নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
বহু অঘটনের এই দেশে ঘটনার ঘনঘটা লেগেই থাকে। বর্তমানের নিভু নিভু এক ঘটনার কর্তা ব্যক্তি মামুনুল হক। রাজনীতিবিদ এবং আলেম। তিনি যে ক্রমশ বিশাল এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন তার কারণ ধর্ম নির্ভর একটা দলের নেতৃত্ব দেয়া এবং আক্রমানত্বক ভাষার ব্যবহার। ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মধ্যে বিদ্রুপ আছে, সেই সঙ্গে আছে আশ্চর্য এক স্বস্তি। বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ/প্রতিরোধ আন্দোলনের সফল আহবায়ক মামুনুল হক বর্তমানে নিজেকে ‘মানবিক স্বামী’ হিসেবে উপস্থাপনে বার বার ফেসবুক লাইভে এসে ব্যাখ্যা দাঁড় করছেন। যা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন। পূর্বাপর বিবেচনা না করেই ‘মানবিক স্বামী’ মামুনুল হক সাহেব তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ যাপনে সোনার গাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে গিয়েছিলেন। রিসোর্ট রেজিস্ট্রারে লিখেছিলেন প্রথম স্ত্রীর নাম। রাজনৈতিক অনুসারীদের ‘প্রিয় রুহান বাবা’ ভেবেছিলেন বিশ্বাস নির্ভর অনুসারীতে যখন দেশ ভরে গেছে তখন কি আর হবে! তবে মামুনুলের সাহেবের অবকাশ যাপনে বাধ সাধে কিছু প্রশ্ন। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের জেরার মুখে বেরিয়ে আসে বানোয়াট তথ্যের সত্য ভার্সন।
দেহজ ভোগ-বিলাস, খাদ্য, পানীয়- সবক্ষেত্রেই চলছে অতি-উপভোগের অনুশীলন। সেই অনুশীলনে সবাই নয় কেউ কেউ তিরষ্কৃত হন। এবং মামুনুল হক ভুলে গিয়েছিলেন যে গোপনীয়তা রক্ষা করাই চরম গুরুত্বের। কারণ কে না জানে, জনতার সমর্থন ক্ষনস্থায়ী। ঠিক যেমন করে মর্যাদার আসনে কাউকে সমাসীনা করে তারা, ততোধিক আনন্দে তাকে ছুঁড়ে ফেলে। এই ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ করার কৃতিত্বের দাবি করছেন অনেকে। এই কৃতিত্ব নেয়ার জন্য একসময় প্রতিদ্বন্দ্বীতা শুরু হয়। এতে করে যে দূরত্ব বা ফাঁক তৈরি হয় সেই ফাঁক গলে্ মামুনুল হক আরামসে পৌঁছে যান নিরাপদ আবাসে। সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে তিনি একের পর এক চটুল ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে থাকেন। অপর দিকে গণমাধ্যমের হাতে পৌঁছতে থাকে একের পর এক ফোন কল রেকর্ডিং। স্পষ্ট হতে থাকে যে গনমাধ্যম আসলে ম্যাস মিডিয়া নয়, বরং ল্যাপ মিডিয়া। ক্ষমতাসীনদের কোলে চড়ে আছে।
গতকাল সংবাদে দেখলাম ‘মানবিক স্বামী’ মামুনুল সাহেবের তৃতীয় স্ত্রীর খোঁজ দিচ্ছে গণমাধ্যম। বিষয়টা গনমাধ্যমের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে ব্যাপারটা তেমন নয়। তথ্যটা গণমাধ্যমের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকতায় যেটাকে ‘লিক রিপোর্ট’ বলা হয়। এই পুরো বিষয়টাকে অনেকেই ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ শাক দিয়ে মাছ ঢাকা তো সহজ ব্যাপার নয়। অনেক সময় সাফল্যের হাতে হাত ধরে আসে সমস্যা। সমস্যাটা হলো একজন আলেমের চারিত্রিক নৈতিকতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
