নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ জীবন ভালোবেসে তোমাকে চাই!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে আবাসিক ছাত্রী ছিলাম। হলে উঠে প্রথম যে বিষয়টা নোটিশ করি, বেশির ভাগ মেয়ে ডাইনিং এর খাবার খেতে পারেন না, আর অধিকাংশ মেয়েই প্রেম নামক একটা সম্পর্কে আছেন। হলের মেয়েদের প্রেমগুলো জিওগ্রাফিক্যাল একধরনের প্রভাবে প্রভাবান্বিত। তাদের প্রেম হয় ক্লাস ফেলো, ডিপার্মেন্টের সিনিয়র, কিংবা ঢাবি’র অন্য ডিসিপ্লিনের কেউ একজন। আমি মাশ-আল্লাহ যতদিন হলে ছিলাম কোনো ধরনের কড়াই-খুন্তি আমার ছিলো না। আমি বছরের পর বছর হলের ডাইনিং-এ খেয়েছি। আর দ্বিতীয়ত ভাবতাম, মেয়েরা রোজ কিভাবে হলের গেটে ৬টা- সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বসে থাকে (প্রেমিকের সাথে)। ঠিক সাড়ে নয়টাই পিলপিল করে গেইট দিয়ে ঢোকে, শ’য়ে শ’য়ে মেয়ে!

রোকেয়া হলে আমি আবাসিক ছাত্রী থাকাকালীন ৪টা মেয়ে আত্মহত্যা করেন। ৪টা সুইসাইড-ই ছিলো প্রেমিক প্রতারনা করেছেন বলে জানি। একটা ঘটনা ছিলো এমন; প্রেমিক বাসা থেকে সম্বন্ধ করা মেয়েকে বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয়টা স্বল্প পরিচয়ে প্রেম ডিজুস সিমকার্ডের সময়কালে তারপর ঝগড়াঝাটি-বিষণ্ণতা এবং আত্মহত্যা। তৃতীয়টা দুই ধর্মের দুইজন ছিলো, বাসায় জানানো যাবে না। চতুর্থটা ছেলেটা্র একাধিক প্রেম ছিলো এবং ঘটনাক্রমে একই রুমের দুইজনের সাথে প্রেম!

আজ ‘সুইসাইড প্রিভেনশন ডে’! বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি হলেও বাংলাদেশে নারীরা বেশি আত্মহত্যা করে বা চেষ্টা চালায়। এদেশে মেয়েদের আত্মহত্যা প্রবণতা বেশি সেটা নিয়ে অবশ্যই গবেষণা হতে পারে। প্রাথমিক ধারনা থেকে বলা যায় সম্ভবত আর্থ সামাজিক কারণে এটা হয়। এই বিশ্ব আত্মহত্যাকারীদের ব্যাপারগুলো বেশ গুরুত্ব দেয় সেটা সুনিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। পৃথিবীতে একবার মাত্র জন্ম নেয়ার দুর্লভ সুযোগকে নিজ হাতে যারা শেষ করে দিতে চায় তাদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে আজ অবধি কম বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি। পৃথিবীব্যাপী আত্মহত্যার বিভিন্ন 'কেস স্ট্যাডি' ঘেটে তিনটি বড় কারণ শনাক্ত করা গেছে:
ক) অসহনীয় শারীরিক পীড়া,
হ) সামাজিক অবমূল্যায়ন এবং
গ) হতাশা বা সন্দেহ।

