নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
বৈবাহিক জীবনে আনুসাঙ্গিক বিষয়াদি রয়্যাল বা রাজকীয় হওয়ার চেয়েও দাম্পত্য সম্পর্কটি রাজষিক হওয়া বেশি জরুরী। যারা বিয়ে করার কথা ভাবছেন তারা অনেকেই মোহরানা নিয়ে যথেষ্ট সময় নিয়ে ভাবেন খুব কম। দেখা যায় বিয়ের আসরে দুই পক্ষের অভিভাবকরাই নির্ধারণ করে দেন কত মোহরানায় নিকাহ সম্পন্ন হবে। এক্ষেত্রে টাকার অংকে সংখ্যা লিখে ভরিয়ে তোলা হয় মোহরানার ঘর। অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না মোহরানা কত হতে পারে। ইচ্ছে থাকলেও আমাদের হাতের কাছে যথেষ্ট রেফারেন্স না থাকার কারণে অনেককেই পরে আফসোস করতে দেখেছি ‘ইশ, আগে জানলে আরেকটু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম!’
মোহরানা নারীকে দেন তার স্বামী। এখন অনেকেই জানতে চান, মোহরানা নারীর প্রাপ্য কেন? দেনমোহর স্ত্রীর ভরণপোষন নয়, এটি বিয়ের পর স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদত্ত কোনো উপহারও নয়। বরং বিয়ের সময় কবিননামায় স্বামী কর্তৃক প্রতিশ্রুত অর্থ। যেটা স্বামী কোনো ভাবেই উপেক্ষা কিংবা অস্বীকার করতে পারেন না। দেনমোহর মূলত স্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উপায় হিসেবে স্বামীর উপর আরোপিত একটি অবশ্য পালনীয় দায়িত্বমাত্র। মূলত দুটি কারণে মোহরানা পরিশোধ করা হয়, যার মধ্যে একটি হচ্ছে ধর্মীয় অধিকার লাভ এবং অন্যটি হচ্ছে স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য পালন। বস্তুত মোহরানা প্রদানের রীতি রয়েছে শুধু ইসলাম ধর্মে। এটি কোনো ভাবেই কণ্যাপন নয়। বরং নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং বৈবাহিক চুক্তি যখন তখন ভেঙ্গে না যাওয়ার জন্য এ নিয়ম চালু করা হয়। মোহরানা পাওয়ার অধিকার নারীর নিরস্কুশ এবং একছত্র। বৈবাহিক চুক্তির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো মোহরানা।
মুসলিম বিয়েতে মোহরানাকে বলা হয় স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া স্ত্রীর একটি বিশেষ অধিকার। দেনমোহর হলো কিছু অর্থ বা অন্য কোন সম্পত্তি যা স্বামীর নিকট থেকে বিয়ের মূল্য স্বরূপ স্ত্রী পেয়ে থাকেন। একজন স্ত্রী স্বামীর আর্থিক ও বাস্তব অবস্থা বুঝে ইচ্ছে করলে মোহরানার উপর তার দাবী পরিত্যাগ করতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে স্মরণ রাখতে হবে যে, মোহরানা যদি লিখিত আকারে নির্ধারিত হয়ে যায় তবে তা অবশ্যই স্বামীকে পরিশোধ করতে হবে। কোরআন শরীফে মোহরানা কে সাদাক বা আরুজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেটা বাধ্যতামূলকও বটে। আইনবিদ স্যার ডি এফ মুল্লা মোহরানা সম্পর্কে বলেন, মোহরানা বলতে বোঝায় বিশেষ অর্থ বা সম্পদ যা একজন মুসলমান নারী বিবাহ সম্পাদনের উদ্দেশ্যেই তার স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্তির অধিকার অর্জন করেন। মোহরানা না পাওয়ার কারনে স্বামীকে তার অধিকার বঞ্চিত করার অধিকার স্ত্রীর রয়েছে। কারণ মোহরানা দাবি করা স্ত্রীর অধিকার। যে কোনোভাবেই স্ত্রী তা চাইতে পারেন।
