নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্লাসমেটের সাথে প্রেম, একধরনের পাতানো ম্যাচ

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪০



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রতিবছর ৬৬জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেন। এই বিভাগে বরাবরই নারী শিক্ষার্থী সংখ্যা কম। আমাদের ব্যাচে ছিলো ১১জন। যা হোক প্রথম বর্ষে আমাদের ক্লাস শুরু হয় মার্চের ১৮তারিখ। আমি ক্লাস শুরুর খবর জানতাম না, এবং ক্লাস শুরু করি ৩১মার্চ থেকে। প্রথমদিন করিডোরে ৫/৬জন ক্লাসমেট আমার সাথে পরিচিত হয়। সবাই কমনলি একটা বাক্য বলে 'ও তুমি নন্দিনী...'। প্রথম মাস দেড়েক আমাকে মিরপুর থেকে চৈতালি বাসে ইউনিভার্সিটিতে যেতাম। ক্লাসমেট কারোর সাথেই আমার বন্ধুত্ব হয়নি। তখন বন্ধুত্বের চেয়েও বাসের শিডিউল আমার প্রাওয়োরিটি লিস্টে উপরে। বাসের শিডিউল নিয়ে আমার দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না। কারণ আমি বাস মিস করতাম। ঢাকার বাইরে থেকে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বর্ষে কম ঝক্কি পোহাতে হয় না!

রোকেয়া হলে উঠি মে মাসের ১২তারিখ। এক্সটেনশন ৮৬ নম্বর রুমে। দুইটা ব্যগ নিয়ে একটাতে আমার বইপত্র অন্যটাতে ব্যবহার্য। শুরু হলো আমি সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। হলে উঠতে না উঠতেই গ্রীষ্মকালীন ছুটি! পুরো এক মাস। জুলাই মাসে সত্যিকারের ক্লাস- এসাইনমেন্ট- পরীক্ষা শুরু। সেই সাথে শুরু ক্লাসমেটদের ভাব-চক্কর। ১১জন মেয়ের মধ্যে দুইজন প্রথম বর্ষেই ক্লাসমেট এর সাথে প্রেম শুরু হয় (যদিও সেই প্রেম শেষ পর্যন্ত খুব খারাপ ভাবে শেষ হয়)। তো ক্লাসমেট ছেলেদের একমাত্র দিবাচিন্তা তখন প্রেম (এটা নিশ্চিত ভাবে বলছি কারণ এই বিষয়ে বাজি ধরতে আমি রাজি আছি)।

মেয়েদের আলাদা একটা ক্ষমতা থাকে, কেউ তার বিষয়ে ভাবতে শুরু করলে তারা বুঝতে পারে। আবার এটা বিপরীতও হতে পারে, ছেলেরা ভাবে- ভংগীতে- ইংগিতে বোঝাতে পারদর্শী। তাতে ধরি মাছ না ছুঁই পানি হলো আরকি। তো এমন ইংগিতপূর্ণ কথা বলায় প্রথমজনের সাথে কথা বন্ধ করে দিলাম। দ্বিতীয় জনের দিকে খুব আহত চোখে তাকিয়ে ছিলাম। সম্ভবত সেটা আহত দৃষ্টি ছিলো না, সেটা ছিলো রাগ- ঘৃণা-হতাশার সম্মিলন। তৃতীয়জনের বিষয়টা ছিলো মজার। তার নাম হাসান। হল গেইটে এসে আমাকে কল পাঠিয়েছিলো রুমে। স্পষ্ট মনে আছে আমার রুমমেট রিডিংরুমে এসে কল পৌঁছে দিয়েছিলেন। গেইটে গেলাম কী বিষয়। হাসান আমার দিকে একটা ভাজকরা কাগজ এগিয়ে দিলো। এটা কী? (জানতে চাইলাম)। হাসান বললো পরীক্ষার রুটিন। তুমি ডিপার্টমেন্টে যাওনি তাই নোটিশ বোর্ড থেকে নিজের জন্য লিখে নিয়েছি আর তোমাকে এককপি দিতে আসলাম। আমি নির্বিকার মুখে বললাম গতকাল বিকেলে হল অফিসের নোটিশ বোর্ডে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষার রুটিন টাংগিয়ে দিয়েছে, আমি সেখান থেকে নিজের জন্য লিখে নিয়েছি। এবং কাগজটা ধরলাম না। তারপর আমরা ডাসে গিয়ে লাচ্ছি খেলাম, খানিকক্ষণ গল্পগুজব করলাম। হাসান এরপর থেকে অপ্রয়োজনে প্যাচাল পাড়ার চেষ্টা করেনি (ভালো ছেলে বলে কথা)।

