নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
অনার্স পড়াকালীন সময়ে ডাকসুর সামনের হাফওয়ালটা ছিলো আমাদের ক্রাইম স্পট। যেদিন আমাদের মন ফুরফুরা থাকতো চার বান্ধবী মিলে ছেলেদের বিব্রত করতাম। জেনে বুঝে প্ল্যান করে যেকোনো একজন ছেলের দিকে চার বান্ধবী গভীর মনোনিবেশ করে তাকিয়ে থাকতাম। যেসব ছেলেরা ডাকসুর সামনের রাস্তা ধরে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির দিকে যেত অথবা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে কলাভবনের দিকে যেত তারা ছিল আমাদের টার্গেট। নীল শার্ট- লাল শার্ট এভাবে শার্টের কালার বলে দিয়ে আমরা একই সাথে ড্যাবড্যাব করে একটাই ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। বেশিরভাগ টার্গেটই পরপর চারজনের দিকে তাকিয়ে দ্রুত আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে গিয়ে একবারের জন্য পেছন ফিরে তাকিয়ে আরও বিব্রত হতো; কেননা তখনও আমরা তার দিকেই তাকিয়ে আছি। আর যেদিন আমাদের মন উদাস থাকতো, ডাকসুর দোতলার সিড়িতে বসে পেয়ারা মাখা খেতে খেতে ভাবতাম এতো পড়ে আর কিই হবে, একদিন আমাদের সবারই ভালো বিয়ে হয়ে যাবে! আমাদের দ্বিতীয় ক্রাইম স্পট ছিলো হাকিম চত্বর আর ভাষা ইন্সটিটিউট এর মাঝে হাফওয়াল। এখানে বসেও আমরা ওই সাইটটিজিং করতাম। শ্যাডোতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে বেশিরভাগ করেছি কূটকর্ম। বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানা মেজাজের মন্তব্য। আইবিএ'র ক্যান্টিনে দুপুরে খেতে যেতাম। সেখানে আসলে আমরা হ্যান্ডসাম ছেলেদের দেখতে যেতাম। আদিবাসী এক ছেলে ছিল আমাদের কমন ক্রাশ। তাকে একনজর দেখবো এতে তখন কত্ত সুখ! একবার বন্ধু রাজীবকে দিয়ে এক ছেলেকে প্রস্তাব পাঠানো হলো, সে ছেলেটার আশেপাশে ঘুরে ফিরে চলে আসলো। কী বিষয়? রাজীবের মতে আজ মঙ্গলবার দোস্ত। মঙ্গলবার কোনোধরনের প্রেমের পবিত্র প্রস্তাব দেয়া ঠিক না।
প্রশংসা এবং শাড়ি এই দুইটা বিষয়ে আমার কোনো না নাই। শাড়ি গোছাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ছবির একটা এ্যালবাম পেলাম। সেই এ্যালবাম থেকেই বেরিয়ে এলো কিছু খুচরো স্মৃতি! একটা ছবি আমাদের পহেলা বৈশাখের। সে এক বৈশাখ বটে! চার বান্ধবী মিলে শাড়ি পরে সেজেগুজে ঘুরতে গেলাম কার্জন হল। সেদিন ক্যাম্পাস ছিলো লোকে লোকারণ্য। গরমও ভীষণ। শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে কোনো জায়গা খালি নাই। আমি এতটাই ক্লান্ত যে ঘোষণা দিলাম আমাকে এক্ষণ-এক্ষণ আইসক্রিম না খাওয়ালে আমি রাস্তার ওপর ঢলে পড়বো। সাকি আর যুথি গেল আইসক্রিমের খোঁজে। আমি আর নাজরানা অনেক খুঁজেপেতে একটা স্লাপের উপর বসলাম। আমরা রাস্তার দিকে মুখ করে বসলাম আর পুকুরের দিকে মুখ করে একটা জুটি সেখানে আগে থেকেই বসেছিল। আইসক্রিমও চলে আসলো, অর্ধেক আইসক্রিম খেয়েই আমি সতেজ হয়ে গেলাম। আমাদের অবান্তর আলাপে বিরক্ত হয়েই সম্ভবত জুটিটি উঠে গেল। কিন্তু বিপত্তিটা হলো একটা শব্দ! কাপড় ছেড়ার শব্দ। আমি ছেলেটার পাঞ্জাবির ওপর বসে পড়েছিলাম। অসাবধানে উঠতে গিয়ে পাঞ্জাবির পেছনের পার্টটা ঠাস করে ছিড়ে গেল। নতুন পাঞ্জাবি। মেয়েটা একবার পাঞ্জাবির দিকে তাকালো আর একবার ছেলেটার দিকে তাকিয়ে হনহন করে হাঁটা ধরলো। ছেলেটা একবার পাঞ্জাবির দিকে তাকালো, আরেকবার আমার দিকে তাকিয়ে দ্রুত মেয়েটার দিকে এগোতে থাকলো। আমি ঘটনার আকষ্মিকতায় পুরা হা।
সাকি বললো এইটা কোন কাম করলি!