মোহরানার পরিমান কত হবে তা কখনোই নির্ধারণ করা হয়নি। স্বামীর অর্থনৈতিক যোগত্যা এবং স্ত্রীর সামাজিক মর্যাদা ও অবস্থান ভেদে তা নির্ধারিন করার কথা বলা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (স.) তার স্ত্রী উম্মে হাবিবাকে চার হাজার দিরহাম মোহর দিয়েছিলেন। হযরত আলী (রা.) যখন মুহাম্মদ (স.) কন্যা ফাতিমাকে (রা.)কে বিয়ে করেন তখন মোহরানা দেয়ার মতো আলীর কোনো নগদ অর্থ সম্পদ ছিলো না। বিয়ের সময় তার মালিকানায় ছিল কেবল উট, তরবারি আর বর্ম। উট এবং তরবারি তার জীবন যাপনের জন্য অতি আবশ্যক ও জরুরী ছিল বলে নবীজী আলীকে বিয়েতে মোহরানা হিসেবে বর্ম দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। পরামর্শ যথারীতি পালন করেন আলী (রা.)। নবী মূসা(আ.) যখন মিশর থেকে মদিনায় এসে সাফুরাকে বিয়ে করেন তখন তার মোহর দেওয়ার মতো কোনো সামর্থ্য ছিলো না। সেসময় সাফুরার পিতাকে তিনি কোনো প্রকার মজুরি ছাড়াই দশ বছর গবাদিপশু পালন ও চারণ করে প্রতিদান হিসেবে তার ‘শ্রম’ উপহার দেন।
‘ফতোয়ায়ে আলমগীরী’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি মূল্যবান বস্তুই দেনমোহর বা মোহরানা হতে পারে। এমনকি কোনো কিছু দিয়ে উপকার করা বা কোনো বিষয়ে সুবিধা দানও মোহরানা হতে পারে। একসময় আরব দেশে অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসের পাশাপাশি গোলাপফুলও মোহরানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকত। দিরহাম, গ্রীক সংস্কৃতি ও ভাষা থেকে উদ্ভুত। এটি হলো এমন রৌপ্য মুদ্রা যার ওজন ২.৯৭ গ্রাম। “মোহর ই ফাতিমা”- চারশ মিতকাল নির্ধারণ করা হতো মোহরানার পরিমাণ। নবী মুহাম্মদের সময় আটির চর্চা ছিল আরবে। মিতকাল ছিল স্বর্ণ্মুদ্রা। যার ওজন ছিল ৪.৫ মাশা। এক মাশা ছিল ৮ রতি’র সমান।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, সাধারণ আয়োজনের বিয়েই সর্বোত্তম বরকতময়। তবে তার মানে এই নয় যে এতো সামান্য পরিমান মোহর ধরা হলো, যা স্ত্রীর সম্মান ও সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী নয়। কিংবা এতো বেশি পরিমানেও নয় যা স্বামীর সাধ্যসীমার বাইরে। ইমাম আবু হানিফা (রহ.)এর মতে, দেনমোহরের সর্বনিন্ম পরিমান ন্যূনতম দশ দিরহাম বা ৩০ গ্রাম রূপার সমমূল্য। রাসূল (সা.) নিজের মেয়ে এবং স্ত্রীদের বেলায়ও যে মোহরানা নির্ধারণ করেছিলেন তার পরিমান পাঁচশ দিরহাম বা ১৩১ তোলা ৩ মাশা রূপার সমমূল্য। তবে উম্মে হাবিবা (রা.) এর বেলায় এর পরিমান ছিল চার হাজার দিরহাম।
মোহরানা বিয়ের সময় নির্ধারণ না করা হলে, বিয়ের পরেও তা নির্ধারণ করা যায়। সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যদের মোহরানার পরিমান বিবেচনায় ধরাকে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে কণের ফুপুর মোহরানাও উদাহরণ হিসেবে গন্য হতে পারে। মূলত বিয়ের কাবিন নামার তের নম্বর ঘরে লেখা হয় “মোহরানা”র পরিমান কত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে তাৎক্ষনিক এবং বিলম্বিত দুই ভাবে মোহরানা পরিশোধ করা যায়। তবে বিলম্ববে হলেও দেনমোহর পরিশোধ করা স্বামীর অবশ্য কর্তব্য। স্ত্রী মোহরানা দাবী করলে স্বামী তা পরিশোধ না করলে স্ত্রী চাইলে স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকতে পারে বা পৃথক বসবাস করতে পারেন।
মোহরানা নিয়ে আমাদের দেশে একটা ভ্রান্ত ধারনা আছে যে, স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় স্বপ্রণোদিত হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় সেক্ষেত্রে স্বামীকে আর মোহরানা শোধ করতে হয় না। এটা একটা ভুল ধারনা। বিবাহ বিচ্ছেদের অবেদন যিনিই করুন না কেন, স্বামীকে মোহরানা পরিশোধ করতে হবে। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ১০ ধারায় মোহরানা পরিশোধের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কাবিন নামায় মোহরানা পরিশোধ সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ না থাকলে স্ত্রী তলবমাত্র সম্পূর্ণ মোহরানা স্বামীকে পরিশোধ করতে হবে। ইসলামী আইনশাস্ত্র অনুযায়ী, মোহরানা ঋণের সমতুল্য এবং এটা একটা অরক্ষিত ঋণ। স্বামীর মৃত্যু ঘটলে অন্যান্য পাওনাদারদের মতো স্বামীর ভূমি কিংবা অপরাপর সম্পত্তি থেকে স্ত্রী তা আদায় করে নিতে পারেন।
