। মূলত এই নাটকটি দিয়েই হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পরিচিতি সুলেখক হিসাবে। তারপর তিনি হয়ে গেলেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সৃষ্টিকারী লেখক!!! শেষের দিকে তার লেখা পড়তে অবশ‍্য বড় একঘেয়ে লাগতো।

লেখার শুরুতে যে কবিতা দিয়েছেন, সেটাও খুব ভালো। আপনার নিজের লেখা?

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ!!!
না আপু আমার নয়। আমি কবিতা লিখতে গেলে তা হয়ে যায় 'অকবিতা'!

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হুমায়ুন আহমদের জীবনে ও লেখায় গুলতেকিনের নীরব উপস্থিতি জানতে পারলাম। ভাল লাগলো।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কেউ কেউ থেকে যায়, না থাকার অধিক!

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। আমাদের ছোট বেলার বিশাল আনন্দ বিনোদন শুরু হয়েছিল হুমায়ুন আহমেদের নাটক দিয়ে। এরপর আর থেমে থাকা হয়নি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ৪০বছর ধরে বাংলা সাহিত্যকে দুহাত ভরে দিয়ে গেছেন!

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই লেখাটা আমার মোটেও ভালো লাগেনি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন :)

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: আপনার আশা পূর্ণ হউক এই কামনা।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেখা যাক!

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কোথাও কে উ নেই আমার প্রিয় নাটক। বাকের ভাইকে বাচাতে ঢাকা শহরে মিছিল হয়ে ছিল। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ তাকে ফাসিতে লটকিয়ে ছিল। নূর , ফরীদি, সূবর্ণা দারুন অভিনয় করেছিলেন।হুমায়ূন আহমেদ ট্রাজেডি সৃষ্টি করেছেন করেছেন কমেডি । স্যারের লেখা মানেই এক রাতে পড়ে শেষ । সেটা যত বড়ই হোক। নাহলে ঘুম হতো না।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নক্ষত্রের রাত আমার সব থেকে প্রিয়!

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

ফেনা বলেছেন: পুরা লেখাটাই অসধারণ হয়েছে। বিশেষ করে প্রথমে কবিতাটা।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনার মৃত্যুর পরও গুলতেকিন আহমেদ নিজেকে আড়ালেই রাখলেন!
মিডিয়া কাভারেজে শাওন যতটা উন্মুখী, গুলতেকিন ততটাই অন্তর্মূখি!
অনেক কিছূই জানার আছে যদি তিনি জানান।

+

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অভিমান কি আর গজফিতা দিয়ে মাপা যায়?

