নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
১৮৭৯ সালে হেনরি ইবসেনের ‘ডলস হাউজ’এর নায়িকা নোরা বের হয়ে এল তার অসম্মানের সংসার ছেড়ে। স্বামীর কোড অফ কন্ডাক্টের বিধিনিষেধ এর সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রতি প্রায় সমান ও পবিত্র দায়িত্ব পালনের ব্রত নিয়ে। নাটকটি নোরার সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসার দৃশ্য দিয়ে শেষ হলেও খুব জানতে ইচ্ছে করে, কোথায় গেল নোরা?
সমাজ কেমন মেয়ে চায়? একটা মেয়ের কাছ থেকে কী চায়? কোন চেহারায় দেখতে চায়? কী কী পেতে চায়? এগুলো জানার জন্য জনে জনে জিজ্ঞেসা করার দরকার পড়ে না। যে কোনো জাতীয় দৈনিকের ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপনের পাতায় একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই চলে। যেখানে কাক্ষিত পাত্রীর আদর্শ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ফর্সা, লম্বা, নম্র, ভদ্র, সুন্দর, শিক্ষিত, নামাজি, ঘরোয়া, উচ্চ বংশীয়। বিয়ের বাজারে পাত্রী হতে হবে নিখুঁত। রূপেগুনে অনন্যা। অন্তত সামাজিক চাহিদাগুলো তো তাই বলে। বিজ্ঞাপনের চাওয়াগুলো থেকে আরো জানা যায় ঢাকার স্থায়ী নিবাসী হতে হবে। বিজ্ঞাপনের এই চাওয়া গুলো সাধারণ নয় বরং অসাধারণ মেয়েদেরকে খুঁজে পেতেই দেয়া হয়। পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনের নারীত্বকে আঁকা হয়- লজ্জাশীলতা, নয়নসুখ চেহারা, নির্ভরতা, প্রশ্নহীন আনুগত্য, আজন্ম অধীনা দিয়ে। এইসব পরিমাপহীন চাহিদা সাধারণ মেয়েদের জন্য তৈরি করে অনিশ্চয়তার এক অতল খাদ!
বাস্তবতাটা কেমন? আমার এক বন্ধু রেহান কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াকালীন তার বিশেষ মেয়ে বান্ধবী ছিল রিমি। ইসলাম শিক্ষায় অধ্যায়নরত রিমিকে নিয়ে রেহানের মন্তব্য ছিল, যে মেয়ে ইসলাম শিক্ষায় পড়ে সে তো জীবনেও চাকরি পাবে না; তাই রেহানকে আর স্ত্রীর চাকরির বিপক্ষে মত দেয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে না। নিশ্চিন্তে গৃহিনী স্ত্রী নিয়ে সংসার করতে পারবে। এটা ২০১০ সালের কথা বলছি। বুদ্ধিদ্বারা পরাস্থ নারী না থাকার মতোই মিশে থাকবে পরিবারের অন্যদের সাথে। পুরুষ তার মুক্তচিন্তা যতটা বাইরে করেন, ঘরে সেটার দেখা মেলা ভার। পৃথিবী-দেশ-সমাজ-সংসার; পুরুষ হচ্ছেন কর্তা আর নারী তার ইচ্ছা পালনকারী দ্বিতীয়শ্রেনীর মানুষ। ঠিক তার দশ বছর (২০২০) পরের আরেকটি সত্যি গল্প বলি, মধ্যরাতে হঠাৎ কান্নার আওয়াজে বিচলিত হই। কান পেতে বুঝি কোনো এক ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে আসছে। এই কান্না ব্যথার নয়, বরং বেদনার! বারান্দায় গিয়ে দেখি আমার ডান দিকের বিল্ডিং এর ৬তলার বারান্দায় মেঝেতে বসে এক মেয়ে কাদঁছে। অন্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার স্বামী ধূমপান করছে। অসচেতনতায় ভদ্রলোকের সাথে আমার চোখাচোখি হয়। ধীর পায়ে ফিরে আসি অন্দরে। দাম্পত্য কলহ! ছেলেটে বেশ উচু স্বরে বলে ওঠে ‘বুঝি না এত কান্নার কি আছে’। এই দম্পতিকে মাস ছয়েক হল ফ্ল্যাটতে এসেছেন। ওরা দুজনই থাকে। সপ্তাহ খানেক হলো বাচ্চাসহ এক দম্পতি এবং আরোও একজন ছেলে এসেছেন। রাতের এই ঘটনার পর বারান্দায় এক বৈঠক বসে। অতিথি নারীটি মেয়েটির হয়ে যুক্তিতর্ক লড়েই যাচ্ছেন। ছেলেটার নানা প্রসঙ্গের সামনে মেয়েটা একটি শব্দও বলছে না। বৈঠকের সারমর্ম দাঁড়ায় থাকতে হলে মেয়েটিকে সবকিছু মেনে নিয়েই থাকতে হবে।