নৃতত্ত্বে এবং সমাজতত্ত্বে এই রকম তথ্য আছে যে, কৃ্ষিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পর বিয়েতে কন্যাপণ প্রথা চালু হয়েছিল। আদিম যুগে নারীর প্রাধান্যি ছিল রীতিসম্মত। প্রাচীন আর্য সমাজে বিয়ের সময় কন্যার পিতাকে নানা রকম উপহার দেয়ার কথা জানা যায়। এছাড়া হামবুরাবী কোড থেকে জানা যায়, প্রাচীন গ্রীসে, মেসোপটেমিয়া, ও ইহুদীদের মধ্যেও মোহরানা প্রচলিত ছিল। তবে তার রূপ ছিলো অন্যরকমের।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অপার আগ্রহ নিয়ে জানতে চাই, আমার পূর্বেকার বিভিন্ন লেখা আমার সম্পর্কে কী ধারনা দেয়।
ধন্যবাদ পদ্ম পুকুর। আশাকরি ভালো আছেন।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপু, এখনকার বিয়াগুলায় দেনমোহর হইলো ফ্যাশন। আমার বান্ধবীর বিয়ায় দেনমোহর ছিল দশ লাখ, আমার পনেরো হইতে হইবো। আমার জুনিয়র বিয়াতে পনেরো লাখ দেনমোহরে রাজি হইছে, বিশ না হইলে আমার ক্ষেত্রে কিসের সিনিয়র হইলাম!- এইসব চলে। সময়োপযোগী, জরুরী ও ভালো পোস্ট। পেলাচ।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: (বিশেষ) অজ্ঞ বালক, আসলে আমরা স্রোতে গা ভাসাতে ভাসাতে ভুলে যাই স্রোত কোনদিকে বয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ!
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপনি তো পুরা 'ট্যাগ' লাগাইয়া দিতাছেন 'বিশেষ-অজ্ঞ'-র।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার ইচ্ছা (হা হা হা )
কাল্পনিক ভাইয়ের কাছে একটা রিট পিটিশন করতে পারেন কিন্তু <<<
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমি দেনমোহর ধারনার পক্ষে নই, যদিও ধর্মীয় রাীতিনীতি বলে সেটাকে এক প্রকার মানতে বাধ্য হয়েছি বলতে পারেন এবং আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেনমোহর পরিশোধ করেছি। সমস্যা হলো দেনমোহর দেয়ার কথা স্বামীর সাধ্য অনুযায়ী কিন্তু আজকালকার মেয়ে পক্ষের মা-বাবা'রা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলের আর্থিক সামর্থ্যের কথা না ভেবেই তাদের ইচ্ছেমত টাকার অংক দাবী করে বসেন। যদিও সেটা পরে আলোচনার মাধ্যমে দফারফা হয় তবুও তাদের প্রাথমিক দাবী-দাওয়া অনেক সময়ই সমস্যা বা ভুল বোঝাবুঝির সূচনা করে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার অভিভাবকদের-ও এ ব্যাপারে কনে পক্ষের সাথে আলোচনার সুযোগ দেই নি, তার কারনও এটাই যে আমার অভিভাবক-ও প্রাথমিকভাবে আমার সাথে আলোচনার সময় এমন একটা অংকের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন যেটা আমার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব ছিলোনা। তবুও শুধু অবস্থাসম্পন্ন সামাজিক আর আর্থিক অবস্থান জানান দেয়ার জন্যেই তারা এমনটা করেছিলেন বলে আমার ধারনা, যদিও আমি নিশ্চিত নই। আমি আমার হবু-স্ত্রীর সাথে বিয়ের আগেই এটা নিয়ে পরিষ্কার আলোচনা করেছি এবং তার মাধ্যমে তার মা-বাবা-কেও জানিয়েছি যেটা আমার পক্ষে সম্ভব। আমার স্ত্রীর অমত না থাকায় পরবর্তীতে তার মা-বাবা-ও মেনে নিয়েছেন। আমার ইচ্ছে ছিলো বৌ শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগেই সব পরিশোধ করা, আর আমি সেটাই করেছি। পারিবারিক (যে পক্ষেরই হোক) চাপে কোন অযৌক্তিক দাবী-দাওয়া মেনে নেওয়ার পক্ষপাতি আমি নই, অথচ অনেকেই দেখছি ধার-দেনা করে বিয়ের জন্য খরচ করছেন, সামর্থ্য না থাকার পরেও বড় দেনমোহর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, এগুলো আমার কাছে লোকদেখানো বা বিয়ে পরবর্তী সময়ে সমস্যা সৃষ্টিকারী কারণ হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে। অনেকেরই দ্বিমত থাকতে পারে, তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। আমার দেনমোহরের চ্যাপ্টার শেষ, তাই এটা নিয়ে খুব বেশী মাথাব্যাথাও আর নেই।
