নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
দুপুরে খাওয়ার সময় পিতৃদেবকে জিজ্ঞেস করলাম, আব্বু আলমারির কোন ড্রয়ারে তুমি টাকা রাখো? আব্বু খুব স্বাভাবিকভাবে জানতে চাইলেন, কেন? আমি তৎক্ষনাত উত্তর দিলাম- চুরি করবো। রিখটার স্কেলে ৭মাত্রার ভূমিকম্প হলে সবকিছু যেমন নিস্তব্ধ হয়ে যায়; সবাই চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, যেন আমি 'মানি হেইস্ট' সিরিজের মূলচরিত্র। সে যাই হোক, আব্বু বললেন, কত টাকা লাগবে। আমি দ্বিগুন উৎসাহে বললাম, ব্যাপারটা লাগবে'র না, ব্যাপারটা হলো আমার বন্ধু-বান্ধব সবাই বাপের পকেট থেকে টাকা চুরি করছে; এমনকি আমার ছাত্র-ছাত্রীরাও করেছে। শুধু মনে হয় আমিই করিনি। আব্বু হাসিহাসি মুখে বলে দিলেন, আলমারির বাম দিকের দ্বিতীয় ড্রয়ারে। ঠিক সেই সময়ে অতর্কিত আমার মা-জননীর চিরুনী অভিযান শুরু। আগেই বলেছি আমার মাজননী আমার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতায় তিলকে তাল বানায়, সেই তাল চটকে তালের বড়া বানায় এবং শেষপর্যন্ত আমাকেই সেই বড়া খেতে বাধ্য করেন। তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সুরে শুরু করলেন তার মূল্যবান বক্তব্য- এখন বাপের টাকা চুরি করবা, কয়দিন পরে বলবা আম্মু তোমার গয়নার বাক্সটা কোথায়; আমার এখন গয়না চুরি করতে ইচ্ছে করতেছে। মানুষের ছেলেমেয়ে দিনে দিনে ভদ্র সভ্য হয়, মানুষ হয় (ক্ষেত্রবিশেষ রাষ্ট্রপতিও হয়) আমি হচ্ছি বেয়াদব! অথচ মাস ছয়েক আগে আমার কম্বলের নিচে শুয়ে এই মাতৃদেবী বলেছিলেন, তোমার সবকিছু তোমার আব্বুর কপি। চেহারা, কথা-বার্তা, বিবেক-বুদ্ধি, ধৈর্য-সম্মান সব। আর আজ আমি কী হলাম? বেয়াদব! আচ্ছা কোন সিরিজের নায়িকা সব থেকে বেশি পাল্টি খায় আপনারা জানেন?
আমার পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে বাবা-মা জন্য সারপ্রাইজ শপিং ডে থাকে। সন্তান বড় হলে তাদেরও তো কিছু করার আছে। তো এই রকম শপিং-ডে আসলে সেইদিনই আমার আব্বুর বাইরে যাওয়ার মুড থাকে না। ঐদিন দুপুরে না ঘুমালে তাঁর হবেই না। করোনা সংকটের আগে শেষ সারপ্রাইজ শপিং ডে গেছে জানুয়ারী মাসে। দুপুরে খাবার টেবিলে বললাম, আব্বু-আম্মু আজকে আসরের নামাজ পড়ে আমরা শপিংয়ে যাবো। আব্বুর সেই বিখ্যাত রেস্ট নেয়ার বাহানা। আর মা-জননী? আমার মধ্যবয়সী মাজননী মূহূর্তে কিশোরি হয়ে যায়। আব্বুর দিকে তাকিয়ে, এই লোকটার নিজেরও কোনো সাধ আহ্লাদ নাই, অন্যদের ব্যাপারেও তাই। আমার বাপ অবাক হয়ে তাকিয়ে ভাবে, ‘যার তিন-তিনটা ছেলে মেয়ে সেই মহিলার সাধ-আহ্লাদ অপূর্ণ থাকলো কোথায়!’
