নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
'ভাল্লাগেনা' বলতেও আজকাল আর ভাল্লাগেনা। গত ৪০দিন ধরে আমি নানাভঙ্গীতে সেলফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকি। ভাবছিলাম ব্যবহার করতে করতে আমি সেলফোনসেটটা নষ্ট করে ফেলছি, বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, সেলফোনটাই বরং আমাকে নষ্ট করছে। দিন দিন আমি বখে যাচ্ছি! তো অস্থিরতা কমাতে আমি এখন মন-প্রাণ ঢেলে রাঁধছি। সপ্তাহখানিক আগে ইলিশপোলাও রাধছি, জীবনে প্রথমবার বলে অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিলাম, রান্নাঘরের জানালার ঠিক পেছনের ফ্ল্যাট থেকে বেসুরে ভুল লিরিকে একছেলে মনের আনন্দে টেবিল চাপরে চাপরে সঙ্গীত চর্চা করেই যাচ্ছে, করেই যাচ্ছে। কাহাতক সহ্য করা যায় বলুন। গলার জোর একটু বাড়িয়ে ডাকলাম এইযে পাশের বাসা- এইযে পাশের বাসা… আপনার সঙ্গীত চর্চা বন্ধ করবেন প্লিজ!
আমার ফ্ল্যাটের ঠিক উল্টোদিকের বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় যে দম্পতি বাস করেন তাদের এক কন্যাসন্তান আছে। বয়স বছর দেড়েক হবে। পরপর সামঞ্জস্য রেখে দুই তিনটা শব্দ বলতে পারে। চারবছর আগে কোনো এক বসন্ত সন্ধ্যায় এই দম্পতিকে আমি প্রথম নোটিশ করি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। মেয়েটা ভাত তরকারির ছোট ছোট হাড়ি-পাতিল এনে মেঝেতে রাখলেন। ছেলেটা মেঝেতে বসেই টিভি দেখছিলেন। এবার ছেলেটা প্লেটে ভাত-তরকারি মেখে নিজে খাচ্ছিলেন আবার মেয়েটাকেও খায়িয়ে দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে আমাকে বারান্দায় দাঁড়ানো দেখে মেয়েটা খানিকটা আড়াল হয়ে বসলো। কনক্রিটের এই শহরে, ভ্যাবসা গরমে এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা কম সৌভাগ্যের কথা নয় তো নয়! মাস দুয়েক বাদে একদিন সকাল নয়টার দিকে বাসাটা থেকে চিল চিৎকারে মুখস্ত ঝগড়া। কী পেলাম, আমি বলে সংসার করছি ধরনের। তারও কয়েকমাস বাদে একদিন লক্ষ্য করলাম মেয়েটি সন্তানসম্ভবা। মাশ আল্লাহ তাদের কোল আলো করে গুটগুটির আগমন। বাসাটার দূরত্ব আমার থেকে ৮০ফিট হবে। আমি বারান্দা থেকে গুটগুটির ঘোরাফেরা দেখি। খাট থেকে নামা-ওঠা দেখি। গুটগুট করে সারা ঘরের দুস্টামি খানিকটা চোখে বাকিটা কল্পনায় দেখি। গতকাল বিকেলে মেয়েটা মূখ ধুয়ে বারান্দায় মেলে রাখা তাওয়ালে এসে মুছলো, পেছনে পেছনে বুড়িটা এসে দুপায়ের বুড়ো আঙুলে ভর দিয়ে সেও তাওয়ালটার কোনা ধরার চেষ্টা করলো। তারপর মা-বাবা-কন্যা তিনজন মিলে ছাদে হেটে বেড়ালো। ওর মা গুটগুটিকে কোনো প্রশ্ন করলে সে প্রথমে শ্বাস নেয়, তারপর সারা মুখে হাসি ছড়িয়ে উত্তর দেয়। ওর সাদা ফ্রক, গোলাপি জুতো, মাথার ব্যান্ড, জনসন বেবি পাওডারের গন্ধ আমার ভালোবাসায় বাধা পড়ে। ওর ছুটে চলার পায়ে পায়ে ওকে আমি ভালোবেসে ফেলি। আমার গুটগুটি বেগমকে!