তবে লিখার জন্য ধন্যবাদ। যারা নতুন বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদের হয়তো কাজে দেবে। তাদের জন্য শুভকামনা।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ইফতেফার ভাই, অনেকের মতে দেনমোহরানা মেয়েদের সামাজিক এবং আর্থিক নিরাপত্তা। যদিও আমার দেখা ৮০লক্ষ টাকার দেন মোহরানার নিকাহ ৭দিনও টেকেনি। দেনমোহরানা চাপিয়ে দিলেই সমস্যা। সেখানে অর্থিক সঙ্গতি এবং সামাজিক পর্যাদা রক্ষা পায় ঠিকই, তবে বিয়েটা একটা বোঝা হয়ে যায়। লোক দেখানো কোনো কিছুই ভালো না।
আপনার পর্ব চুকেবুকে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। আপনার সহব্লগারদের জন্য দোয়া রাখবেন ভাই।
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপু ব্লগে ধর্মীয় রীতি নীতি আর বাধ্যবাধকতার
কথা বললে অনেকে গোস্যা করে। আরে তোরা
মানবি কি না মানবি তা তোদের ব্যাপার তাই বলে
তোদের মন রেখে আমাকে ধর্মের কথা বলতে হবে:
সে যাই হোক দেনমোহর নিয়ে বিশদ আলোচনার
জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর প্রদান করা স্বামীর ওপর ফরজ। অবশ্য
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
“আর তোমাদের স্ত্রীদের তাদের দেনমোহর দিয়ে দাও খুশি মনে।
তবে স্ত্রী চাইলে দেনমোহর কিছু অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশ ছেড়ে দিতে পারে। [সূরা আন-নিসাঃ৪]
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নূরু ভাই।
সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দেনমোহর সত্যি ই এখন ফ্যাশান এ পরিণত হয়েছে। যে মাসে ৩০ হাজার টাকা মাইনে পায় সে কিসের ভিত্তিতে দশ লাখ টাকা মোহরানা নির্ধারণ করে ভেবে পাইনা।
বেশ বিস্তারিত লেখা। শেষের এই ভুল ধারনা টা আমার মাঝে ও ছিল, আমিও জানতাম স্ত্রী স্বেচ্ছায় বিচ্ছেদ দাবী করলে মোহরানা থেকে বঞ্চিত হবেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেনমোহরানা নিয়ে যে পরিমান নয়-ছয় হয় তা আলোচনারও অযোগ্য।
অন্যদের ফাঁকি দিতে গিয়ে মানুষ আসলে নিজেকেই ফাঁকি দেয় সবচেয়ে বেশি।
ধন্যবাদ মনিরা আপু, ভালো থাকবেন।
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরবদেশে বিয়ের আগেই দেনমোহর পরিশোধ করতে হয়। কারণ তা স্ত্রীর হক । তাই মেয়ের বাবারা বিরাট টাকার অংক ডিমান্ড করে । আর আমরা দেশে বিয়ের পর দিতে হয় বলে মোটেও দেয় না অনেকে। তবে দেওয়া দরকার বৃদ্ধ বয়সে মায়েদের কাজে লাগে।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই, ভালো থাকবেন।
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: এ প্রসঙ্গে হযরত ওমর রা.- এর একটি ঘটনা স্মরণ রাখার মতো। হযরত ওমর রা. তাঁর খিলাফতের যুগে একবার ভাষণ দিলেন যে, কেউ যেন বিয়ে-শাদিতে বড় অংকের মোহর নির্ধারণ না করে। তখন এক মহিলা আপত্তি করে বললেন, কুরআন মজীদের এক জায়গায় তো এক কিনতার (সোনা-রূপার স্ত্তপ) মোহর দেওয়ার কথাও আছে, যা প্রমাণ করে যে, সোনা-রূপার স্ত্তপও মোহর হতে পারে। তাহলে বড় অংকের মোহর নির্ধারণে বাধা দিচ্ছেন কেন?