পরীক্ষা শেষে কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হলো। সবাই পূর্নদ্যোমে ক্লাস-ঝগড়া-গ্রুপ ডিসকাশন শুরু করি। একদিন ক্লাস শুরু স্যার তখনও আসেননি, আমি ডায়াসে দাঁড়িয়ে বললাম; আমি কিছু বলতে চাই। সবার এটেনশন নিশিত করে দিলাম এক ঐতিহাসিক ঘোষণা 'এই ক্লাসের সব ছেলে আমার আপন সৎ ভাই। সবাই ভবিষ্যতে আমাকে আপন বোনের নজরে দেখবা'। ইট ওয়াজ আ ম্যাজিক। পরবর্তী চার বছর (মাস্টার্সসহ) আমাকে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেম বিষয়ক ইস্যুতে পড়তে হয়নি।

তারপর গার্লস গ্যাং নিয়ে আমরা ৫বান্ধবী সুখে শান্তিতে ভার্সিটি লাইফ শেষ করি। মাঝখানে তৃতীয় বর্ষে থাকতে আবেদিন বলে এক জুনিয়র ছেলে বেশ ভুগিয়েছে আমাকে। সে গল্প আরেকদিন হবে।

বি.দ্র 'ওহ তুমি নন্দিনী' এই বাক্যের শানে নযুল হলো, আমার নামটি ৬৬জনের মধ্যে সবার প্রথমে ছিল। ক্লাসে সবাই অপেক্ষা করছিল ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেও কেন আমি জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টে পড়তে আসলাম সেটা জানার জন্য...

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল ক্লাসমেটকেই । স্কুল জীবনের গল্প । তাকে ভাল লেগেছে অনেক আগেই । তবে প্রেম শুরু হয়েছিলো ক্লাস টেনে । সেই প্রেম কিন্তু মধুর ছিল অনেক বেশি ।

আমার এক সময় খুব ঝোক ছিল জার্নালিজম পড়ার ! কলেজ জীবনে ঠিক করেই রেখেছিলাম যে যদি চান্স পাই তাহলে এই বিষয়েই পড়বো কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় ভাল করার পরেও এই সাবজেক্টটা নেওয় হয় নি ! ব্যাপারটা এমন ছিল যে ডি ইউনিট থেকে আমি চাইলেই যে কোন বিষয় নিতে পারতাম । ইকোনোমিক্স কেন নিয়েছিলাম আমি নিজেও জানি না ।

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা...
ইকোনোমিক্স ডিপার্টমেন্টের অপু তানভীর এখন ব্লগে জমিয়ে গল্প লিখছে। ব্যাপারটা কিন্তু উল্লেখযোগ্য।
আমারও ইকোনোমিক্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু বাবার পরামর্শ এবং শখে জার্নালিজম নিয়ে পড়া। এবং আমি বাবাকে প্রায়শই ধন্যবাদ দিই এরকম চমৎকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে। আমি, আমি হতাম না যদি না জার্নালিজমে পড়াতাম।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:



মাঝখানে তৃতীয় বর্ষে থাকতে আবেদিন বলে এক জুনিয়র ছেলে বেশ ভুগিয়েছে আমাকে।

৫৫ টা আপন সৎ ভাই কাজের না । এরা থাকতে নন্দিনীকে আবেদিন ভোগায় কি করে !!!
আবেদিনতো বাঘের বাচ্চা । ক্যাম্পাসে এতোগুলো ভাইয়ের মধ্যে থেকেও বোনকে ত্যাক্ত করে ।

আরেকদিন কি এই গল্প হবে ? আজই হয়ে যেতো । নন্দিনী নামটা খুব সুন্দর ।


১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
যার ৫৫টা আপন সৎ ভাই আছে তারও জীবনে বিড়ম্বনা থাকে!
আবেদিন বিষয়ক গল্প সময় নিয়ে স্মৃতি হাতরে লিখতে হবে, তাই আরেকদিনের জন্যে তুলে রাখতে হলো।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

জি এইস মেহেদী বলেছেন: জীবনের চরম সত্যিই কথা ক্লাসমেটের সাথে প্রেম করা মানে আপনি বাঁশ খাবেন,, যেমনটা আপনি খেয়েছেন,,, এখন আপনি কি বিবাহিত?? যদি বিবাহিত হন তাইলে আপনার স্বামী কে এই লিংক টা দিবেন তাইলে দেখবেন পাতানো ম্যাচ কে কার সাথে খেলছে

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি লোক প্রশাসনের ছাত্র ছিলাম। আমাদের ৫৫ সীটের ১২ জন ছাত্রী ছিলেন। বেশ কয়েকজনের সাথেই সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা তদবির করে চাঞ্চ পাইনি, অগত্যা অন্য ডিপার্টমেন্টে দৃষ্টি দিতে বাধ্য হই।

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমাদের সময় লোকপ্রশাসন বিভাগে আসন সংখ্যা ছিল ১২০টা।
অন্য ডিপার্টমেন্ট কত নম্বর ফ্লোরে ছিল?

ধন্যবাদ!

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৭

আল ইফরান বলেছেন: কলেজ সার্কেল ঢাকা আর আনন্দের কমিউটার হওয়ার কারনে এমনিতেই ভাবের উপরে থাকতাম ১ম বর্ষে। ভালো যাকে লেগেছিলো তার কথা শুনে (আমাকে তার মত হতে হবে) গায়ে জ্বলুনি ধরে গিয়েছিলো :(( :P
পরবর্তীতে জুলভার্ন ভাইয়ার ডিপার্টমেন্টে একটু হিট করেছিলাম, কিন্তু ততদিনে বুঝে গিয়েছি পড়াশুনা ও ফলাফল ঠিক রাখলে বিয়ের বাজারে এমনিতেই পাত্তা পাওয়া যাবে (আফসোস! এই বুদ্ধি কাজে লাগে নাই, প্রেম করেই বিয়েটা হয়েছে :`> ;)

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ফলাফল যেহেতু বিয়ে, তাই সেটা প্রেম করে হলো নাকি না করে হলো তাতে কি আসে যায়।
আলোচ্য সূচি হচ্ছে 'আপনার বর্তমান স্ত্রী যিনি অতীতে আপনার প্রেমিকা ছিলেন; তিনি আপনার ক্লাসমেট ছিলেন কিনা।

বি.দ্র আমি আপনার নিকটাকে সবসময় ভুল পড়ি। ইফরানকে 'ইরফান' পড়ে ফেলি!

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রেম কি হৃদয়ে আসে, নাকি প্ল্যান, প্রোগ্রাম করে পদক্ষেপের মাধ্যমে একটা প্রসেস শুরু করা হয়?

১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার কী ধারণা?

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার ধারণা, ইহা হৃদয় মাঝে ফুলের মতো ফোটে, ইহার সৃষ্টি হয় আপনা থেকেই, ইহা একটি মানসিক অনুভবতা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক। সুন্দর ধারণা।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পাতানো ম‍্যাচ খেলেন নি।ভালো করেছেন না খারাপ খরেছেন আপনার উপলব্ধি কি।


১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: উপলব্ধি চমৎকার।

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: কলেজে ম্যাডাম আমাদের সব সময় বলতেন, ছেলেরা প্রেম করো ভালো কথা। কিন্তু ক্লাশমেট কে কখনও বিয়ে করবে না। তাহলে জীবনে সুখী হতে পারবে না।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিরোনামটা ভালো লাগেচ্ছে না।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দুঃখজনক...