আব্বুর পেটে একটা লাল তিল আছে। ছোট বেলায় আমার সমস্ত বিস্ময় ছিলো এই তিলটা। খব ছোট্টবেলা বাপের পেটের উপর শুয়ে শুয়ে খেলা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক রুটিন। জীবনের সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমি বাবার হাত ধরে গেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিভাগ এবং হলের তিন্প্রস্থ স্লিপটা আব্বুর হাতে পূরণ করা। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে জনতা ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার সময়ও আব্বু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সারাক্ষণ। আমি ক্যাডেটে পরীক্ষা দিয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে আব্বুর কেন জানি মত বদলে গেলো ভর্তি করা্লেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপর চুপিচুপি বলেছিলেন চেষ্টা করে দেখতো শিক্ষক হতে পারো কিনা। বিসিএস এর প্রলোভন জয় করে শিক্ষক হয়ে স্বীকার করছি শিক্ষকতা পেশায় না আসলে জীবনটা বোধহয় অপূর্ণ-ই থেকে যেত। আব্বু সবসময় বলেন আমার ছোট মেয়েটার (আমি) খুব পড়াশোনার শখ। ও যতদূর পর্যন্ত পড়তে চায়, ওকে আমি পড়াবো। এবার বুজচ্ছেন তো, আমার মেরুদন্ডটা এত শক্ত কেন?
‘হেমলোক সোসাইটি’ সিনেমায় নায়িকা কোয়েল তার বাবার সাথে থাকে না, কারণ কোয়েলের মায়ের মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন। কোয়েলের বাবা সেখানে খুব সুন্দর একটা ডায়ালগ দিয়েছেন, ‘বঙ্গ সমাজে সন্তানরা বাবা-মাকে নিজেদের সম্পত্তি ভাবে। অথচ তারা ভুলে যায় বাবা-মায়েরও নিজস্ব একটা জীবন আছে। এবং সেই জীবনে তাদেরও সঙ্গ/সঙ্গী দরকার হতে পারে’। ডায়ালগটা আমার খুব প্রিয়। যেমন প্রিয় কবির সুমনের গাওয়া ‘যতবার তুমি জননী হয়েছো ততবার আমি পিতা, কত সন্তান জ্বালালো প্রেয়সী তোমার আমার চিতা। বারবার আসি আমরা দু’জন বারবার ফিরে যায়, আবার আসবো আবার বলবো শুধু তোমাকেই চাই’।
আনন্দ-আবদার ছাড়া আমি, অনেকটা চিনি ছাড়া চায়ের মতো। সবসময় আব্বা-আম্মাকে মনে করিয়ে দিই আমি তাদের একমাত্র ছোট্ট মেয়ে। জানুয়ারীতে বাসা থেকে আসার দিন দুয়েক আগে দুপুরে খাবারের টেবিলে বললাম, ঢাকা ফিরে গেলে আমার কলিগরা জিজ্ঞেস করবে, আংকেল আপনাকে কী কিনে দিলো আমি কী বলবো আব্বু? আব্বু ভাত মাখা বন্ধ করে অবাক হয়ে বললেন কী বলবা! আমি বললাম সেটাই তো জানতে চাচ্ছি, আমি তাদেরকে কী উত্তর দিবো। আব্বু বললেন আচ্ছা ভেবে দেখি। বিকেলে আম্মুকে বললেন, আমার ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে আড়ং থেকে একটা ড্রেস কিনে নিয়ে আসো। আমি বললাম, আর গোলাপী রঙের জুতা? আচ্ছা একজোড়া জুতাও কিনে দিও।
প্রতিবছর বাবা দিবস আসলে সবাই দেখি সোস্যাল মিডিয়াতে বাবার সাথে ছবি দিয়ে খুব ভালো ভালো কথা লিখেন। অথচ কজন সন্তান বাবার হৃৎপিন্ডের আওয়াজ শোনার জন্য তাঁর বুকে কান পাতেন? বাবাদের বুকের মধ্যে না বলা অনেক কথা থাকে, শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করা তার সাথে সোস্যাল মিডিয়াতে ছবি দেয়ার চেয়েও জরুরি। নিজের অর্জন-উপার্জন দ্বারা বাবাকে সম্মানিত করুন। স্রষ্টার মানবিক সত্ত্বা হয়ে যিনি আমাদের আগলে রাখেন তাঁর জন্য জীবনের সেরাটুকু করা চাই-ই চাই।
বি. দ্র. ছবিটা খুব মন ছুঁয়েছে। Memorio এর পেজ থেকে নেয়া।
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি থাকছেন স্যার!
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আহারে, ব্যান্ডেজ এর অভাবটা বোধ করছি!
৩| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
ঢাবিয়ান বলেছেন:
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন:
৪| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: হেমলক সোসাইটি মুভিটা দেখেছি। মুভি টা ভালো লাগে নি।
পোষ্ট চমতকার হয়েছে।
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই!