হযরত ওমর রা. তাঁর কথা শুনে বললেন, বাস্তবেই তাঁর দলীল সঠিক। অধিক পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা ঠিক নয়। এর অর্থ হল যদি লোক দেখানোর উদ্দেশ্য না থাকে এবং মোহর আদায় করার ইচ্ছা ও সামর্থ্যও থাকে তবে অধিক পরিমাণ মোহর নির্ধারণ করা জায়েয। আর যদি কোনো একটি শর্তও অনুপস্থিত থাকে তবে সেক্ষেত্রে অত্যধিক মোহর নির্ধারণ করা জায়েয নয়।
প্রসঙ্গত আরো একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে দুই ধরনের মোহরের প্রচলন রয়েছে। এক. مهر معجل (মোহরে মু‘আজ্জাল) বা নগদ মোহর। দুই.مهر مؤجل (মোহরে মুয়াজ্জাল) বা বাকি মোহর। এ শব্দগুলো যেহেতু বিয়ের মজলিস ছাড়া সচরাচর শোনা যায় না তাই অনেকে এ শব্দ দুটির অর্থ বুঝে না। শরীয়তের দৃষ্টিতে মোহরে মু‘আজ্জাল হল সেই মোহর, যা বিয়ে সম্পন্ন হওয়ামাত্র নগদ আদায় করা অপরিহার্য হয়ে যায়। হয়তো সে বিয়ের সময়ই তা পরিশোধ করে দিবে অথবা বিয়ের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর তা দাবি করার অধিকার আছে। যেহেতু আমাদের সমাজে নারীরা সাধারণত মোহর দাবি করে না তাই এরূপ মনে করা উচিত হবে না যে, সেটা পরিশোধ করা আমাদের জন্য জরুরি নয়; বরং কর্তব্য হল স্ত্রীর চাওয়ার অপেক্ষা না করে যত দ্রুত সম্ভব এই ফরয দায়িত্ব হতে মুক্ত হওয়া।
সূত্র
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অসাধারণ এবং তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পদ্ম পুকুর।
৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১১
অন্তরা রহমান বলেছেন: সামাজিক প্রথার চাপে প্রকৃত নিয়ম পিষ্ট হচ্ছে আর কি।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই কথাটা ঠিক।
ধন্যবাদ অন্তরা রহমান।
১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অপার আগ্রহ নিয়ে জানতে চাই, আমার পূর্বেকার বিভিন্ন লেখা আমার সম্পর্কে কী ধারনা দেয়।
প্রথমত, আমি 'আপনার সম্পকে' বলতে আপনার লেখক সত্তাকে বুঝাতে চেয়েছি। রমেল চাকমাকে নিয়ে লেখাটা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত আপনার যে লেখাগুলো পড়েছি, তার কোনোটাতেই অ্যাকাডেমিক আলোচ্য কিছু ছিলো না, বরং মনোজাগতিক অলিগলির নিখুঁত পর্যবেক্ষণ উপস্থাপনা ছিলো। সে হিসেবে এ লেখাটা আউট অব দ্য বক্স।
আর আমি ভালো আছি, একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে অফিসে। ভালো থাকবেন এবং ইসলামের মৌলিক ও সংবেদনশীল একটা অবশ্য-পালনীয় বিষয় সম্পর্কে ইতিবাচক লেখার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: একাডেমিক আলোচনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলোর জন্য তুলে রাখি। ওটা আমার প্রফেশন।
আর ব্লগটা আমার প্যাশন। এখানে দু'চারটি মনোজাগতিক আলাপ-সালাপ করতে করতে চা-বিস্কুট খাই আরকি।
নিরাপদে থাকুন পদ্ম পুকুর।
১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উন্নত অর্থনীতিতে মোহরানা নেই; আরবে, মেয়েদের সমাজে স্হান ছিলো না বলেই বেদুইনরা মেয়ের জন্য এই সামান্য ব্যবস্হাটা করেছিলো
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি তো ভাই মাকাল অর্থনীতিতে আছি, তাই এইসব ইস্যু মাথায় ঊঠে যায়, পেটে থাকে না।