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: "ক্লাসমেট ছেলেদের একমাত্র দিবাচিন্তা তখন প্রেম"
আপনার পর্যবেক্ষন ১০০% সঠিক।
আপনার সাথে এই একটি বিষয়ে কেউ বাজি রাখলে নিশ্চিত হেরে যাবে। =p~

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ।
বাজি ধরতে চাইলে, জয় নিশ্চিত জেনে ধরা-ই উত্তম।

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৩

বিটপি বলেছেন: আমি ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর থেকেই ফ্যান্টাসিতে ভুগতাম যে একটা সুন্দরী মেয়ের সাথে প্রেম করব। সহপাঠীদের অব্জার্ভ করে যা জানলাম, প্রেম করতে হলে দুটো জিনিস থাকতে হয় - মানিব্যাগ আর সময়। দুইটা ভালো টিউশনির সুবাদে মানিব্যাগের স্বাস্থ্য মোটামুটি প্রেম করার উপযুক্ত থাকলেও ব্যস্ত পরীক্ষা আর এসাইনমেন্টের চাপে সময় তখন হীরার চেয়েও দামী হয়ে উঠল। ফলাফলঃ দুই দুইটা চমৎকার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও প্রেম আর করা হয়ে ওঠেনি।

তবে প্রেম মিস হয়নি। একটি চমৎকার মনের মানুষের সাথে আড়াই বছর প্রেমের পরিণতিতে আমি এখন দুটি দেবশিশুর বাবা। সে আরেক গল্প।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। মানুষ 'ভালোবাসা'র মানুষকেই জীবনসঙ্গে পেয়েছে, বিষয়টা নিয়ত সুন্দর।
দুই দেবশিশুকে নিয়ে আপনাদের দাম্পত্য সুখের হোক। শুভকামনা রইলো।

১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: ঐতিহাসিক ঘোষণা 'এই ক্লাসের সব ছেলে আমার আপন সৎ ভাই। সবাই ভবিষ্যতে আমাকে আপন বোনের নজরে দেখবা'।
আমি শুধু সেই ক্ষনের কথা চিন্তা করছিলাম যখন আপনি এটা ঘোষনা করেছিলেন। ;)
আহা, এতগুলি ভবিতব্য প্রেমিকের হৃদয় বুল্ডোজার দিয়ে এতভাবে নির্দয় ভাবে ভেংয়ে দিলেন?
এইজন্য সম্ভবত বাংলা ভাষায় পাষানী শব্দের আবির্ভাব ঘটেছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এখন কি ব্যাকগ্রাউন্ডে আসিফ আকবরের 'হে পাষাণী' গানটা বাজাতে শুরু করবো, হা হা হা।

নীল আকাশ, আমার প্রিয় সিনেমা 'দিল সে'। আমি বড় হয়েছি 'ক্যাহোনা পেয়ার হে'র যুগে।
প্রিয় গান 'দোল দিল মিল র‍্যাহে হে, মাগার চুপকে চুপকে' (পারদেশ সিনেমার গান)।
আমার কী ক্লাসমেটের সাথে প্রেম করা মানায়?!