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

মহসিন ৩১ বলেছেন: লেখক তিনটি প্রধান বিষয় নিয়ে প্রাথমিক ভাবে লেখা সুরু করতে পারেন । সেটা প্রথমত মানুষের কৌতূহল নিয়ে লেখা; অর্থাৎ মানুষ সবসময়েই আজানা কোন বিষয়ে হুমড়ি খেয়ে পরতে থাকে তা হোক না সেটা কোন যুদ্ধের খবর বা ওই সংক্রান্ত কোন লিখা। দ্বিতীয়ত সমাজের চাহিদা গুলোকে জনসম্মুখে আলোকপাত করে লেখা বিসয়বস্তু --, শরৎচন্দ্রের স্টাইল ছিল এটা। আর অন্যতা হল ভাববাদী লেখা বা কথাসাহিত্য, খুব জনপ্রিয় প্রকাশ মাধ্যম। এই লেখকদের নাম লিখেও শেষ হবে না। কিন্তু অনেক লেখক ই আছেন যারা মানুষকে ভুল বুঝতে গিয়ে তাদের সাহিত্যে কাহিনী নির্ভর সমগ্র পরিবেশনায় মন দেন। কাহিনী নির্ভরতা লেখার জটিলতা কমায় সেটা ঠিক, কিন্তু মানুষকে ভুল বুঝতে গিয়ে জন্ম হয় যে কাহিনী সুত্র, সেখানে protaginist-এর নাম ধাম উপজীব্য নির্ভরতা আর যেটা পরিবেশিত হচ্ছে তাতে করে কিন্তু পাঠকের মানসিকতা উন্নয়নে সেটা তেমন কোন ভুমিকা রাখতেই অক্ষম। আর এ প্রবনতা অনেকটা অন্ধ প্রবনতায় হারিয়ে যেতে পারে পর্যাপ্ত তথ্যের ঘাটতি থাকেলে এবং উপাত্তের খুবই দুভিক্ষ হয়ে গেলে। অনেক পাঠকই লেখকের শক্তিশালী লেখনীতে প্রতারিত বোধ করতে পারেন পরবর্তীতে। কারন আধুনিক মানুষ সব সময়েই তথ্য-উপাত্তের দুর্ভিক্ষ মানতে পারবেন না। সময় নস্টের কথা তো আর নাই বা বললাম। এজন্য আমার মনে হয় গল্প উপন্যাসের মধ্যে সমাজের প্রবনতাকে টার্গেট করা মুক্তবুদ্ধি চর্চা নয়। মানুশ মনে মনে একা --তাই এই একাকিত্ম তখনি সহি মত হবে যখন বুদ্ধিবৃত্তি কে ও সাপোর্ট করতে পারবে তখন। তা না হলে একাকিত্তের ধারনায় এসব চিন্তার প্রভাব কিন্ত মাত্রাতিরিক্ত মনে হতে পারে।

সবশেষে বলতে গেলে লেখালেখি হচ্ছে একটি আবেগ সেটা যে কোন কারনেই যে কারু মনেই লেখার আগ্রহ তৈরিতে হতে পারে। তাই শুরুতেই আবেগের কারনটাকেই যাচাই করে দেখা দরকার লেখালেখির প্রারম্ভে, তাহলে ওই লেখার পাঠকের মনে আর প্রতারনা বোধ জাগ্রত হতে পারবে না। আবেগটা পাঠক ছুড়ে ফেলতে পারে তা মন মত না হলে , এটাই তো স্বাধীন সাহিত্যচর্চা। ----লেখালেখি একটি আবেগ এবং সে কারনে প্রয়োজন, অন্যথায় প্রয়োজন মনে করলে তা মান হারাতে বাধ্য।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেক কঠিন কঠিন কথা বলেছেন ভাই। মাথার অনেক উপর দিয়ে সাই করে চলে গেল!

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাতু০১ বলেছেন: আমার বুকের ’পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই!-
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে! জীবনানন্দ দাশ

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আহ জীবনানন্দ দাশ! (একজন কমলালেবু)

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


গুলতেকিন হয়তো এখনো রেগেই আছেন, লিখলে ভালো কিছু বের হবে না।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জোছনার কারিগর নামজারি করে অনেক আগেই একলা হয়ে গেছেন। আর রাগ রেখে কী হবে?

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

কাইকর বলেছেন: কেমন যেন !!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সত্যি তো, কেমন যেন!

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক হুমায়ুন আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পড়বো সময় করে

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে যে কয়টি লেখা আজকে প্রকাশিত হয়েছে, তারমধ্যে আপনার লেখাটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া!!!!!!!!!!!!

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হুমায়ূনের তুলনা নেই। আমি তার পাঠক প্রথম থেকে, খুব ছোট বেলা থেকে।

তবে একেবারে শেষের দিককার বইগুলোতে নূতনত্ব কম থাকতো।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক, আপনার সাথে একমত পোষণ করছি।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৭