আত্মহত্যা সম্পর্কে বেশ কিছু লোককথাও প্রচলিত শোনা যায়।
লোককথা : যেসব মানুষ আত্মহত্যার কথা বলে তারা আত্মহত্যা করে না।
বাস্তবতা : গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা আত্মহত্যা করে তাদের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষই আত্মহত্যা করার আগে এ সম্পর্কে সুপ্ত ইচ্ছা পোষণ করে।
লোককথা : বিকারগ্রস্তরাই কেবল আত্মহত্যা করে।
বাস্তবতা : বিকারগ্রস্ত বলতে আমরা তাদের বুঝি যারা নানা ধরনের মানসিক রোগে ভোগে বা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। যদিও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যেকোনো জনসংখ্যার শতকরা ১ জন সিজোফ্রেনিয়া (এক ধরনের মানসিক রোগ) আক্রান্ত; কিন্তু অধিকাংশ আত্মহত্যাকারীই মানসিক রোগী নয়; বরং বিভিন্ন মনোসামাজিক প্রেক্ষাপট, যেমন_বাড়ির অশান্ত পরিবেশ, হঠাৎ কোনো ক্ষতি, সাম্প্রতিক ন্যক্কারজনক ঘটনা, প্রতিকূল পরিবেশ প্রভৃতি মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতাকে প্রভাবিত করে।
লোককথা : আত্মহত্যা একধরনের অসুখ।
বাস্তবতা : আত্মহত্যা যে শারীরিক ব্যাধি, এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। আবার আত্মহত্যাকারী যে মানসিক রোগী এটাও পুরোপুরি সত্য নয়। আসলে বেশির ভাগ মানুষ আত্মহত্যার আগে বিষাদগ্রস্ত, অসুখী, দুঃখিত বা উত্তেজিত থাকে। তবে মানসিক রোগীদের যৌক্তিকতা ও উপযোগিতা বিচারে সমস্যা থাকায় তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।
লোককথা : যারা আত্মহত্যা করে তারা আত্মহত্যার জন্য গায়েবি ডাক শুনতে পায়।
বাস্তবতা : এটা ধর্মীয় বিশ্বাস। তবে এমন হতে পারে যে এ ধরনের আত্মহতাকারীরা গায়েবি আওয়াজ বা প্রতিচ্ছবি কল্পনায় বাস্তবরূপে দেখতে পায়। অনেক মানসিক রোগীরই এ ধরনের রোগলক্ষণ থাকে এবং সময়মতো চিকিৎসা করালে এ থেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব।

গ্রিক ও রোমান সভ্যতার যুগে মাটি, বাতাস, আগুন ও পানি—এই চারটি মহাজাগতিক উপাদানের সঙ্গে তুলনা করে চার ধরনের ব্যক্তিত্বের ধরন চিহ্নিত করা হতো। ধরনগুলো হচ্ছে বিষাদময়—সর্বংসহা (মাটির মতো), প্রত্যয়ী—আশাবাদী (বাতাসের মতো), ক্রুদ্ধ—মেজাজি (আগুনের মতো) এবং উদাসীন—প্রবহমান (পানির মতো)। পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ‘টাইপ’ ও ‘ট্রেইট’ অনুযায়ী ব্যক্তিত্বকে নানাভাবে ভাগ করা হয়েছে এবং ব্যক্তিত্ব নির্ণয়েরও নানা পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে। জিনতত্ত্বের গবেষণায় আবিষ্কৃত হয়েছে ব্যক্তিত্ব নির্ধারণের নানা অজানা তত্ত্ব। বংশগতি, পরিবেশ এবং আরও নানা পারিপার্শ্বিক ঘটনা মানুষের ব্যক্তিত্বকে নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যক্তিত্বের প্রকাশকে প্রভাবিত করে। একজনের সঙ্গে আরেকজনের ব্যক্তিত্বের কিছু কিছু উপাদানের মিল থাকতে পারে, কিন্তু সব রকম মিল থাকে না। সহজভাবে বলা যায়, পৃথিবীতে সাড়ে ৬০০ কোটি মানুষের ব্যক্তিত্ব সাড়ে ছয় শ রকম।

গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সমস্যা বা ‘পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার’ রয়েছে। আর কেবল মানসিক রোগীদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সমস্যার হার প্রায় ৫০ শতাংশ। যাদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সমস্যা রয়েছে, তাদের মাদকাসক্তি, হত্যা, আত্মহত্যা, অতি উদ্বিগ্নতা, আবেগজনিত রোগ, নানা ধরনের অপরাধ ইত্যাদির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