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: সব প্রেমই পাতানো নয় কি? বসন্তে ফুল ফুটলে তার রূপে, সৌরভে, মাদকতায় মুগ্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি? না মানে, নিজের ভেতরে প্রস্ফূটিত ভালোবাসাকেই বসন্তের ফুলের সাথে তুলনা করছি। আর এটা ঠিক কি অর্থে ম্যাচ বা খেলা তা ঠিক বুঝলাম না। এটা হয়ত জীবনের একটা পর্ব বা অধ্যায় হতে পারে ।

তলস্তয় মহাশয়ের "Family Happiness" নামে একটা বড় গল্প বা নভেলা আছে। সেখানে মাশেখা নামে তরুনী একটা মেয়ের জীবনে কিভাবে সেই ভালোবাসা নামের বসন্তের ফুল ফোটে তার তলস্তয়সুলভ শাণিত বর্ণনা আছে। আর সেই ভালোবাসার পরীনতি কি হলো তারও বর্ণনা এবং ব্যাখ্যা তলস্তয় জবানীতে দেওয়া আছে । ইচ্ছে হলে পরে দেখতে পারেন।

যাক, অনেক বেশি কথা বলে ফেললাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন আশা করি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভালো কথা হলে সেটা বেশি হলেই ভালো :)
তলস্তয়ের এই নভেল্টা আমার পড়া হয়নি। অবশ্যই পড়বো।
ধন্যবাদ শ্রাবণধারা, লেখাটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

প্রেমের মতো একটা এবস্ট্রাকট বিষয়, আসলে সংগাহীন। একে ভাষায় প্রকাশ করা মোটামুটি দুরূহ।

১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের সময় লোকপ্রশাসন বিভাগে আসন সংখ্যা ছিল ১২০টা।
অন্য ডিপার্টমেন্ট কত নম্বর ফ্লোরে ছিল?[/sb

ফ্লোর আর ডিপার্টমেন্টই চেঞ্জ নয় একেবারে এলাকা ছেড়ে আজিমপুর কবরস্থানের সামনে(বিডি আর ৩ নম্বর গেইট) চলে গিয়েছিলাম প্রেমিকার খোঁজে :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সমাজকল্যাণ বিভাগ!
মাশ আল্লাহ।

১৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রেম কি আর বলে কয়ে আসে? হুটহাট হয়ে যায়। যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তারা তো বিশেষ কেউ। ক্লাসমেটদের সাথে প্রেম হলে পরিণতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিয়োগান্ত।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কথা সত্য।
অতঃপর সেই বিয়োগান্তক পরিণতির ফলাফল হলো দুই পক্ষের বিষোদগার সহপাঠী বন্ধু হিসেবে দিনের পর দিন হজম করা।
ক্লাসমেট প্রেমে সবচেয়ে খারাপ যেটা ঘটে, কেউ একজন ইয়ার লস করে বা লেখাপড়া ছেড়ে দেয়।

১৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অনার্স প্রথম বর্ষ কিভাবে যেন চলে গেল টেরই পেলামনা। প্রেম হয়নি তবে আমার ঠিক আগের রোল নং ছিল আমারই নিজ জেলার ছোটখাট গড়নের চমতকার এক সহপাঠি লিপি (প্রথম বর্ষের পরীক্ষার পর ছুটিতে মারা যায় লিউকোমিয়ায় ভূগে। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন ) এবং আরেক সহপাঠি মোনার সাথে মিলেমিশে।

ক্লাসমেটের সাথে প্রেম হঠাত করে হয়ে গিয়েছিল অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের আষাড়ের ঘনঘোর বর্ষার এক ম্যারাথন বৃষ্টির দিনে ।

সকালে টিউটরিয়াল পরীক্ষা ১১ টায় শেষ করে বৃষ্টির কারনে পরবর্তী ক্লাস বন্ধ । বারান্দায় বৃষ্টি দেখতে দেখতে স্রষ্টার আরেক সৃষ্টির মাঝে কখন যে হারিয়ে গিয়েছিলাম টের পাইনি ।ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে পাশে বসা এবং আলাপ পরিচয়ের মাঝে কিছু সময়ের পরে অবাক হয়ে দেখি সেই বংগললনা আমারই ক্লাসের (সেইম ইয়ার) এবং একই বিষয়ের । প্রায় অনেকটা সময় কাটিয়ে যখন বৃষ্টি বন্ধের পর নিজেরা যার যার পথে গিয়েছি পরে দেখি বৃষ্টির কারনে প্রকৃতি যেমন কিছুটা সিক্ত হয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের হৃদয়ও কখন যেন সিক্ত হয়ে গেছে , নিজেদের অজান্তে ।

আর কি ?

