নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
'তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো! আর
আমি সারা পাড়ার রাত এক সাথে জড়ো করে
তোমার অভাব শোনাচ্ছি
যাওয়ার আগে যদি এই অভাবটুকু তুমি নিয়ে যেতে।'
জীবনে এমন কিছু কথা থাকে, যা মানুষকে অনেক ভাবায়... এত ভাবায় যে; ঐ কথা ভাবতে ভাবতে সুখ আর দুঃখের পার্থক্যটা মানুষ ভুলে যায়... । মাঝেমধ্যে অনুল্লেখযোগ্য কারণেও মানুষের জীবনে হয়তো বড় কিছু পরিবর্তন চলে আসে। এই যেমন, আমি ভালোবাসতে ভুলে গিয়েছি। তোমার কারনেই ভালোবাসতে শেখা শুরু করেছিলাম। তুমি চলে যাওরা পর আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি! তোমার অনুপস্থিতি আর শূন্যতায়, থমকে গিয়েছে আমার ভালোবাসার অভ্যাস।
কাঁচাবাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লো, আমাদের সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ল, আর বাড়ল মানুষ চেনার অভিজ্ঞতা। আজকাল রেখাহীন একটি স্লেটের মতো ভাষাহীন দৃষ্টি দিয়ে চারপাশটা দেখি, তারপর ডুবে যাই আড়াল নিয়ে, আধার নিয়ে, গোপনীয়তা নিয়ে আসা রা্তের কাছে; যেখানে মূক, গভীর, অজ্ঞাত, প্রতিকারহীন দুঃখ লুকিয়ে রেখেছি, যা ভেতরে ভেতরে আমাকে ক্ষয় করে দিচ্ছে। বঞ্চনা জীবনকে অনেক কিছু শেখায়। যদিও পিছুটান বিজ্ঞপ্তিতে আমার নাম থাকার কথা ছিল না, তবুও আমার নাম রয়ে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত, অবাঞ্চিতদের দলে; যেখানে আমি বিরাজমান নই। ‘নিজেরই শোক সভায় ফুল হাতে সে হাজির, কে চলে গেল তবে, কে? আমার বর্তমান এখন এই লাইনটার মতো।
চারপাশের মুখস্ত মুখের ভীড়ে এখন আমি মানুষ খুঁজি। প্রতিটি ছবির ভেতরে খুঁজে পাই অগুনতি ছায়াছবি। গল্পের ভেতরে মস্ত মহাকাব্য। খুব ভালভাবে লক্ষ্য করলে মানুষ আজ একেকটি নির্জন দ্বীপ। প্রতিটি মানুষ আজ একাকিত্বের কারাগারে বন্দি। আপাত সহজতার মধ্যে চারপাশ জুড়ে কি কঠিন নির্মমতা! আজকাল শব্দ সংকটে ভুগি বলে এই লেখার শরীর থেকে আড়ষ্টতার চিহ্ন মুছে দেয়া সম্ভব হলো না। দিনে দিনে আমি আরো বেশি বিষন্ন-বিক্ষিপ্ত-বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। জীবন আসলে একটা অর্থহীন ইঁদুরদৌড়। আর সেই দৌড়ে সামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। দিনে দিনে নৈর্ব্যক্তিক হয়ে যাচ্ছি। আমার মধ্যে এত অভাব কৌতুহলের, রাগ কিংবা ক্ষোভের? যতটা না অভাব, অনিচ্ছা তার চেয়েও বেশি।
একে অন্যের কাছ থেকে আমরা বিদায় নিয়েছিলাম আন্তরিক হৃদ্যতায় নয়, মৌখিক ভদ্রতায়। তারপর থেকে অনুভুতিটা এমন, পৃথিবীটা হঠাৎ হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার মতোন। দূরত্ব আমাদের গভীর মানসিক উপলব্ধি আর গভীরতা দিয়ে গেছে, আর দুরত্বের ভাষা দিয়ে আমরা একে অন্যেকে পড়ে নিয়েছি। তাই হয়তো মাঝেমধ্যে সহজ হওয়ার জন্য কথার আড়াল খুঁজে নিতে হয়। আমার পৃথিবী ভাগাভাগির প্রয়োজন কম, তাই জীবনকে দুহাতে খরচ না করে বরং দুহাতে শক্তকরে আগলে রাখছি। মাঝে মাঝে নিজেকে নিজেই গভীরভাবে জড়িয়ে ধরি। ব্যথা পুরনো হয়ে গেলে আমরা যে যার মতো বাঁচতে শিখে যাই। নতুন করে জীবন শুরু করি, একই কথা যথাযথ আবেগ মাখিয়ে অন্য কাউকে বলে চলি, আঙুলে আঙুল রাখি। এতো বেদনার অবসান নয় বেদনার অভ্যাস।
বিদায়টা আসলে অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। আর যা কিছু অনিবার্য, যা রোধ করা যাবে না, তা আগলে রেখে কী লাভ? সম্পর্ক থেকে সরে যাওয়া মানেই তো মাঝখানে ছুরি চালানো। তা কি করে অনুতাপহীন হয়! প্রচন্ড মাথাধরা নিয়ে একটা এস্পিরিন খেয়ে লাইট অফ করে শুয়ে পড়লাম। আর মাথার ভিতর চলছিল, সব সত্য সুন্দর না, আবার সব সুন্দরও সত্য না। কেবল হারিয়ে ফেলার ভয়ে আমরা এমন মানুষদেরকে বার বার ক্ষমা করতে থাকি, যারা আসলে ক্ষমার অযোগ্য।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৫১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর আবেগ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর, ভাল থাকবেন।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:০১
নাহিদ০৯ বলেছেন: কেবল হারিয়ে ফেলার ভয়ে যারা বার বার ক্ষমা করতে থাকি, তাদের পরিনতি কি?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সারাজীবন একটু একটু করে কাঁদার চেয়ে একবারে খানিকটা বেশিকরে কেঁদে নেয়া ভালো না?
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আমি
দুঃখগুলো
টাকার মতো
গুনে দেখতে চাই
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ক্যাশ কাউন্টারে জমা করে দিন তাহলে আর কষ্ট করে গুনতে হবে না...
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:১৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: শেষ কথাটা একদম সত্যি। এই যে হারিয়ে ফেলার ভয়, এ ভয়ে আঁকড়ে থাকা এটাই ভালোবাসা। এটাই শুধু মানুষ বোঝেনা।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বোঝে বোঝে, না বোঝার ভান করে
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৩
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: নিজের দুঃখ অন্য কোথাও জমা দেওয়া যাবে না । জীবনে তাহলে আপন বলতে কিছুই থাকবে না ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নিজস্ব দুঃখ, সে তো অমূল্য!
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
আশরাফ আনন্দ বলেছেন: পড়লাম। মনে হলো নিজের জীবনটাকে একনজরে দেখ নিলাম। এ কথাগুলো, এই ভাবনাগুলো সদা-সর্বদাই নিজের মনে-মাথায় চেতনায়-অবচেতনে আওড়াই। বলা আর হয়ে ওঠ না। আপনি নিপুণ হাতে খোদাই করে রেখেছেন। ধন্যবাদ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২০
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: অস্বস্তিদায়ক পিক। ছেলে ও মেয়েকে আদালা করে অবিস্কার করতে অস্বস্তিবোধটা হচ্ছে। ঘুমিয়ে পড়বো। অল্প একটু পড়লাম। ভাল লিখেছেন।