আমার এক্সপ্রেশন ছিল, দোস্ত আই এম সরি।
সাকির মন্তব্য: সরি কইলে হইবো?
আমি: তাইলে ডাইকা আন পাঞ্জাবি কিনে দিই।
সাকি: তোর যে বুদ্ধি, তুই যা করছোস এই প্রেম আর টিকবো!
আমি: তাইলে আর কি পোলারে ডাইকা লইয়ায় আমি তার লগে প্রেম কইরা ক্ষতি-পূরণ করি...
মাস্টার্সে পড়ার সময় আমাদের পঞ্চম বান্ধবী শাহনাজের বিয়ে হয় আমাদেরই সহপাঠী রনির সাথে। প্রেমের পরিনতি। আকদ হবে। আয়োজন ছোট পরিসরে ছিলো। রনির বোন দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন বলে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে আয়োজন। সকাল সকাল আমরা চার বান্ধবী পৌঁছে গেলাম শাহনাজের বাসায়। আমাদের উপর দায়িত্ব পড়লো ওদের বাসর শয্যা সাজিয়ে দেয়ার। এ আরেক ইতিহাস! যা হোক প্রথমেই শুরু হলো মন্তব্যদের বান, তওবা তওবা বিয়ে করলেই একসাথে থাকতে হবে! শাওহনাজ তো লজ্জ্বায় শেষ। বাসর শয্যা সাজানো শেষ হলে সাকি বললো আমাদের একটা ডেমো দেয়া উচিত। কী বলিস তোরা? আমরাও একমত। তো সাকি সাজলো রনি, আমি সাজলাম শাহনাজ। প্রকৃত শাহনাজ এবং শাকেরা সোফায় বসা। সাকি দরজার বাইরে চলে গেল। আমি ঘোমটা দিয়ে খাটে বসলাম। এবার রনিরূপি সাকির আগমন। কেমন আছো শাহনাজ। নাহ নামটা ডাকার জন্য একটু বড় হয়ে যাচ্ছে, তোমাকে আমি নাজ বলেই ডাকবো। যাহোক তোমার অবশ্য ভালো থাকারই কথা। হোম গ্রাউন্ডের এডভান্টেজ আজ তোমার। মাঠ তোমার - পিচ তোমার- এমনকি গ্যালারিভর্তি দর্শকও তোমার। ভাবছিলাম তুমি কদমবুচি সেরে ফেললে মাঠে নামবো কিন্তু তোমার তো সে বিষয়ে কোনো আগ্রহই লক্ষ্য করছিনা। বাকি সংলাপ সেন্সরবোর্ড পক্ষ থেকে আটকে দিলাম.... কারণ সাকি এবং আমি সমান পারদর্শীতায় এত্ত বাজেকথা বলতাম পারতাম যে এ বিষয়ে বান্ধবী যুথির স্টেটমেন্ট ছিলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উচিত বাজে কথার জন্য তোদের পদক দেয়া এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া।
