![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন দেখি সুন্দর একটি পৃথিবী, যেখানে থাকবে না মানুষের মধ্যে হানাহানি। অনুভব করি বৈষম্যহীন পৃথিবীর যেথায় এক চাঁদে হয় জগত আলো। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমি এই আলয়ের ক্ষণস্থায়ী অতিথী মাত্র এবং এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর বুকে ছোট্ট একটি পদক্ষেপ রেখে যেতে চায়
ডে-১
ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা 'সময় ও দায়িত্বজ্ঞান'! তবে এবারের ৪ দিনের ছুটিতে গ্রান্ড ট্যুর দিবো এটাই ভেবে রেখেছিলাম। স্যারের কাছে ছুটি চাইতেই স্যার এক কথায় ছুটি দিয়ে দিলেন। তারপর শুরু করলাম ট্যুরের শপিং। যদিও আমার বাইকে দুদিন আগেই Yamaha Lube Engine Oil :10w-40 রিফিল করাই ছিলো। ফুল সিন্থেটিক হওয়ায় কনফিডেন্ট ছিলাম। তারপরও কিছু টুকটাক কেনাকাটা করাই লাগলো। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা পর্যন্ত এটা ওটা করেই চলে গেলো। বাসায় ফিরেই আমার অরিকা'কে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। মেয়েটাকে জড়িয়ে কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছিলো। বারবার ভাবছিলাম এই ৪ দিন থাকতে পারবো তো!!!
পরেরদিন ভোর ৪ টায় উঠলাম। ফ্রেশ হলাম। নামাজ পড়লাম। মেয়েটাকে অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে বাসা থেকে বের হলাম। পাশের পার্কিং লট থেকে বাইক বের করে পন্ডিতের অপেক্ষায় রইলাম। যথারীতি তার তালগোল পাকানো শুরু হয়ে গেলো বাইক বের করা নিয়ে, ওখানে আধা ঘন্টা শেষ। অবশেষে তিন বাইক বের হলাম ৫ টার দিকে। বৌদ্ধমন্দিরের মেইন হাইওয়েতে উঠেই দেখি প্রচন্ড জ্যাম। পরে বাধ্য হয়ে মানিকনগর - ধলপুর ঘুরে রায়েরবাগ পৌছালাম। ওখানে অপেক্ষমাণ আরেক ট্যুরমেট নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। কুমিল্লার হোটেল নুরজাহান পর্যন্ত মোটামুটি জ্যাম ঠেলে পৌছালাম। নুরজাহানে যাত্রা বিরতির সাথে সাথে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম।
চৌদ্দগ্রাম থেকে বারৈয়ারহাট পর্যন্ত মিটারের কাটা ৯০-৯৫ এ আপডাউন করছিলো। প্রায় ১১ টার দিকে চট্টগ্রামের সিটে গেটের একটু আগে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে থামতেই হলো। কারনটা বৃষ্টি। এত এত বৃষ্টি যে চিন্তার বাইরে। প্রায় ৩ ঘন্টার উপরে বসে আছি। আফসোস লাগছে আমার ওত দামী রেইনকোট টা আনিনি বলে। ইনফ্যাক্ট আমরা কেউওই রেইনকোট নিয়ে যায়নি।
অথচ কাঙ্খিত গন্তব্যে যাওয়ার পোকা মাথায় কিলবিল করছে। অবশেষে একজনকে নিয়ে আমি কালু শাহ মাজারের ওখানের বাজার থেকে কিছু পলিথিন কিনে ব্যাগ প্যাকেট করলাম, জুতার উপর পলিথিন ও পলিথিন ছিড়ে বুকে বাধলাম। কিম্ভুতকিমাকার এক দৃশ্য। আবার যাত্রা শুরু। বায়েজিদ লিংক রোড দিয়ে ঢুকে ২ নং গেইট হয়ে প্রবর্তক মোড়, তারপর চিরচেনা স্বাদের মেজবানের হোটেল। উদ্দেশ্য কিছু খাবার পেটে চালান দেওয়া। পথে যেতে দেখলাম স্মৃতি বিজরিত মেয়র গলি, চিরচেনা আলফালাহ গলি, সেই আফমী প্লাজা। ওয়াও। কি নস্টালজিক স্মৃতি! কতটা সময় কাটিয়েছি এই শহরে। ষোলশহরে আড্ডা দিয়েছি রাতের পর রাত। জিইসি মোড়ে রাত ২ টায় বের হয়ে চা খেতে আসতাম। মাঝে কিছুদিন আমি সুগন্ধায় থাকতাম। বিখ্যাত বারকোড রেস্টুরেন্ট চোখের সামনেই দেখলাম।
আমি মেহেদী স্যার হিসেবে গড়ে উঠার শুরু এই চকবাজারেই। দিনরাত এই করে এখানে কোচিং করিয়েছি, ব্যাচ পড়িয়েছি। কাতালগঞ্জে পার্সোনাল রুম ছিলো পড়ানোর জন্য। গুলজারে' কত সময় ঘুরেছি তার ইয়ত্তা নেই। চকভিউ মার্কেট ইউজ করতাম কোচিং রিলেটেড শপিং করার জন্য।
বারবার ভাবছিলাম আমার অতি পরিচিত এই নগরে যদি অরিকা'কে আনতে পারতাম! একদিন আল্লাহ নিশ্চয়ই সেই আশা পূরণ করবে।
বিকেলের দিকেও বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই। বাধ্য হয়ে বিখ্যাত রিয়াজউদ্দিন বাজারে গেলাম রেইনকোট কিনতে। বহু দামাদামি করে ১৫০০ টাকায় চারজনের রেইনকোট সেট কিনে নিলাম। অন্তত কাজ চালানো গেলেই হলো।
আবার বান্দরবান অভিমূখী যাত্রা শুরু। পটিয়ার ভিতরে দমকা বাতাস ও প্রচন্ড ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলো। ভাইজরের ভিতর দিয়ে কিছুই দেখিনা। প্রায় আন্দাজে গাড়ি চালাচ্ছি। চন্দনাইশ যেয়ে এক ফ্রেন্ডের বাসায় চারজন আশ্র্য় নিলাম। তাদের আতিথেয়তায় সমস্ত ক্লান্তি ও কষ্ট দূর হয়ে গেলো। সুন্দর ডেকোরেটেড রুমে ওদিনের রাতটা ভালোই কাটলো।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
ব্লগে নতুন পোষ্ট আসছে না; তাই পড়ে দেখলাম; ইন্টারেষ্টিং মনে হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লাগলো ।