ছোট ভাইটা আর মোটেও ছোট নাই, একটা ফাইনান্সিং প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন। আমাকে হঠাৎ করে প্রশ্ন করলো, বলো তো মেয়েরা কয় রকম হয়। আমি তলস্টয়ের ‘শ্রেষ্ঠ গল্প’ বইয়ের পাতা থেকে চোখ তুলে বিরক্ত হয়ে বললাম এটা আবার কেমন প্রশ্ন হলো! জানি তুমি জানো না, জানো না দেখেই রাগ দেখাচ্ছো। যেসব প্রশ্নের উত্তর তুমি জানো না সেগুলো একটু জানার চেষ্টা করো সিস্টার ভবিষ্যতে কাজে দিবে। এরপর কুটিল হাসি দিয়ে বললো, আধুনিক মেয়েরা তিন রকম হয়, HMC- High maintenance Cost, MMC- Moderate maintenance Cost, LMC- Low maintenance Cost. বিশ্ব অর্থনীতির বিরাট অংশ মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগে থাকে বুঝলা। যদিও তার ব্যাখ্যা পছন্দ হয়েছে তবু তাচ্ছিল্যের সাথে তাকে এইসব বাকোয়াস বাত বন্ধ করার আদেশ জারি করলাম। সম্প্রতি জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের মেদহীন পেট দেখে যুব সমজের চোখে ডার্ক সার্কেল পড়ে যাচ্ছে। বাদশার উইকেট লাভ কিংবা গিটার বাজানোর ভঙ্গী তাদের বুকে প্রচ্ছন্ন ব্যথা জাগাচ্ছে। কি আর করার জ্যাকুলিন এর মেন্টেনেন্স কস্টটা যে হাই সেটা বলাই বাহুল্য। বলা যায় উপমহাদেশ এখন লাল গ্যান্দা ফুলের জ্বরে ভুগছে। মাঝে মাঝে ভাবি কি দুর্ভাগা আপনারা জ্যাকুলিনকে দেখে আফসোস করতে করতে ঘুমাতে যান চিরচেনা বৌয়ের সাথে! ঘুম থেকে ওঠেন বৌয়ের ক্যাচর-ম্যাচর শুনতে শুনতে। শুনলাম নোরা ফাতেহি প্রেমে পড়েছেন ঋতিকের। নোরার গারমি গানটা কয়েকশ বার শুনলেন আপনি, আর সেই মেয়ে প্রেমে পড়ে ঋতিকের! না রে ভাই দুঃখ পাইয়েন না, ঋতিক তো এখন একা। ভেবে দেখেন, ঋতিকের মতো হ্যান্ডসাম-এট্রাকটিভ মানুষের (ভাগ্যবানের) বৌও তাকে ছেড়ে চলে যায়… আর বাকিটা? উপর ওয়ালাকা মর্জি!