আপনি বরং চোখ রাখুন ইউএস এর প্রধান দুই দলের প্রার্থী মনোনয়নের দিকে।
ভালো থাকুন।
১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
ঘরহীন বলেছেন: দেনমোহর আর বিয়ের খরচ - এই দুটো কমানোর জন্য আসলে সামাজিক আন্দোলন শুরু করা দরকার।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করে ফেলেন ঘরহীন।
১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
ঘরহীন বলেছেন: ক্ষমা করবেন, সেই ভার্সিটি থেকেই কানে ধরেছি, আর কোনো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবো না। কেউ শুরু করলে আমি পাশে আছি - অফলাইনেও।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কান একবার ধরলে যে ধরেই থাকতে হবে কে বলেছে। ছেড়ে দিন (কান)।
আপনে ভাই একটা রূপরেখা দাঁড় করান, এডভোকেসি প্রজেক্টটা আমি দেখে দিবোনে।
এই আন্দোলনে জেল-জুলুমের কোনো ভয় নাই (নিশ্চয়তা দিচ্ছি)
১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী স্ত্রী স্বামী থেকে পৃথক হতে চাইলে তাকে ইসলামি কোর্টের শরণাপন্ন হতে হয়। কোর্ট যদি দেখে যে স্বামী স্ত্রীর অধিকার পূরণ করছে না সে ক্ষেত্রে কোর্ট বিবাহ বিচ্ছেদ করাতে পারে 'খুলা' র মাদ্ধ্যমে বা স্বামীকে তালাক দেয়ার আদেশ দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে দেনমোহর ফেরত দেয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যদি কোর্ট দেখে যে স্ত্রীর কোনও শরিয়ত সম্মত অভিযোগ নাই বা অভিযোগগুলি মিথ্যা কিন্তু তা সত্যেও স্ত্রী তালাক চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি মোহর ফেরত দিতে রাজি থাকে তবে কোর্ট বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেবেন। স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের সম্মতিতে এই ফেরতযোগ্য টাকা বা সম্পদের পরিমান মোহরের চেয়ে কম হতে পারে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই সংক্রান্ত যে আইনগুলি আছে সেগুলি অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি শরিয়ার মতো না। কাজেই আমাদের দেশ বা অন্য অনেক দেশের রাষ্ট্রের আইনে অনেক কিছু আছে যা মূল শরিয়া আইনের পরিপন্থি। এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন। প্রয়োজনে আরও সূত্র দেব ইনশাল্লাহ।
তালাকের নিয়ম
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর
ভালো থাকুন
১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: দেনমোহর দেওয়া নিয়ে কোন অবজেকশন নেই । যেহেতু নিয়ম তৈরি হয়েছে এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসছে নিয়মটা পালন করতেও কোন সমস্যা নেই ।
তবে একটা গল্প বলি । একদম বাস্তব গল্প । আমার বাড়ির কয়েক বাড়ির পাশে বাড়ি মেয়েটা । মেয়েটা প্রথমে একজনকে বিয়ে করলো। কদিন পরে তালাক এবং স্বামীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা দেনমোহর আদায় করলো । কয়েক মাস পরে আবারও তার বিয়ে এবং বিয়ের কদিন পরে তালাক সেই সাথে এক লাখ টাকা দেনমোহর । এরপর তিন নম্বর বিয়েতে দেনমোহর হল ৫ লাখ । এবং তালাকের পর সেই টাকা আদায় ! এখন চার নম্বর বিয়ে চলছে ।
এখন এই দেনমোহর আদায়ের বিরুদ্দে কিছু বলতে গেলেই সেটা ধর্মের বিরুদ্ধে বলা হয়ে যাবে । ধর্মকে ব্যবহার করে কি চমৎকার একটা ব্যবসা !