রাজনীতি তো কেবল নির্বাচনে জেতা নয়, এটা হলো চূড়ান্ত বিজয়ী হওয়া। রাজনীতি মানেই কী দেখা গেল সেটা। আর রিসোর্টে গণশুনানীতে মামুনুল হক যা বলেছেন তা একযোগে জাতি শুনেছে। এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে এও দেখেছে মামুনুল হক সাহেব আসলে আরাম কেদারায় বসা বুদ্ধিজীবী। তিনি কর্তব্য পালনের চেয়ে সরকারের সমালোচনার করতেই বেশি পারদর্শী। সবনীতির মূল নীতি যে নৈতিকতা, সে কথা সতর্কতার সাথে এড়িয়ে যান তিনি। কারণ তার অনুসারীরা প্রমাণ নির্ভর নয়, বরং বিশ্বাস নির্ভর। তাদের কাছে যুক্তির প্রয়োজন নেই, বিশ্বাস থাকলেই হলো। এই নেতাদের সত্যিকারের ক্ষমতা দৈহিক গড়ন থেকে আসে না, আসে রাজনৈতিক সুবিধা থেকে। আর জনপ্রিয়তা লাভ করতে এদের আক্রমানত্বক ভাষার ব্যবহার, খুবই কার্যকরী একটা মাধ্যম।
মামুনুল হক সাহেব বিষয়ক ইস্যুতে গণমাধ্যমগুলোতে সব একই সংবাদ, একই বিবৃতি, একই সম্পাদকীয়। কেবল শিরোনামে শব্দের ভিন্নতা ছাড়া। অনেকটা সাংবাদিকদের দিয়ে বিভিন্ন বিষয়/ভাবনা বলিয়ে নেয়া হচ্ছে। রাজনীতির খেলায় মিডিয়া সবদেশেই একটা প্রিয় খেলনা হিসেবে বিবেচ্য। যাতে করে সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায় করে নেয়া হয়। সন্দেহবাদীরা তথ্য চ্যালেঞ্জ করে বিপাকে পড়তে চায় না। অবিশ্বাসের একটা ছায়া ফেলে, কে জানে সেটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। কখনো কখনো অন্ধ বিশ্বাসের মতো বিশাল কিছুকে একটা ক্ষুদ্র ব্যাপার দিয়েই মোকাবেলা করা যায়।
অবকাশ যাপন সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরতে সরকার হয়েছেন সংকল্পবদ্ধ আর সন্তোষজনপক ব্যাখ্যা দিতে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো সংঘবদ্ধ। সারাদেশে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ১৫জন মানুষের মৃত্যু নিয়ে আলোচনা থেমে গেল। গণমাধ্যমের হাতে যখন একের পর এক ফোনকল রেকর্ডিং আসতে শুরু হলো, কিছু নেতার ব্যাংক একাউন্ট তলব করা হলো, আতংক খামচে ধরলো মামুনুল হকের সাহেবের দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হৃদয়। ভয় আর দ্বিধাদ্বন্দ্ব ইতোমধ্যে তাদের ক্ষয়িষ্ণু আত্মবিশ্বাসের মূলে আঘাত হানলো। একে চরম আঘাত ঠিক নয়, বরং সুতীক্ষ্ণ একটা খোঁচা বলা যায়।
পুরো ইস্যুতে সরকারের যে সফলতা তার ডান হাত হলো মিডিয়া। সবকিছু ছাপিয়ে মামুনুল হক সাহেবের অবকাশ যাপনকে পুরো জাতির ঝিমিয়ে পড়া অবস্থার রূপক বলা যায়। আর ঘটনা পরবর্তী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব ব্যাখ্যাই নির্লজ্জভাবে মানসিক দেঔলিয়াপনার প্রকাশ। মাঝে মাঝে পুরনো ধর্মের /দিনের/দলের দু-একটা ব্যাপার ইচ্ছে করেই জিয়িয়ে রাখা/চর্চা করা/রেখে দেয়া হয়। যেন নতুন নিয়ম/আইন/শাসন/ বিধিনিষেধ খুব বেশি আঘাত হয়ে দেখা না দেয়। এর একটা সুন্দর নাম আছে 'ট্রান্সমিউটেশন'। এর ফলে মানুষ নতুনের উপর আস্থা রাখতে শেখে। তাতে যারা ক্ষমতায় আছে তারা জনআবেগ লাভ করে।
