নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
‘হৃদয়ে ক্ষত- তা তোমার কারণেই
তাই, তুমিই সেলাই করে দেবে-
বিনা মজুরিতে।
কিছু নেই এমন যা দিতে পারি তোমাকে;
ঠান্ডা মাথায় দেখেছি অনেক ভেবে!
যদি নাও দাও তবে থাকুক এ ক্ষত
এ ও এক ভালো!
তোমাকেই গেথে দেবো কবিতার শরীরে
প্রতি রাতে বিনা মজুরিতে বিনা শর্তে'
এবারের বর্ষাকালটা বেশ জেকে বসেছে। কিছু ঘুড়ি ওড়ানো বিকেল আর কৃষ্ণচূড়া সন্ধ্যা পেরিয়ে; এমনি এক বর্ষায় ছেড়া টুকরোর মতো ভেসে গিয়েছিলাম আমরা। আমরা মানে আমি এবং শাহেদ। কথাবার্তা আচারে পোশাকে শাহেদ এখন পুরোদস্তুর শহুরে মানুষ। অথচ শাহেদ আমার কাছে পশ্চিম দিগন্তের মেঘলা সূর্যাস্ত। শাহেদের অভাববোধটাকে মাঝে মাঝে নেশার মত মনে হয়, মিটিয়ে না দিয়ে টিকিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে। কেবল নিজের ভাবালুতাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে হৃৎপিন্ডের প্রতি না জানি কত অবিচার করছি। অথচ মানুষের মন ছাড়া শূন্যতাও শূন্য।
এক একটা দিন তো নিজেকেও দেখা দরকার। এক একদিন বাইরের কোনো দৃশ্য না দেখলে নিজের ঘরটাই পৃথিবী হয়ে যায়। মানুষকে তো কখনো না কখনো নিজের মনের দিকেও তাকাতে হয়। তখন যার কথা সবথেকে বেশি মনে পড়ে তার নাম শাহেদ। শাহেদের চিন্তা এক হিসেবে নিতান্তই অর্থহীন, বিপজ্জনকও বটে। আবার তাকে চিন্তা থেকে মুছে ফেলবো ভেবেও মোছা হয় না। মানুষের মন তো আর স্লেট নয়! বড় অসময়ে এসে, বসে থাকে অচেতন ভুবনে…। কৈশরের সেই পুরনো মফস্বল শহরের মতো আমি শাহেদকে অনুভব করতে পারি, একেবারে নিজস্বভাবে। সবসময় আমাদের মধ্যে অদৃশ্য একটা বিনিময় প্রথা চলে, ভুলে থাকবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত সেটা ভঙ্গ করে ফেলি। একে অন্যের ভাবনা জুড়ে থাকি। পৃথিবীর দু'প্রান্তের দুজন মানুষ হয়েও আমরা অনুভবই করি না যে আমাদের মাঝখানে তারিখ বদলে গেছে। খানিকটা অপরাধবোধ, খানিকটা দুর্বলতা, এবং খানিকটা অধিকারবোধ ; সব মিলিয়ে এ যেন এক অদৃশ্য বন্ধন!
মধ্যবিত্ত ভিরু প্রেমিক শাহেদের শব্দহীন সবল অস্বীকারটা গুনে গুনে দশবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছে। তার কাছে এর নাম প্রস্থান হলেও সেটা আমার কাছে- আমার জীবনের দশটা বছর! সময় ভেসে যায়, ভেসে যায় অচেনায়। কেউ যখন ইচ্ছে করে হারায়, বড় বেশি হারিয়ে যায়। শাহেদের ঠিক অতটা দোষও নেই, হয়তো তার মনের মাপটাই ছোট। 'মন খারাপেরও একটা ব্যথা আছে। সে ব্যথার গায়ে হাত বুলিয়ে সারিয়ে নেবো, এমন সাধ্য আমার নেই।' কোনো কোনো জিনিস একেবারে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেলেও সারাজীবন মনে থাকে। এই যে শাহেদের সেলফোন নম্বরটা। মোবাইল স্ক্রিনে নম্বরটা টাইপ করে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ, যেন তাতে লেখা আছে অনেক দিনের ইতিহাস।
ভালোবাসা যেখানে নেই সেখানে হাজারবার খুঁজলেও তা পাওয়া সম্ভব নয়। নির্বাসিত মন অভিমান করে মহাসমুদ্রের ওপারের মানুষটার দিকে ফিরে তাকাতে চায়না আর। যারা সহজে অনেককিছু ভুলে যেতে পারে, তারাই বুঝি জীবনে সার্থক হয়। মানুষকে অপমান করে, দিনের পর দিন অবহেলা দেখিয়ে তারপর একবার ক্ষমা চাইলেই হলো! জীবনের একটা সময়ে এসে আমরা হয়তো হেরে যাওয়াতে ভালোলাগা খুঁজে নিতে শিখে যাই। কিছু মুহুর্তকে হাতের মুঠোয় করে সারা জীবনের না পাওয়াকে ভুলে থাকতে শিখি। পরিকল্পিত প্রত্যাখ্যান গুলোর কথা মনে করে চোখের কোণায় আঙ্গুল রাখি। অন্তর্মুখি মানুষদের বেদনা অপার...
