![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সপ্ন দেখতে ভালবাসি, আমি সপ্ন দেখাতে ভালবাসি । আমি সপ্নের মাঝে নিজেকে দেখি, সপ্নের মাঝে তোমায়। আমি সপ্ন দেখতে ভালবাসি তাই সময় থাকতে ঘুমাই।
চাকুরী সংক্রান্ত কোটা পদ্ধতি বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের
নাতি/নাতনি পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে!
ফিফা কেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ দিবে না ?
আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলার সুযোগ চাই ।
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০১
প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: তাই সরকারের কাছে বিনীত আবেদন—
কোটা পদ্ধতির অবসান করুন। মেধাবীদের
মূল্যায়ন করুন ।
২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: সবচাইতে দুর্ণীতিবাজ দেশে আর কি আশা করতে পারেন!
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: আশা করে লাভ নাই,
সবাইকে জানাতে হবে :----
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান
একটা সমস্যা হলো বেকার সমস্যা।
জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে ঠিক
সে হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
ফলে বেকার যুবদের সংখ্যা প্রতিদিন হু হু
করে বেড়েই চলছে। তবে বেকার সমস্যার
কারণ হলো, আমাদের দেশের
শিক্ষাব্যবস্থা। আমাদের
দেশে যে শিক্ষা প্রচলিত, তাতে শুধু
অফিসিয়াল লোক তৈরি করা যায়।
টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দক্ষ
লোক তৈরিতে আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাঁরা স্নাতক
বা স্নাতকোত্তর পাস করেন তাঁদের
প্রধান টার্গেট থাকে বিসিএস। কিন্তু হায় !
এখানে তাঁদের জন্য রয়েছে অমানবিক
প্রহসন। বিসিএসে কোটার ছড়াছড়ি । মোট
আসনের ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা,
১০%মহিলা কোটা , ১০% জেলা কোটা,
৫%আদিবাসী কোটা আর ৪৫%
মেধা কোটা। ভাবতে অবাক লাগে, ২ লাখ
মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়েদের জন্য রয়েছে ৩০%
কোটা। আর ১৬ কোটি মানুষের জন্য
রয়েছে ৪৫%কোটা। কয়েকদিন আগে বিসিএসের
ফল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে,
মুক্তিযোদ্ধা কোটার অধিকাংশ পদই শূন্য
রয়েছে প্রার্থীর অভাবে। ঐ পদগুলো দশক
দশক ধরে শূন্যই পড়ে রয়েছে । সবচেয়ে বড়
প্রহসন হলো, ২২০তম হয়েও কপালে বিসিএস
জোটে না অথচ ৫৬৩২তম হয়েও
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এএসপি হয়।
যাঁরা বিসিএস পরীক্ষা দেন তাঁরা কত
পড়ালেখা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সকাল ৮টায় ঢোকেন
আর বের হন রাত ৯টায়। সারাদিন
তাঁরা পড়াশোনা করেন। দুপুরে হয়তো কিছু
সময়ের জন্য বের হন ডাকসু
বা টিএসসি ক্যাফেটেরিয়াতে খাওয়ার
জন্য। তাঁরা যখন সারাবছর
পড়ালেখা করে বিসিএসে টিকতে পারেন না,
অথচ তাঁরই আর এক বন্ধু কোটার
জোরে চাকরি পেয়ে যায়, তখন তাঁর
মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক।
মেধাবীদের অবমূল্যায়ন
করে কখনো প্রত্যাশিত
লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। কোটা নামক
অদ্ভুত সুযোগ অদক্ষদের সে সুযোগটাই দিচ্ছে।
আজ মেধাবীদের ক্যারিয়ার
আটকে গেছে কোটা নামক ভয়ঙ্কর বস্তুর
ভেতরে। যেখানেই যাই সেখানে শুধু
কোটা আর কোটা। প্রাইমারি স্কুল
থেকে বিশ্ববিদ্যালয়
সবক্ষেত্রে ভর্তি হতে কোটা আর কোটা।
চাকরিক্ষেত্রে অফিসের দপ্তরি থেকে বিসিএস,
সেখানেও কোটা। কোটার কুঠারাঘাত
ক্রমেই যেন অসহনীয়ভাবে বেড়ে চলছে।
যদি মেধার সঠিক মূল্যায়ন চাই,
তাহলে তো কোটা থাকাই উচিত না।
আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। সবার
সমান অধিকার। এ অধিকার সংবিধান
প্রদত্ত। বিসিএস-এ কোটা পদ্ধতির
কারণে মেধাবী ছাত্ররা হতাশায়
নিমজ্জিত হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যতকে অন্ধকার
দেখছে। হতাশায় তারা নেশাগ্রস্ত হচ্ছে,
নানারকম অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
অনেককেই বলতে শুনেছি যে, আমাদের
পড়ালেখা করে কোনো কাজ হবে না।
আমরা তো আর বিসিএস-এ চান্স পাবো না।
বিসিএস তো আর আমাদের জন্য নয়। আমার
বাবা-দাদারা তো মুক্তিযোদ্ধা নয় যে,
আমরা বিসিএস-এ চান্স পাবো। অতএব
পড়ালেখা বাদ
দিয়ে বাড়ি গিয়ে ব্যবসা করো।
কোটাব্যবস্থার ফলাফল হচ্ছে ভয়াবহ।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য নিজেদের সর্বস্ব
উৎসর্গ করেছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তারা এ দেশের উন্নতি, সমৃদ্ধি, জাতির
কল্যাণ ও দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ
করেছিলেন, এতেও কোনো সন্দেহ নেই।
আমি মনে করি কোটা দিয়ে প্রকৃত
মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে।
তাঁদেরকে করুণার পাত্র করা হয়েছে।
তাঁরা নিজেরাও এরকম কোটা চান না।
তাঁরা অগণতান্ত্রিক
কোনো সুবিধা নিতে চান না। শিক্ষক
নিয়োগে কোটার
ফলে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা মেধাবী শিক্ষকদের
কাছে পাচ্ছে না। অদক্ষ, কম
মেধাবীরা ছাত্রছাত্রীদের আর
কী শেখাবেন? ফলে বাংলাদেশের
শিক্ষা গুণগত মানে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে।
তাই সরকারের কাছে বিনীত আবেদন—
কোটা পদ্ধতির অবসান করুন। মেধাবীদের
মূল্যায়ন করুন ।
by-কাউসার আলম(বাঁধ ভাঙার আওয়াজ)
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভাই আমরা যখন চাকুরীর জন্য দরখাস্ত করতাম তখন একটা বিধান ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বয়স সীমা ৩২ বছর। আমরা তখন হিসাব করে দেখতাম ৪ বছর বয়সে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদেরই বয়স ৩২ বছর হয়, এ তো গেল এক তামাশা। তারপর শুরু হইল মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ে। এখন শুরু হইছে নাতী-নাতনী।
এর পর কী হবে বলুন তো?
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: একটি কোটা বিষয়ক গাণিতিক বিশ্লেষণ-
পঞ্চম আদমশুমারী ও গৃহগণনা অনুযায়ী বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৪৫ লক্ষ ১৮ হাজার ১৫ জন।এদের মধ্যে ১৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৫১ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি) এবং ৩০ লক্ষ ১৬ হাজার ৬১২ জন প্রতিবন্ধী। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।
এই হিসেবে মোট জনসংখ্যার-
১) ১.০২% (এক দশমিক শূন্য দুই) নৃগোষ্ঠীর জন্য কোটা সংরক্ষিত হচ্ছে ৫%
২)১.৯৫% (এক দশমিক নয় পাঁচ)প্রতিবন্ধীর জন্য কোটা সংরক্ষিত হচ্ছে ১০% (বিসিএসে ১%)
৩)০.১৩% (দশমিক এক তিন) মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটা সংরক্ষিত হচ্ছে ৩০%
তারপরও শুনি দেশ নাকি স্বাধীন! বুঝছি,স্বাধীনতার সংঞ্গা এখন নতুনভাবে শিখতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
সোহানী বলেছেন: সবে তো নাতি নাতনী... তারপরের বংশধর সমূহ তো শুধু আসলো বলে.....
এককাজ করলে হয় না... মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটা, সরকারী ক্যাডার কোটা, ঘুষ কোটা, তেল কোটা, মন্ত্রী/ঊপমন্ত্রী কোটা, আমলা কোটা, রাজনৈতিক কোটা............. সবার জন্য ৯৯.৯৯% কোটা রাখার পর সাধারন মেধাবী পোলাপানের জন্য দয়া করে বাকি %........ ঘোষনা করলেইে তো ঝামেলা চুকে যায়।