ব্যক্তিত্বের ধরন ও সমস্যাগুলোকে মোটাদাগে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।

প্যারানয়েড পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এরা সাধারণত অহেতুক সন্দেহপ্রবণ, সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে চায় না, পরশ্রীকাতর, অনুভূতিপ্রবণ, প্রায়ই বিরক্ত-অসন্তুষ্ট থাকে। এরা নিজেকে সব সময় অন্যদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে থাকে।

সিজয়েড পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এদের আবেগ থাকে কম, একা থাকতে পছন্দ করে, আনন্দের অনুভূতি কম থাকে, তবে এদের অন্তর্দৃষ্টি অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে।

সিজোটাইপাল পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এ ধরনের ব্যক্তিত্বের মানুষ সামাজিকতা এড়িয়ে চলে, সামাজিক উদ্বিগ্নতায় ভোগে। অনেক সময় তারা মনে করে, তারা অন্যদের মনের কথা বুঝতে পারে। মাঝেমধ্যে তারা মনে করে, অন্যরা সব সময় তাকে নিয়ে সমালোচনা করছে। তাদের কথোপকথনে অসামঞ্জস্যতা থাকতে পারে এবং তারা বেশ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে।

অ্যান্টিসোশ্যাল পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এদের আচরণ হয় নির্মম। অন্যের প্রতি এদের কোনো অনুভূতি থাকে না। এরা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়, হঠাত্ করে রেগে যায়, মেজাজ হয় খিটখিটে। অপরাধ করলেও এদের মধ্যে কোনো অপরাধবোধ বা অনুতাপ থাকে না এবং তারা পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে। ছোট থেকে বড় নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে তারা জড়িয়ে যেতে পারে।

বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এরা অস্তিত্বের সংকটে ভোগে, কারও সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। এদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ কেমন হবে, তা আগে থেকে ধারণা করা যায় না। এরা হঠকারী আচরণ করে, নিজের ক্ষতি নিজে করে ফেলতে পারে এবং হাত-পা ধারালো অস্ত্র বা ব্লেড দিয়ে কাটে, দেয়ালে মাথা ঠুকে ইত্যাদি।

হিস্ট্রিয়োনিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এরা নাটুকেপনা করতে পছন্দ করে, অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা এদের আছে। তবে এ ধরনের মানুষের অনুভূতিগুলো খুব একটা গভীর নয়। শারীরিক সৌন্দর্যকে এরা বেশি গুরুত্ব দেয়। অন্যের মনোযোগ পেতে এরা ভালোবাসে।

নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, গ্রিক দেবী নার্সিসিসের মতো এরা নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। নিজেকে এরা অনেক বড় মনে করে এবং অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবে। নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে এরা অনেক উচ্চ ধারণা পোষণ করে। এরা অন্যের প্রশংসা চায়। কিছুটা স্বার্থপর ও হিংসুটে স্বভাবের হয়ে থাকে। অন্যের মতামতের মূল্য এদের কাছে কম।

এভয়ডেন্ট পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এরা সব সময় টেনশনে ভোগে। সমাজের অন্যদের চেয়ে এরা নিজেকে ছোট মনে করে। হীনম্মন্যতা থাকে এদের মধ্যে। সব সময় ভাবে, অন্যরা তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে এরা সাধারণত নিজেকে যুক্ত করে না এবং ঝুঁকি নিতে ভয় পায়।

ডিপেনডেন্ট পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: এ ধরনের ব্যক্তিত্বের সমস্যায় আক্রান্তরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। নিজে নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, এমনকি নিজের চাহিদা বা প্রয়োজনের কথাও প্রকাশ করতে পারে না। নিজের ঘাড়ে কোনো দায়িত্ব এসে পড়তে পারে, এটা নিয়ে এরা সন্ত্রস্ত থাকে।