দেনমোহরের ব্যাপারে আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ইদানীং মেয়েরা দেনমোহর বেশি করতে ধার্য করার পক্ষে । এই যুক্তি তাটা দেয় যে তাদের একটা নিরাপত্তার ব্যাপার আছে না ! স্বামী যেন বেশি দেনমোহরের ভয়ে তাকে তালাক না দেয় কিংবা যদি তালাক দেয় তাহলে যেন ভবিষ্যতের একটা নিরাপত্তা থাকে । বিয়ের আগেই আগে তালাকের কথা চিন্তা করে এবং বিয়ের আগেই স্বামীর টাকায় নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নেওয়ার ইচ্ছে জাগে ! এই ব্যাপারটা কোন ভাবেই হজম হয় না ! আগে যখন মেয়েরা ঘরের বাইরের বের হত না সেই সময়ে এমন কথা মেনে নেওয়া যেত কিন্তু পড়াশুনা জানা চাকরি করা মেয়েও এই অন্যের টাকায় নিরাপত্তা খোজে তাহলে পড়াশুনা চাকরি করে আর কি লাভ হল!
দেনমোহর ধার্যের এক মাত্র চাবিকাঠি হতে পারে বর কি পরিমান টাকা আয় করে এবং কি পরিমান সম্পদের মালিক তার উপর । কেবল মাত্র এটার উপরেই । যেহেতু সে টাকাটা দেবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী হওয়া দরকার। কিন্তু বর্তমানে দেনমোহর ধার্য হয় লোক দেখানো স্টাটাস, দাম বাড়ালো ব্যাপারটা মাথায় রেখে !
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অপু তানভীর (গল্পের শিক্ষক আমার),
নারীদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ের দেনমোহর কখনোই প্রথম বিয়ের চেয়ে বেশি হতে পারবে না, সেটা আইন সম্মত নয়।
বিয়েতে তালাক হতেই হবে এমনটা নয়, তবে তালাক একটা অপশন। কোনভাবেই না মানিয়ে নিতে পারলে বিবাহ বিচ্ছেদের বিধান ধর্মে এবং আইনে আছে। অনেকের ধারনা কেবল তালাক হলে দেনমোহরানা আদায় করতে হয়, বিষয়টা তেমন নয়।
সময়টাই লোক দেখানোর রে ভাই। সাধ্যের বাইরে গিয়ে যারা মোহরানা লিখে সেটা কাগজের শোভা বৃদ্ধি করে বটে, লোক মুখে সুনাম কুড়ায় বটে তারপর হাত ধুয়ে ফেলে। আর যে কনের পরিবার পাত্রের সাধ্যের কথা বিবেচনা না করে মোহরানা আদায় করে তা জুলুমবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। বিয়েতে দুপক্ষেরই সামাজিক অবস্থানের বিষয়টা বিবেচ্য।
১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের এত এত নিয়মন নীতি আর ভালো লাগে না।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এত এত নিয়ম-নীতি কোথায়, জীবনাচরণের জন্য প্রয়োজনীয়গুলো মনে রাখলেই হলো।
১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দেনমোহর বিষয়টা নারীকে জন্য অপমানজনক ।তালাকের আইনের সংশোধন প্রয়োজন।
১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সামাজিক রীতি বিষয়ক আলোচনা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেজন্য মোবারকবাদ। খুব ভাল লেগেছে।
শিরোনামের বন্ধনীর ভিতরের অংশ অর্থাৎ “প্যাচাল” শব্দটা না হলে ভাল হতো। মোহরানা প্রসঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটা প্যাচাল নয়।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এদেশের বেশির ভাগ মানুষের ধারণা হক-ই-মোহর (দেনমোহর) নিয়ে তারা বেশ ভালো জানেন। বহুল চর্চিত বিষয় নিয়ে কথা বলছি, তাই প্যাঁচাল বলে ডিসক্লেইমার দিয়ে নিয়েছি।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: মোহরানার ব্যাপারটা বেশ ঝামেলার।অগ্রজের বিয়ে ঠিক হয়েছে।প্রণয়ঘটিত বিবাহ বলে কন্যার পিতা কিছুটা রুষ্ট।সেই রুষ্টতা প্রকাশের জন্য প্রাথমিক প্রস্তাবের সময় মোহরানার কথা বললেন।এমন একটি অঙ্কের কথা বললেন যেটা পাত্রের পক্ষে এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব না।যদিও পাত্র পাত্রী দুজনেই স্বাবলম্বী।কিন্তু ক্যারিয়ারের এই সময়টাতে এই অর্থ একটা বোঝা।তার উপর কনের পিতার দাবি মোহরানার পুরো অর্থ কন্যার "কবুল" বুলির আগেই পরিশোধ করতে হবে।এটা নাকি পারিবারিক এবং ধর্মীয় রেওয়াজ।শেষ পর্যন্ত মিয়া বিবি জরুরি অবস্থার অবসান ঘটাতে পেরেছেন।তারপরেও এই মোহরানা নিয়ে দেশের মানুষদের বিভ্রান্তির শেষ নেই।আশেপাশের অভিজ্ঞতা বলে যে নিয়মমত কিছুই হয় না।নিয়ম কি আছে তাও কেউ জানতে চায় না বা মানে না।যতই ধর্মীয় দিক থেকে আচারনিষ্ঠ হোক না কেন।শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষ কতটা ছাড় দিচ্ছেন সেটাই মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অভিভাবক'রা এগুলো করে কি আনন্দ পায় তা একমাত্র উপরওয়ালাই জানেন।
অবশ্যই সময় উপযোগী করে ভাববার সময় এসেছে।
২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৭
মা.হাসান বলেছেন: ই-মোহর দেখে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম, সবকিছু ডিজিটালের দেশে মোহরানাও কি ডিজিটাল হইতে চলিলো!