৫| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাবাকে নিয়ে নান্দনিক উপস্থাপনা।
তবে সব বাবার কপালে এমন সুখ
জোটেনা। তাইতো সম্রাট শাহজাহান
পুত্রের দেয়া জেল হাজতে আক্ষেপ করে
সকল পিতাকে বলেছিলেন,
"তোমরা না খেয়ে সন্তানদের খাইয়োনা,
সন্তানদের কষ্টে যদি তোমাদের চোখে
পানি আসে তবে চোখ উপড়ে ফেলো।"
কি নিদারুন যন্ত্রণায় এই মর্মস্পর্শী আহাজারী
যা ভাবলে আজও চোখে পানি আসে!!
কোন সন্তানই যেন বাবার এমন কান্নার কারণ
না হো্ন বাবাকে বিদ্ধাশ্রমে যেন মরণ যন্ত্রণা ভোগ
করতে না হয়। বাবা দিবসে সন্তানদের প্রতি এটি আমার
অনুরোধ।
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: চার ছেলের জন্য একটা মসনদ, প্রত্যেকের লক্ষ্য বস্তু ছিলো সিংহাসন!
লড়াই, লোভ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মানুষকে অন্ধ করে দেয়।
প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মতো নির্মততা আর কী কোথাও আছে?
৬| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৮
মিরোরডডল বলেছেন: শুরু করলাম পড়তে আর মনে হল এখনই শেষ হয়ে গেলো !
আরও কেনো কনটিনিউ হলোনা । ভালো লাগছিলো বাবা মেয়ের সম্পর্কের বন্ধন ।
অনেক সুইট ।
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল। প্রার্থনায় রাখবেন।
৭| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাবার আদরের মেয়ে ।
সুন্দর।+
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ।
আল্লাহ তায়ালা'র কাছে অনেক শুকরিয়া।
ধন্যবাদ সেলিম ভাই, ভালো থাকবেন।
৮| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের অনুচ্ছেদটা কয়েকবার পড়লাম!!!
“ক’জন সন্তান বাবার হৎপিন্ডের আওয়াজ শোনার জন্য তাঁর বুকে কান পাতেন? বাবাদের বুকের মধ্যে না বলা অনেক কথা থাকে, শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করা তার সাথে সোশাল মিডিয়াতে ছবি দেয়ার চেয়েও জরুরী”- এত্ত ভাল লাগলো এ কথাগুলো! শুধু এর জন্যই পোস্টে প্লাস না দিয়ে পারলাম না।
নিজের অর্জন উপার্জন দিয়ে বাবাকে সম্মানিত করুন - নিজের জন্য শার্ট-প্যান্ট, জুতো-স্যান্ডেল, পাজামা-পাঞ্জাবি কেনা যে কবে থেকে বাদ দিয়েছি, মনেই পড়ে না। বিভিন্ন দিবস এর ছুতো-ওসিলায় ছেলেরা এসব দিতেই থাকে, দিতেই থাকে। সবচেয়ে পুঁচকোটাও বড় দুটোর চেয়ে কোন অংশে কম যায় না।
বাবা দিবসে অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে। লিখতে শুরু করলে মনে হয়, আমার মত একজন স্ট্রিক্ট ডিসিপ্লিনারিয়ান বাবার কড়া শাসনের যাঁতাকলে মানুষ হয়েও তো ছেলেরা আমাকে কম বোঝে না, কম ভালবাসে না। কেন, এ কথা ভাবতে বসলে আমার চোখে জল আসে!
আমার স্পষ্ট মনে নেই, কিন্তু খুব করে মনে হয় যে বছর পাঁচেক আগে আমি গুগল সার্চ করে কী যেন খুঁজতে গিয়ে এই ব্লগের সন্ধান পেয়েছিলাম, এবং তখন আপনার একটা পোস্ট পড়ে অভিভূত হয়ে সেদিনই রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম।
আচ্ছা, আপনি কি কখনো শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনের কুকুর প্রীতি নিয়ে কোন পোস্ট লিখেছিলেন?