আমি তখন রোকেয়া হলে থাকি। আমার তিন রুম পরে থাকতো উমা। চারুকলায় পড়তো সম্ভবত ক্রাফটিং ডিপার্টমেন্টে। অসম্ভব লক্ষ্মী, নির্ভার একজন মানুষ। হলের মধ্যে ওকে আমি কমবেশি সবার সাথে মিশতে দেখতাম, তবে কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখিনি। বাগেরহাটের মেয়ে, সম্ভবত রামপালের একটা গ্রামের স্কুল শিক্ষক ছিলেন উমার বাবা-মা। তিন বোনের মধ্যে উমা তৃতীয়। উমার সবকিছুই উপমার মতো সুন্দর। আমিই নিজে থেকে গিয়ে গিয়ে ওর সাথে গল্প করতাম। এমন জটিলতাহীন ভালো মানুষের কাছে যাওয়ার কোনো কারণ লাগতো না। যখনই যেতাম উমা সবসময় ওয়েলকামিং মুডে থাকতো। ওর গল্প শুনে মনে হতো ও যেন জানতোই যে আমি যাব। সে কারণে গল্পের বিষয় নির্বাচন করে রেখেছে। উমার প্রত্যেকটা ব্যবহার্য্য ছিল আনকমন। বললাম, বাহ কফিমগটা তো বেশ সুন্দর! উমা তার জলপাই রংয়ের মগটা হঠাৎ কিভাবে চোখে পড়লো সেই গল্পটা বলতো । গম্পকারের জাদুতে মগটার প্রতি আমারও ভালোলাগা জন্ম নিত! একবার এমন হলো, উমা দিনরাত শুধু পড়ে আর পড়ে। কী পড়ে? হস্তরেখা বিষয়ক রাজ্যের বই উমার চারপাশ জুড়ে। একদিন হুট করে আমাকে বললো দাও তো তোমার হাতটা দেখে দিই। দিলাম হাত, টেবিলল্যাম্পের আলোতে হাতটাকে চোখের সামনে মেলে ধরলে সেখানে হৃদয়, বুদ্ধি, আয়ু, প্রেম প্রভৃতির রেখা খটখট করে। উমা তখন পর্যন্ত সে নাকি কেবল বিয়ের রেখা দেখতে শিখেছে। হায় আল্লাহ! কি জানি রেখা কি বলে। উমা হেসে জানালো, তোমার তো লেট ম্যারেজ। মুখে পবিত্র বৈরাগ্যের ভাব এনে বললাম এ আর এমনকি কি, আমি তো ভাবছিলাম আমার ফাঁসির সমন পড়ে শোনাচ্ছো। এবার বল উমার কোটে, সে দ্বিগুন বিজ্ঞের ভাব এনে বললো, তবে সেটা তোমার প্রেমের বিয়ে হবে। বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে মেয়েদের একটু লজ্জা পেতে হয় এটাই নিয়ম হুমম! আমি সাথে সাথে মাথায় কাপড় দিয়ে বললাম, আরেকটু ভালো করে দেখো তো…
হাত দেখা প্রসঙ্গে মনে পড়লো আমার সাথে মর্তুজা নামে একছেলে পড়তো, ফোর্থ ইয়ারে এসে জানা গেলো মর্তুজা হাত দেখতে পারে, সাথে সাথে মেহতাজ তাহার দক্ষিন হস্তখানা প্রসারিত করলো। মর্তুজা হচ্ছে সেই ছেলে যা সর্বদা পেছনের দরজা দিয়ে শ্রেনীকক্ষে আসা-যাওয়া করতো। তো মর্তুজা বলো হাত খানা বেঞ্চের উপর রাখো, আমি মোটেও তোমার পাণিপ্রার্থী নই। অনেকক্ষণ বাদে সকল উৎকন্ঠার অবসান করে জানালো বিদ্যা শিক্ষা- ধনসম্পদের রেখা ভালো তবে বিবাহের রেখা একাধিক! হায় আল্লাহ। মেহতাজ কনফিডেন্টের সাথে হাসলো, ততদিনে মেহতাজের হাফ ডজন প্রেমিকের নাম আমাদের মুখস্ত। তো সম্প্রতি মেহতাজের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। যিনি অন্যের হাত দেখতে এক্সপার্ট সেই মর্তুজা সামান্য অস্থির! সুখের অস্থিরতা যাকে বলে। কারণ মর্তুজার প্রেম হয়েছে। মেয়েটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। তো এই প্রেমের প্রস্তাব দিতে মর্তুজা তার তিন সহযোগী বন্ধুদের নিয়ে গেলো রাজশাহী, সকাল থেকে মেয়েসমেত ঘোরাঘুরি চলছে, কিন্তু মর্তুজা মুখফুটে কিছুই বলছে না দেখে দুপুরে খাবার টেবিলে শুভ বলে দিলো, শোনেন আপু মর্তুজা আপনাকে পছন্দ করে, সেই কথা বলতে সে আমাদেরকে এতদূর নিয়ে আসতে সাহস যোগাতে। আপনার উত্তর যাই হোক আমাদের দায়িত্ব শেষ। সম্প্রতি মর্তুজা-রা.বি. দম্পতি এক কণ্যা সন্তানের জনক!