অবসেসিভ-কম্পালসিভ পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার: নিয়মনীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে চায় এ ধরনের ব্যক্তিত্বের সমস্যায় আক্রান্তরা। সবকিছুর মধ্যে পারফেকশন খুঁজে বেড়ায় এরা এবং স্বভাবটা হয়ে যায় খুঁতখুঁতে। এরা অপেক্ষাকৃত দৃঢ়চেতা হয়, বেশি কাজ করতে পছন্দ করে। সতর্ক থাকা অন্যকে সন্দেহ করা এদের আরেক বৈশিষ্ট্য। সে চায় অন্যরা তার মত অনুযায়ী চলুক।

মনের স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগী হউন। নিজের এবং প্রিয়জনদের!

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সম্ভবত 97, 98 সালের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছিল।
কোন এক ডাইনিং বয়ের সাথে প্রেম থাকার কারণে ।
ঘটনাটি দৈনিক ইত্তেফাকে পড়ে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার শিক্ষাবর্ষের বেশ কয়েকবছর আগের ঘটনা এটা বিস্তারিত জানি না ভাই।

ধন্যবাদ!

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

যায়েদ আল হাসান বলেছেন: প্রচন্ড ভয় থেকেও হয়ত আত্নহত্যার চিন্তা আসতে পারে। হয়তো কারো গোদ বা ফাইলেরিয়া হল। চিকিৎসার টাকা নেই। হয়তো তিনি দুঃসহ জীবনের ভয়ে, ব্যথাহীন প্রক্রিয়ায় জীবন এর ইচ্ছাসমাপ্তি ঘটালেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভাল পর্যবেক্ষণ যায়েদ।হসপিটালের টয়লেটে এই ধরনের ডেড বডি পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মনের যত্ন নেওয়া উচিত । তবে কোন রকমে আত্মা হত্যা করা উচিত নয়। আত্মাহত্যা শুনতে ভালোই লাগে না ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: রোকেয়া হলের চারটা মেয়ে আত্মহত্যা করে। আপনি হলে থাকা কালীন। এটা কত সালের কথা? ২০০৫?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জ্বী

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নার্সিসিস নামে কোনো দেবী ছিলেন বলে শুনিনি। নার্সিসাস একজন সুন্দর বালক ছিলেন।
গ্রীক পুরাণে যেখানে নার্সিসাস নামের এক অপূর্ব সুন্দর বালকের কথা বলা হয়, যে কিনা নিজের রূপের প্রতি নিজেই আকর্ষিত ছিল। তার এই অপূর্ব সুন্দর রূপ এবং নিজের প্রতি আকর্ষণই তার মৃত্যু ডেকে আনে। সেই থেকে মনোবিজ্ঞানীরা নার্সিসিজম টার্মটি দিয়ে সেসব মানুষদের চিহ্নিত করেছেন যাদের রয়েছে নিজের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। কিন্তু শুধুমাত্র নিজের প্রতি আকর্ষিত হলেই কি আমরা একজনকে নার্সিসিস্ট বলে আখ্যায়িত করতে পারি? না। কয়েকটি বিশেষ লক্ষণের উপস্থিতিই জানান দেয় মানুষটি আসলেই নার্সিসিস্ট কিনা।

দেবী নার্সিসিস লিখেছেন। ঠিক করে দিন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক করলাম না

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১০

সোহানী বলেছেন: ছবিটা মেইন বিল্ডিং থেকে তোলা। মেইন বিল্ডিং আর নিউ বিল্ডিং এর রাস্তা।

আমি তোমার থেকে অনেক সিনিয়র। এবং দীর্ঘদিন ওই রোকেয়া হলেই কাটিয়েছি কিন্তু এর মাঝে কোন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। ইদানিং মেয়েরা বেশী ইমোশনাল তাই অল্পতেই ভেঙ্গে লাইফ ডেথ পজিশানে চলে যায়।