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জনাব খায়রুল আহসান, প্রথমেই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা।
আমার বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত বিচারক। তিনি কড়া ডিসিপ্লিনের নন বলেই হয়তো, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে শাসন-বারণের দায়িত্ব ছিলো আমার মায়ের। আব্বু আমাদের কাছে অবারিত স্বাধীনতা, সহজ-সরল মানুষ। আমাদের ছোট্ট চাওয়াগুলোর বড় আয়োজন।
মনে পড়ছে কলেজে পড়ার সময় আব্বু আমাকে প্রথম শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন নিজে সাথে করে নিয়ে গিয়ে (বান্ধবীর হলুদ ছিলো)। আমি রাত জেগে পড়ি বলে ফ্রিজ থেকে এটা সেটা বের করে এনে সামনে ধরে খাওয়ার জন্য। আব্বু আমাকে কমলার খোসা ছাড়িয়ে দেন, আর আমি তাঁর জন্য চা/কপি বানিয়ে দিই।
আপনার লেখা পড়ে যতটুকু জেনেছি, আপনার তিন ছেলে। 'নৌকাডুবি' চলচ্চিত্রে বাবা-মেয়ের কিছু কনভার্সেশন আছে, আমার ধারনা কথোপকথনগুলো আপনার ভালো লাগবে। বাবার কাছে থেকে যে মূলবান শিক্ষা আমাকে সবথেকে বেশি আলোকিত করেছে সেটা হলো, ' জীবনের সব পরিস্থিতিকে সহজ করে নেয়া'।
শ্বশুরবাড়ী নিয়ে আমার কোন পোষ্ট নেই। কারণ শ্বশুরবাড়ী সম্পর্কিত আমার কোনো অভিজ্ঞতা এখনো হয়নি।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। বাবা'র মতো করে সব ব্লগারকে আগলে রাখবেন, সবসময়।
৯| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একরাশ ভালো লাগার ভালোবাসা ।
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই!
১০| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৯
সাইন বোর্ড বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল, অনবদ্য লিখেছেন !
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সাইন বোর্ড!
১১| ২২ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৩৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাবা দিবসের কোন পোস্টে ঢুকবো না। কিন্তু এটাতে ঢুকে গেলাম। বছর দুই হয় মেয়ের বাবা হয়েছি, তারই প্রভাব হয়তো
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাহ্ , শুনে খুব ভালো লাগলো যে আপনি কন্যা সন্তানের বাবা।
আরও কিছু বছর পর দেখবেন, কন্যার বাবা হওয়া কত্ত প্রেসিয়াস!
কন্যার জন্য আদর রইলো।
১২| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই!
বোন আপনি তো আমার পোষ্ট কখনও পড়েন না। মন্তব্যও করেন না। এটা আমার জন্য দুঃখজনক।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
আপনি তো অনেক মুভি দেখেন-
# সুদক্ষিনার শাড়ি
# কেদারা
# জামাই এলো ঘরে
# শাহজাহান রিজেন্সী
# সাত নম্বর স্যানাল
মুভি গুলো দেখেছেন?
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দুঃখ পাবেন না রাজীব নুর। আমি ভাই এক এলেবেলে ব্লগার (যদিও সত্যিকার অর্থে এখনো ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি)।
আপনার সব লেখা হয়তো পড়িনি, তবে কিছু কিছু তো অবশ্যই পড়েছি। মন্তব্য করেছি দুইটা লেখায়।
যারা রোজ লেখে, সব পোষ্টে মন্তব্য করে তাদেরকে আমার পেইড ব্লগার মনে হয়। 'পেইড' শব্দটার সাথে শৈল্পিক অনুভূতির চিরকাল বিবাদ বিরাজমান।
সুদক্ষিনার শাড়ি দেখেছি। কনসেপ্ট দুর্দান্ত! তবে, শ্রীলেখা মিত্রের অতি অভিনয়ে বিরক্ত হয়েছি। জোড়াতালি দেয়া দুর্বল সিনেমা।
শাহজাহান রিজেন্সী, প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। শংকরের 'চৌরঙ্গী' পড়ে যে চরিত্রের জন্য আমার মন কেমন করেছে; সেই চরিত্রের এত বাণিজ্যিক উপস্থাপনায় বিবমিষা জেগেছে। তবে গানগুলোর কিছু লাইন খুব ভালো। 'দেখেছি তোমার মুখ সমস্ত উপকথা খুলে' কিংবা 'বলো না রাধিকা তাকে, যেও না যেও না প্রিয়; চলে যেতে যায় সে যদি, চলে তাকে যেতে দিও'।
বাকি তিনটা দেখা হয়নি। তবে আপনি যেহেতু নাম উল্লেখ করেছেন, দেখবো বলেই আশা রাখছি।
১৩| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
বাবা সম্পর্কে - হৃদয় ছোঁয়া লেখা।
বাবা বাবাই।বাবা-মেয়ে উভয়কে একরাশ শুভেচছা।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোহামমদ কামরুজজামান!
বাবা-মেয়েকে প্রার্থনায় রাখবেন।
ভালো থাকুন।
১৪| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেষ প্যারাগ্রাফে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করি সব সন্তানেরা এটা উপলব্ধি করবে ও মানার চেষ্টা করবে। বাবা মা মারা যাওয়ার পর তাদের অবদান আরও বেশী বোঝা যায়।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর!