'অনেকদিন হলো দেখি না
জানি না কুশল সংবাদ অথবা তুমি কেমন আছো
শুধু মাঝে মাঝে মনে হয়
আমি যেমন বেঁচে আছি, তুমিও কী তেমন বিচ্ছিরি ভাবে বাঁচো?'
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উপেক্ষিত ভালোবাসা অপরিসীম কষ্টের সন্চার করে, জীনটাকে হতাশায় ভরে দেয়।
১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাই নাকি?!
জানতাম না তো।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৫১
রাফা বলেছেন: সঠিক কথা ভুলে যাওয়াতেই লুকিয়ে আছে সফলতা। ভালো কথা এই অতিনটা কে⁉️
একটা সময়ে এসে আমরা হেরে খাওয়াতে না মনে যাওয়াতে হবে । জানি এটা অনিচ্ছাকৃত।
ধন্যবাদ, না. নন্দিনী।“
১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভোর রাতে নোটবুকটা ওপেন করলাম শুধু এই টাইপোটা ঠিক করতে, আর তার মধ্যেই আপনার মন্তব্য!
অতীন কে?
অতীন ...
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর তো।
শুভ কামনা সব সময়।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৪৯
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: পাঠকের কাছে যখন মনে হয় এই লিখাটা একান্তই আমার জন্য,সত্যিকার অর্থে একজন লেখকের সার্থকতা সেখানেই......
"আমি যেমন বেঁচে আছি, তুমিও কি তেমন বিচ্ছিরি ভাবে বাঁচো?" লাইনটা অনবদ্য......
ভালো লাগা জানবেন।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ, অসংখ্য ধন্যবাদ!
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রতিটা লাইন কবিতার একেকটা পঙ্ক্তির মতো। অসাধারণ।
আমি খুব ঘুড়ির পোকা ছিলাম। বর্ষায় কিন্তু ঘুড়ি উড়ানো যায় না। কৃষ্ণচূড়াও কি বর্ষায় ফোটে?
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বসন্ত আর গ্রীষ্মের সুন্দর সময়কাল কাটিয়ে বর্ষায় একে অন্যের জীবন থেকে দূরে যাওয়ার সময়ক্রমটা বোঝাতে চেয়েছি।
ঘুড়ি ওড়ানো আমার কাছে বেশ উপভোগ্য মনে হয় (যদি আমি ঘুড়ি ওড়াতে পারি না)।
কৃষ্ণচূড়া বসন্ত আর গ্রীষ্মজুড়েই তো আমার চোখে পড়ে। আমার ভীষণ প্রিয়!
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: দেখে আসতে পারেন। টিপ নিয়ে লেখা যুগ্ম কবিতা।
কবিতাঃ কপালে টিপ
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কবিতাটা বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ নীল আকাশ!
৮| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আবেগ। আবেগ ভরা লেখা।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিবেক। বিবেক সচল করে পড়ার জন্য লেখাটা।
ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার মত মধ্যবিত্ত আরও অনেকের মাঝেই অতীন বাস করে। এজন্য পড়তে পড়তে কখন যেনো নিজেকেই অতীন মনে হচ্ছিলো। সুন্দর লেখা। অবশ্য এই লেখা আসার কথা বলেছিলেন আরও ১০দিন আগে...
বাই দ্য ওয়ে, সুরা ইয়াসিন ছাড়াও আরও পাঁচ যায়গায় কুন ফা-ইয়া কুন ফ্রেইজটা এসেছে।
১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: লেখা পড়ে কি দশদিনের ১০ দিনের 'ডিলেইড সাবমিশন' ভুলে যাওয়া যায় না?