অন্ধকার আমাদের চোখের উপর পর্দা টেনে রেখেছে। আমরা যা দেখি তার পেছনে আরেকটা গোপন জগৎ রয়েছে। কখনো কখনো প্রাসপেক্টিভের সামান্য পরিবর্তনে অতিপরিচিত কোনো কিছুও একেবারে নতুন আলোয় দেখা যায়। সহজ করে বললে, একটা অসভ্য সময়ে বাস করছি আমরা; না বন্য- না বিজ্ঞ। এই আধাআধি ব্যাপারটাই একধরনের অভিশাপ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কথাটা ঠিক না। বরং বলা ভালো, আংশিক সত্যি পুরো মিথ্যের চেয়ে ভয়ংকর।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৫১
পলাতক মুর্গ বলেছেন: উনি এদেশের "ধোয়া তুলশি-পাতা গনমাধ্যমের" উইচ-হান্টের শিকার। এনি ওয়েইজ, একটা বিষয় ভাল হইছে, গোপনে একাধিক বিয়ে করা যে বৈধ তা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। মামুনুল হক এইজন্য ক্রেডিট পাওয়ার মত কাজ করেছেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: গোপনে একাধিক বিয়ের দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত হয়ে, তবে এটা যে বৈধ এমনটা কোথাও বলা বা লেখা হয়নি।
গণমাধ্যম উইচ-হান্টের শিকার এটা আপনার বাড়িয়ে বলা মতামত।
এই ইস্যুতে গণমাধ্যমে যে আধেয় প্রকাশিত তাকে 'win-win' situation বলে। তথ্য ঠিক আছে, তবে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধানের প্রয়োজন হয় নি। বেশিরভাগ তথ্য হাতে এসে পৌঁছেছে।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:২১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোন অংশ সত্য আর কোন অংশ মিথ্যা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সেটা তো নিজের বিদ্যা বুদ্ধি খাটিয়ে বুঝে নিতে হবে।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার পোস্ট!
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫৩
জগতারন বলেছেন:
আমি তাদের ঘৃণা করি যারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করে।
এবং সাধারণ মানুষের ধার্মিক আবেগ নিয়ে খেলা করে।
এই ধর্মব্যবসায়ীগুলোকে ক্রসফায়ার দেওয়া উচিত।
এরা সমাজের ভাইরাস.....
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ক্রসফায়ার কিংবা বিচার বহির্ভূত হত্যা কখনো ভালো সমাধান নয়।
তার চেয়ে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থাটাকে উন্নয়ন করা যায় কি-না সেটা ভাবুন।
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১২
কালো যাদুকর বলেছেন: আমারা গোপন জগৎটির উৎস হয়ত জানি না। আমরা ভয়ে সিটিয়ে আছি ৷
তবুত্ত আমার বিশ্বাস ত্র অন্দকার কাটবে ৷ আমেরিকাতে দ্বাসত্ব প্রথা একদিনে কাটেনি ,800 বছর লেগেছে। সময়ের
ব্যবধানে এই সেলদ সেনসরশিপ থেকে আমরা হত একদিন বের হতে পারব। কিন্তু সেটা কবে কেউ জানে না।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অন্ধকার যত গাঢ় হয়, ভোর তত নিকটে...