সমাজও নারীদের মুক্তি খুঁজতে গিয়ে ‘নারীদের উপহার দিয়েছে মুক্তিহীনতা’। সত্যি নারী, আসল নারী, বাস্তব নারী নিয়ে আলাদা করে ভাববার সময় এসেছে। সমাজের যেকোন পরিবর্তন পুরুষের চোখে অনাসৃষ্টি অথচ নারী বলছেন পুননির্মাণ। নারী প্রায়শই ভুলে যায় কি তার সাধ্য, কি তার যোগ্যতা, কি তার মূল্য। নারীরা তাদের অনুভূতি গুলোকে সুপ্ত রাখেন, অনেক ক্ষেত্রেই তারা সেটা করতে বাধ্য হন এবং অধিকাংশ সময়ই সামাজিক কারনে সেগুলো অপ্রকাশিতই থেকে যায়। পৃথিবীর সব নারী একটা জায়গায় গিয়ে এক, এবং সেটা হল তারা ‘নারী’। নারীর নিজেকে নিয়ে অবিরাম বলতে হবে, অনিঃশেষ প্রশ্ন তুলতে হবে।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তা তো অবশ্যই
২| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:২২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে বাবা মা ফরিদপুর থেকে ঢাকাতে স্যাটেল্ড হবার চেস্টা করলেন যাতে আমি তাদের সাথে থেকে পড়ালেখা করতে পারি। এর আগে নানাবাড়ি থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। রামপুরার বাসাটা বেশ সুন্দর ছিলো। পাশের ফ্লাটে যে দম্পত্তি থাকতেন তাদের একটা ছোট টডলার ছিলো জীবনে এত সুন্দর টডলার খুব কম দেখেছি। বাসায় আসার দুদিন পর হঠাৎ কলেজ থেকে ফিরে এসে দেখি শিশুটি আমাদের বাসায়। আমি ওঁকে পাশে বসিয়েই পড়ছিলাম। এমন সময় শুনি পাশের বাসায় কান্নার শব্দ। আমি খুব খেয়াল করতে গিয়ে দেখি মা ড্রইংরুমে বসে আছেন মুখ কালো করে।
মাকে বললাম কাঁদছে কেন ঐ মহিলা? মা বললেন তার স্বামী নাকি এরকম মাঝে মাঝেই মারে। আমি ভাবলাম ঘরে গিয়ে এখনি নক করি। মা বললেন এটা করতে না। মা নাকি এরকম একবার করেছিলেন মহিলাকে নাকি সেরাত বাইরে থাকতে হয়েছিলো। মা ভোর বেলা তাকে বাসায় নিয়ে আসেন। মা ও লজ্জিত হয়েছিলেন। ফরিদপুরে থাকতে মা বেশ সোচ্চার ছিলেন এগুলো বিষয়ে। বাল্যবিবাহ, ডোমিস্টিক এবিউজ হলে পুরো এলাকা করতেন। এর জন্য তাকে অনেক কথাও শুনতে হতো। তবে সেদিন মাকে খুব অসহায় দেখেছিলাম
আমি বললাম মহিলা তো আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন। মা বললেন মহিলার মা তাদের সাথেই থাকেন। বাবা মারা যাবার পর ভাইদের সাথে গন্ডগোল তাই আর যাবার জায়গা নাই।
শুনে কিছু বলতে পারলাম না। তখন রক্ত গরম ছিলো একদিন ভেবেছিলাম কিছু একটা করি। কিন্তু মা করতে দেননি। নতুন নতুন ঢাকাতে এসে মা বেশ ভয় পেতেন এগুলো।
তার পরের মাসে বাসা পাল্টে ফেলি। মা অনেক দিন পর সে মহিলার খোজে যান। জানা যায় তারাও বাসা পাল্টিয়েছেন। বাড়িওয়ালা চেস্টা করেছিলেন কিন্তু হিতে বিপরীত হয়েছে। তাই বাড়িওয়ালা বাধ্য হয়েছিলো নোটিশ।
মা তাদের ঠিকই বের করেছিলেন। পরে কিনেছিলাম ছেলেটা স্কুলে পড়ে। এর বেশী কিছু আর বলেননি।
আসলে আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে এমন কিছু কালো দিক আছে যেগুলো আমাদেরকে বার বার পরাজিত করে। আমাদের চারিদিকে এই যে এত সামাজিক অবক্ষয় ও এত অপরাধী এর মূল কারনও হলো এই দাম্পত্য কলহ ও ডোমিস্টিক এবিউজ।
এগুলো মনে পড়লেও আমার শরীর এখনো শির শির করে
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার বাসার আশেপাশেও এরকম দুইএকটা ঘটনা আমারও নজরে এসেছে। পতি পরমেশ্বর বলে নারীদেরও মার খেতে এক ধরনের অনাপত্তি চোখে পড়ে।