তুমি কি বাঁধন কে চিনো বা তার গল্প শুনেছো। রোকেয়া হলের এক সময়কার বিশাল স্কেন্ডাল। কিন্তু তারপরও তারা আত্মহত্যার পথে যায়নি। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই।

ভালোলাগলো তোমার লিখা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ছবিটা এক্সটেনশন থেকে তোলা আপু।

মানুষের জীবনে জানালাগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। প্রেমিক/প্রেমিকার বাইরেও অনেকগুলো সম্পর্ক আমাদের আছে-ছিল-থাকবে।

যদিও অনেকগুলো এনজিও এখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে, তারপরও এই ঘটনা পুনঃ পুনঃ ঘটেই চলেছে।

রোকেয়া হলে ২০০৭ থেকে দুজন মনো চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন আর হলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে না।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
শুধু মেয়েরা বলবো না মানুষ কেন সুইসাইড করে ?
মেয়েরা -ই বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটায় ‌।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কিছু কেন'র উত্তর কারো জানা থাকে নয়া রোজা। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সবর দান করুক। আমিন।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


বেশ মুল্যবান তথ্য সম্বলিত পোষ্ট ।
বিভিন্ন ধরনের পারসনালিটি ডিস অর্ডারের
সংক্ষিপ্ত বিবরণ সুন্দর ভাবে লেখাটিতে
তুলে ধরা হয়েছে ।

আশির দশকে আমাদের এলাকার গ্রাম হতে আসা
এবং মফস্বল শহরে বসবাসকারী আত্বীয় স্বজনের
দুটি মেয়ের স্থানীয় অভিবাক হিসাবে মাঝে মধ্যে
রোকেয়া হলের গেটে গিয়ে দেখা করতাম ।
তখন হলে মেয়েদের আত্মহত্যার কোন
ঘটনা শুনিনি ,ইদানিং কালে হলের ছাত্রীদের
আত্মহত্যার কথা শুনে মর্মাহত হলাম।

আত্ম হত্যা প্রতিরোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয়
পরামর্শ দেয়ার জন্য একটি হেল্প লাইন
থাকা প্রয়োজন ,যাতে করে মানসিক
বিশাদগ্রস্তদেরকে আত্মহত্যা বিমুখ
করার জন্য পরামর্শ ও প্রতিরোধমুলক
ব্যবস্থা নেয়া যায় । উল্লেখ্য পৃথিবীর
অনেক দেশেই সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে
Help for suicidal thoughts এর জন্য
হেল্প লাইন আছে ।

মুল্যবান লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। অনেক অনেক ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: ইদানিং সুইসাইডাল টেন্ডেন্সিকে এন্টি সাইকোটিক এবং এন্টি ডিপ্রেসেন্ট ড্রাগগুলির সাইড ইফেক্ট হিসেবেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটাও খেয়াল রাখা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অথবা প্রথম বর্ষেই শিক্ষার্থীর সাইকো এনালাইসিসের ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হতো। এটা ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক অথবা হল ভিত্তিক হতে পারে। হলে বিপরীতমুখী পার্সোনালিটির দুজন একই রুমে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে বিপদ ঘটতে পারে। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একজন নার্সিসিস্ট এর সাথে এভয়ডেন্ট রুমমেট হলে পরবর্তীজন সবসময় একটা মানসিক চাপের ভিতরে থাকে যেটা কাউকে বোঝানো কঠিন। নার্সিসিস্টদের আমাদের সমাজে খুব সহজে আইডেন্টিফাই করা যায়। আমার ধারণা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে কর্পোরেট অফিসের বস এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভিতরে।আপনি নিজেও শিক্ষক বলে কোন এক মন্তব্যে/পোস্টে জেনেছি। আপনার কলিগদের ভিতরেও ব্যাপারটা লক্ষ করেছেন হয়তো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দারুন পর্যবেক্ষন কল্পদ্রুম! রীতিমত আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম।