আমাদের অনার্স শেষ হয় মঈনউদ্দীন-ফকরুদ্দীনের আমলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের আয়োজন বন্ধ। তো আমরা ক্লাসফেলোরা মিলে ছোট আয়োজন করি। প্রথমেই শপথ বাক্য পাঠ হলো, আজকের আনন্দ সবার জন্য। কোনো না বলবো না। সে যা হোক নানা ধরনের অংশগ্রহণমূলক গেমস আর উদ্ভট স্মৃতিচারণ। আমাকে স্টেজে ডাকা হলো এবং আমার ভাগ্যে পড়লো নাচ। সারাজীবন আমি ক্লাসফেলোদের এতই বিব্রত করেছি যে সব সুদে আসলে আমাকে সেটা শোধ দিতে হলো। আমি ফতোয়া দিলাম একা তো নাচা যায় না, আমার পার্টনার লাগবে। কে হবে আমার নাচের পার্টনার। অডিয়েন্স হাসি হাসি মুখে তা আছে আর আমার চোখে রয়্যাল লুক। সামনের সারিতে বসা বুলবুল নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। যেন কোনো ভাবেই আমার চোখে চোখ না পড়ে। আমি বললাম আমি বুলবুলের সাথে নাচবো। বুলবুল ফর্সা ছেলে ওর কানটান পুরা লাল হয়ে গেল। দরজা বন্ধ না থাকলে ও সম্ভবত দৌড় দিত। বুলবুল হচ্ছে সেই ছেলে অনার্স-মাস্টার্স পুরো পাঁচবছর ডানসারির দ্বিতীয় বেঞ্চের কোনায় এসির ঠিক নিচে একটা নির্দিষ্ট সিটে বসেছে। মেয়েদের তো দূর কি বাত ক্লাসফেলো সব ছেলেদের সাথেও তার বন্ধুত্ব ছিলো না। তাকে নাচানো হচ্ছে। গান ছিলো 'তুমি আমার মনের মাঝি, আমার পরান পাখি, আমার বাড়ি যায়ও দিমু ভালোবাসা'।
অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট হলো। কর্মস্থলে আমি আর বুলবুল সহকর্মী। অফিসে তখন আমার দুইটা কাজ একটা অফিসের কাজ অন্যটা ছিলো বুলবুলকে পঁচানো। রোজ ৪/৫টা সেলফি তুলতাম। কারণ প্রতিবার সেলফি তোলার আগে বুলবুল ব্যাগ থেকে পারফিউম বের করে ব্যবহার করতো। আমি এখনো ভেবে পাইনা ছবির সাথে ঘ্রাণের কি সম্পর্ক! বলতাম তোর উচিৎ কোনো প্রবাসী ছেলেকে বিয়ে করা, দেশে আসার সময় লাগেজভর্তি পারফিউম নিয়ে আসবে। যা হোক, মাসছয়েক আগে আমি মাসুম নামের এক ব্যক্তির প্রেমে পড়ে যাই। প্রেম না আমি আসলে তাকে বিয়ের কথাই ভাবছি। খোঁজ নিয়ে জানলাম মাসুম সাহেব এবং বুলবুলের বর্তমান কর্মস্থল একই প্রতিষ্ঠান। বুলবুলকে কল দিলাম, এ্যায় বুলবুল তুমি কি মাসুম সাহেককে চিনো? দুইএকটা এডিশনাল ইনফরমেশন দেয়ার পর চিনলো তবে মাসুম সাহেব অন্য বিভাগে কাজ করেন। বললাম, আমি মাসুম সাহেবকে বিয়ে করতে চাই। তুমি তাকে গিয়ে বলবা তোমার বান্ধবী ইজ ইন লাভ উইথ মাসুম সাহেব। বলবা, আমি সুহাসিনী এবং মৃদুভাষিণী নই তবে মাসুম সাহেবকে সারাজীবন সবকিছুতে বেশি প্রাওরিটি দেয়া হবে।
সপ্তাহখানেক বাদে আবার কল দিলাম বুলবুলকে, এ্যায় বুলবুল আমার স্বামী কেমন আছে?