আমাদের ইয়ারের আরেকটা ছেলের গল্প বলি, তার নাম আশরাফুল। আশরাফুল এমন ছেলেদের একজন যারা সহজে মেয়েদের নিরাপদ বন্ধু তালিকায় স্থান পায়। ইতোমধ্যে আশরাফুলের এলাকাতো সহপাঠীদের কল্যাণে এই তথ্য সবার জানা যে আশরাফুলের একটি পবিত্রপ্রেম আছে এবং প্রেমের বয়স দশ বছর(প্রেমিকার নয়)। মেয়েটা মাঝেমধ্যে ক্যাম্পাসে আসতো। আশরাফুল তাকে বসিয়ে রেখে খুব গল্পগুজব করেই যেতো, করেই যেতো, ভাবটা এমন যে সবগল্প থাকে আজই করতে হবে। আমরা উপায়ান্ত না পেয়ে রাখির সাথে গল্প করতাম। কখনো মেয়েটাকে আমি বিরক্ত হতে দেখিনি। আধাঘন্টা-চল্লিশ মিনিট পড়ে আমরাই আশরাফুলিকে উঠে যেতে বাধ্য করতাম। কিছুদিন বাদে তাদের ব্রেক-আপের ঘটনা ঘটে। কারণ অজানা। আশরাফুল এর পরপরই সনাতন ধর্মের এক মেয়ের সাথে সম্পর্কিত ছিলো। অতঃপর একে একে প্রেমের বয়স বাড়ে না, প্রেমিকার সংখ্যা বাড়ে। সম্প্রতি আশরাফুল বিয়ে করেছে। আইনত এই দম্পতি সুখি। এটা দুজনার পছন্দের বিয়ে। ফেসবুকে স্ত্রীর গুনগানে মুগ্ধ আশরাফুলের লেখা পড়তে পড়তে আমি দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যাই। সব সত্যি বাস্তব না, আবার সব বাস্তবতা সত্যি না। আশরাফুলের সব ছবি, সব পোষ্ট পাবলিক করা। রাখি কী পড়ে দেখে দেখে এইসব গুনকীর্তন! কি জানি। আশরাফুলের সবলেখা- সব ক্যাপশন পড়ে আমি একবার করে রাখির মুখটা মনে করার চেষ্টা করি। বেদনায় কিংবা ভালোবাসায় কিংবা বেদনাহত ভালোবাসায়…
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই, আপনিও নিরাপদে থাকবেন।
এই গল্পের সিরিজটা লকডাউনের সময়কালে লিখে প্রকাশ করবো ভাবছি।
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৯
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: আপনার গল্পগুলো পড়তে পড়তে নিজের জীবনের গল্পগুলো মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে গেলো। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন।
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ, মন ছুঁয়ে গেল লেখা। ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, আপনিও ভাল থাকুন।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবার গোপন কথা ফাঁস করে দিচ্ছেন। বদ দোয়া লাগতে পারে। ফেইসবুকের কারণে অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের settle ম্যারেজে সমস্যা হচ্ছে। আমি একটা মেয়ের জন্য ঘটকালি করতে যেয়ে বিব্রত হয়েছি। ছেলের ফেইসবুকে ঢুকে মেয়ে ছেলের আচার আচরণ মনস্তত্ত্ব সব বুঝে ফেলেছে। ছেলের কিছু সমস্যা সে খুঁজে পায়। যার ফলে জীবনের প্রথম ঘটকালিটা করতে পারলাম না।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঘটকালিতে লেগে থাকুন, সাফল্য অনিবার্য!
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর লেখা।পড়ে অনেক ভাল লাগল।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল
৬| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৯:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৌখিন ঘটকালি হলও একটা thank less job.
০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাইলে বাদ দেন
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: ছোট পোষ্টে অনেক গুলো গল্প বলেছেন।
সবই জীবনের গল্প। মানুষের গল্প।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।