আপনি ভীষণ মনোযোগী ব্লগার। কত খুঁটিনাটি তথ্য গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখেন।

কর্পোরেট অফিসের বস কেমন হন জানি না, তবে এটা সত্যি দিনশেষে এদেশের শিক্ষকরা এক ধরনের আত্মতুষ্টিতে ভোগেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: রোকেয়া হলের চারটা মেয়ে আত্মহত্যা করে। আপনি হলে থাকা কালীন। এটা কত সালের কথা? ২০০৫? আমারও একই প্রশ্ন, আমিতো ওইসময় ক্যাম্পাসে, কিন্তু ওয়াকিবহাল ছিলাম না ঘটনাগুলোর ব্যাপারে।

আপনার এত এত ডিজঅর্ডারের মধ্যে প্যারানয়েড, নার্সিসিস্টিক আর হিস্ট্রিয়োনিক ছাড়া বাকি সবগুলোই আমার মধ্যে আছে দেখছি.... ঘটনা কি বলেন তো?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঘটনা গুরুতর। পদ্ম পুকুর, একটা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে আমাদের শামিল হওয়ার সুযোগ দিন।

ঘটনাগুলো ২০০৭ এর দিকের। আপনি তখন সম্ভবত ব্যক্তিগত জগত নিয়ে দৌড়ের উপরে ছিলেন। তাই এই ক্ষুদ্র দূর্ঘটনা সম্পর্কে
ওয়াকিবহাল ছিলেন না।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: লোককথা আর বাস্তবা পয়েন্টু গুলো এলোমেলো লাগছে । ওগুলো এন্টার চেপে পরপর করে দিলে ভাল দেখাবে মনে হয় !

মানসিক স্বাস্থ্য যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের সমাজ বিশেষ করে বাবা মায়েরা এখনও বুঝে না কিংবা বোঝার চেষ্টাই করে না । তাদের কাছে এই গুলো ঢং ছাড়া আর কিছু মনে হয় না । অথচ যদি এই পরিবারের বাবা মা সচেতন হত এই সানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অর্ধে আত্মহত্যা কমে যেত !


১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি অপু তানভীর।

গল্প লেখা শেখার কর্মশালা কবে শুরু হবে গুরুজি?

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রেমঘটিত সুসাইড ইহজীবনে দূর হবার নয় ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আর প্রেম! প্রেম হচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় মিথ।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪৮

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: আপা, হঠাৎ ছবিটা দেখে মনটা কেমন করে উঠল। আপনি যেখান থেকে ছবিটা তুলেছেন সেখানে মেয়েরা শীতকালে রোদ পোহাত। চুলে তেল মেখে ওখানে বসে চুল আচড়াতো। আমি দুষ্ট ছিলাম তো তাই ওই মেয়েদের মুখে আয়না দিয়ে sunlight -এর reflection মারতাম। আমার জন্য সহজ ছিল। কাজটা (অকাজ) আমি করতাম আপনার ছবির সবচেয়ে বামের building-এরও বামে HouseTutor building থেকে। মাঝে মাঝে মেয়েরা আমাকে চিরুনী দিয়ে "মাইর দেব" এমন sign দিত। তখন হলের সব মেয়ে আমার কাছে ছিল aunty। আমি ৮০-র দশকের কথা বলছি। রোকেয়া হলে আমার বিচরণ ছিল মেয়েরা aunty থেকে বড় আপু হওয়া পযন্ত। তারা যখন সমবয়সী হয়ে গেল তখন এই তাগড়া যুবকের সেখানে যাওয়া মানা হয়ে গেল। মানা করেছিলেন আমার মা (Principal HouseTutor)। আর এখন তো বলতে গেলে আমি তাদের uncle!