শুধু পুরুষদের দোষ দিলেও অন্যায় করা হবে। আমার উলটো দিকের ফ্ল্যাটের এক নারী যেকোন ছুটির দিনে ভদ্রলোকের জীবন অতীষ্ট করে তোলে। ভদ্রমহিলাটি নিঃশ্বাস না নিয়ে একনাগারে বলতেই থাকে- বলতেই থাকে-বলতেই থাকে। অসহ্য হয়ে ভদ্রলোক একসময় দুটো চড়থাপ্পর মারার পর মহিলা চুপ করে। ভদ্রলোককে গত তিন বছর ধরে একটাই গালি দিতে শুনেছি 'অমানুষের বাচ্চা'।
৩| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩৯
নিমো বলেছেন: মেয়ে বাঘা সুন্দরী তবে অসূর্যস্পর্শা হতে হবে
অপূর্ব সুন্দর চোখ থাকবে কিন্তু সেই চোখ তুলে কারো দিকে তাকাবে না
কণ্ঠস্বর ঝর্ণার মতো সুমিষ্ট হবে কিন্তু কথাবার্তা তেমন বলবে না
হরিণের মতো চঞ্চল পা হবে কিন্তু চলাফেরায় কচ্ছপের মতো ধিরস্থির হবে
মেয়েকে গান জানতে হবে কিন্তু গান গাইতে পারবে না
নাচ জানতে হবে কিন্তু নাচতে পারবে না
বুদ্ধিমতী হতে হবে তবে বুদ্ধিমত্তা ব্যাবহার করা যাবে না
পরী হবে কিন্তু উড়তে পারবে না ...
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বৌকে ভদ্রলোকেরা বৌ ভাবেন না ভাবেন ভোগ্যপন্য
তারপর ভদ্রলোকদের ইলিশের মত বৌতেও অরুচি ধরে যায়
৪| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা বাস্তবচিত্র খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। অন্ধ ছেলেও সুন্দরী মেয়ে চায়। আমাদের সমাজে ছেলেদের বানিয়ে ফেলেছি সোনার টুকরো বা হীরের টুকরো। ছেলের দাঁড়িয়ে থাকার জন্য একটা ঠ্যাং থাকলেই হলো, তার মূল্য কোটি টাকা।
মেয়েদের মুক্তিহীনতা থেকে বাইরে বের করে আনার জন্য সর্বাগ্রে দায়িত্ব পালন করতে হবে মা-বাবাকেই। ছেলে আর মেয়েতে কোনো বিভেদ করা যাবে না; ছেলেকে এমন কোনো ইম্প্রেশন দেয়া যাবে না, তুমি ছেলে বলে তুমি হলে হীরার টুকরা, আর মেয়ে হলো মূল্যহীনা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই শিক্ষা এবং স্বাবলম্বী হবার জন্য সমান গুরুত্ব দিতে হবে। একজন বাবা তার মেয়েকে যদি প্রতিষ্ঠিত হবার কাজগুলো সম্পন্ন করে দেন, মেয়েকে আর পেছনে তাকাতে হবে না, স্বামীর ঘরে যেয়ে মুখ বুজে স্বামী আর শাশুড়ির অত্যাচার সহ্য করতে হবে না। একজন বাবা বা মাকে তার নিজের মেয়ে এবং পুত্রবধূকে একই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে, এতে অনেক সমস্যা গোড়াতেই মিটে যাবে।
মেয়েরা স্বাবলম্বী হচ্ছে, যদিও প্রগ্রেস রেট খুব স্লো। তবু, আজ থেকে ২০ বছর আগের চিত্রের সাথে বর্তমানের চিত্রের বেশ পার্থক্য আছে। আমাদের মেয়েরা বেশিরভাগই হাউজ ওয়াইফ হওয়াতে বাপের বাড়ি বোঝার ভার বাড়াতে চায় না, তাই স্বামীর ঘরের অত্যাচার সহ্য করে দিনের পর দিন। এরা যেদিন স্বাবলম্বী হবে, অত্যাচারী স্বামীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।
চমৎকার করে লেখার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয় জন স্টুয়ার্ট মিল-এর ভাষ্য ‘সাবজুগেশন অব উইমেন’। ইউরোপ জুড়ে শুরু হয় লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন। অদম্য নারীরা প্লাকার্ড হাতে প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষন করেন, ‘Mr. President, what will you do for woman suffrage?’ ১৯ডিসেম্বর, ১৯১৭ এবং ১৭অক্টোবর, ১৯১৮; লেলিন দুটি ডিক্রি জারি করেন। যেখানে তিনি নির্ভরশীলদের ওপর পুরুষের একচোখামির অভ্যেসকে পঙ্গু করে দিলেন এবং নারীকে দিলেন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যৌন-আত্মনিয়ন্ত্রীনের সম্পূর্ণ অধিকার। ঘোষণা করলেন যে শীঘ্রই মেয়েরা তাদের বাসস্থা্ন, নাম ও পদবী নির্বাচনের সুযোগ পাবে। ১৯২৭ সালে ডিক্রি দুটি আইনের স্বীকৃতি পায়; তাতে নারীকে দেয়া হয় মাতৃত্বকালীন ছুটি, শ্রমশক্তিতে নারীকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষা, গার্হস্থ্য ও বেতনভোগী শ্রমকে যৌথ দায়িত্বে পরিণত করা হয়। পেরিয়ে গেছে প্রায় ১০০বছর, তারপরও প্রশ্ন থেকেই যায়, নারী আসলে কোথায় পৌঁছাল?