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৮
শদেব বলেছেন: সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমিন
৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লিখেছেন । তবে মনে হয় উনি এখনো রাজনীতিবিদ হতে পারেন নাই এবং তৃতীয় স্বামীও না।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। সাধারণ মানুষের ভাবনার/ধারণার/বিশ্বাসের অনেক কিছুই ৫০১ নম্বর রুম বদলে দিয়েছে।
এখন আমরা 'দেখি না কি হয়' অবস্থানে আছি।
১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ধর্মের মৌলিক নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত ব্যক্তিরা ব্যক্তি জীবনে অধর্ম চর্চা করে ধর্মের লেবাস পড়ে। শুদ্ধ চিত্তই ধর্ম। নাপাক অন্তর কখনও তার প্রকৃত মালিকের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে না।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। প্রমাণ কই? আগের সাংবাদিকতা নাই হয়ে গেছে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সাংবাদিক খালেদ মহীউদ্দীন এর পেশাগত প্রোফাইলে একটা উক্তি লেখা আছে 'আমরা কেউ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নই'।
১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ৩ মাস আগেও মামুনুল হককে কেউ চিনতো না।
গত সেপ্টেম্বরে ব্যাপক বিধ্বংশি তান্ডবের ভেতর মাওলানা সফি হত্যার মাধ্যমে হাটহাজারি মাদ্রাসা ভিত্তিক হেফাজত পটপরিবর্তনে কট্টরপন্থি জামাতিদের দখলে চলে যাওয়ার পরও ৩য় স্তরের নেতা রাজাকার পুত্র মামুনুল হককে তেমন কেউ চিনতো না।
মামুনুলহক আলোচিত হন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে।
এধরনের প্রকাশ্যে হুমকি দেয়াতে স্বাধীনতা বিরোধী, বাংলাদেশ বিরোধী চিহ্নিত মহল উল্লোশিত হয়ে ৩য় স্তরের এই নেতাকে তাদের প্রধান নেতা বানিয়ে ফেলে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভাস্কর্য নির্মাণ ইস্যুতে তিনি বেশ আলোচিত/সমালোচিত হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন এটা ঠিক।
মোদি বিরোধী আন্দোলনেও তার ভুমিকা জোড়ালো।
১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১০
অক্পটে বলেছেন: পোষ্টটিতে ভাল বিশ্লেষণ পেলাম।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ অকপটে।
১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: টুপি দাঁড়িওলা লোক দেখলেই আমার ভয় করে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বয়স তো ৩৫ হলো, আর কতদিন ভয় পাবেন?
১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
নতুন বলেছেন: ভন্ডামী আমাদের জাতীয় রোগে পরিনত হয়েছে আমাদের সমাজে
ধর্মের নামে ভন্ডামী করছে মানুষ কিছু করছেনা, বলছেনা, বরং অনেকে অন্ধ সমর্থন করছে।
ক্ষমতার জন্য টেলিফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে মিডিয়া প্রচার করছে কিন্তু এই খানে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কথা কেউ বলছেনা কিন্তু কাটুন একে মানুষ জেলে পচে মরছে।
দেশের নৈতিক এই সমস্যার কারনেই অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কারো কাছে নৈতিকতা আশা করা এখন 'অরণ্যে রোদন' ছাড়া আর কিছুই নয়।
১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০০
জুন বলেছেন: স্ত্রীর কাছে গোপন করা জায়েজ আছে শোনার পর থেকে নিজের স্বামীকে চোখে চোখে রাখছি নান্দনিক নন্দীনি
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভালো করে চোখে চোখে রাখেন।
পারলে বাইফোকাল লেন্সের চশমা নিয়েন।
বিশেষ প্রয়োজনে আমাদের চোখও ধার নিতে পারেন।
তবে, 'মানবিক স্বামী' ব্যাপারটাকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: স্ত্রীর কাছে গোপন করা জায়েজ আছে একথা কোরান হাদিস সহ প্রমান পাওয়ার পরেও বাংলাদেশের মেয়েরা কিভাবে নির্বিকার থাকে?? তাহলে কি তারা কি বেহস্তের আশায় ইহজীবনে দাসী বাদী হয়ে থাকতেই পিছন্দ করে?? প্রতিবাদ কোথায়??
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: প্রত্যেকটা সূরার শানে নজুল আছে। বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে হাদীসের বয়ান আছে। আপনি নিজে যদি কোনো বইয়ের রেফারেন্স দিতে চান সেটা দিন। কোন হুজুর কোন মাহফিলের বক্তা হিসেবে কী বয়ান দিয়েছে সেগুলো নিয়ে আসবেন না।
শুধু কোরআন এবং হাদীসের আলোকে আলাপ হতে পারে। তবে সেটা নির্ভরযোগ্য পুস্তকের রেফারেন্স দিয়ে।
১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মামুনুল হক কিছু মানুষের উপকার করেছেন। তারা এখন মুতা বিয়ে জায়েজ করবেন। এরফলে, বাংলাদেশ আরও অনাচার ঘটবে।
আমরা ইসলামকে এক ধরণের 'অশিক্ষিত' মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি। যার ফলে এমনটা ঘটছে।
গণমাধ্যমে, ফিল্মী দুনিয়ার চটকদার পোশাক পড়া নারীদের দেহ প্রদর্শণ করে। কিন্তু, ইসলাম সঠিক প্রচারে তেমন ভূমিকা দেখা যায় না।
এ যেন শুধু হুজুরদের দায়িত্ব ইসলামকে প্রচার করা!!!