শেষ প্যারাগ্রাফ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
১৫| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টটা পড়ে একজন স্নেহশীল বাবা ও তার অতি আদরের ছোটো মেয়ের মমতা-মাখানো সুন্দর 'মন' দেখতে পেলাম। মেয়ের ব্যাপারে মায়ের ডায়গলটাও ভালো লেগেছে- তোমার সবকিছু তোমার আব্বুর মতো....
আমার স্ত্রী যখন আমার বড়ো ছেলের উদ্দেশে বলে- একজন দাদার মতো হইছে, এটা আমাকে প্রভূত আনন্দ দেয়। আবার মেয়ের উদ্দেশে যখন বলে, একদম বাবার মতন- এটাও আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। 'আমি' সত্তাটাই মূল। বাবার মতো বা দাদার মতো ইত্যাদি বলে প্রকৃতপক্ষে আমরা আমাদের 'আমি'ত্বকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
পোস্টটা ভালো লেগেছে। আপনার বাবা, মা ও আপনার প্রতি শুভেচ্ছা থাকলো। পৃথিবীর সকল বাবার সন্তানেরা তাদের বাবাকে জীবদ্দশায়ই বুঝতে শিখুক, এই কামনা থাকলো।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই!
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা।
১৬| ২২ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
অক্পটে বলেছেন: কিছু কিছু কথা আছে যা মনে অনেক আনন্দ দিয়ে যায়, যেমন মায়েরা যখন বলেন 'তুমি তোমার বাবার স্বভাব পেয়েছে'। মায়েরা যখন বাবার সাথে বলেন যে 'তোমার মেয়েটা/ছেলেটা ঠিক তোমার মতো করেই ভাবে, আমার খুব ভালো লাগে'।
লেখাটি পড়ে খুব ভাল লাগল। শেষ প্যারাটি এই লেখার মরাল। খুবই গুরুত্বপূর্ণ!
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ অকপটে।
নিরাপদে থাকুন সবসময়।
১৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৭
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আন্টিকে ধন্যবাদ!!!
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার আন্টি আপনাকে বাসায় কোর্মা-পোলাও-রোস্টের দাওয়াত দিছে।
ভাবছি, প্রমোশন পাওয়ার জন্য আপনাকে যে উপহারটা দিতে চেয়েছিলাম সেটা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করবো।
১৮| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী আদুরে লেখা বাবার একমাত্র ছোট মেয়ের !!
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যাবাদ মনিরা সুলতানা আপু!
১৯| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
ক’জন সন্তান বাবার হৎপিন্ডের আওয়াজ শোনার জন্য তাঁর বুকে কান পাতেন? এর চে' নিঠুর সত্য আর হয়না!
বাবাদের বুকের মধ্যেও যে না বলা অনেক কথা থাকে, শোনার এবং বোঝার চেষ্টা আমরা ক'জনই বা করি? খালি তার বুকপকেটের ওজনটা বোঝার চেষ্টাই করি শুধু!
বাবার দু্ইমাত্র ছোটমেয়ে থাকে কি ?
ঝরঝরে লেখা, আপনার লেখার বৃষ্টিধারা যেমন অবিরল ঝরে........................
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আহমেদ জী এস,
নারে ভাই, বাবার দুই মাত্র ছোটমেয়ে থাকে না। তারপরও এটা আমার পেটেন্ট করা ঢং!
আমার বড় বোনের দুই ছেলেকে যেমন আমি নিজস্ব নামে ডাকি, বড়জনকে বলি 'ডালিম কুমার', আর ছোটজনকে বলি 'লালমিঞা'!
অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
২০| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:৫৭
সোহানী বলেছেন: হয়তো সবাই শুনতে পায় না কিন্তু আমি তাদের দলে না। হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রতিমুহুর্তে বাবার হ্ণদয়ের ধ্বনি শুনতে পাই। সে সাথে নিজের কষ্টের টুংটাং শব্দগুলো ও শুনতে পাই। "আমি আছি সবসময়ই তোমার পাশে"....... এ বাক্যটাই আমার অনেক অনেক বড় শক্তি জীবনে এগিয়ে যাবার।
২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আংকেলের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
সন্তানের ভালোবাসাই পারে বাবা-মাকে সবথেকে ভালো রাখতে।
ভালো থাকবেন আপু, বাচ্চাদের জন্য আদর!
২১| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৬
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আন্টির কাছে বিচার দেবো!
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দাও গা, যাও
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।