Main building টা আমার খুব পছন্দের ছিল। Design টা খুব uncommon। ওটার নিচে Coin Phone Box-এর ওখানেও খেলতাম আর মাঝে মাঝে মেয়েদের প্রেমালাপের কথোপকথোন কানে আসত।

আপনার ছবির সেই ফাকা যায়গাটা তে একটা badminton court ছিল। আমি হলের মেয়েদের (aunty দের) সাথে খেলতাম ওখানে শীতের সময় । মাঝে মাঝে পাড়ার অন্য ছেলেমেয়েদের সাথে ফুটবল বা cricket খেলতাম ওখানে। আমাদের সাথে তাহসান-ও খেলত। দুরে যেই "বেগম রোকেয়া"র sculpture, সেটা আগে ছিল না। ওটারও দুরে যেই বড় খেলার মাঠ, সেই মাঠ আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। আমরা পিচ্চিরা ওখানে বেশ মজা করে খেলতাম। Aunty রা বসে বসে খেলা দেখত এমনকি খেলতও আমাদের সাথে! আমাদের মন-মগজে রোকেয়া হল ছিল "আমাদের" রোকেয়া হল!

আমি কিন্তু রোকেয়া হলের মেয়েদের আত্মহত্যার tendency বেশ আগেই দেখেছিলাম। মেয়েরা তখন ঘুমের বড়ি খেয়ে ফেলত বেশি করে। তখন কোন House Tutor aunty'r খাতার মেয়ে বড়ি খেলে সেই aunty দৌড়ে যেতেন, ambulance/hospital ইত্যাদির জন্য। বলছি ৮০ দশকের শেষ বা ৯০ দশকের শুরুর কথা। Extension building এর এক মেয়ে তো বাথরুমেই ঝুলে পড়ল। আমি সেই রাতে অন্য মেয়েদের চিৎকার শুনেছিলাম আমার বাসা থেকে।

সোহানী আপা বাধন নামের এক মেয়ের কথা বলেছেন। আমার মনে আছে আমি ঐ মেয়ের সাথেও খেলেছিলাম! মেয়েটার সাথে আমার সখ্যতা হয়ে গিয়েছিল। আমাকে দেখলেই "কেমন আছ" বলতো। কিন্তু মেয়েটার outlook একেবারে ছেলেদের মত করে থাকতো। বোঝাই যেত না মেয়ে। একেবারে handsome একটা ছেলে! Sunglass পরে মেয়েদের সাথে রিকশায় ঘুরতে দেখেছি। সোহানী আপা তার scandal-এর কথা বললেন। এখন আন্দাজ করতে পারছি।

যাই হোক, অনেকদিন পর ওমন angle থেকে ছবিটার জন্য ধন্যবাদ, আপা! অনেক কিছু মনে পড়ে গেল! "মনে পড়ে যায় আমার কৈশর...।" -- Warfaze

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি এক্সটেনশন বিল্ডিং এর তিন তলার বাসিন্দা ছিলাম শূন্য দশকে। আপনার বিবরন শুনে বোঝা যাচ্ছে রোকেয়া হল আসলেই আপনারও কতটা আপন। আপনার বর্ণনায় অনার্স বিল্ডিং এর কোথা বাদ পড়েছে। মেইন বিল্ডিংটা আমার কাছেও ভালো লাগতো। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই বিল্ডিংটার কথা অনেক পড়েছি।

বাধন আপুর স্ক্যাল্ডাল সম্পর্কে আমার জানা নাই।

সোহানী আপু, মনিরা আপু এনারা আমার হলের সিনিয়র আপু এবং আমার প্রিয় ব্লগারদের তালিকাভুক্ত।

আপনাকেও ধন্যবাদ, এত সুন্দর স্মৃতিচারনের জন্য!

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: Dhonnobad. Honours building proshonge ashe ni, tai bola hoy ni. Amar bichoron shob khanei chilo. :)

Ashole, onek sriti-e ache. Shob likha shombhob hoy ni. Bhalo thakben.

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.