তার পরের কাহিনী ? যা হওয়ার কথা তাই । একসাথে-হাতে হাত রেখে শিক্ষা জীবন শেষে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস (সংসার) শুরু তবে মাঝখানের কাহিনী এতটা সুখের নয়। একসাথে থাকার জন্য পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা কঠিন ও বন্ধুর পথ ।

আর এখন ? এখন সুখী না দুখী?

এটাও কোটি টাকার প্রশ্ন তবে খারাপনা । চলে যাচছে দুজনের একসাথের জীবন এই দুনিয়ার তাবত জটিলতার মাঝেও।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: লিপি'র আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ তায়া’লা তাকে জান্নাত নসিব করুন, আমিন।

বাহ্, বৃষ্টি থেকে প্রেমের অনুভব শুরু। আপনি তো ভাই বিরাট ভাগ্যবান!
সুখ দুঃখ সাময়িক অনুভূতি। পৃথিবীর কোনো মানুষই চির সুখী কিংবা দুঃখী নয়।
আপনার সুখ দুঃখ মিশ্রিত জীবনের জন্য শুভকামনা রইলো।

১৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: ১) অনার্স প্রথম বর্ষ কিভাবে যেন চলে গেল টেরই পেলামনা।
২) ক্লাসমেটের সাথে প্রেম হঠাত করে হয়ে গিয়েছিল অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের আষাড়ের ঘনঘোর বর্ষার এক ম্যারাথন বৃষ্টির দিনে ।
৩) সকালে টিউটরিয়াল পরীক্ষা ১১ টায় শেষ করে বৃষ্টির কারনে পরবর্তী ক্লাস বন্ধ । বারান্দায় বৃষ্টি দেখতে দেখতে স্রষ্টার আরেক সৃষ্টির মাঝে কখন যে হারিয়ে গিয়েছিলাম টের পাইনি ।ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে পাশে বসা এবং আলাপ পরিচয়ের মাঝে কিছু সময়ের পরে অবাক হয়ে দেখি সেই বংগললনা আমারই ক্লাসের (সেইম ইয়ার) এবং একই বিষয়ের ।


কেমতে কী? আপনি ভাই একটা শো-পিছ। =p~ জাদুঘরে নিয়ে রেখে আসার মতো। :P
আস্ত একটা সেমিস্টার শেষ করলেন আর নিজের ক্লাসের মেয়ে কোনগুলি চিনতেন না?
হুজুর পাব্লিক হলে অন্য কথা। তা না হলে কেমন জানি লাগলো বেখাপ্পা এটা।

@ নান্দনিক নন্দিনীঃ এই মন্তব্য আপনি পড়তে পারেন কিন্তু কোন উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন না। :P

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দিলাম না উত্তর

১৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: @ নীল আকাশ ভাই,

পুরানা কথা মনে হওয়ায় এই বিষয়ে একটা পোস্ট অলরেডি প্রসব করে ;) ফেলেছি যাতে আপনার এবং নান্দনিক নন্দিনীর মন্তব্য আশা করতেই পারি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার পোস্টে ব্লগারদের মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ!
ধন্যবাদ পোস্টটি আমাকে উৎসর্গ করার জন্য।

২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নতুন বলেছেন: বেশি বাস্তব চিন্তা করতাম বলেই স্কুল, কলেজ বা ইউভিসিটিতে প্রেম করা হয় নাই। তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে প্রেম করলেও যখন বিয়ের কথা আসবে তখন তো আমি বিয়ে করতে পারবো না। তাই প্রেমের ভ্যাজালে না যাওয়াই ভালো।