‘কর্পোরেট উইমেন’ নামে ১৯৮০ সালের মাঝামাঝিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ‘glass ceilings’ নামে একটা টার্ম ব্যবহার করা হয়; এর মাধ্যমে বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়, উচ্চ পর্যায়ে মেয়েদের চাকরি পাওরার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বাধা/সঙ্কটগুলোকে। যে বাধা/সঙ্কটগুলো ব্যক্তি বা সংগঠনের পছন্দ-অপছন্দ দ্বারা সৃষ্ট’। আমারিকায় পরিচালিত আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের প্রতি ৭৬ ডলারের বিপরীতে নারীদে আয় মাত্র এক ডলার। এছাড়া পাঁচশোটি কোম্পানীর ওপর পরিচালিত জরীপে দেখা যায়, এদের মধ্যে নারী সিইও মাত্র দুই জন এবং কর্পোরেট অফিসারদের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র দশ শতাংশ’। অথচ মারি ড্যালি ‘পুরুষবাদের প্রান্তে এক নতুন মহাকাশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নারীদের জন্য।
৫| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ২:০২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই সমাজ রক্ত মাংসের নারী চায় না,সে চায় পুতুলেরই মতো এক নারী।যে প্রতিবাদ করতে যানে না। কত কাল আগে লেখা,তারপর কতো লেখক যে কতো ভাবে নোরার এই কথাগুলোর প্রতিধ্বনি করেছেন তার ইয়াত্ত্বা নাই।নারী একা খুব একটা কিছু করতে পারবেনা,তারজন্য চাই পুরুষের সহযোগীতা।নারী পুরুষ মিলিত হয়ে সংগ্রাম করতে হবে।ধন্যবাদ
২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধরেই নেয়া হয়, পৃথিবীটা পুরুষের; মেয়েরা সেখানে বহিরাগত অতিথি, সিমোন দ্যা বোভোয়ারের ভাষায় ‘দ্বিতীয় লিঙ্গ’। পৃথিবী-দেশ-সমাজ-সংসার; পুরুষ হচ্ছেন কর্তা আর নারী তার ইচ্ছা পালনকারী দ্বিতীয়শ্রেনীর মানুষ। তারা না থাকার মতোই মিশে থাকবে পরিবারের অন্যদের সাথে। নারী যদি কখনো নিয়মের বেড়াজাল পেরিয়ে ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেন, তখন-ই শুরু হয়ে যায় ‘হায় হায়’।
৬| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সমাজ বলতে গ্রামের সমাজ একরকম। তাহলো শতকরা ৯৫ জনের ঝামেলা মুক্ত জীবন। আর বড় শহরে মেয়ে এবং পুরুষ উভয় বেশ কিছু মানুষ মানুসিক ভাবে চিটার । যাহা আপনার আমার আশপাশে প্রতিনিয়ত হয়।
২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: খুবই দুর্বল এবং পক্ষপাতিত্ত্বমূলক চিন্তা
৭| ২৭ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এখন আবার নতুন নিয়ম পুরো শরীর কালো বোরখা দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে। আরো কতো কি।
২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নারীকে নিয়ন্ত্রনের জন্য অপবাদের অস্ত্র প্রস্তুত রাখা ছিল সবসময়, তাই তো সতীত্ব সর্বস্ব মিথকে মাথায় রেখে নারীকে পর্দায় রাখার কথা বহুলভাবে প্রচার করা হয়। তা না হলে নারী হয়ে যান নষ্টা, চরিত্রহীনা কিংবা সভ্য সমাজে বারাঙ্গনা।
৮| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩১