বুলবুল-- তোমার স্বামী কে?
আমি-- কেন মাসুম সাহেব!
গতকাল কল দিয়ে বললাম, বুলবুলি তোমার জীবনের দুইটা কলংকের গল্প শোনাও তো।
বুলবুল- আমার কোনো কলংক নাই
আমি-- কলংক ছাড়া পুরুষ মানুষ আমার কিসের পুরুষ মানুষ।
বুলবুল-- আমার জীবনের একমাত্র কলংক তোমার মতো বান্ধবী (আমার সাথে মিশতে মিশতে কথা শিখে গেছে আরকি)!
নানা আলাপ পেরিয়ে অর্থনীতি উঠে এলো। বললাম আমাকে হাজার পঞ্চাশেক টাকা ধার দাও তো। বুলবুল জানালো দেয়ার মতো টাকা তার আছে তবে, করোনার ভয়ে ব্যাংকে যাবে না। এবার অবধারিত টপিক! বললাম তাইলে মাসুম সাহেবকে দিতে বলো, বলবা তোমার বান্ধবীকে সে প্রেম না দিক অন্তত কিছু টাকা তো ধার দিক। টাকা লেনদেনের মধ্য দিয়ে একদিন আমরা সংসারের কথাও আলাপ করে নিবো। বুলবুলের সেই বিখ্যাত উক্তি- তুমি পুরাই মাথা নষ্ট ওম্যান!
০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কোয়ারিন্টিনের ৫০তম দিন পার করতে যাচ্ছি...
ধন্যবাদ রাজীব নুর, ভালো থাকুন।
২| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নন্দিনী আপনি আপনার জীবনের
শ্রেষ্ঠ সময় ছাত্রী জীবনের স্বণালী
দিনগুলো খুব নান্দনিক ভাবে বর্ণনা
করেছেন। নষ্টালজিয়ায় স্মুতিকাতর হয়ে
আমিও ফিরে গিয়েছিলাল চাখারের শেরে
বাংলা মহাবিদ্যলয়ের সা্নবাধানো পুকুর ঘাটে।
চমৎকার গল্পের পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম।
০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু, দেখি পরের পর্বে কি আসছে...
৩| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ২:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার
০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪| ০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:০৫
আল ইফরান বলেছেন: বেশ সাবলীল ভাবে লিখে ফেলেছেন ক্যাম্পাস লাইফের উচ্ছল (+দুস্ট) জীবনের কথা। আপনি যে বছর গ্র্যাজুয়েশন নিয়েছেন ঠিক সেই উত্তাল বছরেই আমাদের ক্যাম্পাসে আসা, কলাভবনে না অবশ্য (তবে কলাভবনকেই আমরা ক্যাম্পাসের নিউক্লিয়াস হিসেবে জানতাম)।
বিভিন্ন কারনেই ক্যাম্পাস লাইফ ঠিক আপনার মত করে উপভোগ করা হয় নি, তবে ঝুম বৃষ্টির দিনে মল চত্ত্বরের অপার্থিব সৌন্দর্যকে খূব অনুভব করি এখনো।
০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:২০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ফোর্থ ইয়ার এবং মাস্টার্স আমার জীবনের এই দুই বছর ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখতে ইচ্ছে করে, প্রতিটি দিন ছিলো আগের দিনের চেয়ে সুন্দর! ধন্যবাদ আল ইফরান, ভালো থাকো।
৫| ০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:২২
কালো যাদুকর বলেছেন: দারুন লিখা। নিজের ইউনিভার্সিটি সময়ের মত মনে হলো। মাঝে মাঝে এরকম উদ্দাম তারুণ্যে যেতে পারলে ভাল হত। মনে মনে হলেও। "কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা, মনে মনে। "
কলাভবনে গেলে মাঝে মাঝে এরকম মেয়েদের পাল্লায় পরতে হত। এটা মনে ট্যাংকি মারার ফিমেল ভার্সন।
শুভকামনা রইলো।
০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৩৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বয়সটা একটা সংখ্যা, উদ্যোগটাই আসল। আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারলাম কিনা সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।
