নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছাগু হইতে সাবধান

অন্ধকারে হাতরে ফিরি বাঙ্গালীর আলোকিত ইতিহাস।

মূর্তিমান

অন্ধকারে হাতরে ফিরি বাঙ্গালীর আলোকিত ইতিহাস।

মূর্তিমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলঙ্ক মোচন কি আসলেই হবে?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২

শাহবাগ মোড়

আজ আর শাহবাগ মোড় নেই। হয়েছে "প্রজন্ম চত্বর"।২০১৩ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসের আরেক গর্বিত উপাখ্যান।এ অভ্যুত্থান কোন ক্ষমতা লড়াইয়ের যুদ্ধ না।এ লড়াই বাঙ্গালীদের কলঙ্ক মুক্তির।



শাহবাগ আন্দলনের মূল লক্ষ ছিলও রাজাকারের ফাঁসি এবং শীর্ষ রাজাকারের সংগঠন জামায়েতি ইসলামী বাংলাদেশ নামক রাজনৈতিক দলটির রাজনৈতিক সনদ বাতিল।এর সাথে যুক্ত হয়েছে জামায়েতের অঙ্গসংগঠন ছাত্র শিবির(যা ৭১'এ ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে পরিচিত ছিল)।



এই আন্দলনের প্রেক্ষিতে আমরা দেখতে পাই জামায়েত-শিবিরের ভুমিকা ৭১'এ যা ছিল এখনও তারা তাদের ভূমিকা থেকে সরে আসতে পারেনি।আজ তারা Facebook ব্যাবহার করে নানান রকম অপপ্রচারে লিপ্ত। একটা উদাহরণ দেই।

ফারায়েজি আন্দোলন

নামের এই পেজ এ ৭৬৮৮ জন সদস্য আছে। এবং আপনারা দেখতে পারেন যে কি পরিমাণ মিথ্যাচার করা হয়েছে প্রজন্ম চত্বর নিয়ে।যারা একবারও গিয়েছেন শাহবাগ তারা এই পোস্ট দেখলে শান্ত থাকতে পারবেননা।একটা ছবিতে দেখবেন শাহবাগের ভ্রাম্যমাণ টয়লেটে কিছু কনডম ফেলে রেখে ছবি তুলেছে বোঝানোর জন্য যে আসলে এখানে কি হয়?

এই জামাত-শিবির তাদের ইসলামী দল হিসেবে দাবি করে কিভাবে? তারা সমগ্র বাংলাদেশীদের ইসলামের ভাবমূর্তি ধরে রাখার বা রক্ষা করার টেন্ডার তাদের কে দিয়েছে?

তারা তরুন প্রজন্মকে ধোঁকা দিচ্ছে।তারা নিজেরা বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে তরুণদের এই জয়গান।তারা কি জানেনা আল্লাহ ধোঁকাবাজদের পছন্দ করেননা।

বাংলাদেশে আর ইসলামী রাজনৈতিক দল আছে তাদের কাজ কর্মের সাথে জামাত-শিবিরের কোন মিল নেই।সাড়া দেশের ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব মনে হয় রাজাকারদের উপর পরছে।



জামাত-শিবির তাদের কাজ করে ভিন্ন স্টাইল এ।তারা খুব চালু মাল। তারা এই আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে না পেরে জাগিয়েছে আলেম ওলামাদের। ইস্যু ওই একটাই নাস্তিক।করেছে ১৭ জন ব্লগারের হিট লিস্ট।প্রশ্ন হল এরা কি ইসলামী দল নাকি জঙ্গি বাহিনী। বাংলাদেশে আর এক আল কায়েদা জন্মের আগেই তাদের ধ্বংস করে দেয়া প্রয়োজন।নইলে আজকের এই জামাত-শিবির শুধু রাজাকার হিসেবেই না অন্য আর ভয়াবহ রুপে প্রকাশিত হবে।

মজার ব্যাপার হছে জামাত-শিবিরের অপপ্রচারের ও মিথ্যাচারের এই আগুনে ঘি ঢালার মহান দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশের কলঙ্কিত এক চরিত্র খন্দকার মোশতাকের যোগ্য উত্তরসূরি মাহমুদুর রহমান।সে তার আমারদেশ পত্রিকা কাজে লাগাছেন বাংলাদেশকে একটা অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যাবার জন্য।মদদ দিচ্ছেন জামাত-শিবিরকে তাদের অপকর্মের।৭১'এ সংগ্রাম পত্রিকার ভূত হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে আমারদেশ। আমি বুঝেপাইনা যে ফেসবুকে নাহয় ছাগুরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য কিন্তু একটা দেশের জাতীয় দৈনিক কিভাবে পারে ছাগুগিরি করতে।আমরা চাই এই পত্রিকা অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।

আজ প্রায় ৩ সপ্তাহের এই কর্মসূচীতে আমরা একটা সংশোধনী পরিবর্তন করতে পেরেছি তারপর দেখছি সরকারের অবহেলা।তারা আপিল করবে আগামী সপ্তাহে।কেন?

এই কয়দিন সময় নিয়ে তারা কি করবে?

অনেকতো সময় হয়েছে। আর কতো সময় দরকার একজন যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসি দেয়ার জন্য?

আমরা আর সময়ের প্রহসন দেখতে রাজিনা।

আন্দোলন আমাদের থামবেনা। এ লড়াই আমাদের অস্তিত্তের লড়াই।কলঙ্কের দায় থেকে মুক্তির লড়াই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.