নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
অজস্র অবসর অন্তহীন ভুলের সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে দেয় অবলীলায়। পৃথিবী যখন সকালের কফি কিংবা রাতের ঘুমে ডুবে যায়; আমি ফিরে যাই সেইসব দিনগুলোতে, যেখানে আমরা পরস্পরের কাছে খুঁজে পেয়েছিলাম স্বাচ্ছন্দ্য আর সুখ। তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে বরফের মতো জমে যাওয়া সোনালি সময়ের বিন্দু! যেমন বর্নিল, তেমনই মূল্যবান। মনের গহীন কোণে যেখানে সমস্ত অযাচিত অনুভুতিকে লুকিয়ে রাখি সেগুলো জীবনের একএকটি নিজস্ব মুহূর্ত।
তোমার কথা ভেবে অপেক্ষার প্রতিশব্দ হয়ে গেছি। নিজের জীবনে তুন্দ্রার মতো নির্জন হয়ে বেঁচে আছি। আমি স্বার্থের কাকের মত আচরণ করেছি, কোকিলের মতো চালাকি করেছি, অথচ আমার বাবুই পাখি হওয়ার কথা ছিলো। ভালোমানুষ হয়ে জন্ম নিতে হয় মিলি, ভালমানুষ কেউ হয়ে উঠতে পারেনা। আমার বর্তমান; জীবনান্দের কবিতার মতোন বিষাদময়। নদীভাঙ্গায় বাড়িঘর হারানোদের মত ভাগ্যবিড়ম্বিত। ব্যক্তিজীবনের নিঃসঙ্গতায়, অদ্ভত নির্ল্পিপ্ততায়, বাস্তবতার বেড়াজালে বন্দী। জমাট ব্যথার মত অসহ্য জীবনযাপন। সুপারনোভা যেমন আয়ুষ্কালের শেষপ্রান্তে এসে কষ্ণগহবরে রূপান্তরিত হয়; তেমনি নিদারুণ খরার একটা খটখটে জীবনে তুমি আমার নিজস্ব নিরবতা।
মিলি, আমরা নিখুঁত নই; অথচ আমাদের ভুলগুলি মারাত্মক নিখুঁত। অতীত নিয়ে আফসোস করতে গিয়ে আজকাল ঘরের সিলিং দেখি দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো। ভাবি 'ঘর ঘর করে মানুষ গলা শুকায়। একখানা ঘর আর কতখানিই বা আশ্রয় দেয় মানুষকে, যদি না ঘরের লোক আপন হয়!' কৈফিয়তহীন ভাবে তোমাকে ছেড়ে আসার পর এতটাই কষ্ট হয়েছিল যে কষ্টের আর কোনো বোধ ছিলো না। ঠিক কত মিলিমিটার বৃষ্টির পর আমার মন স্বাভাবিক হয়েছিল সে হিসাব আজ থাক। জীবনের হাজারো দাবি পার হয়ে গেলো। এখন বুঝি যার বেদনা যত মর্মান্তিক, তার সহনশীলতা তত বেশি। মধ্যবিত্ত ভুল জীবন, আর অনমনীয় বদ্ধমূল ধারনা নিয়ে বেড়ে ওঠা আমি এতগুলো বছর, খাল-বিল পার হবার পরে চিন্তা করে দেখলাম; কর্মে নয়, মানুষ বাঁচে দ্বিধায়।
তখনো স্বপ্নের সাথে সত্যের খাদ এতটা মেশে নাই। আমরা একে অন্যের নিকটে ছিলাম। নৈকট্যের একটা উষ্ণতা আছে। দৃষ্টির একটা তরঙ্গ আছে। একজন আর একজনকে লক্ষ করলে তার মধ্যে একটা আহবান এসে যায়। পুরোনো তোমাকে ভেবে মনের মধ্যে ধূলোঝড় হচ্ছে। তুমি আমার স্বর্বহারা দুঃখ, মানিসক বিলাসিতা। জানো তো, আলো কেবল পথ দেখায় না, পথ যে শেষ সেটাও দেখায়। মাটির হাড়ি আর সোনার কলস পাশাপাশি রাখতে নেই। মানসিক প্রাচুর্যে ভরা তুমি আমার সাথে একঘরে মানিয়ে হয়তো চলতে পারতে, তার বেশি কিছুই হতো না। একঘরে থাকলে মানুষের কত কদর্য রূপ যে বেরিয়ে আসে! প্রেমহীন দাম্পত্য জীবন যেমন হয় বরফ নয় অগ্নিরথ।
রোজ কাজ থেকে ফেরার পথে মনে মনে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করি। অতি অকারণে আশা করি; একদিন কোথাও আমাদের দেখা হোক। সেদিন মুখোমুখি বসে জিজ্ঞেস করবো,’কেমন আছো মিলি?’। আমি চাই তোমার কষ্টগুলো ফুল হয়ে ফুটুক, বৃষ্টি হয়ে ভেজাক তোমায় যখনতখন। সমুদ্র পাড়ে জ্যোস্না স্নান করে তোমার রাত কাটুক। আকাশের মত অসীম হোক তোমার জগৎ। 'মন খারাপেরও একটা ব্যথা আছে মিলি। সে ব্যথার গায়ে হাত বুলিয়ে সারিয়ে নেবো, এমন সাধ্য আমার নেই।' বেঁচে আছি, যেভাবে মানুষ মৃত্যুর অভাবে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। তোমাকে সব বলবো, একদিন সময় করে এসো…
‘যাহাকে ভালোবাসি সে যদি ভালো না বাসে,
এমনকি ঘৃণাও করে তা বোধ করি সহ্য হয়!