ধর্মের বিধান কল্যানের জন্য দেয়া হলেও মানুষ নিজের স্বার্থের কারনে বিধান গুলো টুইস্ট করে নেয় বলেই সমস্যা দেখা দেয়।
হযরত ওমরের দ্বারা উম্মতের অনেক কল্যান হয়েছে, অনেক সংস্কার উনি করেছেন। তবে মোহরানার আপার লিমিট বেধে না দেয়ার মধ্যেই হেকমত আছে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। ডাক্তার সাব্রিনা বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছেলের মোহরানা আর ম্যাঙ্গো পিপলের মোহরানা সমান হওয়া বাঞ্চনীয় না।
আরব দেশে মেয়ের বাপ মোহরের টাকা নিয়ে নেয়। এরকম ঘটনা বিরল না, বেশি মোহরের কারনে বাবা নিজের মেয়ের বিয়ে ভালো পাত্রের সাথে না দিয়ে টাকা ওয়ালা বুড়োর সাথে দিয়ে দিলো। আমাদের দেশের মেয়েরা বিয়েতে হা-না বলার ব্যাপারে যতটা স্বাধীনতা পায় (খুব কম পরিবারেই পায়), ওখানে তা প্রায় অনুপস্থিত।
আমাদের দেশে মোহর নিয়ে আরেকটা চালাকি করা হয়। ছেলে পক্ষ বিয়ের সময় কিছু গহনা দিয়ে তার মন গড়া (নিজে এমন দেখেছি) দাম ধরে বলে এটা দিয়ে মোহর শোধ করা হলো। এক্ষেত্রে বিধান হলো , মেয়ে যদি গহনা মোহর হিসেবে নিতে আপত্তি না করে তবে তা আদায় হবে। মেয়ে যদি স্পেসিফিকালি বলে না, গহনা দিয়ে মোহর নেবে না, টাকা লাগবে তবে ছেলে টাকা দিতে বাধ্য। ফতোয়া আলমগিরির যে ফতোয়া, তার ক্ষেত্রেও একই কথা। টাকার বিনিময়ে অন্য কিছু না নিতে চাইলে বাধ্য করা যাবে না।
নিয়ম করা উচিৎ যে , মেয়ের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হবে, তাতে মোহরের টাকা জমা থাকবে। জন প্রতিনিধি এবং একজন সরকারি কর্মকর্তার লিখিত অনুমতির পর ঐ টাকা তোলা যাবে। না হলে বাংলাদেশের খুব কম মহিলাই মোহরের টাকা নিজে ভোগ করতে পারবেন।
ছেলে পক্ষ বা মেয়ে পক্ষ কারো মধ্যেই নারীর মর্যাদা বা আল্লাহর বিধান রক্ষার জন্য মোহর নির্ধারনের প্রবনতা কম দেখা যায়। এরকম বিয়েতে বরকত কম থাকলে কপালকে দোষ না দিয়ে নিজেদের দোষ দেখাটাই ভালো।
২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মা.হাসান, খুব গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন, আমিন।
২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৮
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: প্রশ্ন হলো বিয়েটা কবে?
২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হবে হবে...
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার পূর্বেকার বিভিন্ন লেখা আপনার সম্পর্কে যে ধারণা দেয় এই লেখাটা সে বৃত্তের বাইরের। বিশদভাবে নির্মোহ আলোচনা ভালো লেগেছে।