রাফা বলেছেন: প্রবাসের বিজ্ঞাপনের ভাষাটা একটু অন্যরকম । পাত্রীকে হতে হবে ধর্মভীরু ।অবশ্যই গ্রীনকার্ড হোল্ডার হোতেই হবে /সিটিজেন পাত্রীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।কারন ছেলে লেখাপড়া করছে কিন্তু ইল্লিগ্যাল ইমিগ্রান্ট। বুঝতে পারছেন‘তো ছেলে হওয়াটাই বিরাট যোগ্যতা। আর ছেলে যদি সিটিজেন হয় তাহলে বউ লাগবে বিদুসী স্বর্গের অপ্সরি।
তবে মেয়েরাই মেয়েদের‘কে বেশি ছোট করে রাখতে চায়/ এটা আমার কাছে মনে হয় এক ধরনের প্রতিশোধ। বউ থেকে শাশুরি‘তে রুপান্তরিত হোতে যে পথ পাড়ি দিতে হয় সেই পথেই চলে চক্রটা।
ধন্যবাদ,না. নন্দিনী। মচৎকার হইছে লেখা।
২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যেসব পুরুষ মৌলবাদের চর্চা করেন তাকে চেনা যায় কিন্তু যেসব পুরুষ যৌগবাদের চর্চা করেন, তাকে চিনবেন কিভাবে?
৯| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
আমি সাজিদ বলেছেন: রাফার কথার সাথে একমত। শেষে উনি বলেছেন, মেয়েরাই মেয়েদের ছোট করে রাখতে চায়। এইটা ভুলে গেলেও চলবে না।
২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:০৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অগ্রজ নারীদেরকে দিয়ে তৈরি করিয়ে নেয়া হয় ভবিষ্যত স্বেচ্ছাদাসী নারীদের।
১০| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫০
রাশিয়া বলেছেন: মেয়েরা স্বাবলম্বী হলে সমস্যা বাড়বে ছাড়া কমবে না। আমার মতে, ঘরের নারীদের হওয়া উচিত প্রেম, ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক। স্বভাবসুলভ বিনয় তাতে আলাদা মাত্রা যোগ করবে। স্বামী কোন অন্যায় করলে প্রতিবাদ করবে কিন্তু কোন রকম জোরাজুরি করবেনা। স্বামীর পরিবার ও আত্মীয়ের সাথে দায়িত্বশীল আচরণ করবে - এভাবে স্বামীর কাছে নিজেকে প্রয়োজনীয় সাথী হিসেবে গড়ে তুলবে। নিজে দায়িত্বশীল হবার মাধ্যমে স্বামী ও সন্তানকেও দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করবে। এভাবে সংসারের কলকাঠি যখন নিজের হাতে চলে আসবে - তখন সে সংসারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হলেও স্বামী সংসারের কোন ব্যাপারে তার মুখের উপর কিছু করার সাহস পাবেনা।
এ প্রসঙ্গে একজন সৌদি লেখিকার উক্তি তুলে ধরা যায় - স্বামীর কাছে দাসী হয়ে যাও, তাহলে স্বামীই একসময় তোমার দাসে পরিণত হবে। স্বামীর মা হবার চেষ্টা কোরনা, তাহলে সে তোমায় তার মায়ের সাথে তুলনা করবে - সে পরীক্ষায় তুমি কখনও সফল হবেনা।
২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নারীকে নিজের অস্ত্বিত্বের ভার নিজে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তাকে কখনো বোঝানো হয় না। তাই সে সানন্দে নিজেকে অর্পন করে অন্যদের সুরক্ষা, প্রেম, সহায়তা ও তত্ত্বাবধানের কাছে, সে কিছু না করে আত্মসিদ্ধির আশায় মোহিত হয়। এবং কোনো কারণ ছাড়াই পরিবারে ‘অবস্থানগতভাবে পুরুষ পায় উচ্চ মর্যাদা, নারী পায় নিম্ন মর্যাদা। পুরুষ তা মেনে নেয় ও ভোগ করে তার জন্ম অধিকার বলে, আর নারী তা বিশ্বাস ও স্বীকার করে’। লেখিকা বা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কিছু কথা, ভাবনা প্রচার করা হয় যাতে নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। ফুকোর ভাষায় ‘আধুনিক ক্ষমতা শুধু দমন বা অত্যাচার করে না। কোনটা সঠিক, কোনটা সত্য, কোনটা উচিত, কোনটা উচিত নয়, সেটিও নির্ধারণ করে দেয়’।
১১| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এসে মেয়েরা অবহেলিত।