অবশ্য ১ জোড়া কে বিয়ে দিয়েছিলাম আনার্সের সময়ে। বেশ ভালো আছে। হিন্দু হতে মুসলমান হয়ে বিয়ে করেছিলো। আর এখন হাতপায়ে মোজা, চোখে চশমা পড়ে পর্দা করে। আর বন্ধু ফেসবুকে বউএর ছবি পোস্ট করাকে গুনাহ কাজ বলে মনে করে। :|

তবে প্রেম নানা সময়ে নানান ভাবে মানুষের জীবনে আসতে পারে। সেটা জটিল একটা অভিঙ্গতা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বুদ্ধিমান মানুষজন নিজে প্রেম করার চেয়ে প্রেমে আগ্রহীদের উৎসাহ দিতেই বেশি পছন্দ করে।

২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৫

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন, ভর্তি পরীক্ষার মতো জটিল জায়গায় টপে থাকার জন্য।

তোমার লিখা পড়লেই নিজের অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলতে ইচ্ছে করে। ...

তুমি এক্সটেনশানে ছিলা! আমি প্রথমে এক্সটেনশান ১১ তে ছিলাম। পরে ৪৪, তারপর অনার্স বিল্ডিং ১৮ ও শেষে মেইন বিল্ডিং ২১ এ ছিলাম। সে এক বিশাল কাহিনী.......

তবে আমাদের ক্লাসে মাত্র ১৩ জন মেয়ে ছিলাম। এরই মাঝে জুটি বেঁধেছে তিন জোড়া। তারা অনেক ভালো আছে। তাই উপসংহারে আসতে চাই না যে ক্লাসমেটের সাথে প্রেম মানেই জীবনের বারোটা বাজা নয় কিছুতেই। এটা ডিপেন্ড করে তাদের মানসিকতার উপরে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
আমি হলে একটা রুমেই সাড়ে ছয় বছর কাটিয়েছি। এক্সটেনশন ৮৬কে আমি বলতাম ঢাকা ৮৬। সেই বিখ্যাত গান 'পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়। ভেঙে যায় যাক তার করি না ভয়, কভু প্রেমের তো শেষ হবে না'।

মানিয়ে গুছিয়ে নিতে পারলে সব প্রেমই সুন্দর।
যদি আমার ক্লাসে হৃত্বিক রোশান পড়তো, আমি অতি অবশ্যই তার প্রেমে পড়তাম। পাতানো ম্যাচ হলেও পড়তাম। কিন্তু হায় নো হৃত্বিক রোশান, নো ক্লাসমেট প্রেম।

আসলে ইউনিভার্সিটি লাইফটা আমার অনেক ভালো কেটেছে। এখনো গেটটুগেদার হলে আমরা অনেক হৈচৈ করি।

২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার তো সম্ভাবনা ও ছিল না :P
তবে জুনিয়র কিছু বেশ সাহস দেখাইছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মনিরা আপু, আপনার সম্ভাবনাও ছিল না, এইটা আমি মানি না।
হলের বড় আপু (সোহানা আপু) দেইখা যান মনিরা আপু কি বলে।

জুনিয়রদের সাহস, সে আর বলতে!

২৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬

মৌন পাঠক বলেছেন: ক্লাসমেটরা আমাকে দেখত আদরের ছোট্ট-দুষ্ট ভাই হিসেবে।

সিনিয়রের সাথে প্রেম-ভালোবাসা হয়েছিল, প্লেটোনিক প্রেম, চুটিয়ে প্রেম করেছিলাম ১ বছর এর মত।
তার সাথে কাটানো সময় আমার জীবনের সেরা সময়।

এত দিন পরেও তাকে মিস করি, ইভেন আমার অফিসিয়াল কাজের যত অনলাইন পাসওয়ার্ড সব ই তার নাম মডীফাই করে করা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হায় প্রেম!
আপনি ভাই ফারসি সাহিত্যের সেইসব প্রেমিকদের কাতারে থাকবেন, ইতিহাস যাদের হয়ে প্রেমের জয়গান গেয়ে চলেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