গত দশদিন নানা পেরেশানিতে ছিলাম।
আমার কেন জানি সূরা ইয়াসিনের এই আয়াতে আসলে মনটা অনেক বেশি আদ্র লাগে। তাই এই অংশের উল্লেখ।
১০| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ভুলে যাওয়া রোগ আছে। এটা আমার জন্য উপকারি বলে মনে করি আমি। আপনার লেখার শেষাংশের সূত্রে বললাম।
আপনি 'কুন ফাইয়াকুন' এর অর্থ বলেছেন 'যা হচ্ছে তা হতে দাও' এটা ঠিক না। এর অর্থ `হও' তখনই তা হয়ে যায়। অর্থ পরিবর্তন করে ফেলেছেন আপনি। দয়া করে ঠিক করে দিয়েন।
তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, `হও' তখনই তা হয়ে যায়। [ সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৮২ ]
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি যেখান থেকে অর্থটা পড়েছিলাম সেখানে যেভাবে লেখা ছিল সেভাবেই লিখেছি।
ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর। ভালো থাকুন।
১১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: পোস্ট পড়ে নিজেকে অতীন ভাবলাম।
লিখকের স্বার্থকতা এতেই।
অনবদ্য ছিল।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অতীনের সংখ্যা দেখছি নেহাত কম নয়!
ভালো থাকুন তারেক ফাহিম।
১২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তুমি তোমার মত বাঁচ
আমি আমার মত বাঁচি
তবুও কোথায় যেন আছি
তুমি-আমি কাছাকাছি।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাহ! দারুন তো।
ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার।
১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: বিবেকটাকে সব সময় জাগ্রত রাখতে চেষ্টা করি।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অর্ন্তমুখি মানুষের বেদনা অপার যথার্থ বলেছেন
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই!
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৩
তোমার জন্য শুধু বলেছেন: বাহ্ ! দারুন লেখা তো !! ... ভীষণ স্পর্শ করে গেল আমাকে। ....
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখা পড়ে কি দশদিনের ১০ দিনের 'ডিলেইড সাবমিশন' ভুলে যাওয়া যায় না?
গত দশদিন নানা পেরেশানিতে ছিলাম।
জ্বী, ভুলে যাওয়া গেলো। আশা করি পেরেশানি মুক্ত হয়েছেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ৯ বছর ধরে রোজ যে ল্যাপটপটা ব্যবহার করতাম, সেটা ক্রাশড! নতুন একটা এই করোনাকালীন সময়ে কিনে আনতে হয়েছে। পুরনোটার মায়া ত্যাগ করতে পারিনি। সাথে নানা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট চির বিদায় নিয়েছে। কোনো ব্যকআপ রাখিনি।
এবার আপনিই বুঝে নিন, পেরেশানি মুক্ত হতে পেরেছি কিনা...
১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। বছর দুয়েক আগে আমার স্মার্টফোনটা হারানোর দুঃখই এখনও ভুলতে পারিনি.... আর ল্যাপটপতো আরও বিশেষ কিছু! আমার ওই ফোনেও আমার বিয়ের সময়ের বেশকিছু ফটো ছিলো... এমনকি বোকার মত নাম্বার সেভ করেছিলাম ফোনসেট-এ, ওগুলোর উদ্ধারপ্রক্রিয়া অদ্যাবধি চলছেই।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যার যায় সে ছাড়া এই মর্ম বোঝা কঠিন!
১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
এ যেন এক সযত্ন সৃজিত নির্জনতার ইচ্ছেপদ্ম। নান্দনিক!
"হৃদয়ে ক্ষত- তা তোমার কারণেই." পূর্ণেন্দু পত্রীর এমন কথার সাথে মিল রেখে ক্ষতের মতো কাঁচপোকার লাল টিপ পরিয়ে দিয়েছেন লেখাটির কপালে সযত্নে।
মনের ঝুল বারান্দায় অন্ধকারের মতো যে আশাটুকুর কথা এখানে অনুচ্চারিত তা পূর্ণেন্দুর কথাতেই বলে যাই --
"সকল দুয়ার খোলা আছে
নিমন্ত্রণ লিপি গাছে গাছে
গাঢ় চুম্বনের মতো আকাশ নদীর খুব কাছে
রোদে ঝলোমলো।
কখন আসছ তুমি বলো ? "
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তোমাদের শহরে বৃষ্টি নামে, রেলগাড়ি চলে?