ধন্যবাদ কালো যাদুকর।
৬| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: গতকাল রাতে একবার পড়েছিলাম মোবাইল ফোনে, মনে হচ্ছে শিরোনাম বদলে দিয়েছেন। আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমার সময়গুলো মনে পড়লো। ২০০৯ এর পুরো রোজায় ইফতার করেছি ডাকসুর ওই হাফ সিড়ির উপরে। তখন অবশ্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব ছেড়ে লাইব্রেরির বাসিন্দা পুরোদস্তুর।
আমার মাস্টার্সের লাস্ট পরিক্ষার আগের দিন জিমনেশিয়াম মাঠে সেনাসদস্যর সাথে সমস্যাটা শুরু হয়। ওই বিকেলে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে বাঁশের বেড়ার উপর বসে বেলালের বানানো চা খাচ্ছিলাম আমি, আসাদ আর রুবেল, পলি আর কেয়াও ছিলো। হঠাৎ দেখি রোকেয়া হলের দিক থেকে একটা মিছিল আসছে... আমরা তো যারপরনাই অবাক! এ সময় মিছিল!! তারপরের ঘটনা সারা বাংলাদেশ জানে।
উস্কে দিলেন স্মৃতিগুলো... লেখায় ভালোলাগা যথারীতি।
০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সেদিন জিমনেশিয়াম মাঠে আমরা চার বান্ধবীও ছিলাম। সাংবাদিকতা এবং লোক প্রশাসন বিভাগের মধ্যে ম্যাচ ছিল ওটা। কথা কাটাকাটাটি ডান দিকের গ্যালারিতে হয়েছিল। প্রথমার্ধ আমরা ডান দিকের গ্যালারিতে এবং দ্বিতীয়ার্ধ বাম দিকের গ্যালারিতে বসে এনজয় করেছিলাম।
তারপর হল ভ্যাকেন্ট, তিন মাস বাসায় বসে থাকা...
লেখাটা লিখতে বসে অনেক স্মৃতি ছুঁয়ে দেখলাম। সব আমার আজীবনের সঞ্চয়!
ভালো থাকবেন পদ্ম পুকুর!
৭| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিকেল কাটিয়েছি আমার বোনের সাথে ঘুরঘুর করে ...
৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর অর্ধেক নারী হলেও নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আমার একটাও প্রেমিকা হল না, সেই দুঃখ এই জীবনে যাওয়ার নয়!
কত্তদিন কলা ভবনের " মূর্তির " সামনে দেখা করে ডাকসুর সামনে বসে হাতি, ঘোড়া মেরে গুটিগুটি পায়ে পাঠক সমাবেশ বা নীলক্ষেত, নিউমার্কেট যাই না!
০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:০৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভাবছি তোমার প্রেমিকা সমাজ নিয়ে একটা লেখা লিখবো, কেমন?
আমি ছিলাম বলে বিবিএ-এমবিএ কমপ্লিট হয়েছে, বিষয়টা ক্লিয়ার?
চারুকলায় নিয়ে স্কাপচার আর মূর্তির পার্থক্য বোঝানো হবে ওকে?
হা হা হা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই সবখানে আস্ত বিকেল কাটাবো ইনশা আল্লাহ।
পাঠক সমাবেশ থেকে দু'হাত ভরে বই কিনবো, নীলক্ষেতে চক্কর মারবো, নিউমার্কেটে গিয়ে তেরিন বার্গার খাবো।
ক্যাম্পাসে গুটগুট করে ঘুরবো।
৮| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১৮
চাঙ্কু বলেছেন: আমাদের এক বন্ধু এত ধার্মিক ছিল যে ক্লাস/ডিপার্টমেন্টের কোন মেয়ের সাথে কথাই বলতে চাইত না। একদিন ফাজলামি করে আমাদের এক বান্ধবী তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পরে, তার ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন ছিল ভূত দেখার মত! বেটা পুরো সপ্তাহ আর ক্যাম্পাসে আসে নাই। পরে সব বন্ধুরা মিলে বুঝানোর পরে ক্যাম্পাসে এসেছিল। - পুরান দিনের কথা মনে করাই দিলেন।
ওহ, আইবি এর ক্যান্টিনের ভুনা খিচুরি এখনও মিস করি!