হায়দার মহিউদ্দীন। বলেছেন: মহিউদ্দিন হায়দার site:www.somewhereinblog.নেট ম্যাম এটা আমার ব্লগ। কিন্তু আমি কোন ভাবেই ব্লগে প্রবেশ করতে পারছিনা। তাই নতুন আইডি খুলে ব্লগে এসেছি। আপনি সিনিয়র ব্লগার হিসেবে যদি আমার ব্লগটি উদ্ধার করতে একটু সহযোগিতা করেন আমার উপকার হবে। কিংবা কোন পরামর্শ।

২৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সব ছেলে পড়তে এসে প্রেম করবে
এমন দৃষ্টি নিয়ে তাকায়, বিশ্বাস করতে পারলামনা।

..........................................................................
একই ক্লাশের সমবয়সীকে প্রেমের প্রস্তাব দেবো ঐ বয়সে ভাবতে ও
পারতাম না ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সব ছেলেদের নিয়ে কোনো কনফার্মেশন বায়াস করা হয়নি।
আমি যা বলতে চেয়েছি, তা যথেষ্ট গুছিয়ে লিখেছি।
এখানে বিশ্বাস না করা, বা না মানতে পারার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আপনার আছে।
ধন্যবাদ।

২৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩৭

কালো যাদুকর বলেছেন: বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে অভিজ্ঞতাটি লিখেছেন।

আমার পরিচিত ক্লাসমেট জুটিবেশ ভালোআছে। আবার আরেক জুটি টিকেনি। আমার মতে ক্লাসমেটের প্রেমে পড়াটা দুর্ভাগ্যজনক।লক্ষ্য করেদেখুন আমি "পড়া" শব্দ ব্যাবহার করেছি। কারন হল এই ব্যাপারটি মানুষের হৃদয়ের ব্যাপার।
অনেকেই কো এডুকেশন এ পরে তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে, তারা এরকম সমস্যায় সহজে পরেন না, বা সৃষ্টি করেন না।

যে সব বিভাগে মেয়েদেরসংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম ,সেখানে মেয়েদের এরকম সমস্যায় বেশী পরতে দেখেছি।

প্রেমের ব্যাপারে অবশ্য আমাদের দেশের ছেলমেয়েরা সিনিয়র জুনয়র বিষয়টি গুরত্ব দেন।





১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কালো যাদুকর

২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৩

সেডরিক বলেছেন: আমার কলেজ জীবনে ক্লাসে সব মিয়ে মেয়ে ছিলো ১৫ জন, ২ জন প্রথম সেস্টিারেই ড্রপ (বিয়ে করে সংসারী)। ১৩ জনের ভেতর ৭ জন ক্লাসমেটের সাথে প্রেম, ৩ জন সিনিয়র ভাইদের সাথে এবং ১ জন অন্য ডিপার্টমেন্টের সেম ইয়ারের ছেলের সাথে প্রেম করতো।
ক্লাসমেটদের ভেতর ১ জোড়া প্রেমে সফল হয়ে বিয়ে করেছে, বাচ্চাও হয়েছে। বলা যায় সুখে আছে। বাকিরা দুধভাত। কলেজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে সেই প্রেমও শেষ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সহপাঠিনীদের প্রেম বিষয়ক পরিসংখ্যানটা বেশ ভালো দিয়েছেন সেডরিক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৫

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ও,আপনিই নন্দিনী!
নন্দিনীকে নিয়া সেই প্রথম বর্ষে থাকতে একটা কবিতা লিখতে হয়েছিল। মেয়েটা ইতিহাস নিয়ে পড়ত আর ছেলেটায় বাংলায়।
আমার কবিতা দিয়ে তাদের আলাপ-যালাপ শুরু।শেষটা অবশ্য জানি নি,মেয়ে পটানোর পর ছেলেটা আর খুব একটা আমার সাথে মিশেনি

০১ লা মে, ২০২২ রাত ১২:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আশাকরি, তাদের শেষটা সুন্দর হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.