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব কিছু ব্যক্তির উপর নয়। তবে ইসলাম প্রচারে যারা এগিয়ে আসেন তাদের দায়িত্ব ভেজাল বক্তব্য পরিহার করা।
১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বয়স তো ৩৫ হলো, আর কতদিন ভয় পাবেন?
এই দেশে থাকতে হলে ওদের ভয় করতেই হবে। ওরা বড় ভয়ঙ্কর। ছাত্রলীগের চেয়ে বেশী।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যেভাবে দিনে গড়ে পাঁচখানা ব্লগ লিখেছেন সেভাবে লিখে যান। ভয়ের কিছু নাই।
১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দেশে দেশে ইসলামের আইন ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়,
আবার সৌদির অনেক আইন আমরা পরিহার করি ।
এছাড়াও মিশর, কুয়েত , আরব আমিরাত যে ধরনের বিয়ে প্রচলন আছে
তাতে প্রতীয়মান হয় যে, অর্থ থাকলে অনেক কিছু যায়েয করা যায় ।
..........................................................................................................
আজ যদি সৌদি মেয়েদের স্বাধীন ভাবে কথা বলতে দেয়া যায়,
তাহলে পাহাড়সম অজানা ইতিহাস জানা যাবে ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভুলে যেয়েন না যে, দিল্লির সম্রাটদের 'হেরেম খানা' থাকতো।
২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার ভাবনা।
ইনারাই এখন আমাদের ন্যায়ের মূর্ত প্রতিক।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন।
২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যেভাবে দিনে গড়ে পাঁচখানা ব্লগ লিখেছেন সেভাবে লিখে যান। ভয়ের কিছু নাই।
মন ভরে তো আর লিখতে পারি না। রাখঢাক করে লিখতে হয়। অনেক জানি কিন্তু লিখতে পারি না। তবে এদেশ ছেড়ে যখন যাবো, তখন মন ভরে লিখব। আমি বিশ্বাস করি- দেরী হোক যায় নি সময়।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাইলে তাড়াতাড়ি দেশ ছাড়ার বন্দোবস্ত করে ফেলুন।
২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
অক্পটে বলেছেন: আপনার ১৬নং মন্তব্যের জবাবে অভিভুত হলাম, সুন্দির এবং যৌক্তিক জবাব। আমাদের দেশের ওয়াজিনরা বেশিরভাগই লাফালাফি ও খোরা যু্ক্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধর্মের বাণী শোনায়। মানুষ তাই বিশ্বাস করে বসে থাকে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ অকপটে!
২৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩১
রানার ব্লগ বলেছেন: ভন্ড চেনেন?? এই মামুনুল হক আর কিছুই না সমাজের আর দশটা ভন্ডের মতই একজন নারী লোভী প্রতারক ও ভন্ড। এর বাপ ও ছিলো একই।
বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ মৌলনারা ভন্ড ও প্রতারক। এরা মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে ভয় দেখিয়ে নিজেদের পেট ভরায়।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঢালাওভাবে দোষারোপ করে ফেললেন রানা। এটা রাজনৈতিক নেতাদের কাজ।
প্রমাণ ছাড়া একজনকেও অপরাধী বলা যাবে না।
২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫১
কল্পদ্রুম বলেছেন: মামুনুল হকের ইস্যুতে মিডিয়া একের পর এক রিপোর্ট উপস্থাপন করছে। এই ফাঁকে বাকি সব কিছু আউট অফ ফোকাস থেকে যাচ্ছে৷গত এক দশক ধরেই সরকার এই পদ্ধতি অনুসরণ করছে। কাজেও দিচ্ছে বেশ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: গণমাধ্যমের উচিৎ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর 'ফলোআপ' রিপোর্ট করে যাওয়া।
যে ইস্যু চাপা পড়ে যায়, কেমন-কেমন করে সেগুলো কর্পূরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
২৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি তো অনেক চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন। আমি মুগ্ধ হয়েছি আপনার লেখায়।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমরা সামন্তবাদী চিন্তা চেতনা থেকে আধুনিক হতে চেষ্টা করছি কিন্তু ধর্ম আমাদের এগুতে দেয় না।আরো পিছনে নিয়ে যেতে চায়।