আমার নিজের চোখে দেখা একটা শিক্ষিতা মেয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে। অথচ সাথে করে নিয়েছে বাবা বা চাচাকে। একা সে ইন্টারভিউ দিতে যেতে সাহস পায় না। তাহলে বুঝুন সমাজের অবস্থা।
২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঘরের বাইরে(ক্ষেত্রে বিশেষ ঘরেও) নারী ভীষণ একা। বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে গিয়ে নারীকে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হয় নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির।
১২| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: মেয়েরা কেমন জামাই চায়?
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এই বিষয়ে আপনার কাছ থেকে একটা লেখা আশা করছি খাঁজা বাবা।
ধন্যবাদ
১৩| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে ’ কথাটি বিংশ শতাব্দীতে মেনে নেয়া খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার।
কোন নারীর পক্ষে সংসারে একা সুখ বয়ে আনা সম্ভব নয়, এ ব্যাপারে আশা করি সবাই আমার
সাথে একমত হবেন। অনেকে আবার বলবেন যে "সংসার সুখের হয় পুরুষদের টাকর গুনে।
এটাও অসম্ভব কারন আপনারা অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন যে কারি কারি টাকা উপার্জন
করেও অনেক পুরুষেরা সংসারে সুখ বয়ে আনতে পারে না। সংসারে সুখ আনতে হলে নারী -
পুরুষ দুজনের গুনেই তা কেবল সম্ভব। তাই বলুনঃ
সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে যদি গুণবান পতি থাকে তাঁর সনে
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১:২৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নূরু ভাই, ভালো থাকবেন।
১৪| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঘরের বাইরে(ক্ষেত্রে বিশেষ ঘরেও) নারী ভীষণ একা। বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে গিয়ে নারীকে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হতে হয় নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির।
আমিনারীদের সম্মান করি। ভালোবাসি। এমন কি আমাদের ঘরে যে মেয়েটা সুরভিকে ঘরের কাছে সহযোগিতা করে তাকেও আমি সম্মান করি। শ্রদ্ধা করি।
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১:২৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন রাজীব ভাই
১৫| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: এই সমাজ, বিশেষ বাঙালী মুসলিম সমাজ মেয়ে হিসাবে চায় এমন কাউকে যে পুরুষের কর্তৃত্ব মেনে নিবে এক বাক্যে । তারা এমন মেয়ে যায় যে নিজেদের ইচ্ছে আকাঙ্খা বিষর্জন দিবে পুরুষের ইচ্ছার কাছে । মোট কথা পুরুষ যাবে সেটা যদি মেয়েটা নেমে নেয় তাহলেই সে ভাল মেয়ে, নয়তো সে মেয়ে ভাল নয় !
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১:৩২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নারীকে নিজের অস্ত্বিত্বের ভার নিজে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তাকে কখনো বোঝানো হয় না। তাই সে সানন্দে নিজেকে অর্পন করে অন্যদের সুরক্ষা, প্রেম, সহায়তা ও তত্ত্বাবধানের কাছে, সে কিছু না করে আত্মসিদ্ধির আশায় মোহিত হয়।
১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
আফরোজ ন্যান্সি বলেছেন: আমাদের ঘরে বাইরে এসবই ঘটছে প্রতিদিন
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধীরে হলেও পরিবর্তন আসছে...
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: সমাজ সামাজিক মেয়ে চায়