সাহিত্যে আপনার দখল প্রশংসনীয়। প্রতিউত্তর দিতে গিয়ে ১০১ বার ব্যকস্পেসে যেতে হয়েছে।
১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
"তোমাদের শহরে বৃষ্টি নামে, রেলগাড়ি চলে?"
সেখানে ছিলো নাও, ছিলো ঘাট, পারাপারের মাঝি
ছিলো উদোম বুক, জলে আদ্র নীলিমার ছবি
ছিলো ঢেউ, উথাল পাতাল ছিলো ভালোবাসা
দু’দন্ড জিরোবার ঠাঁই । বসে থাকা চুপচাপ, সবই
ছিলো, জলের আঁচলে তোলা ছিলো কচুরীর ফুল
সেই কোথা থেকে ভেসে ভেসে আসা !
বসন্ত বাতাসও ছিলো, ছিলো পালে লাগা হাওয়া
আমারি বুকের ভেতর ছিলো আসা-যাওয়া
তার, নি-আঁচল শরীরে ছিলো নিমোর্ক তরী বাওয়া
একদিন ।
( আহমেদ জী এস এর কবিতা থেকে )
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'অতটা গভীরে যেও না নন্দিনী-ভেতরে নিখাদ সুখ নেই,
আছে কেবল সুখ নিঃসৃত নির্মোহ যাতনা;
আর যাতনা মানেই তো আলোড়িত সুখের সারসত্ত্বা!'
আপনার কাব্য প্রতিভায় মুগ্ধ হলাম...
২০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চমৎকার পোস্টে ভালো লাগা।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ গোফরান
২১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অথচ মানুষের মন ছাড়া শূন্যতাও শূন্য" - বড়ই উচ্চমানের একটি দার্শনিক বক্তব্য দিয়েছেন। আপনার এ কথাটি হয়তো আমি একটি কবিতায় ব্যবহার করতে পারি, যার খসড়া এখনো মাথায় শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি কখনো তা চূড়ান্ত রূপ নেয়, এবং আমি তা প্রকাশ করি, তবে অবশ্যই এই একটি পংক্তির জন্য ক্রেডিটসহ আপনার নামোল্লেখ থাকবে। তবে অনুমতিটা এখানেই চেয়ে রাখছি।
শিরোনামটা যেমন নজরকাড়া, গল্পটাও তেমনি নাড়া দেওয়া। গল্পের শেষে এসে আরেকটা চমৎকার ভাবনা জাগানিয়া কথা বলে গেছেনঃ 'অন্তর্মুখি মানুষদের বেদনা অপার...'! কেবল অন্তর্মুখি মানুষেরাই বুঝি সেটা এত স্পষ্ট করে বুঝতে পারে।
আপনার এই পোস্টের দার্শনিকতায় প্রভাবিত হয়েই বোধকরি ব্লগার চাঁদগাজীও তার স্বভাববিরুদ্ধ এত চমৎকার একটি মন্তব্য রেখে গেছেন!
১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'জালালউদ্দিন রুমি তার প্রায় সব উক্তিতেই ভালোবাসার জয়গান গেয়েছেন। ভালোবাসার মাধ্যমেই ঈশ্বরের দেখা পাওয়া সম্ভব-এ ছিলো উনার বিশ্বাস। জীবনে ভালোবাসার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। কিন্তু, ভুল জায়গায় ভুল সময়ে ভুল মানুষকে ভালোবেসে নিজে অসুখী থাকাতে কোনো গৌরব নেই-এ সহজ সত্যটা যতো তাড়াতাড়ি বুঝতে পারা যায়, ততো তাড়াতাড়ি পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে ওঠা যায়...। জীবনের কন্টকময় পথটা কেউ হেঁটে দিতে পারে না, সর্বোচ্চ পাশে হাঁটতে পারে...'
ব্লগার চাঁদগাজীর লেখালিখি থেকে আমি দূরে থাকি। যারা সব বিষয়ে মতামত দেন, তাদেরকে আমি নিজ দায়িত্বে এড়িয়ে চলি।
ধন্যবাদ! কবিতার অপেক্ষায়...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অপূর্ব