কিন্তু যাহার ভালোবাসা পাইয়াছি
বলিয়া বিশ্বাস করিয়াছি, সেইখানে ভুল
ভাঙ্গিয়া যাওয়াটা সবচেয়ে নিদারুণ।
পূর্বেরটা ব্যথা দেয়।
কিন্তু শেষেরটা ব্যথাও দেয়, অপমানও করে।‘
০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার জীবন খুব ভালো ভাবেই চলে যাচ্ছে।আমার চমৎকার একটা পরিবার আছে। বসবাসের জন্য বিলাসবহুল বাড়ি আছে। দু'হাত ভরে খরচ করার মতো যথেষ্ট অর্থ আছে। তো আবেগ দেখানোর জন্য আমি যথোপযুক্ত একজন।
আর কিছু বলার আছে রাজীব নূর?
২| ০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৩
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: পুরোটা দুইবার পড়লাম অসাধারণ হয়েছে। খুব ভালো লেগেছে। বেশি ভালো লেগেছে একখানা ঘর আর কতখানিই বা আশ্রয় দেয় মানুষকে, যদি না ঘরের লোক আপন হয়!' এই কথাটা সত্যিই দারুন। এরোকম লেখা আরো দিবেন। পোস্টে লাইক।
০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদি_হাসান.
৩| ০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ২:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
বেশ ভালো লাগলো
শুভেচ্ছা ।
০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৩:২১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। আছেন কেমন?
৪| ০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৩:১৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল এবং সুন্দর লেখা। শুভেচ্ছা রইল।
০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৩:২২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কাছের-মানুষ ভাই। ভালো থাকবেন।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:০৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রথম ব্যথার অনুভুতি হয়তো অনেকেরই আছে,কিন্তু যে ব্যথার সাথে অপমানও জড়িত এমন ব্যথার অনুভুতি হয়তো সবার নেই।
এটা যার আছে সে হয়ে যায় নীলকন্ঠি।কোন ব্যথাই আর তাকে ব্যথা দিতে পারে না।
সুন্দর লিখেছেন
০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
৬| ০২ রা মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৫২
Imran Khan 017 বলেছেন: "কর্মে নয়, মানুষ বাঁচে দ্বিধায়! " আবেগটা ভালই লেগেছে। কিন্তু ক্ষণিকের জন্য!
০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আবেগ, ব্যাপারটাই ক্ষণস্থায়ী।
চিরদিনের যা, তার নাম বেদনাবোধ।
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: পোস্টে ব্যবহৃত ছবিটা আমার খুব পছন্দের একটা এনিমেশন মুভির ।
লেখার একটা লাইণ খুব বেশি পছন্দ হল । আমরা নিখুঁত নই, কিন্তু আমাদের ভুল গুলি মারাত্বক নিখুঁত ! কি চমৎকার সত্য আর নিষ্ঠুর একটা কথা !
০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ, অপু তানভীর।
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৪
শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: একটানা এত্তগুলা ভাল লাইন খুব কম মাবুষকে লিখতে দেখছি।
মনে হয় বার বার পড়ি।
শুভকামনা।
০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদিন সেই সময়টাই কারো করা হয় না ।
ভালোলাগা।
০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সময় হয়, দ্বিধার দেয়াল পেরোনো হয় না।
ধন্যবাদ, মনিরা আপা।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি শুধু আবেগের কথা বলেন। আবেগ দিয়ে কি জীবন চলে? আবেগ দিয়ে কবিতা লেখা যায়। জীবন চলে না।