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নানা রঙের দিনগুলি...
কি যে দুষ্টু ছিলাম, ভাবলে এখনো হাসি পায়!
৯| ০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৩২
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: তাত্তাড়ি করে লিখেন! ভালো কাজ ফেলে রাখতে নাই! (আমাকে কক্ষনো উৎসাহ দেয়া হয় নাই! )
... সেই বিষয় একদম ক্লিয়ার! যদিও বিবিএ, এমবিএ আমি কবে করলাম সেটাই মনে পড়ে না এখন আর!
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার উৎসাহ ছাড়াই তুমি যে কারনামা করছো! লিখবো, লিখবো...
মানুষ প্রথমে ভুলে যায়, তারপর একসময় সে এটাও ভুলে যায় যে কি ভুলে গেছে।
১০| ০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:১৮
রাফা বলেছেন: প্রেমের ক্ষতিপুরণের রেওয়াজ থাকা উচিত ছিলো । পড়ালেখা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ সময়টা প্রবাসে কাটানোতে ঐ রকম সৃতি নেই।তবে স্কুল লাইফ থেকেই কম্বাইন স্কুলে লেখা পড়া করায় অনেক অম্ল মধুর সৃতি মনে পড়ে গেলো।
তবে এখনকার যুগে মনে হয়না এমন করে সময় কাটায় সবাই মিলে।এখন সবাই সোস্যাল মিডিয়া নিয়ে কৃত্তিম জিবন-যাপনে অভ্যস্থ।
চমৎকার হইছে,না.নন্দিনী।ধন্যবাদ।
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি জানি তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। জানেন তো, টাকা দিয়ে সব কেনা যায় ঝগড়া কেনা যায় না। অদ্ভুত না?
এই যে যাকে তাকে যখন তখন মানুষ কল করে বা টেক্সট করে এটা প্রযুক্তির একধরনের অসভ্যতা।
মুখোমুখি বসিবার বনলতাও নেই, সন্ধ্যার অবসরও নেই।
১১| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: পদ্মপুকুর @ ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছিল ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে । ২০০৯ সালে নয় .।।
অনার্স সময়ের ক্রাস থেকে ইন্টারের ক্রাস অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং ।
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৫৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ডার্ক ম্যান, তাহলে আপনার এইচএসসি'র সময়কার ক্রাশ নিয়ে লিখে জানান।
ধন্যবাদ!
১২| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১:১৭
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: কাহলিল জিব্রান সাহেব বলে গেছেন - ' বিস্মৃতি স্বাধীনতার '... দামি কথা!
১০ ই মে, ২০২০ রাত ১:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মানুষ বদলায়, প্রেমিক কবে বদলেছে?
১৩| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মধুর কেন্টিনের জয়ন্তদা এখনো আমাকে বাকিতে খাওয়াবেন। আমার উপর তার অতটাই বিশ্বাস এমন কি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে উকালতি করবেন।
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১:৩৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাহ্, এইসব ভালোবাসার কোনো নাম হয় না।
মধুর ক্যান্টিনে পাউরুটি দিয়ে মিষ্টি খাওয়া শিখেছি, ওদের পাটিসাপটাও মজা!
১৪| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪০
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ঠিক এজন্যই সারা বিশ্বে প্রেমিক এখন ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী!
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: প্রেমিক! তারা কারা? দেখতে কেমন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: লকডাউনে পুরোনো দিনের কথা বুঝি খুব মনে পড়েছে??
সহজ সরল ভাবে লিখেছেন। কোনো ভনিতা নেই।