মহসিন ৩১ বলেছেন: "আবেগটা পাঠক ছুড়ে ফেলতে পারে তা মন মত না হলে , এটাই তো স্বাধীন সাহিত্যচর্চা। ----লেখালেখি একটি আবেগ এবং সে কারনে প্রয়োজন, অন্যথায় প্রয়োজন মনে করলে তা মান হারাতে বাধ্য।আবেগটা পাঠক ছুড়ে ফেলতে পারে তা মন মত না হলে , এটাই তো স্বাধীন সাহিত্যচর্চা। ----লেখালেখি একটি আবেগ এবং সে কারনে প্রয়োজন, অন্যথায় প্রয়োজন মনে করলে তা মান হারাতে বাধ্য।"--- আমি ঘোরানো প্যাঁচানো লেখাকে বুদ্ধিবৃত্তিক মানের মনে কড়ি না যদি না তাতে লেখকের আবেগ এমনভাবে পরিমিত হয়ে থাকবে, যেটাকে মানসিক পিড়ন বলা যায় না এবং ইচ্ছা করলেই সে আবেগ তাকে প্রত্যাখ্যানও করা যায়।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার লেখায় গুলতেকিনের উপস্থিতি
অসাধারন করে তুলেছেন।
হুমায়ুন আহমেদ কথাসাহিত্যিক নাট্যকার
সিনেমা পরিচালক তার লেখার জগত
চিরকাল অনবদ্য। কিন্তু তার ব্যক্তি জীবন
প্রিয়তমা স্ত্রী সন্তান থেকে আলাদা থাকা
তাকে টেনে হিচড়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে
নিয়ে গেছে। আর এটাই সত্য তিনি
কোনও সন্তানকে নিজে হাতে গড়ে রেখে
যেতে পারেন নাই।
এই বাংলার মাটিতে মাগো আবার জম্ম
আমায় দিও। অনেক ধন্যবাদ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ স্যার জীবন সায়াহ্নে এসে কখনো কখনো কী গুলতেকিন ম্যাডামকে খোঁজেন নাই? অবশ্যই খুঁজেছেন বলে আমার বিশ্বাস। যেমনটা তার গল্পের প্রবীণ চরিত্র'রা ডাকতো ...

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৬

অক্পটে বলেছেন: প্রিয় লেখকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী, যেখানেই থাকুন যেন থাকেন পরম শান্তিতে। আজকের দিনটিতে অনেকেই লিখেছেন স্যারকে নিয়ে তবে আপনার লেখাটা সবাইকে ছাপিয়ে অন্যরকম হয়েছে। খুব ভাল লিখেছেন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ অকপট, ভালো থাকবেন।

২০| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৪২

সোহানী বলেছেন: শেষের কিছু বই ছাড়া পুরো হুমায়ুন পড়েই বড় হয়েছি। দেখেছি গুলতেকিনের সাথে কি আবেগময় সংসার। তাঁর প্রতিটি বই জুড়ে থাকতো। তাই শাওনের সম্পর্ক আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারতাম না। কি যে কস্ট হতো গুলতেকিন বা শীলার জন্য। .............

ভালো লাগলো আপনার ভাবনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী আপু। শেষের দিকের কিছু বই পড়তে গেলে আর শেষ করতে পারতাম না। সেখানে স্যারকে খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যেত না।

২১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পাঠকের হৃদয় জয় করা তার কাজ ছিল। অসামান্য প্রতিভা। এটা সবার হয় না।
তবে গুলতেকিন জীবনে বঞ্চিত হয়েছেন। তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হবে হয়তো!

২২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লেখা ব্লগের অনেকগুলা লেখাই পড়লাম।আপনার লেখাটা কিভাবে যেন পিছলে গেছিলো।এখন পড়লাম।নতুন করে বলার কিছু নেই।পোস্টে +++

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কল্পদ্রুম!!

২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:১৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখার থেকে ছবিটা অসম্ভব ভাল লেগেছে। অবশ্য যা লেখা হয়েছে তাও পাঠকদের মন জয় করার মতই।
ছবিটা আপনার তোলা কি? না তোলা হলেও আপনি যে পছন্দ করে বিষয়ের সাথে মিল রেখে বাছাই করে দিতে পেরেছেন এতেই অভিভূত।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
ছবিটা ইন্টারনেট থেকে নেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.